"ধূসর পৃথিবী" - অধ্যায় ২১

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-51711-post-5247331.html#pid5247331

🕰️ Posted on May 21, 2023 by ✍️ Monen2000 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 1739 words / 8 min read

Parent
                 দ্বিতীয় পার্ট                   ১০ম পর্ব লোকগুলো কারা ছিল সে বিষয়ে জানতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না একটু পরেই চার পাঁচটা বাইকে দশজনের মতো লোক এসে মেসের সামনে দাঁড়ালো। পিয়ালীর বুঝতে বাকি র‌ইলো না এরাই তার বিষয়ে খোঁজখবর করছিল কিন্তু এখন কিভাবে জানলো যে ও এখানে এসেছে? পিয়ালীর মনের প্রশ্নটা আন্দাজ করেই বোধহয় আদিত্য উত্তর দিল, "মেসের‌ই কারো সাথে ওদের যোগাযোগ ছিল সেই ওদের জানিয়েছে যে তুমি ফিরে এসেছো সাথে এটাও বলেছে তে তুমি একা নয় তাই হকিস্টিক নিয়ে এসেছে" "আমার ভয় লাগছে আদিত্য" "যখন একা ছিলে তখন ভয় লাগেনি আর এখন ভয় লাগছে?" "এখন একা ন‌ই এটাই ভয়ের, তোমার কিছু হয়ে গেলে আমি তো..." "রিল্যাক্স... আমার কিচ্ছু হবে না"। লোকগুলো সোজা পিয়ালী আর আদিত্যর দিকে এগিয়ে আসতে থাকে, আদিত্য পিয়ালীর জিনিস নিয়ে যাবার জন্য গ্ৰাম থেকে যাদের নিয়ে এসেছে তারা ব্যাপারটা খেয়াল করলো বলাইবাহুল্য এই গ্ৰামের সবাই আদিত্যকে নিজেদের লোক মনে করে তাই ঝামেলা আঁচ করে এগিয়ে আসছিল কিন্তু আদিত্য তাদের ইশারায় বারণ করে। লোকগুলো সোজা ওদের সামনে এসে আদিত্য আর পিয়ালীকে কিছুক্ষণ নিরীক্ষণ করলো তারপর তাদের একজন বোধহয় এদের নেতা সে একটু শয়তানী হাসি হেসে নিজের সঙ্গীদের বললো, "এতদিন ওয়েট করে শেষপর্যন্ত পাখি ধরা পরলো" "ঠিক বলেছো, দাদা খুব খুশি হবে" অপর একজন সায় দিল। "আপনারা কারা? আর আমাদের কাছে কি চান?" আদিত্য প্রশ্ন করে পিয়ালী আদিত্যর গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে। আদিত্যর কথার উত্তর না দিয়ে নেতা গোছের লোকটি নিজের সঙ্গীদের বললো, "এই মালটাই বোধহয় ওদের মেরেছিল বলেই তো মনে হচ্ছে তাই না?" "মনে তো তাই হচ্ছে দাদা" "অবশ্য এরকম একটা আইটেম সঙ্গে থাকলে সব ছেলেদের‌ই একটু গরম বেড়ে যায়" নেতার কথা শুনে বাকি লোকগুলো হাসতে থাকে, আদিত্য একবার পিয়ালীর দিকে তাকিয়ে দেখে ওর মুখ ভয়ে ফ্যাকাশে হয়ে গেছে চোখের ইশারায় ওকে আশ্ব, এবার বাদশার দিকে তাকাতেই দেখলো বাদশা নিজের শরীরটাকে তৈরি করছে যেকোনো সময় লাফ মারবে কিন্তু আদিত্য ওকেও নিরস্ত করলো। "কি রে আজ এত শান্ত? তুইই তো আমাদের কয়েকজন লোককে মেরে হাত পা ভেঙে দিয়েছিলি, আজ কি হলো?" নেতা গোছের লোকটি আদিত্যকে প্রশ্ন করে। "দেখুন সেদিন ওরা ওকে তুলে নিয়ে যেতে এসেছিল আমার কিছু করার ছিল না" আদিত্য শান্তভাবে উত্তর দেয়। "আমরাও সেটাই করবো, দেখি তুই কি করিস?" "কিন্তু কেন? আপনারা আমাদের পিছনে পরেছেন কেন?" "এই মেয়েটা আমাদের বসের বিরুদ্ধে কোর্টে গেছে আর যারা বসের বিরুদ্ধে যায় তাদের শাস্তি পেতে হয়" "আপনারা তো ফিল্মের ডায়লগ দিচ্ছেন.. ঠিক আছে ও ভুল করেছে আমি ওর হয়ে ক্ষমা চাইছি"। "কেনো রে দম শেষ? কিন্তু এখন ক্ষমা চেয়ে কিছু হবে না দাদার হুকুম ওকে তুলে নিয়ে যেতে হবে আর তোকে মেরে ফেলে দিতে হবে" লোকগুলো এগিয়ে আসতে যেতেই আদিত্য যেন প্রচণ্ড ভয় পেয়েছে এমনভাবে বলে, "আচ্ছা আমি আপনাদের বসের কাছেও ক্ষমা চাইতে রাজী উনি যদি আমাদের ক্ষমা করে দেন তাহলে তো আমাদের ছেড়ে দেবেন?" লোকগুলো একবার পরস্পরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করলো তারপর নেতা লোকটি বললো, "তোর কি মনে হয় দাদা তোকে ছেড়ে দেবেন?" "দেখাই যাক না, ওনার সাথে কথা বলিয়ে দিন আমি ক্ষমা চেয়ে নেবো ওনার কাছে"। নেতা গোছের লোকটা একটু হেসে ফোনে একটা নম্বর ডায়াল করলো একটু পরেই ওপাশ থেকে আওয়াজ এলো, "হ্যাঁ, বল কি হয়েছে?" "বস, ওই উকিল মেয়েটাকে ধরে ফেলেছি" "কি বলছিস... শাবাশ শাবাশ নিয়ে আয় আর ওই ছেলেটাকে কি করেছিস?" "ওই ছেলেটা আপনার সাথে কথা বলতে চাইছে" "আমার সাথে কি কথা?" এরমধ্যে আদিত্য ফোনটা নিয়ে নিয়েছে তারপর স্পিকার চালু করে ভয়ার্ত গলায় বলে, "হ্যা..হ্যালো স্যার" "কি হয়েছে?" "স্যার আমি ক্ষমা চাইছি আমার ওয়াইফের হয়ে, ওকে আর আমাকে ক্ষমা করে দিন প্লিজ"। ফোনের ওপাশ থেকে প্রথমে অট্টহাসির আওয়াজ আসে তারপর ওপাশে থাকা লোকটি বিদ্রুপের স্বরে বলে, "কেনো রে ভয় পেয়ে গেলি?" "ভয় না পেয়ে উপায় আছে? আপনি কত বড়ো মানুষ?" "তাহলে আমার লোকদের মেরেছিলি কেন?" "ভুল হয়ে গেছে, আর তখন তো আমি জানতাম না যে ওরা আপনার লোক" আবার হাসির আওয়াজ আদিত্য বলে চলে, "প্লিজ স্যার আমাদের ক্ষমা করে দিন" "ঠিক আছে যা তোকে ছেড়ে দিলাম" "থ্যাংক ইউ স্যার থ্যাংক ইউ" "আমার লোকজন তোকে ছেড়ে দেবে কিন্তু.." "কিন্তু?" "তোর ওই উকিলটাকে আমার পছন্দ হয়ে গেছে, ওকে আমার লোকেদের হাতে তুলে দে" "স্যার.. এ কি বলছেন, প্লিজ স্যার এরকম করবেন না" "অ্যাই... তোকে রিকোয়েস্ট করছি না এটা অর্ডার" "প্লিজ স্যার" "চোপ.. তোকে ছেড়ে দিচ্ছি এটাই অনেক, এবার চুপচাপ কেটে পর" "স্যার" "অ্যাই.. এবার আর কোনো কথা বললে তোকে মেরে ওকে তুলে নিয়ে আসবে আমার লোকেরা" "না.. স্যার আমাকে কিছু করবেন না" "তাহলে চুপচাপ কেটে পর, আচ্ছা যা শুধু একটা রাত তোর ব‌উকে নিয়ে আমি মজা করবো তারপর আবার তোর কাছে ফিরিয়ে দেবো" "ঠিক আছে স্যার.... কোথায় আসতে হবে?" "তোকে আসতে হবে না.. আচ্ছা তুইও আয় তোর ব‌উএর সাথে যখন আমরা মস্তি করবো তখন তুই সেটা দেখে হ্যাণ্ডেল মারবি" কথার শেষে আবার অট্টহাসি তবে এবার একজন নয় দুজন আদিত্যর সেটা বুঝতে অসুবিধা হয় না সে বলে, "আমরা?" "হ্যাঁ, ওর সাথে আমিও আছি" এবার আরেকটা গলা শোনা যায়, সেই গলার অধিকারী বলতে থাকে "আমার আর সহ্য হচ্ছে না বুঝলি ভাই মনোজ" "অপেক্ষা তো আমারও হচ্ছে না সুশান্ত, কিন্তু রাত পর্যন্ত তো অপেক্ষা করতেই হবে, আজ রাতে ফুল মস্তি হবে" আদিত্য চুপচাপ ফোনের ওপাশের দুজনের কথোপকথন শুনে যাচ্ছে, ফোনের ওপাশের দুজন নিজেদের মধ্যে কথা বলেই যাচ্ছে তাদের হুঁশ নেই যে ফোনে একজন তাদের কথা শুনছে, "কিন্তু সুশান্ত তোর তো বিয়ে হয়ে গেছে এখন তো শুধু নিজের ব‌উএর সাথে মস্তি করবি" "ব‌উকে তো রোজ‌ই পাবো কিন্তু এই উকিলটাকে তো রোজ রোজ পাবো না" "ভাবছিস কেন যদি ভালো লাগে তাহলে আবার নিয়ে এসে মস্তি করবো যখনই ইচ্ছা হবে তুলে নিয়ে এসে লাগাবো" আবার দুজনের অট্টহাসি শোনা যায় কিন্তু পরক্ষণেই হাসি থেমে যায় বোধহয় তাদের হুঁশ ফিরেছে যে ফোনটা তখনও চালু আছে প্রথম কণ্ঠ অর্থাৎ মনোজ নামের লোকটা বলে, "শোন আমার লোকদের বলা আছে কোথায় আনতে হবে, তুই চাইলে আয় নাহলে চলে যা" "ঠিক আছে, আসছি" ফোনটা কেটে গেল আদিত্য পিছন ফিরে পিয়ালীর দিকে তাকালো পিয়ালী এক অদ্ভুত দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে। আদিত্য আবার সামনে ফেরে নেতা গোছের লোকটা হাত বাড়িয়ে নিজের ফোনটা নিতে চাইলো কিন্তু দেখে অবাক হয়ে গেল যে আদিত্য ফোনটা না দিয়ে নিজের পকেটে ঢোকালো। পিয়ালীও অবাক হয়ে আদিত্যকে দেখছিল আর ওর হাবভাব লক্ষ্য করছিল এটা ওর কাছে পরিষ্কার যে আদিত্যর মাথায় কিছু একটা চলছে কিন্তু সেটা কি সেটাই সে বুঝতে পারছে না সেটাই বুঝতে চেষ্টা করছে কিন্তু এরপর যেটা হলো সেটাতে তার মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিল। "কি রে ফোনটা ফেরত দে পকেটে ঢোকালি যে?" নেতা গোছের লোকটা আদিত্যকে জিজ্ঞেস করে। "ফোনটার দরকার তোদের আপাতত নেই" আদিত্যর এই কথায় লোকটা অত্যন্ত অবাক হয় শুধু কথা নয় কথা বলার ধরন‌ও বদলে গেছে, লোকটা আদিত্যর কথা বুঝতে না পেরে জিজ্ঞেস করে "মানে কি বলছিস তুই?" উত্তরে আদিত্য যেটা করলো সেটার জন্য সেটার জন্য লোকগুলো তো নয়‌ই এমনকি পিয়ালীও প্রস্তুত ছিল না। আদিত্য হঠাৎই নিজের মাথা দিয়ে সজোরে নেতা গোছের লোকটার নাকে আঘাত করলো আর সঙ্গে সঙ্গে তার নাক ফেটে গলগল করে রক্ত বেরোতে আরম্ভ করে, অকস্মাৎ এই আক্রমণে বাকীলোকগুলো ক্ষণিকের জন্য ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেও দ্রুত নিজেদের সামলে নিয়ে আদিত্যকে আক্রমণ করলো কিন্তু আদিত্যর সাথে হ্যাণ্ড টু হ্যাণ্ড কমব্যাটে পেরে ওঠা যার তার কম্ম নয় আর এই কজন গুণ্ডা প্রকৃতির লোকের তো নয়‌ই তার উপরে আদিত্যর সাথে থাকা ছেলেগুলো এগিয়ে এসেছে বাদশা তো অপেক্ষায় ছিল ফলে শীঘ্রই গুণ্ডা প্রকৃতির লোকগুলো ধরাশায়ী হলো তাদের কারো মাথা ফেটে রক্ত ঝরছে তো কেউ পা ভেঙে যাওয়ায় আর্তনাদ করছে, আর নেতা গোছের লোকটাও ছিটকে মাটিতে পরেছিল তার নাক দিয়ে তখনও রক্ত পরে চলেছে, সে ভয় আর অবিশ্বাস মেশানো চোখে চারিদিকে দেখছে। এবার আদিত্য তার সামনে গেল আদিত্য জানে নাকে আঘাতের পরে আবার যে লাথিটা সে এই লোকটার বাম হাঁটুতে মেরেছে তাতে ওর হাঁটুর জয়েন্ট ভেঙে যাওয়া অসম্ভব নয় খুব সম্ভবত সেটাই হয়েছে কারণ লোকটা উঠে দাঁড়াতে পারছে না মাটিতে ঘষটে ঘষটে পিছিয়ে যাচ্ছে। আদিত্য লোকটার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো পাশে বাদশা লোকটা এবার ভয়ার্ত চোখে আদিত্যকে দেখতে থাকে, আদিত্য বেশ শান্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে, "তোদের এই বস কি নাম.. হ্যাঁ মনোজ ও এখন কোথায়?" "জানিনা" "দেখ, আমি জানি তুই জানিস তাই সোজাসুজি বলে দে কেন আমাকে আবার খারাপ হতে বাধ্য করছিস?" "তুই জানিস না তুই কার সাথে দুশমনি করছিস?" "সেটা জানতেই তো যেতে চাইছি, বল কোথায় এখন?" "বলবো না যা পারিস করে নে" আদিত্য কিছু না বলে লোকটার বাম হাঁটুতে নিজের একটা পা তুলে চাপ দিল আর সঙ্গে সঙ্গে লোকটা ব্যাথায় আর্তনাদ করে উঠলো, আদিত্য চাপ আরও বাড়ালো লোকটার আর্তনাদ আরও বাড়লো। আশেপাশের কয়েকজন লোক এই পুরো ঘটনাটা দেখেছে এবার তারাও এগিয়ে এসে বাকি গুণ্ডাগুলোকে চড় থাপ্পড় মারতে শুরু করেছে, আদিত্য একবার ওইদিকে তাকিয়ে আবার নেতা গোছের লোকটাকে বলে, "দেখ তুই না বললে কষ্টটা তোর‌ই হবে" "তুই যা পারিস কর" "আমি কিছু করবো না যা করার আমার এই কুকুরটা করবে ও এমনিচে খুবই শান্ত এবং আমার বাধ্য কিন্তু ওর মানুষের মাংসের প্রতি খুবই লোভ আসলে শিকারী কুকুর তো তাই, তো তুই যদি না বলিস তাহলে আমি তোকে ওর সামনে ছেড়ে দেবো আর ও তোকে ছিঁড়ে খাবে এবং এটা আশা করি না বললেও চলবে যে তোকে আমি মারবো না জ্যান্ত‌ই ও তোকে খাবে" এবার আদিত্যর মনে হলো ওষুধে কাজ ধরেছে লোকটার চোখে এবার সত্যিই আতঙ্ক দেখা গেল অবশ্য বাদশার‌ যা চেহারা যে কেউ ভয় পাবে, আদিত্য বলতে থাকে, "ঠিক আছে তুই যখন আমার কোনো কাজে লাগবি না তখন আমার কুকুরের কাজে লাগ" বলে লোকটার হাঁটু থেকে পা সরিয়ে পিছনে ফিরতেই লোকটা তাড়াতাড়ি ভয়ার্ত কণ্ঠে বলে ওঠে "দাদা এখন নিউ আলিপুরের ব্যানার্জী নিবাসে আছেন" তারপর আরও কিছু খবর জেনে নিল আদিত্য তারপর লোকটাকে ছেড়ে পিয়ালীর কাছে এল ওর চোখেমুখেও তখনও বিষ্ময়ভাব। আশেপাশের লোকগুলোর থেকে কয়েকজন ওদের কাছে এগিয়ে এল বললো, "বাবা তোমরা এখান থেকে চলে যাও ওদের আমরা দেখে নেবো" "আপনারা?" "আমরা এই পাড়াতেই থাকি, এরা মাঝে মাঝেই এখানে আসে আমাদের বাড়ির মেয়েদের উত্যক্ত করে,হাত ধরে টানাটানি করে" "আপনারা পুলিশকে জানাননি?" "জানিয়েছিলাম কিন্তু কোনো লাভ হয়নি, আজ ওদের ছাড়বো না পিটিয়ে তক্তা করে দেবো" আদিত্য দেখলো কথাটা নেহাত খারাপ নয় ও বলে, "ঠিক আছে তবে দেখবেন যেন ওরা কারো সাথে কন্ট্যাক্ট না করতে পারে" "ওদের এমন অবস্থা করবো আজকে আমরা যে আর কোনোদিন কোনো মেয়ের সাথেই খারাপ ব্যবহার করতে পারবে না"। লোকগুলো গুণ্ডাগুলোকে টানতে টানতে নিয়ে গেল তারপর আদিত্য নিজের সঙ্গে থাকা লোকগুলোকে বললো "তোমরা মালগুলো নিয়ে চলে যাও ওখানে অখিল জ্যেঠুকে বলা আছে কি করতে হবে আমি আর পিয়ালী একটা কাজ সেরে ফিরবো" তাতে একজন বললো, "দাদা বলো তো আমরাও যাচ্ছি তোমার সাথে?" "দরকার নেই তোমরা জিনিসগুলো নিয়ে যাও" লোকগুলো চলে গেলে আদিত্য পিয়ালীর কাছে গেলক পিয়ালী জিজ্ঞেস করলো "এখন কোথায় যাবো আমরা?" "নিউ আলিপুরে" "কেন?" "ঝামেলা মেটাতে, চলো দেখা করে আসি" "কিন্তু.." "ভয় নেই আমি বেঁচে থাকতে কেউ তোমার গায়ে হাত দিতে পারবে না" "পিয়ালী নামের প্রপার্টি তোমার নামে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে এখন সেখানে অন্য কেউ হাত দেবে নাকি তুমি নিজের প্রপার্টি প্রোটেক্ট করবে সে ভাবনা তোমার আমি কেন ভয় পাবো?" "তখন নিশ্চয়ই তোমার মনে হয়েছিল যে আমি তোমাকে ওদের হাতে." "একদমই না, আমি তো তোমার প্ল্যানটা বোঝার চেষ্টা করছিলাম" "তাই নাকি?" "অবশ্যই তাই" পিয়ালী বাইকে আদিত্যর পিছনে বসে হেলমেট পরলো আদিত্য বাইকে স্টার্ট দিতে দিতে বললো, "মনোজ আর সুশান্ত এই দুই নামের দুজনকে আমি চিনতাম অনেক আগেকার কথা আশা করছি ওরা নয়, দেখা যাক" বলে বাইক স্টার্ট দিল।
Parent