ছাইচাপা আগুন ।।কামদেব - অধ্যায় ৬

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-39690-post-3575774.html#pid3575774

🕰️ Posted on August 8, 2021 by ✍️ kumdev (Profile)

🏷️ Tags:
📖 915 words / 4 min read

Parent
।।৬।। কম্পিউটার একটা অদ্ভুত যন্ত্র।কত কঠিণ কঠিণ সমস্যা বাটন টিপলে সঙ্গে সঙ্গে সমাধান।বহুদিনের আগ্রহ হলেও মনোসিজ সেই আগ্রহকে পুষ্ট হতে দেয়নি।অনেক সময় ইচ্ছেকে দমন করতে হয় সব ইচ্ছেকে প্রশ্রয় দিতে নেই।আজ সুযোগটা পেয়ে খুব ভাল লাগছে। গরম ফিশ ফ্রাই সেজন্য খেতে দেরী হচ্ছে।বঙ্কা বলল,একেবারে দোকানের মত হয়েছে বৌদি। --দোকানে এই ফ্রাই খেতে হবে না।দোকানে যা খাস সব বোয়াল ভোলা ভেটকি।তোরা আসবি বলে সকালে বাজারে গিয়ে আমি ভেটকি মাছ কিনে নিয়ে এসেছি। --তাতাইদার জন্য রাখেন নি? --ওর জন্য না রেখে তোদের খাওয়াবো ভেবেছিস?শত হলেও পতি পরম গুরু।  --আর এক রাউণ্ড চা হবে তো?শুভ বলল। --এমন করছিস যেন শালা আজ প্রথম এলি?জানো মন ওরা এলে আমার খাটুনী বাড়ে তবু ভাল লাগে।একা একা এত খারাপ লাগে বিশেষ করে এই শনিবারটা।ও তো আড্ডা মেরে সেই রাতে ফিরবে।তোমার সঙ্গে ভাল করে আলাপ হলনা।তুমি কি করো? --এইচ এসে হেভভি রেজাল্ট করে এখন বিএসসি পড়ছে।বঙ্কা বলল। মনোসিজ অস্বস্তি বোধ করে বঙ্কার কথায়।বিএসসি পড়ে বলতে কি হয়েছে। --তোমার ভাই বোন? --আমি একমাত্র সন্তান।মনোসিজ বলল। --গার্ল ফ্রেণ্ড? --আমার ওসব নেই। --এমনভাবে বলছো যেন গার্লফ্রেণ্ড বাজে নেশার মত।জীবনে যারা প্রতিষ্ঠীত হয়েছে তাদের পিছনে এক নারীর অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। হাল্কা কথার মধ্যে বৌদির এই কথাটা মনোসিজের ভাল লাগে।যত জানছে এই মহিলার প্রতি বিরূপভাবটা ক্রমশ অপসারিত হতে থাকে। --ও হ্যা শুনলাম ভজার সঙ্গে নাকি কিচাইন হয়েছে।তোরা বলিস নিতো? বঙ্কার দিকে তাকিয়ে সুভ বলল,সে এক ইণ্টারেসটিং ব্যাপার। --ইণ্টারেশটিং ব্যাপার আমার কাছে শালা চেপে রেখেছিস? --শুভ একদম গোড়া থেকে বলবি।ভজা কেন এসেছিল কি করেছিল সব। বঙ্কা গম্ভীর আশিসদা কি বলতে চায় বুঝতে অসুবিধে হবার কথা নয়।শুভ ফ্রাইয়ে শেষ কামড় দিয়ে বলল,দাড়ান হাতটা ধুয়ে আসি। --তোরা হাত ধুয়ে আয়।আমি চা করে আনছি।চা খেতে খেতে শুনবো।এলিনা প্লেট গুলো নিয়ে কিচেনে চলে গেল। চা করতে করতে বঙ্কার কথাটা মনে পড়ল।সত্যিই কি মনের ঐটা খুব বড়?পুরুষালী চেহারা হতেও পারে।অবশ্য তাতাইয়ের চেহারা খারাপ নয় তবু শরীর আন্দাজে ঐটা তেমন বড় নয়।মনকে দেখে বোঝা যায় সাই টাইপ।বাপ মায়ের এক ছেলে বাড়ীর অবস্থা তেমন ভাল মনে হয়না।ঐটা একবার দেখার কৌতূহল তীব্রতর হয় কিন্তু উপায় নেই। কম্পিউটার শেখার আগ্রহ সপ্তাহে একদিন কিছুক্ষন অন্যের কম্পিউটার নেড়ে চেড়ে কতটুকুই বা শেখা সম্ভব।মোটামুটি হ্যাণ্ডেলিংটা শিখিয়ে দিতে পারবে। চা হয়ে গেছে গলা তুলে ডাকল,মন একবার এদিকে আসবে? মনোসিজ আসতে চায়ের ট্রে হাতে ধরিয়ে দিল।দু হাত ট্রে টা ধরতে এলিনা নিজেকে সংযত করতে পারেনা।ওখানে কি লাগিয়েছো?বলতে মনোসিজ কিছু বোঝার আগের উরুসন্ধিতে প্যাণ্টের উপর হাত দিয়ে ঝাড়তে থাকে।ভিতরে কিছু পরেনি ঝুলন্ত ককের স্পর্শ পেয়ে চমকে ওঠে এলিনা।বঙ্কা ভুল বলেনি।কত বড় সঠিক না অনুমান করতে না পারলেও বুঝতে পারে বেশ দীর্ঘ।মনোসিজ চায়ের ট্রে নিয়ে বৈঠক খানায় চলে গেল। শৈবাল বলল,বঙ্কা যা করতো আজ মনাকে দিয়ে বৌদি করিয়ে নিচ্ছে। এলিনা রান্না ঘরে দাঁড়িয়ে নিজেকে ধাতস্ত করার চেষ্টা করে।নিস্তেজ অবস্থায় এই শক্ত হয়ে গেলে কি হবে।তার দিকে ভাল করে দেখছে না।কাজটা সহজ হবে বলে মনে হয়না। এলিনা ঢুকতে ওদের আলোচনা থেমে যায়।সোফায় বসে ট্রে থেকে কাপটা তুলে নিয়ে বলল,কি কিচাইন হয়েছিল আশিস এবার বল। --শুভ তুই বল। --বৌদি আপনি কল্পনাকে চেনেন? --কোথায় থাকে? --বঙ্কারা যে বাড়িতে থাকে তার দোতলায়। বঙ্কা মাথা নীচু করে বসে থাকে।মনোসিজের ঠোটে মৃদু হাসি।শুভ বলল,একদিন দুপুরবেলা কল্পনা নীচে বাথরুম করতে এসেছে।বঙ্কা নিজেকে ঠিক রাখতে না পেরে কিস করার জন্য জাপটে ধরে--। --কিস করতে গিয়ে তোকে কে বলল?বঙ্কা আপত্তি করে। --কি করতে গেছিলি তাহলে তুই বল।শুভ বলল। --কি করতে জানিনা।আচ্ছা তুই বল--। --যা শুনেছি তাই বলছি।শুনুন বৌদি মেয়েটী চিৎকার করতে পারত কিন্তু করেনি।নিজেই আচড়ে কামড়ে বঙ্কাকে নিবৃত্ত করে।বঙ্কা কিছুটা ভয় পেয়ে রকে এসে ব্যাপারটা বলে।বঙ্কার গালে গলায় আচড়ের দাগ রক্ত জমে আছে।আমরা পানের দোকান থেকে চুন এনে লাগিয়ে দিলাম। --ভজার কথাটা বল।এলিনা বিরক্ত হয়ে বলল। --সেই কথাই তো বলছি।ভাবলাম বুঝি মিটে গেল।সন্ধ্যেবালা আবার যথারীতি রকে বসে গ্যাজাচ্ছি।এমন সময় কোথা থেকে কয়েকজন ছেলে নিয়ে বাপুজী কলোনীর ভজা এসে হাজির। --ভজা কেন এল? --সোমনাথের কথা বল।দিলীপ বলল। --ছেলেগুলোর মধ্যে কল্পনার লভার সোমনাথ ছিল।ঐ মনে হয়ে ভজাকে ডেকে নিয়ে এসেছে। --কি সর্বনাশ! তারপর?এলিনা জিজ্ঞেস করে। --ভজা এসে বঙ্কা কে বে বলে বঙ্কার কলার ধরে টেনে তুলে রাস্তায় নিয়ে যায়। --তোরা কিছু বললি না? --ওরা কি বলবে?গুরুই ঝাপিয়ে পড়ে বলল,এই কলার ছাড়।শালা কলার ছাড়বে না।গুরু হাত ধরে এমন মোচড় দিল--।উচ্ছ্বসিত বঙ্কিম বলল। --এর মধ্যে গুরু এল কোথা থেকে? --ও মনোসিজের কথা বলছে।  এলিনা আড়চোখে মনের দিকে তাকায়।এমন নির্বিকার বসে আছে যেন নিজের নয় অন্যের কথা শুনছে।এলিনা বলল,এসব ছেলে ডেঞ্জারাস এদের সঙ্গে গোলমাল না করাই ভাল। --গুরু যা দিয়েছে ব্যাটারা আর এমুখো হবে না। এলিনা মুচকি হেসে বলল,আমার প্রেমিকের তাহলে অনেক গুণ। --বঙ্কা যা করেছে আমরা ভাবতেই পারিনি।শুভ বলল। মনোসিজ অন্যদিকে তাকিয়ে থাকে।এলিনা বলল,দ্যাখ শুভ অনেক কিছুই ঘটে যা আমরা ভাবতেই পারিনা।ঘটনার কোনো দায় নেই আমাদের ভাবনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার। বঙ্কা যা করেছে সেটা অস্বাভাবিক নয়। মনোসিজ চোখ তুলে এলিনাকে দেখে। --দ্যাখ সবার মধ্যেই সুপ্তভাবে আগুণ থাকে।আমরা বুঝতে পারিনা, ছাইচাপা আগুন যেমন দেখা যায়না তেমনি।যখন কোনো উদ্দীপক মানে স্টিমুল্যাণ্ট তাকে প্ররোচিত কিম্বা উত্তেজিত করে তখন দপ করে জ্বলে উঠে বাইরে বেরিয়ে আসে।বঙ্কার মনেও কল্পনাকে নিয়ে অনেক দিনের বাসনা লালিত হচ্ছিল।নির্জন দুপুর অনুকূল পরিবেশ বাথরুম করতে বসেছে বঙ্কার ভিতরের আগুন বাইরে বেরিয়ে এসেছে। --আপনি বলছেন ন্যায় অন্যায় বলে কিছু নেই।কথাটা কানে যেতেই সবাই চোখ তুলে মনাকে দেখে। --ন্যায় অন্যায় থাকবে না আমি বলিনি।তবে সেসব আপেক্ষিক ব্যাপার।আমার কাছে যা ন্যায় তোমার কাছে তা অন্যায় হতে পারে। --আমার কাছে অন্যায় আপনার কাছে ন্যায়?চমৎকার যুক্তি। --শোনো মন পরিপ্রেক্ষিতটা বুঝতে হবে।একজন নারী না চাইতে তোমাকে নিজেকে নিঃস্ব করে বিলিয়ে দিতে পারে।আবার যদি তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে চাও সে তখন বাঘিনী।পাটিগণিতের ছকে ফেলে মানুষকে বিচার করতে যেওনা।অনুভব দিয়ে তাকে বুঝতে হয়।মনের গহীন রহস্য অতিশয় জটিল। গুরু গম্ভীর কথা শুনে সারা ঘরে নেমে আসে অখণ্ড নীরবতা।জানলা টপকে আলো উধাও।এলিনা উঠে আলো জ্বেলে দিল।ওরা উঠে দাঁড়িয়ে বলল,আজ আসি বৌদি। --আবার আসিস।দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিল এলিনা। ওদের যতক্ষন দেখা যায় দাঁড়িয়ে থাকে এলিনা।আশা করেছিল মন পিছন ফিরে দেখবে কিন্তু একবারও ঘুরে তাকালো না।ছেলেটাকে যত দেখছে তার প্রতি একটা তীব্র টান অনুভব করে।
Parent