বিকৃত নিশিকাব্য - অধ্যায় ৬

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-44020-post-4131111.html#pid4131111

🕰️ Posted on December 20, 2021 by ✍️ [email protected] (Profile)

🏷️ Tags:
📖 643 words / 3 min read

Parent
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আর আন্তরিকভাবে দু:খও প্রকাশ করছি। জীবন চলারপথে কিছু দায়বদ্ধতা রয়েছে আমার। লিখি সখের বশে। কিন্তু না লিখতে পারা হচ্ছে জীবন সংগ্রামে টিকে থাকতে। তাই ক্ষমা চাচ্ছি সবার কাছে। আপডেট দিতে দেরী হওয়ায়। ---- রাস্তায় বের হয়ে একটি রিক্সা নেয় রাশেদ। এখন তার প্রথম কাজ বন্ধু সাজ্জাদের বউয়ের জন্য ভিসার জন্য একজনের সাথে আলাপ করা। একজন আছে, যাকে রাশেদ চেনে। তারেক সাহেবের অফিসে কাজের সুবাদে আগে ঐ লোকের সাথে ভিসা ও পাসপোর্ট জটিলতা নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। রাশেদ মোবাইলে আকাশ নামের লোকটির নাম্বার খুজে বের করে ডায়াল করে। আকাশ- হ্যালো....রাশেদ ভাই! কি খবর ভাই? অনেকদিন পর মনে পড়লো গরীবের কথা! রাশেদ- আরে ভাই ভাই...এভাবে বলবেন না। সময় তো আর একরকম থাকে না। আপনার কাছে একটা জরুরী দরকারে আলাপ আছে। আকাশ- বলেন, ব্যাপার না। আমার আয়ত্ত্বে হলে কাজ আটকে থাকবে না। রাশেদ- আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু সিঙ্গাপুর যাচ্ছে পরশুদিন। সে একজন ডাক্তার। কিন্তু তার ওয়াইফকে নিতে চাচ্ছিল সাথে। ভিজিট ভিসা তো নাই। সে যাচ্ছে সেমিনারে যোগ দিতে। একদিনের ব্যবধানে কিছু সম্ভব? আকাশ- ভাই, যতটুকু বলতে পারছি, ভিসা হয়তো ম্যানেজ করতে পারবো। তবে, টিকিট ফেয়ার আর কাজের জন্য এক্সট্রা লাগবে কিছু। তবে, সেই বেশী কিন্তু অতো বেশীও না। রাশেদ- একটান কাজ করি। আমি আপনার নাম্বার টা আমার বন্ধুকে টেক্সট করে দিচ্ছি। ও আপনার সাথে আলাপ করে যা যা দরকার করে নিক। আকাশ- ঠিক আছে। তবে, এক ঘন্টার মধ্যে যোগযোগ করতে বলেন। পরে আর একদিনের ভেতর সম্ভব হবে না। রাশেদ ফোন কেটে দিয়ে আকাশের নাম্বারটি টেক্সট করে দেয় সাজ্জাদকে। তারপর সাজ্জাদকে ফোন করে বিস্তারিত জানায়। সাজ্জাদও খুব খুশী হয় এসব শুনে। সে সাথে সাথেই আকাশকে ফোন দিচ্ছে বলে জানায়। স্ক্রিনে টাইম দেখে মোবাইল পকেটে রেখে দেয় রাশেদ। ৭ টা বাজে প্রায়। একটা মোড় পার হয়ে আরো কিছু দূর গিয়ে একটি সাইনবোর্ড দেখে রিক্সা থামাতে বলে। তার কাঙ্খিত ঠিকানায় চলে এসেছে। এখান থেকে তার বাসায় যেতে লাগবে ৪০/৪৫ মিনিট। দেখা যাক, ভদ্রলোক কতটুকু সময় নেন। সাইনবোর্ডওয়ালা বিল্ডিংটা একটা বাসা। গেইটে দারোয়ানের কাছে পরিচয়পর্ব সেরে চরে যায় সোজা ৬ তলাতে। সেখানে এটেনডেন্টসকে নাম বলতেই তাকে একটু বসতে বলে। মিনিট ৪/৫ পর ডাক পড়ে রাশেদের। ভেতরে রাশভারী গোছের মোটা মুছওয়ালা একজন ৬৫/৭০ বছরের বৃদ্ধকে দেখতে পায় রাশেদ। চশমার ফাঁক গলে তাকে দেখে নেন ভদ্রলোক। প্রাথমিক পরিচয়পর্ব শেষে সমস্যার কথা শুরু হয়। চিত্রা বৌদির ফাইল দেখতে থাকেন ভদ্রলোক। প্রায় মিনিট পনেরো পর মুখ তুলে একটু দম নিলেন। ভদ্রলোক- মি. সাজ্জাদ, আপনার কেইসটি খুব জটিল না আবার খুব সহজও নয়। এখানে রিলাক্সিভ পিলস দিয়ে শুধু কাজ হবে না। তার জন্য প্রয়োজন হবে সময় আর টেকনিক। রাশেদ- যেমন? স্যার আমাকে ডিটেইলস বলুন প্লিজ। ভদ্রলোক- যেমন হলো...ইলিউশন সাবজেক্টের তুলনায় ভদ্রমহিলা একজন অল্প বয়সী মানুষ। তার মাঝে যে ছায়াটি বাস করছে, প্রথমে ঐ ছায়া থেকে তাকে বের করতে হবে। সাথে হয়তো রিলাক্সিভ পিলস থাকবে নার্ভ ইজি রাকার জন্য। কিন্তু ঐ ছায়া দূর করতে প্রয়োজন পড়বে আরো একটি ছায়ার। তবে, ছায়াটি হতে হবে একজন বন্ধু বা তারও বেশী নিকটতম কেউ একজনের। এবার ব্যাপারটা হলো প্রথমেই তো মাতায় আসে যে, ভদ্রমহিলার স্বামী একজন ডাক্তার। তিনি নিজেই এইখানে ভালো অপশন।....ভুল। কারণ হচ্ছে, যদি নিজে আগেই পারতেন তা হলে মহিলার মনে এ রোগ সৃষ্টি হতো না। আই মিন বোঝাপড়া অতোটা ভালো না দুজনের। এ জন্য আরো একটি ছায়া খুঁজতে হবে। রাশেদ- স্যার, ছায়ার কাজটি মনে হয় আমি বুঝেছি। কিন্তু কথা হচ্ছে, তাহলে তো মহিলার একদম কাছাকাছি কোথাও থাকে কেউ একজন এরকম হতে হবে। ভদ্রলোক- এক্সেক্টলি। যেহেতু আগের ছায়াটি থাকতো তাদের উপরতলার ফ্ল্যাটে। সেহেতু নতুন ছায়াকেও এরকম দূরত্বে আসতে হবে। রাশেদ- বুঝেছি স্যার। ভদ্রলোক- না বুঝেননি। আগে ছায়া তৈরী করুন। পরবর্তী বিষয়গুলো আমি বলে বলে দিবো। রাশেদ- স্যার, মনে হচ্ছে আমাকেই ছায়া হতে হবে। ভদ্রলোক- গ্রেইট। তাহলে কবে থেকে কাজ শুরু করবেন? তার আগে আমাকে একটা ফোন কল দিয়ে তারপর। এই নাম্বারেই ফোন করবেন। (একটা কার্ড বাড়িয়ে দিয়ে) সাজ্জাদের বন্ধু আপনি। আর সাজ্জাদ আমার অনেক প্রিয়দের একজন। সো, এনি টাইম ইউ ওয়ান্ট। ফোন করবেন। রাশেদ- ধন্যবাদ স্যার। আশা করছি ১০/১২ দিনের মধ্যে ফোন করতে পারবো। আমি বর্তমানে কিচু কাজে ব্যস্ত রয়েছি। আমি চাচ্ছি একদম ফ্রি হয়ে কাজটি শুরু করতে। ভদ্রলোক- ওকে। তাহলে ঐ কথাই রইলো। জানাবেন আমাকে।
Parent