ব্যাগেজ by dimpuch - অধ্যায় ১০

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-40268-post-3637553.html#pid3637553

🕰️ Posted on August 26, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 988 words / 4 min read

Parent
বাইরে লাল আলো জ্বালিয়ে সিরাজ আলি মণ্ডল আর ইন্সপেক্টর সূর্য চ্যাঁটারজি নিচু গলায় কথা বলছে। হঠাৎ ইনটারকম এ “ স্যার , মিস, জোনাকি কাশ্যপ দ্যাখা করতে চান”... ...হ্যাঁ হ্যাঁ পাঠাও। এখুনি। ...ঘরে এসে ঢুকলেন অতিব সুন্দরী এক বছর ৫০ এর মহিলা .........আরে জোনাকি তুমি আরও সুন্দর হয়েছ, একটু পাত্তা দাও......হাঁসতে হাঁসতে সিরাজ জোনাকি কে বলল। .........ইয়ার্কি মেরনা, সিরাজ। ।।তরল স্বর জোনাকির “ কাজের কাজ কিছু করছ না খালি ইয়ার্কি! অজু র কোন খোজ পেলে।? ঘাড় নাড়ল মণ্ডল। .........তোমাকে যে বলেছিলাম একটা ফটো দিতে এনেছ? .........হ্যাঁ, এই নাও। সিরাজ, ওকে খোজা তো খুব সহজ। নাকের উপর ওই রকম একটা আব, আর উপরের মাড়ির ওই বিশ্রী বেরিয়ে থাকা দাঁত। চিনে ফেলা তো সহজ। .........জোনাকি, ভারতে ওই রকম নাক আর দাঁত , খুজলে অন্তত,৫ লক্ষ্য ছেলের পাওয়া যাবে। ষতটা সহজ ভাবছ ততটা সহজ না। খুজে আমি বার করবই, যদি বেচে থাকে। ............তার মানে, সিরাজ ,কি বলছ আমি ওর মা, আর তুমি আমায় ওই কথা বল......জোনাকির গলায় শঙ্কা .........সত্য অনেক সময়েই নির্মম হয় জোনাকি। তুমি ভুলে জাচ্ছ, আমি অজুকে আমার সন্তানের মতো ভালবাসতাম । আমি যে ওর গোব্বর সিং । সময় লাগবে , সময় লাগবে। বিশ্বাস রাখ জোনাকি । ঝুকে পরে সিরাজ এর দু হাত নিজের হাতে নিয়ে জোনাকি চাপ দিল .........প্লিস। সিরাজ, প্লিস তুমি ছাড়া কেউ পারবে না, তাই বার বার ছুটে আসা। আজ যাই, ফোন এ যোগাযোগ রাখব। জোনাকি বিদায় নেবার পর, .........সূর্য এই অজুর কথা তোমায় বলেছি, এটা আমার চ্যালেঞ্জ , বার করবই ওকে পর পর ধরা পড়ার পর, রোহিত অস্ত্র আর সোনার কারবার পুরপুরি বন্ধ করে দিল। এর পিছনে একটা বড় কারন, সিরাজ আলি মণ্ডল। ফাগুর মুখে ওই নাম সুনে ধনু আর রোহিত চমকে উঠেছিল। রোহিত প্রমটারি, ব্যাবসা আর সিনেমা প্রযোজনায় টাকা ঢালল। সিনেমায় রোহিত এর বেশি আগ্রহ। , কেননা অল্প বয়েসর যুবতী ভোগ করা যায়। কিন্তু যেহেতু, প্রমটারি ব্যাবসায় লাভ বেশি তাই সেটাতে ফাগু আর ধনু কে লাগাল । এর পিছনে অন্য একটা কারন, মেয়ে ঘটিত সব ব্যাপার ষাতে না ধনু বাঁ ফাগু জেনে যায়। রিরংস তারিত রোহিত, নতুন গড়ে ওঠা শহরের তার দোতলা বাড়ি তে যুবতী দের ভোগ করে। সেই বাড়ি তে ধনু এক তলায় একটা ঘরে থাকে যতক্ষণ রোহিত দোতলায় থাকে। ফাগু আর ধনু এখন রোহিত এর প্রমটারি ব্যাবসা দ্যাখা ছাড়া রোহিতের দেহরক্ষী ও বটে। পূর্ব কলকাতার এক বন্ধ কারখানার বিশাল জমিতে রোহিত কমপ্লেক্স গড়ে তুলছে। মট ৮ খানা বাড়ি.২০ কোটি টাকার প্রোজেক্ট। ......ফাগু, রোহিত। তোমারা দুজনে সাপ্লারদের কাছ থেকে২-৩ % নিতে পার। বদলে মাল এর দায়িত্ব তোমাদের আর সব ঝুট ঝামেলা তোমাদের। রাজ নৈতিক নেতাদের আমি সামলাবো , কিন্তু ছোট গুলকে তোমরা সামলাবে । পুঁচকে গুলোর জন্য আমি ১% দেবো। কিন্তু আমাকে কোনরকম মুশকিল এ যেন না পরতে হয়। .........সে ঠিক আছে, তবে ওটা ৫% না করলে আমাদের কিছুই থাকবেনা। কেননা লোক লাগাতে হবে সিকুরিটির জন্য। .........ফাগু বলল। .........ঠিক আছে ওটা ৫% হবে। আমি সাপ্লাএরদের বলে দেবো। কাজ আরম্ভ হয়েছে ১ বছর। ছোট খাটো ঝামেলা বাদে বড় কিছু হয়নি।তবে ইদানিং, পাখি দলুই, নামকরা তোলাবাজ, খুনি-ডাকাত,ছিনতাইবাজ , ঝামেলা শুরু করেছে। রোহিত এর কাছে গিয়েছিল, কিন্তু ঢুকতে পারেনি। ফোন করে বিরক্ত করে।ধনুকে অনেকবার শাসিয়ে গেছে” দেখে নেব” বলে একদিন কাজ শেষে, সব টাকা পয়সা মিটিয়ে, ফাগু আর ধনু রোহিত এর দেওয়া গাড়িতে ফিরছে। ৯ টা বেজে গেছে। রোহিত দুজনকেই দুটো 9 m m পিস্তল দিয়েছে ............ধরা পরলে, ছুড়ে ফেলে দেবে। ধনু বাঁ দিকে বসে, ফাগু চালাচ্ছে। রাস্তা ফাকা, মাসালা ক্রিকেট ম্যাচ এর ফাইনাল। একেবারেই ফাকা রাস্তা ঘাট। জায়গাটা নির্জন, এক পাসে কিছু গাছ, ঝোপ ঝাড়, অন্য দিকে পুকুর বোজানো চলছে। হঠাত ৩ টি মোটর বাইক গাড়িকে টপকে এগিয়ে গেল।ফাগু সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থামিয়ে দিল। ............ফাগু, পাখি দলুই, পালা বাইক থেকে মত ৮ জন নামল, আর নেমেই গুলি চালান শুরু করলো। । ধনু আর ফাগু সঙ্গে সঙ্গে বাঁ দিকে জঙ্গলের দিকে দৌড়ান শুরু করলো। ফাগু অনেক খ্রিপ্ত , ধনু একটু পিছনে, ফাগু বুজতে পারল ২ তো গুলি ওর পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেল .........ধনু ছোট...... বলতে না বলতেই, “উফফ মা গো” ধনুর আর্তনাদ শোনা গেল। ফাগু সামনের জঙ্গলে ঝাপ দিল। ধনু বসে পড়েছে, একটি বড় গাছ ঝড়ে পরে গেছে, ফলে জায়গাটায় একটা বেশ বড় গর্ত হয়ে আছে। ফাগু সেখানেই নেমে শুয়ে পরে ধনুকে এক টানে ভিতরে নিয়ে নিল। পাখির লোকেরা এবার বোম চার্জ করছে আর ধিরে ধিরে এগিয়ে আসছে, ফাগু বুজল, এইভাবে বসে থাকলে বেঘরে প্রান যাবে।“মরবোই যখন, তখন মেরে মরব” .........ধনু ঘোড়া দে .........হাড় হিম করা ফাগুর স্বর। অপেখ্যা না করে ধনুর পিছন থেকে পিস্তল নিয়ে নিজের টা বার করে দু হাতে দুটো নিয়ে কয়েক মুহূর্ত কি ভাবল । ধনু ব্যাথা ভুলে, চোখ বড় করে দেখল, একটি বিদ্যুৎ এর ঝলক এক লাফে গর্ত থেকে লাফিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে দু হাতে ফায়ারিং করতে করতে, এগিয়ে যাচ্ছে।প্রথম গুলি ই পাখির কপালে, বাঁ হাতের গুলি যে বোম ছুড়ছিল তার বুকে ।বোম সমেত ছেলেটি ‘ওক’ করে পিছন দিকে পরে গেল আর বিকট শব্দে সঙ্গে রাখা বোম ফাটল। ফাগু ভ্রুক্ষেপ না করে দু হাতে গুলি চালাচ্ছে। আর এক জন লুটিয়ে পরল, একজন খোঁড়াতে খোঁড়াতে ছুট লাগাল, বাকিরা ভয়ে দৌড়াচ্ছে আর ফাগু পিছন থেকে গুলি চালাতে চালাতে এগিয়ে যাচ্ছে। সমস্ত ঘটনা ৪০-৪৫ সেকেন্ড সময় এর ভিতর ঘটে গেল। একটি বাইক এ পড়ি মড়ি করে ৩ টে ছেলে উঠে বিকট শব্দ করে পালিয়ে গেল। ফাগু পিস্তল গুজে দৌড়ে এসে .........ধনু, , ধনু উঠে দাড়াতে পারবি? জিগ্যাসা করেই সময় নষ্ট না করে ধনুর ৫ ফুট ১০ ইঞ্ছির স্বাস্থ্যবান শরির টাকে অবলিলায় নিজের কাঁধে তুলে, প্রায় দৌউর লাগাল। ধনু বাঁ কাধে দিয়ে ঝুলে আছে, শরির উপরের অংশ, ফাগুর কাধের ওপর দিয়ে পিঠে, আর নিছের অংশ ফাগুর বুক দিয়ে নেমে গেছে। বাঁ হাতে ধনুর পাছার কাছে , ফাগু ধরে আছে। গারির দরজা খোলাই ছিল।ধনুকে সুঁইয়ে দিয়ে, স্তিয়ারিং ধরে স্টার্ট দিল ............ফাগু, তিলজলার দিকে চল। একটা নার্সিং হোম জানা আছে, তুই চালা আমি ফোন করছি। ঝড়ের বেগে ফাগু চালাতে লাগল। ধনু পিছনে শুয়ে ফোন বলছে কাউকে। কথা শেষ করে ............ফাগু। প্রচুর রক্ত বেরচ্ছে রে ............চুপ কর শুয়ারের বাচ্চা, জামা ছিরে বেধে নে.........ধনু ফাগুর ইস্পাত কঠিন স্নায়ু ওই অবস্থাতেও তারিফ না করে পারল না। “সমস্ত ঘটনায়, ফাগু ১০ টা কথাও বলে নি, , তুই কে রে ফাগু, বন্ধু আমার”।। গাড়ি তিলজলার কাছে আসতে, ধনুর কথামত, একটা নার্সিং হোম এর সামনে আসলো .........পিছন দিকে চল......ফাগু গাড়ি পিছনে নিয়ে গিয়ে দেখল ৪ জন লোক দাঁড়িয়ে। সঙ্গে সঙ্গে ডান হাত কোমরে চলে গেল
Parent