বড্ড অবাধ্য মন আমার - অধ্যায় ১

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-69875-post-6007077.html#pid6007077

🕰️ Posted on August 11, 2025 by ✍️ ABCD_123 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 765 words / 3 min read

Parent
আমি সৌমি, সৌমি রায়, বাড়িতে আমাকে ‘সুমি’ বলেই সবাই ডাকতো আর দিদি মৌমি, বাড়িতে ওকে ‘মিমি’ বলে ডাকা হতো।। দিদির থেকে আমি ৬ বছরের ছোটো ছিলাম।। বাবার ট্রান্সফারের চাকরি হওয়াতে এক জায়গায় বেশীদিন থিতু হতে পারতাম না আমরা, প্রায় ২-৩ বছর অন্তর আমাদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে হতো।। আর এই করেই উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিনবঙ্গের অনেক জায়গায় আমাদের যেতে হয়েছিল।। বাবা গড়িয়াতে এই বাড়িটা কেনার পর ঠিক হয় আমরা মানে মা, দিদি আর আমি এই নতুন বাড়িতেই থাকবো।। সেই মতোই থাকা শুরু হয়েছিল।। দিদি তখন কলেজে পড়তো আর আমি পড়তাম ক্লাস সেভেন-এ।। বাবা ছুটি পেলেই বাড়িতে চলে আসতো।। বাড়িতে আমাদের দুটো শোবার ঘর ছিল।। ভেতরের দিকের ঘরটায় মা-বাবা থাকতো আর বাইরের ঘরে আমি আর দিদি থাকতাম, দুটো বাথরুমের একটা বাথরুম আমাদের ঘরের সঙ্গে এটাচড ছিল।। বাবা যখন থাকতো না, তখন আমি মাঝে মাঝে মা-র কাছেও গিয়ে শুতাম।। আমার আর দিদির ঘরটা ছিলো বেশ বড়, তাতে দুটো বেড ছিল।। বড় খাটটাতে দিদি আর মাঝারিটাতে আমি শুতাম। বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন কেউ এলে আমি দিদির বিছানায় চলে যেতাম, আর যে আসতো তাকে আমার খাটে শুতে দিতাম।।  খাটগুলো ছিল বক্স খাট, আর বেশ নিচু ছিল, আমরা যখন বালিশে মাথা দিয়ে শুয়ে থাকি, তখন টেবিলের নিচ দিয়ে দুজন দুজনকে দেখতে পেতাম।। আসলে টেবিলের ঐপাশে দিদি বসে পড়তো আর এইপাশে আমি।। দিদি যখন টেবিলে পড়তে বসতো, আমি শুয়ে থাকলে টেবিলের নীচ দিয়ে ওর কোমড় থেকে ঝোলানো পা আমি দেখতে পেতাম, এর মানে দিদিও যখন শুয়ে থাকে আর আমি যদি বসে পড়ছি, তখন দিদিও আমার কোমড় থেকে ঝোলানো পা দেখতে পেত।। আমাদের ঘরের একটু পরেই অন্য পাশে ছিল সিঁড়িঘর, যা দিয়ে আমি আর দিদি খুব ছাদে যেতাম বিশেষ করে গরমের দিনে হাওয়া খেতে।। আমাদের ঘরের সামনের দিকে একটা ছোটো বারান্দা ছিল, মেইন এনট্রান্স টা ছাড়া এদিক দিয়েও আমাদের ঘর থেকে সরাসরি বাইরে যাতায়াত করা যেতো।।   নর্থবেঙ্গলে আমাদের অনেক আত্মীয় স্বজন ছিল, কুচবিহারে বাবার দূর সম্পর্কের মাসতুতো ভাইরা থাকতো।। সেই ভাইদের মধ্যে যে সব থেকে ছোটো ছিল, তাকে আমরা ছোটকা বলে ডাকতাম, এমনিতে ভালো নাম সৌম্য, সৌম্য নন্দী, বাড়িতে সবাই সমু বলেই ডাকে।। আমার যখন ৩ বছর বয়স, তখন বাবার ট্রান্সফার হয় এক প্রত্যন্ত জায়গায়, যেখানে আমরা কেউ যেতে রাজী ছিলাম না, সে সময় বাবা এই বাড়িতেই আমাদের রেখে যায়, যেন বুঝে শুনে ঠিক সময়ে আমাদের নিয়ে যেতে পারে।। সেই সময় মা, দিদি আর আমি ছোটকাদের বাড়িতে প্রায় ৩ বছর ছিলাম।। তখন ছোটকার বয়স ছিল ১৫, ক্লাস নাইন-এ পড়তো।। তারপর বাবার আরো ২ টো জায়গায় পোস্টিং হয় সাউথ বেঙ্গলে, আমরা সেসময় বাবার সাথেই যাই, আর তারপরেই এই বাড়িটা কেনার পর এখানে এসে থাকতে শুরু করি। এই বাড়িতে আসার 3 বছর পরেই বাবা রিটায়ার করে এখানে চলে আসে, আমি তখন ক্লাস টেনে পড়ি।।  পরের বছরেই মানে আমি যখন ক্লাস ইলেভেন-এ, সে বছর-ই দিদির বিয়ে হয়ে যায়, দিদির বয়স তখন ২৪ হবে, বিয়ের পরে দিদি চলে যায় নর্থবেঙ্গলে শিলিগুড়িতে।। দিদির বিয়ের সময় ছোটকার বয়স ছিল ২৮ বছর।। দেখতেও বেশ মিস্টি মিস্টি আর খুব মিশুকে ও মজার ছিল।। ছোটকা মোটেও অভিভাবক সুলভ ছিল না,  সম্পর্কের উর্ধে উঠে আমাদের সাথে বন্ধুর মতোই ব্যাবহার করতো।। বিয়ের সময় অনেক আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে ছোটকাও এসেছিল আমাদের বাড়িতে।। সে কটা দিন খুব আনন্দে কেটেছে আমাদের, ছোটকা আমার পেছনে খুব লেগেছিল, ছাদে আমাকে একা পেয়েই একদিন বলল,”জানিস, তোরও কিন্তু বিয়ের ফুল ফুটেছে”  আমি বলতাম,”কি করে বুঝলে” “বলবি না তো কাউকে” “না, বলবো না, বলো” “তোকে দেখতে ঝক্কাস লাগছে, একদম পারফেক্ট ফিগার আর বিউটি, যে কোনো ছেলে যখন তখন তোকে বিয়ে করতে চাইবে, আর হঠাৎ করে শুনবো তোর বিয়ে হয়ে গেছে” কথাগুলো শুনে আমার খুব ভালো লাগতো, কিন্তু প্রকাশ করতাম না, বলতাম, “ঝক্কাস টা কি, কি বাজে ল্যাঙ্গুয়েজ তোমার, আমার বিয়ে এখনো অনেক অনেক দেরী।। আর আমি বিয়ে করবো কি না সেটারই ঠিক নেই, কিন্তু ছোটকা, তোমার তো ছুটকি রেডি করাই আছে, তাকে কবে আনবে সেটা বলো।।”  “দাড়া আগে মনের সুখে প্রেমটা করে নিই, তারপর তো।।” আমি পরে দি-কে এসব বলতেই দি বললো,”তুই এসব নিয়ে ছোটকার সাথে আর কথা বলিস না” আমরা সবাই জানতাম ছোটকা চুটিয়ে প্রেম করছে, আমাদের কাজিনদের মধ্যে এটা নিয়ে অনেক কথাও হতো।। এমনকি ওরা নাকি একসাথে শারীরিক সম্পর্কও করেছে।। যাই হোক, এমনি করেই হাসি-ঠাট্টার মধ্যে দিয়েই বিয়ে শেষ হলো।।  দি-র বিয়ের পর-ই বাবা ভীষন অসুস্থ হয়ে পরলো।। বিছানা থেকে বেশী উঠতে পারতো না।। ফলে বাড়ীর বাজার থেকে শুরু করে সব কাজ আমাকে করতে হতো।। মা তো বাবাকে নিয়েই ব্যাস্ত থাকত, তাছাড়া বাড়ির অন্যান্য কাজ, রান্নাবান্না এসব তো আছেই।। দিদির বিয়ের পর ওর ডাবল বেডের বিছানাটাতে আমি-ই শুতাম।। যেদিন থেকে একা একা থাকতে শুরু করলাম, তখন ভীষন-ই মন খারাপ লাগতো, তখন বিছানায় শুয়ে শুয়ে অনেকটা সময় দিদির কথা ভেবে মন খারাপ করতাম।। কয়েকমাস পরেই  আমি ক্লাস টোয়েলভে উঠলাম।। তারও দুয়েকমাস পরে, খুব সম্ভবত মে মাসে শুনলাম ছোটকা কলকাতায় একটা ব্যাঙ্কে চাকরি পেয়েছে।। তখন বাবার সাথে মাঝে মাঝে ছোটকার কথা হতো, সে থেকেই একদিন জানতে পারি ছোটকা কলকাতায় এসে জয়েন করবে।। 
Parent