ভাঙনের পরে - অধ্যায় ১৩৮

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-64501-post-5926137.html#pid5926137

🕰️ Posted on April 16, 2025 by ✍️ Henry (Profile)

🏷️ Tags:
📖 514 words / 2 min read

Parent
ভর সন্ধেতে স্নান সেরে বেরোলো সুচিত্রা। অংশু দেখলে মা লাল রঙা সায়া আর লাল ব্লাউজের পরে বেরোলো বাথরুম থেকে। দ্রুত ঢুকে গেল বুকে তোয়ালে চেপে ঘরে। ঘরের মধ্যে জামিলা, মনোয়ারা রয়েছে। মা ঢুকতেই দরজা লেগে গেল। মহিলাদের হাসিঠাট্টা আর গুজগুজ করতে থাকা শব্দ কানে এলো অংশুর। বদ্ধ ঘরে সাজানো হচ্ছে মাকে। সকালের ঐ লাল গর্জিয়াস জারদৌসি পরেছে মা। টকটকে লাল ব্লাউজ, যা মায়ের তীব্র ফর্সা গায়ে ঔজ্জ্বল্যতায় যেন ফেটে পড়বে। মায়ের সাজগোজ শেষ হতেই দরজা খুলল। সারা গায়ে গহনা ভর্তি। খোঁপায় রজনীগন্ধার গাজরা। কোমরে সোনার চেন, গলায় নেকলেস, মোটা বিছে হার। মাথায় সোনার টিকলি, বালা বাউটি হাতের কব্জিতে। ডালিয়া মাসি মায়ের দিকে চেয়ে রয়েছে দেখে মা বিরক্ত হয়ে বললে---দাঁড়িয়ে আছিস কি? হল রে? মুখে ভেংচি কেটে ডালিয়া মাসি বলল---করছি তো। আমি কি যন্ত্র নাকি? মৌলবী সাহেবের সাথে কথা বলছে গফুর। জামিলা বললে---দাদা, শেরওয়ানিটা পইরে লাও। গফুর বললে---তোর ভাবী গেল কোথা রে? মাগীকে নিকাহর পর থেকে দেখতে পেলাম না। মুখ টিপে হাসতে থাকা জামিলা বললে---এখন কি দরকার ভাবীকে? ঠিক সময় পাবে। ---খিদা পেয়েছে। জলখাবার কিছু... ---সে না হয় আমি দিচ্ছি। রান্নাঘরে চলে গেল জামিলা। মা কাচের স্বচ্ছ গেলাসে ঢেলে নিলে সাদা গরম দুধ। জামিলা এসে বললে---ভাবি, পেস্তা, বাদাম দিছ গো? দুধের ওপর পেস্তা, বাদাম, কাজু ও কয়েকটা গোলাপ পাঁপড়ি ছড়িয়ে দিলে জামিলা। ফিসফিসিয়ে বললে---সারারাত লড়তে হবে ভাবি, কুনো ব্যাপারে মরদকে না করবেনি। ---ধ্যাৎ! লাজুক মায়ের গালে টোল পড়ল হাসিতে। বাটিতে মুড়ি আর গরম তেলেভাজা নিয়ে দিয়ে এলে জামিলা। গফুর বললে---কাঁচা লঙ্কা আর পেঁয়াজ হবে রে জামিলা? তোর ভাবিকে বল। ---আঃ! দাদা। অত ভাবির খোঁজ কইরো না তো। ঠিক সময় ভাবির দেখা পাবে। মা রান্নাঘর হতে কাঁচা লঙ্কা নিয়ে বের হতে যাবে জামিলা বাধা দিয়ে বললে---আঃ ভাবি! কি কইরো। এখন মুখ দেইখাবেনি। সবুর করো দিখি। সাজগোজ নষ্ট হই যাবে। তুমি গিয়ে বাসর ঘরে বুসো দিখি। জামিলার কথা মত মা চলে গেল দোতলায়। ডালিয়া মাসি অংশুর জন্য জলখাবার রেডি করছিল। জামিলা বললে---ওসব পরে হবে। দাদার জইন্য ডিম দুটা ভাইজে দাও দিখি। মুখ ঝামটা দিয়ে উঠল ডালিয়া। বললে---আমি তোর দাদার কাজের মেয়েছেলে নাকি? ভাজতে হলে নিজে ভেজে নে। অংশু মুড়ি খাচ্ছিল। দেখলে বিট্টু-লাট্টু ভালো জামা-প্যান্ট পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অংশু বললে---কি রে, তোরা কোথায় যাবি? বিট্টু লাফাতে লাফাতে বললে---পিসির ঘর যাবো, দাদা। তুমি যাবে না? অংশু কোনো উত্তর দিল না। লাট্টু বললে---দা..দ্দা মা কোথায়? ---দোতলায়। লাট্টু চলে গেল দোতলায়। অংশু খানিক মধ্যে শুনলে জামিলা লাট্টুকে বকে বকে নীচে নামাচ্ছে---একদম, আজ মার কাছে যাবিনি। লাট্টুর কান্না শুনে মা ঘর থেকে বেরিয়ে এলো তক্ষুনি। বললে---লাট্টু, আয় বাবা, কাঁদিস না। এই তো মা। জামিলা তৎক্ষনাৎ বাধা দিয়ে বললে---ভাবি, আজ একদম মাই দিওনি। ওরে আমি দুধ খাওয়াইতেছি। লাট্টু শুনতে চায় না। মা ওকে কোলে তুলে বললে---আঃ জামিলা। খাক না। ---ভাবি, দাদার জইন্যে আজ ভরা রাখো গো। দিওনি। শয়তানি হাসির রেখা জামিলার মুখে। মা'ও কম যায় না। লজ্জা-শরমের মাথা খেয়ে বললে---কম হয় না রে জামিলা। তিনটেকেই সামলাই বুকে। লাট্টুকে কোলে নিয়ে বাসর ঘরে ঢুকে গেল সুচি। বিট্টুও দুধ খাবার জন্য যেতে চাইলে জামিলা বললে---তুর আবার কি হইল। অত বড় ছিলা...যাঃ... গফুর শেরওয়ানি পরে প্রস্তুত। ওর বোন জামিলা গফুরের নোংরা জট ধরা চুলে চিরুনি চালাতে গিয়ে বললে---দাদা, দাড়িচুল কাইটো না কেন? ভাবি কি ভাইববে বলো তো? গফুর হলদে দাঁত বের করে হেসে বলল---তুর ভাবি এসব দেখেই মানুষটাকে পছন্দ করেছে রে জামিলা। ---তবু আইজকের দিনে... ***
Parent