ছাইচাপা আগুন ।।কামদেব - অধ্যায় ১৭

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-39690-post-3621163.html#pid3621163

🕰️ Posted on August 21, 2021 by ✍️ kumdev (Profile)

🏷️ Tags:
📖 760 words / 3 min read

Parent
।।১৭।। এলিনা হাত চেপে বসে আছে।অনেক্ষন গেছে বাথরুমে করছে কি?অনেকটা পরিমাণ বেরিয়েছে।এ জীবনে সব আশা ছেড়েই দিয়েছিল।এত সুখ পাবে ভাবেই নি কখনো।মনোসিজ তোয়ালে পরে ঢুকলো।দেখে মনে হচ্ছে স্নান করে এসেছে। --এই অবেলায় স্নান করলি? --কিছু হবে না আমার অভ্যেস আছে। --ঠিক আছে তুই বোস আমি আসছি। --আমিও আসি? --আসি কিরে?তোর এখানে খারাপ লাগছে? --না তা নয়--। --তাহলে চুপচাপ বোস। এলিনা চলে যায়।পিছন থেকে নিরাবরণ দেহটা দেখে বোঝা যায় এলিনার ফিগার সত্যিই আকর্ষনীয়।এক নতুন জীবনের আস্বাদ পেল মনোসিজ।কিছুক্ষন পর ফ্রেশ হয়ে দু-থালা খাবার নিয়ে ফিরে আসে এলিনা।থালা এগিয়ে দিয়ে বলল,কোনো কথা নয় সব খাবি। --একটা কথা বলব?খেতে খেতে জিজ্ঞেস করে মনোসিজ। --কি কথা এত ভুমিকার কি আছে?এলিনা বুঝতে পারেনা কি বলবে। --এই যে আজ যা হল কিছু হবে নাতো? এলিনা বুঝতে পারে ছেলেটা একেবারে হাদা নয়।হেসে বলল,আমার তোর চেয়ে বেশী চিন্তা।আজই ওষুধ খেয়ে নেবো।এবার বল তোর কেমন লাগল? --দারুণ।লাজুক গলায় বলে মনোসিজ,একেবারে নেশা ধরিয়ে দিয়েছো। --কোনটা সব থেকে বেশি ভাল লেগেছে? --কোনটা ছেড়ে কোনটা বলব।আমার সবই ভাল লেগেছে।তোমার? --চোষায় খুব আনন্দ পেয়েছি। --ভিতরে নেওয়ার থেকেও? --ভিতরে নিয়ে ভাল লেগেছে তবে চোষায় আরও ভাল লেগেছে।তোর অনেক সময় লাগে। --পরেরবার আরও ভাল করে চুষে দেবো। --তাই?আবার আসিস দেখি কেমন চুষিস। কেউ যেন জানতে না পারে। মনোসিজ  বা-হাত তুলে কি যেন দেখছে।মনে হচ্ছে কি যেন চটচট করছে। এলিনা বলল,কি হল? --মনে হচ্ছে সোফায় কি লেগেছে। এলিনা উঠে ভাল করে দেখে বলল,ইস! তোর যা বেরিয়েছে।খেয়াল করিনি সোফায় পড়েছে।দাড়া আমি আসছি। এলিনা একটা ভিজে কাপড় দিয়ে সোফায় লেগে থাকা বীর্য মুছতে থাকে।ভাগ্যিস দেখেছে তাতাইয়ের নজরে পড়লে কি হতো। খাওয়া শেষ হতে মনোসিজ বেরোবার জন্য তৈরী হয়।এলিনা বলল,আমিও বের হবো দাড়া। --এখন কোথায় যাবে? --ওষুধটা তোকে লিখে দেব,আমি দূরে দাঁড়িয়ে থাকবো।তুই কিনে আমাকে দিয়ে যাবি। দুজনে দরজা বন্ধ করে বের হল।এলিনা কাগজটা দিতে দেখল আই-পিল না কি লেখা।ওষুধের দোকানে দিতে একবার মনোসিজের আপাদ মস্তক চোখ বুলিয়ে ভদ্র লোক একটা স্ট্রিপ এগিয়ে দিল।মনোসিজ দূরে অপেক্ষমান এলিনার হাতে ওষুধ পৌছে দিতে এলিনা জিজ্ঞেস করে,এখন কোথায় যাবি? --কোথায় আবার রকে। --শোন শুধু তুই আর আমি আর কেউ যেন ঘুণাক্ষরে জানতে না পারে।সামনের শনিবার আসছিস তো? মনোসিজ লাজুক হেসে বলল,তোমার আদেশ উপেক্ষা করার সাধ্য আমার নেই। --তোকে বলেছিলাম ছাই চাপা আগুণের কথা ইন্ধন পেলে দাউ দাউ জ্বলে ওঠে।এবার বুঝলি তো? পূর্ণিমা মুখার্জীর বাড়ীর লোকজন হাসপাতালে গেছে।এই সঙ্কটকালে পূর্ণিমার বাবা বিভূতিবাবু অভিমান দূরে সরিয়ে ছুটে গেছেন হাসপাতালে।বিভুতিবাবুর স্ত্রী মৃণালিনী দেবীও এসেছেন।স্বামীকে একান্তে পেয়ে বললেন,তোমার জিদের শুধু তোমার জিদের জন্য মেয়েটার এই অবস্থা। --মিনু বাড়ী গেলে এসব কথা বোলো।তোমার মেয়ের জেদও কম নয়।ও যদি বাড়ী ফিরে আসতো আমি কি তাড়িয়ে দিতাম? --বাবা এটা হাসপাতাল তোমরা কি আরম্ভ করলে? --খোকা ডাক্তার কি বলল?মৃণালিনী জিজ্ঞেস করেন। --ডাক্তার বলল চেষ্টা করছি।ওয়াশ করেছে এখন দেখা যাক কি হয়। --খোকা তুই আমাকে কিছু লুকাচ্ছিস নাতো? --আমি কেন লুকাবো ডাক্তারবাবুরাই লুকাচ্ছে ভাল করে কথাই বলছে না।দিদির জ্ঞান ফিরলে নাকি ওই শয়তানটাকে সনাক্ত করণের জন্য আনা হবে। --আগে তো জ্ঞান ফিরুক।বিভুতিবাবু বললেন। --তোমার মুখে কি ভাল কথা আসে না?মৃণালিনী বললেন। --আবার তোমরা আরম্ভ করলে?  খুব হালকা মনে হচ্ছে।মনোসিজ রকের দিকে হাটতে থাকে।আলো কমে এসেছে ওরা প্রশ্ন করবে কোথায় ছিলাম এত দেরী হল কেন?কি বলবে মনে মনে ভেবে নিতে থাকে। রকের কাছাকাছি আসতে অবাক হয়।সব কেমন চুপচাপ তর্ক বিতর্ক নেই।তাকে দেখে কেউ কোনো প্রশ্ন করে না।বঙ্কিমের পাশে বসল মনোসিজ। --শুনেছিস পূর্ণিমা বৌদির কথা?ফিসফিসিয়ে বঙ্কা বলল। --কি হয়েছে? --উনি আজ মারা গেছেন। অনেক দেরী হয়ে গেছিল।  একদিন এসো অনেক কথা আছে।মনোসিজের মনে পড়ল বাস স্ট্যাণ্ডে দাঁড়িয়ে বলা কথাগুলো।অনেক কথা শোনা হলনা।  এলিনা বাসায় ফিরে ট্যবলেট খাবার জন্য মুখে এক ঢোক জল নিয়ে কি ভেবে ট্যাবলেটটা খেতে গিয়ে চোখের সামনে রেখে দেখতে থাকে।তিন দিন সময় আছে  পাশে রেখে দিয়ে ঢকঢক করে জল খেয়ে সোফায় বসল।হাত দিয়ে সেই জায়গাটা দেখল শুকিয়ে গেছে আঠালো ভাবটা নেই।নিজেকে সোফায় এলিয়ে দিয়ে একটু আগের ঘটনাগুলো ভাবতে থাকে।বড় তৃপ্তি পেয়েছে।এক ঘেয়েমী জীবন যেন চাঙ্গা হয়ে উঠল।আবার শনিবার আসবে বলেছে।এ এমন নেশা আসতেই হবে।পায়জামার ভিতরে হাত ঢুকিয়ে যোনীতে বোলায়।ইস চুষে চুষে কি করেছে ডাকাতটা। বলেছে ভাল করে চুষে দেবে।হঠাৎ খেয়াল হল সামনের ফ্রাইডে তার মাসিক হবার কথা।ঐ অবস্থায় কি ভাবে চুষবে।আচ্ছা আসুক তো তখন অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা। ককের সাইজ কঙ্গোদের মত।দু-হাতের মুঠোতে ধরলেও মাথা বেরিয়ে থাকে।কুড়ি সেমির কম হবে না।জন্ম থেকেই এরকম নাকি?পর মুহূর্তে মনে হল মনু মিথ্যে বলবে না।সে যাইহোক একটা বড় সমস্যা মিটল।ওটা দেখেই শরীরে দাউ-দাউ আগুণ জ্বলে উঠেছিল।কিচেনে গিয়ে ফ্রিজ হতে চিকেন বের করে।একটা নতুন পদ আজ তাতাইকে খাওয়াবে।মন ভাল থাকলে সব কিছু ভাল থাকে।তাতাইকে কিছুকাল বেশ উপেক্ষা করে চলছিল সেজন্য খারাপ লাগে।ওর দিকে একটু নজর দেওয়া দরকার।  ছেলেটার সবই ভাল একটা জিনিস খারাপ লেগেছে।ওরকম বলবে ভাবেনি।যোগাযোগের সুবিধের জন্য একটা পুরানো মোবাইল দিয়ে বলেছিল,ভাল মোবাইল তুই সিম ভরে নিস। --কিছু মনে কোর না এটা আমি নিতে পারবো না। আহত হয়েছিল এলিনা।বিরক্তি নিয়ে বলেছিল,অসুবিধে কোথায়? --আমার বাবা বলেছে ভগবান হাত দিয়েছে কাজ করার জন্য হাত পেতে যাচ্ঞা করার জন্য নয়।  এলিনা ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী খারাপ লাগলেও মেনে নিয়েছিল।
Parent