দাবার চাল 2 - অধ্যায় ১

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-45562-post-4693470.html#pid4693470

🕰️ Posted on February 18, 2022 by ✍️ ambrox33 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 633 words / 3 min read

Parent
শারমিনের বাসাতে আসাটা জাবেদ মেনে নিতে পারছেনা আবার  বলতেও পারছেনা  চলে যেতে। কতদিন হলো নাজনীনকে কাছে পায়নি ভেবে জাবেদের মনটা উতলা হয়ে উঠল।  আর সত্যি বলতে শারমিনের প্রতি কোন টানও নেই। জাবেদ এটা বুঝেছে ও মন থেকে নাজনীনকেই ভালোবাসে। জাবেদ ভাবতে থাকল আজ এই পরিস্থিতি  জন্য ও দায়ী।  শারমিনের সাথে সম্পর্কটা না থাকলেই ভালো  হত।  বাবার ব্যাপারটা সাথে ওসি সাহেব  যেভাবে জাবেদের পেছনে  উঠেপড়ে  লেগেছে তা থেকে নিজেকে বাচানো  এসব চিন্তাতে জাবেদের মাথা ভারত হয়ে উঠল। নাজনীনের ডাকে চিন্তার ভেড়াঝাল থেকে বাস্তবে ফিরে এলো। কিরে খাবি না,  যা হাত মুখ ধুয়ে আয়। এসেই বসে পড়লি। আজ কাল কি চিন্তা করিস এত?  জাবেদ হেসে বলল, না কিছু না  তোমাকে নিয়ে আমার যত চিন্তা ঢং যতসব  যা হাত মুখ ধুয়ে  আয়। নাজনীন  কোমর দুলিয়ে চলে গেল।  জাবেদ পেছন থেকে নাজনীন এর  পাছার নাচনী দেখে লোভ সামলে পারল না। ভাবল কতদিন হলো এখান দিয়ে রমন করা হয়নি।   দিন দিন নাজনীনের পাছাটা  যা হচ্ছে  যে দেখবে তার মুখ দিয়ে জল চলে আসবে। জাবেদ হাসতে থাকল আর নিজেকে ভাগ্যবান মনে করল এরকম একটা রমনের অধিকারী হয়ে।  জাবেদ ভাবতে থাকল না আজ যে করে হোক নাজনীনকে একবার নিতেই হবে,  কিন্তু কি করে?   ঘরে শারমিন আছে।  একটু চিন্তা করতেই জাবেদের মুখে একটা শয়তানি হাসি দেখা দিল। খেতে বসতে বসতে নাজনীন জাবেদকে  বলল, আজ ব্যাংক থেকে ফোন করেছিল বলেছিল কি টাকা পয়সার ব্যাপার আছে। জাবেদ বলল, ঠিক আছে আমি সামলে নেব।  নাজনীন  বলল, ন্স ব্যাংক থেকে বলছে আমারও সাক্ষর লাগবে তাই নাকি আমাকে ও যেতে হবে। পাশ থেকে শারমিন জিজ্ঞাস করল কিসের টাকা পয়সার হিসাব আপু। জাবেদের শুনেই মাথা গরম হয়ে উঠল। বাড়া সবকিছুতেই নাক গলানো চাই।  জাবেদ ভাবল না নাজনীনকে সম্পর্ন  ভাবে পেতে হলে আগে শারমিনকে রাস্তা থেকে সড়াতে হবে। না হলে এই বাল সারাজীবন বাধা দিবে।  জাবেদ বলল ' বাবা,   মা আর আমার নামেই বেশ কিছু  টাকা ফিক্স করে গেছে  সেই ব্যাপারে  হয়তো।  শারমিন বলল,  ও  তাহলে যাও তোমরা, আমিও যাবো নাকি?   তখন নাজনীন বলল, তুই গিয়ে কি করবি?  ব্যাংক এখান থেকে বেশ দূরেই আছে  আর তুই গেলে ইকরাকে কে দেখবে?  তুই ঘরেই থাক  আর ব্যাংকের কাজ কত দেরী লাগে কি করে বলি, ব্যাংকে ফালতু ভিড় বাড়িয়ে কি হবে, ইকরা কাঁদতে থাকবে পাশ থেকেই ইকরা বাবা বাবা করতে থাকল। শারমিন বলল, আহারে ছোট মেয়েটা বাবাকে ছাড়া এভাবে আর কতদিন থাকবে। কিন্তু শারমিন বুঝতে পারল না ইকরা  জাবেদকেই বাবা বাবা করে ডেকে উঠল। নাজনীন পাশ থেকে বলে উঠল সবই আমার পুরা  কপাল।  জাবেদ বলল খাবার সময়ই এসব কথা কেন?  খাবার শেষ করে জাবেদ বলল,  ঠিক আছে কাল সকাল সকাল তুমি আর আমি বেড়িয়ে পড়ব। আম্মু তুমি রেডি হয়ে থেকো। জাবেদ নাজনীনকে না চাইতেও আম্মু ডাকতে বাধ্য হলো।   পরেরদিন সময়মত নাজনীন আর জাবেদ ব্যাংকে পৌছাল। কিন্তু  ব্যাংক ম্যানেজার জাবেদের চেনাজানা হওয়াতে বেশিক্ষন সময় লাগল না। কিছু সাক্ষর আর কিছু বেপার চেক করতে হলো। সব কিছু জাবেদের সামনেই নিলো। জাবেদকে দেখে নাজনীন সত্যি বুঝল ছেলেটা ওকে কত ভালবাসে। কোন কিছু নিয়েই ভাবতে হয় না ওকে।  নাজনীন মনে মনে হেসে উঠল।  ভাবতে থাকল জাবেদকে সত্যি স্বামী বলে  নেমে নেবে। কিন্তু ভাবল না জাবেদকে স্বামী ভেবে মানতে হলে পুরোপুরি সামাজিকভাবে  রীতি মেনে বিয়ে করেই মানবে,  কিন্তু সেটা কিভাবে সম্ভব?  জাবেদ পাশ থেকে বলে উঠল আম্মা এখানে সাইন করেন। নাজনীন সাইন করে দিলো। ম্যানেজারের কাছে থেকে বিদায় নিয়ে জাবেদ গাড়িতে গিয়ে বসল, আর বলল আম্মা বাড়ি যাবেন?   নাজনীন ভাবতে থাকল কতদিন হলো ঘুরতে যাওয়া হয়নি। তাই জাবেদকে নাজনীন বলে উঠল  চল না কোথাও ঘুরে আসি?  জাবেদ হাসতে থাকল তা দেখে নাজনীন বলল কিরে হাসছিস কেনো? জাবেদ বলল, তুমি যদি নাও যেতে  তাও আমি তোমাকে নিয়ে  আজ আমি ঘুরতে যেতাম, কতদিন পর তোমাকে কাছে পেয়েছি, কি ভাবছ এরকম সুযোগ ছেড়ে দেব?   নাজনীন জাবেদের গালে একটা হালকা চাটি মেরে  বলল অসভ্য লজ্জা করে না।  জাবেদ বলল কিসের অসভ্য? বউকে নিয়ে ঘুরতে বের হবো না কাকে নিয়ে বের হবো? নাজনীন বলল, আমি এখনো কবুল বলেনি কিন্তু. জাবেদ বলল,  চিন্তা নেই একদিন তুমি নিজেই কবুল বলবে দেখে নিও। এই কথা শুনে নাজনীন এর গাল দুটো লজ্জায় লাল হয়ে উঠল।
Parent