ভাঙনের পরে - অধ্যায় ৩৩

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-64501-post-5749588.html#pid5749588

🕰️ Posted on September 25, 2024 by ✍️ Henry (Profile)

🏷️ Tags:
📖 298 words / 1 min read

Parent
জয়ন্তের ডিউটি শেষ হতে সেই বিকেল চারটা। বাড়ি পৌঁছল পাঁচটার পর। সুচি ফেরেনি। অংশুর কলেজ নেই বলে সে তার পড়ার ঘরে বসে গণিত কষছে। জয়ন্ত শার্ট খুলতে খুলতে বললে---তোর মা কোথায়? অংশু পড়ার টেবিল থেকে চোখ না সরিয়ে বাবাকে উত্তর দিল---মা ফোন করেছিল। মায়ের কোনো একজন কলিগ অসুস্থ, তার বাড়ি গেছে। ফিরতে দেরি হবে। জয়ন্ত ঘড়ির দিকে তাকালো। বলল---ফিরতে কত দেরি হবে কিছু বলেছে? ---না। বলেছে খালি দেরি হবে। এই সুযোগ হাতছাড়া করতে ইচ্ছে হচ্ছে না জয়ন্তের। খালি মনের মধ্যে দোনমনা। একে সকালেই হয়েছে একবার, মিতা যদি ফিরিয়ে দেয়। এছাড়া সুচি যে কোনো মুহূর্তে এসে যেতে পারে। তাই নিজেকে শাসন করে জয়ন্ত সামলে রাখলো। বরং গরমে এসময় তার ভালো স্নানের দরকার। সারাদিন নানা রোগীদের সাথে থাকায় রোগজীবনুর জন্য ডাক্তারদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। জয়ন্তের বা সুচির গ্রীষ্ম হোক বা শীত দু'বার স্নান হবেই। সেটা কখনো কখনো বার তিনেক হয়ে যায় জয়ন্তের। সুচি কলেজ যাবার আগে আর কলেজ থেকে ফিরে দু'বার স্নান করবেই। কেবল ছুটির দিনগুলোতে সুচি একবার স্নান করে। জয়ন্ত কিছুতেই তার একটা ঘরে পরবার জন্য টি শার্ট কিনেছিল সেদিন। স্নান সেরে কিছুতেই তা পাচ্ছে না। গরমের দিনে ওটা বেশ আরামপ্রদ হত। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বুঝতে পারলো এটা সুচিত্রার কাজ। নিশ্চই কোথাও গুছিয়ে রেখেছে। অংশু অঙ্ক শেষ করে ড্রয়িং রুমে যখন এলো রাত্রি আটটা। মা এখনো ফেরেনি। বাবা টিভি দেখছে। টিভিতে বাংলা নিউজ চ্যানেল একটা চলছে বটে কিন্তু বাবার চোখ একটা মোটা ডাক্তারির বইতে আটকে। বাবা ডাক্তার হলেও যে সবসময়ের জন্য যথেষ্ট বই পত্তর ঘাঁটেন এ' কথা অংশু জানে। সে তাই বাবার পাশে সোফায় বসে পড়ল। রিমোটটা প্রেস করে চ্যানেল বদলিয়ে দিল। জয়ন্ত দেখলে ছেলে আবার ফুটবলের চ্যানেলে দিয়েছে। লাইভ নয়। বুন্দেশ লীগের কোনো এক পুরোনো খেলা। সুচি দেরি করছে দেখে দুশ্চিন্তা হল জয়ন্তের। ফোন করল সুচিকে। সুচি জানালো সে বাসে। আধ ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে যাবে। অংশু বুন্দেশ লীগ বদলে এখন ক্রিকটের পুরোনো ম্যাচ দেখছে। ***
Parent