বিকৃত নিশিকাব্য - অধ্যায় ৪

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-44020-post-4122417.html#pid4122417

🕰️ Posted on December 17, 2021 by ✍️ [email protected] (Profile)

🏷️ Tags:
📖 455 words / 2 min read

Parent
ল্যাপটপ অফ করে উঠে পড়ে রাশেদ। ঘড়িতে বিকেল ৪টা। রাশেদের হাতে আপাতত আরো ৪ ঘন্টার বেশী সময় আছে। আপন মনে পরিকল্পনা সেটে রাতের প্রস্তুতি ঠিকঠাক মতো সেরে নিচ্ছে রাশেদ। যেহেতু আজ প্রাথমিক শুরু, সেই অনুযায়ী কাজ। মূল কাজ তো তিনদিন পর। সত্যি কথাটি হলো আজ রিহার্সেল সেরে নিবে রাশেদ। হঠাৎই ভাবলো- এক কাজ করা যায়। ঐ ডাক্তার বন্ধুটিকে আরেকবার জ¦লানো যায় এখন। চিত্রা বৌদির কেইসটা স্টাডি করা দরকার। জটিল বিষয় হলে তাতে তার নাক গলানো কাম্য নয়। বুঝে শুনে হাত বাড়াতে হবে কাজে। সব কাজ তো আর তাকে দিয়ে হবে না। আর এই লাইনে একদম আনকোরা সে। শুধুমাত্র মগজ খাটিয়ে পটু হতে হবে। মোবাইল হাতে নিয়ে ফোন দেয় ডাক্তার বন্ধুটিকে। চেম্বারে নেই, বাসায় যেতে বললো। ওর বাসায় যেতে প্রায় ৩০ মিনিট লেগে যাবে। ঘড়িতে ৪টা ২০ বাজে। তৈরী হয়ে নিয়ে বের হয়ে পড়ে রাশেদ। রিক্সা নিয়ে চলে যায় বন্ধুর বাসায়। ১০ তলা বিল্ডিংয়ের তিনতলায় থাকে তার বন্ধুটি। কলিংবেল চাপতেই কিছুক্ষনের মধ্যে এসে একটি ১১/১২ বছরের মেয়ে দরজা খুলে দেয়। তাকে ড্রইং রুমে বসতে বলে মেয়েটি চলে যায় বাসার ভেতরে। মিনিট ২ এর মাঝে সেই বন্ধুর কথা শুনতে পায় রাশেদ। ভেতরের রুম থেকে আসছে। কথোপকথনে বুঝা যাচ্ছে স্বামী-স্ত্রী’র মাঝে কিছু ঝগড়া চলছে। বন্ধুর স্ত্রী- কতা শেষ হয়নি আমার। যাচ্ছো কই? বন্ধু- আহা আস্তে! শেষমেষ এখানেও? আমার গেস্ট এসছে। তার সামনে আবার শুরু করে দিও না প্লিজ। আমার আর ভালো লাগেনা এসব। দিন দিন এই তর্কতর্কির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। বন্ধুর স্ত্রী- ওহহো, তোমার গেস্টের সামনে ইজ্জত রাখতে হবে, আর আমার গেস্টের সামনে যে ঐদিন কীর্তিটা করেছো....তার হিসেব আলাদা? বন্ধু- আচ্ছা সরি, প্লিজ। একটু বিরতি নাও। আসো, পরিচয় করিয়ে দেই। আমার বন্ধু রাশেদ। ওহ হ্যা, ভয় পেওনা ওর বেশভুসা দেখে। বাবু এখন সাধুবাবা। আগে ছিলেন টেক এক্সপার্ট। হঠাৎ করেই যে কি হলো ওর। উধাও। অনেক দির আবারো উদয়, তবে টেক এক্সপার্ট থেকে সাধুবাবা। বন্ধুর স্ত্রী- আস সালামু আলাইকুম। কেমন আছেন ভাইয়া? আপনার কথা অনেক অনেক শুনি ওর কাছ থেকে। রাশেদ- (সালামের উত্তর দিয়ে) কি যে বলেন ভাবি। বন্ধুর ন্ত্রী- আপনারা বসুন। আমি চা নিয়ে আসি। আপনার তো আবার চা অনেক পছন্দ। আপনার বন্ধু তো আপনার ব্যাপারে কথা জপে জপে আমাকে মুখস্ত করিয়ে দিয়েছে। রাশেদ- প্লিজ ভাবি। খুব দরকার এখন এক কাপ চা। কষ্ট দেই একটু আপনাকে। প্রতিউত্তরে একটা হাসি দিয়ে ভেতরে চলে যায় বন্ধুর স্ত্রী। বন্ধু- বলো বন্ধু, আবার কি সমস্যা? এখন আবার কার উপকারে নামলে? রাশেদ- বন্ধু, আসলে আমি জানি না আমি কি করছি। সত্যি বলছি। আমার দ্বারা কি আসলেই সম্ভব হবে কি না। তোমার সাহায্য লাগবে। সাথে আনা ফাইলটা এগিয়ে দেয় রাশেদ। এই ফাইলের পেশেন্ট একজন ডাক্তারের স্ত্রী। হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক। আমার এলাকার। আমাদের বাসায় যাওয়ার আগে পড়ে উনার চেম্বার আর বাসা। আজকে দুপুরে অন্য আরেকজনের কাজে গিয়েছিলাম সেই ডাক্তার দাদার কাছে। কথার পিটে কথা চলার মধ্যে জানতে পারি যে, ঐ দাদা একটা সমস্যায় রয়েছেন। জানতে চাইলাম। এই বলে রাশেদ তার বন্ধুটিকে হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের ঘটনাগুলো খুলে বললো।
Parent