এক মুঠো খোলা আকাশ - নতুন রূপে - অধ্যায় ৪

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-69058-post-5964731.html#pid5964731

🕰️ Posted on June 14, 2025 by ✍️ Manali Basu (Profile)

🏷️ Tags:
📖 1537 words / 7 min read

Parent
পর্ব ৩ নন্দিনীর ইলেকশন টিমের চতুর্থ সদস্য এসে পৌঁছলো, কৌশিক বাবু, বয়স্ক এক ভদ্রলোক। পুরো নাম শ্রী কৌশিক মল্লিক। বারুইপুর মিউনিসিপ্যালিটিতে কর্তব্যরত এক সরকারি কর্মী। নন্দিনীর টিমে ছিল নন্দিনী প্রিসাডিং অফিসার হিসেবে, সুস্মিতা সেকেন্ড অফিসার, বীরেন লোকাল অফিসার ওরফে লোকাল ইনচার্জ, আর কৌশিক বাবু কোঅর্ডিনেটর। এছাড়াও কলেজের কিছু শিক্ষক, শিক্ষা ও অশিক্ষক কর্মীবৃন্দ বিভিন্ন নির্বাচন সংক্ৰান্ত কাজে যুক্ত। তবে মূলত এই চারজন ছিল প্রধান কর্তা-ধর্তা। কৌশিক বাবুর সাথে প্রাথমিক আলাপচারিতার বাক্যবিনিময় করার পর তাঁকে যাবতীয় ফর্মালিটিস অর্থাৎ সইসাবুত গুলো সেরে নিতো বললো নন্দিনী। কৌশিক বাবু তাদের মধ্যে সবচেয়ে সিনিয়র ছিলেন বলে নন্দিনীর মনে হল বীরেনের থেকে এঁনাকে বেশি ভরসা করাটাই উচিত হবে। বীরেন সবসময় তার কাছ ঘেঁষার তালে থাকে। কাজের থেকে অকাজের কথাই সে বেশি বলে চলেছে আসা ইস্তক। স্কু'লের পিয়ন রমেন দা সকলের জন্য কিছু জলখাবারের ব্যবস্থা করেছে, চা-বিস্কুট, নোনতা-মিষ্টি ইত্যাদিসমূহ দিয়ে। বীরেন টিমের বাকিদের উদ্বুদ্ধ করছিল সেই আহারাদি গ্রহণ করতে। নন্দিনীর সেসবে মন ছিলনা, ওর মধ্যে palpitations হচ্ছিলো পরের দিনের ইলেকশন প্রসেস নিয়ে। এটা তার কাছে একটা বড়ো দায়িত্ব। কেউ যাতে মেয়ে বলে তাকে কমজোর ভেবে না বসে সেইদিকটাও খেয়াল রাখার দরকার। বীরেন নন্দিনীর সামনে খাবারের প্লেটটা তুলে বললো, "আগে খেয়ে নিন, তারপর ইলেক্শন নিয়ে ওভারথিংকিং করবেন।" "কি?? আমি ওভারথিংকিং করছি? আপনার এটা বলার সাহস কি করে হলো?" খাবারের প্লেটটা টেবিলে নামিয়ে রেখে নন্দিনীর দিকে শান্ত দৃষ্টিতে চেয়ে বীরেন বললো, "আহাঃ, রাগ করবেন না! আপনার চোখ মুখে দুশ্চিন্তার বলিরেখা স্পষ্ট। ভাবছেন কেউ যাতে মেয়ে বলে আপনাকে কম না ভেবে বসে। আর তাই জন্য এক্সট্রা লোড নিচ্ছেন মাথার উপর!" নন্দিনী অবাক হয়ে বীরেনের দিকে তাকিয়ে রইলো। লোকটা কি অন্তর্যামী? কি অবলীলায় তার মনের কথা বুঝে নিল! বীরেন আবার প্লেটটা টেবিল থেকে তুলে তার মুখের সামনে ধরলো, দিয়ে বললো, "এটা বসিরহাটের বিখ্যাত কাঁচাগোল্লা। অর্ডার দিয়ে আনিয়েছি, আপনার জন্য, মানে আপনাদের সবার জন্য। তাই আপনি না খেলে শুধু আমার নয়, এই বসিরহাটের কাঁচাগোল্লারও অপমান হবে।" ভরদুপুরে নন্দিনীর এসব মিষ্টি খেতে একদম মন চাইছিলনা। কিন্তু উপায় কি? লোকাল লোকজনকে চটালে যে তারই কাজের অসুবিধা হবে। সুতরাং না না করেও একটা কাঁচাগোল্লা মুখে নিল নন্দিনী। তারপর চা আর একটা বিস্কুট খেয়ে লেগে পড়লো কাজে। যেকোনো নির্বাচনই ভারতবর্ষের মানুষের নিরিখে গুরুত্বপূর্ণ হয়। এই নির্বাচনও ব্যতিক্রম নয়। হোক না তা পঞ্চায়েত নির্বাচন। নন্দিনী মনে মনে প্রার্থনা করছিল নির্বাচনটা যেন সুষ্ঠভাবে হয়ে যায়। যদিও এ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন সুষ্ঠভাবে হওয়ার বিরল নজির খুব কমই দেখতে পাওয়া যায়। ট্রেনিং এর সময় সে জানতে পারে হাকিমপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় খুব একটা রেষারেষি হয়না। কারণ এখানে মাত্র একটি দলেরই একচ্ছত্র আধিপত্য চলে, নির্বাচনেও এবং সাময়িকভাবেও। জায়গাটা কিছুটা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। রয়েছে তফসিলি জাতি উপজাতির পর্যাপ্ত ভোটব্যাংকও। এখানে বিরোধীপক্ষের কোনো শক্ত ঘুঁটি নেই। তবে শাসক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল লেগেই থাকে। তার জন্যই যত ঝামেলার উৎপত্তি। স্থানীয় বিধায়কের একটা গোষ্ঠি, জেলা সভাপতির একটা। প্রার্থী বাছাইয়ে বিধায়কের সুপারিশ করা একজনকেও জেলা সভাপতি এবার প্রার্থী করেননি। তাই জন্য এবার এলাকায় শাসক দলের থেকে অনেক বাগী প্রার্থী নির্দল হয়ে ভোটের ময়দানে নেমেছে। ফলত ভোট নিয়ে এলাকায় একটা চাপা উত্তেজনা তো রয়েছে। স্কু'লের প্রাঙ্গনে তখন শাসক দলের ব্লক সভাপতি এসে হাজির। তিনি আবার বিধায়ক গোষ্ঠীর লোক। ওপর ওপর দলের হয়ে কাজ করলেও, গোপনে বাগী প্রার্থীগুলিকে সেই প্রচ্ছন্ন সমর্থন দিচ্ছে বিধায়কের অঙ্গুলিহেলনে। বীরেন নন্দিনীকে সাবধান করে দিল। বললো লোকটা খুব ডেঞ্জারাস! এ মাটির ওপরে যতটা, মাটির তলায়ও ততটা। নন্দিনী বীরেনের কথা কিছু বুঝতে পারলোনা। বীরেন তাকে আস্বস্ত করলো পরে তাকে সব বুঝিয়ে বলবে গ্রামের পলিটিক্স। এখন চুপচাপ বীরেন যা বলছে নন্দিনী যেন সেটাই করে। নন্দিনী ভাবলো বীরেন স্থানীয় লোক। এখানকার মানুষের গতিবিধির ব্যাপারে সেই একটু ভালো বুঝবে। তাই এই বিষয়ে তার উপর ভরসা করাই যায়। এমনিতেও সুস্মিতা বলেছে বীরেন নাকি তার উপর পুরো লাট্টু। স্বভাবতই নন্দিনীর কাছে হিরো সাজতে সে তার উপকারই করবে, অন্যথা নয়। তাও বীরেনের যাতে মনে না হয় নন্দিনী তাকে ভরসা করছে তাই জন্য সে বীরেনের দিকে তির্যক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল, "গ্রামের পলিটিক্স বুঝে আমি কি করবো?" "আহঃ ম্যাডাম! বুঝছেন না! আপনি এখানকার প্রিসাইডিং অফিসার। আর লোকাল ইনচার্জ হওয়ার দরুন আমার এটা কর্তব্য বিপদের কোনো আভাস পেলে আপনাকে প্রতি পদে পদে সাবধান করে দেওয়া। কিন্তু আপনি না জানি কেন আমার থেকে দূরে দূরে থাকছেন! ভাবছেন হয়তো আমি খারাপ লোক। তাই তো কৌশিক বাবু আসার পর থেকে ওঁনার সাথেই বেশি কথা বলছেন। জানতে চাইছেন খুঁটিনাটি বিষয় গুলো। আমাকে পাত্তাই দিচ্ছেন না। অথচ উনি কি করে বুঝবেন গ্রাম্য পলিটিক্স? উনি তো শহরতলির লোক। তাই শুধু আমি পারবো বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আপনাকে আগে থেকে অবগত করতে। তাতে আপনারই কাজের সুবিধা হবে। যদিও আপনার হাবভাব দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি বিন্দুমাত্র আগ্রহী নন আমার সাথে দু'দন্ড কথা বলতে। তবুও বলবো আপনি যদি আমাকে একটু বিশ্বাস করেন, তাহলে আপনার হয়ে আমিই সব সমস্যা সামলে নেব।" লোকটা তাকে নিয়ে এইটুকু সময়ে এতকিছু নোটিশ করেছে, তা দেখে নন্দিনী অবাক! তাকে সারাক্ষণ নজরবন্দি করে রাখছে? কিন্তু কেন? শুধুই কি তার প্রতি প্রয়োজনাধিক সুপ্ত আকাঙ্খা রয়েছে বলে, নাকি কোনো কু-বাসনা আছে? তবে লোকটা যা যা বলেছে সেগুলো ফেলে দেওয়ার নয়। সত্যিই সে এই গ্রামের বিষয়ে কিচ্ছু জানেনা। আর কৌশিকবাবুর তো সেই সুদূর বারুইপুরের লোক। অভিজ্ঞ হলেও গ্রামের স্থানীয় বিষয়ে নন্দিনীর  মতোই অজ্ঞাত। অপরদিকে এই বীরেন স্থানীয়। যতই হোক, ঘোড়া ডিঙিয়ে তো ঘাস খাওয়া যাবেনা। লোকটাকে তার লাগবেই। মানে ওর সাহায্য নন্দিনীর লাগবে, নির্বাচনের মতো এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে ভালোমতো উতরে দিতে। "কৌশিক বাবু অভিজ্ঞ বলে তার কাছে ইলেকশন প্রসিডিউর নিয়ে খুঁটিনাটি বিষয় জেনে নিচ্ছিলাম। আপনাকে এড়িযে যাওয়ার কোনোরকম বাসনা আমার মধ্যে ছিলনা, আপনি আমাকে ভুল বুঝছেন", আত্মপক্ষ সমর্থনে নন্দিনী অজুহাত খাড়া করছিল বীরেনের সামনে। বীরেনও কাঁচা খেলোয়াড় নয়। সে জানে নন্দিনী ম্যাডাম এখন ব্যাকফুটে। ভালো প্যাঁচে পড়েছে। সে তার এমন গলার কাঁটা যাকে না পারছে গিলতে, না পারছে ওগরাতে। স্পষ্টত বুঝতে পারছে তার প্রিয় ম্যাডামের তাকে পছন্দ নয় তবে ম্যাডাম জানেন এই বীরেন বাহাদুর মন্ডলের ভ্যালু সেখানে ঠিক কতটা। সুষ্টভাবে নির্বাচন করতে লোকাল দোর্দণ্ডপ্রতাপ সহকারী বীরেনকে তাঁর লাগবে। তাও সে আর বেশি কথা বলে নিজের দর বাড়ালো না। ব্লক সভাপতি নুরুল হাসান আসছে দেখে আগ বাড়িয়ে তার কাছে নন্দিনীকে নিয়ে যেতে লাগলো, পরিচয় করিয়ে দিতে। নন্দিনীও এবার বীরেনের উপর ভরসা করে তার সাথে এগিয়ে গেল। "কেমন আছেন ভাইজান?" "আরে বীরেন যে! ভালো ভালো.. তুমি কেমন আছ?" "এই চলছে...." দুজনের মধ্যে সৌজন্য বিনিময় হলো। একে অপরের হাল-হকিকতের বিষয়ে জানলো। নন্দিনী কিছুটা পিছিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। বীরেন তার দিকে ফিরে তাকালো। দেখলো নন্দিনী হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দু'জন চেনাপরিচিতর কথোপকথনে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে অনাকাঙ্খিত, অযাচিত মনে করছে। বীরেন নন্দিনীর হাত ধরে নুরুল হাসানের নিকট নিয়ে এলো তাকে পরিচয় করাতে। বীরেনের এহেন অনুমতি না নিয়ে তার হাত ধরায় নন্দিনীর প্রচন্ড অস্বস্তি হল। সে নিজের হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে নুরুল হাসানকে নমস্কার করলো। বীরেন তাতে তোয়াক্কা না করে নুরুল ভাইজানকে বললো, "ইনি আমাদের প্রিসাইডিং অফিসার, মিস নন্দিনী চ্যাটার্জী....... উপপপস্স, মিসেস নন্দিনী চ্যাটার্জী" বীরেন আবার সেই একই ভুল করলো। মিসেস এর বদলে মিস বলে নন্দিনীকে সম্বোধন করলো। ঠিক যেমনটা এসপি ভুতোড়িয়ার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় করেছিল। বারবার করা এই ভুলটা কি নিছকই কাকতালীয় এবং অনিচ্ছাকৃত নাকি পরিকল্পিত, তা তো শুধু বীরেনই জানে। "তোমাকেও বলিহারি বীরেন, তুমি কি ম্যাডামকে দেখে বুঝতে পারছো না ম্যাডাম কারোর মিসেস! আমাদের মেয়েদের দেখলে হয়তো বোঝা যায়না কে বিয়ে করেছে কে করে নাই, কিন্তু ওঁনাদের তো সচরাচর দেখলেই বোঝা যায়।" "নাহঃ নাহঃ, আমি জানি উনি বিবাহিতা। আসলে এখানে সবাই বলছে ম্যাডাম বিয়ের পরও কি সুন্দর নিজেকে মেইনটেইন করে রেখেছে। দেখলে বোঝা যায়না উনার বিয়ের সাত বছর হয়েছে, আবার বছর চারেকের একটি মেয়েও রয়েছে। এই তো কিছুক্ষণ আগে এসপি ভুতোড়িয়া সাহেব এসেছিলেন। তিনিও তাই বললেন, ম্যাডামকে দেখে এক্কেবারে চক্ষু ছানাবড়া হয়েগেছিল ওঁনার। হা হা হা হা। ......" বীরেনের এরূপ কথাবার্তা শুনে নন্দিনীর মনে মনে খুব রাগ হচ্ছিলো। প্রয়োজন এবং অধিকারের এক্তিয়ার বহির্ভূত কথা বলছিল সে। নেহাত এখানকার লোকাল লোক বলে....। তাছাড়া জায়গাটাও নন্দিনীর কাছে অপরিচিত, খুব একটা অনুকূল নয়। অগত্যা নিজের অসন্তোষকে সৌজন্য হাসির চাদরে মুড়ি দিয়ে ঢেকে রাখতে হচ্ছিলো। তবে অবাক করার কথা হলো এই লোকটা তার ব্যাপারে এত কিছু জানলো কি করে? সুস্মিতা জানিয়েছে নাকি? হতে পারে। "ওহঃ ম্যাডাম, ভাইজানেরও পরিচয় করিয়ে দিই। ইনি আমাদের গ্রামের রবিন হুড, যাকে বলে মাসীহাঃ। সুখে দুঃখে সবসময়ে গরীব-দুঃস্থ দের পাশে দাঁড়ান। গ্রামের সবাই এঁনাকে মেনে চলে। ইনি শাসক দলের স্বনামধন্য ব্লক সভাপতি জনাব নুরুল হাসান।" "আহ্হঃ বীরেন মিঞা, তুমি সবসময়ে আমার ব্যাপারে বাড়িয়ে বলো, তা ভালো কথা হোক বা খারাপ কথা", বীরেনের উদ্দেশ্যে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন ব্লক সভাপতি মহাশয়। "আপনার সাথে সাক্ষাৎ হয়ে ভালো লাগলো", মৃদুস্বরে ইতঃস্তত হয়ে বললো নন্দিনী। নন্দিনীকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো সে লোকটাকে দেখে কিছুটা ভীত সন্ত্রস্ত। এরকম গুরু দায়িত্ব সে প্রথমবার পেয়েছে। তাই প্রথম থেকেই চোখে মুখে উদ্বেগের ছাপ স্পষ্ট, যা চাইলেও লুকোনো সম্ভব নয় তার দ্বারা। তার উপর পোড়খাওয়া দাপুটে নেতা নুরুল হাসানের ক্ষুদার্ত চাউনি। যেন সাক্ষাৎ হায়েনা তাকিয়ে রয়েছে তার শিকারের দিকে। ভোট নিয়ে নন্দিনী যে ভেতর ভেতর বেশ চাপেই রয়েছে তা বুঝতে নুরুলেরও বিন্দুমাত্র সময় লাগেনি। সে এই যুবতী প্রিসাইডিং অফিসারকে আরো চাপে রাখতে বললো, "ম্যাডাম, দেখবেন সব যেন ভালোয় ভালোয় মিটে যায়। হাওয়া কিন্তু ভালো নয়, গোল পাকতে পারে।" প্রচ্ছন্নভাবে ভয় দেখিয়ে নন্দিনীকে চাপে রাখার নুরুলের কৌশল বুছতে পেরে বীরেন বললো, "কিচ্ছু চিন্তা করবেন না ভাইজান, ম্যাডামের সাথে তার সেনাপতি রয়েছে, এই বীরেন মন্ডল।" "জানি তো, তুমি সব কাজে খুব পারদর্শী। তাই তো এলাকার লোক তোমাকেও সমঝে চলে। কতবার বলেছি আমার পার্টি অফিসের দরজা তোমার জন্য খোলা। কিন্তু তুমিই তো রাজনীতিতে আসতে চাওনা।" "কিছু মনে করবেন না ভাইজান, রাজনীতি এখন করে খাওয়ার জায়গা হয়েগেছে, আর আমি কার জন্যই খাবো। আপন বলতে আমার সে অর্থে কেউই নেই। তাই আমি টিচার-ই ঠিক আছি।" "যা ভালো বোঝো।..... ম্যাডাম আমি তবে আসি। অঞ্চলের জননেতা হিসেবে আমার দায়িত্ব ছিল আপনাকে সাবধান করার, আমি করলাম। বিষয়টা অন্যভাবে নেবেন না। এটা শুধু সাবধানবাণী ছিল, হুমকি ভাববেন না যেন। হা হা হা হা....." বিদঘুটে শয়তানি হাসি দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে নুরুল হাসান তাদের থেকে বিদায় নিলো। যেতে যেতে একবার ফিরে তাকালো নন্দিনীর দিকে। মনে মনে ভাবলো "হাহঃ খোদা, এই মাইয়্যাটারে যদি একবার পেতাম বিছানায়। ......উফ্ফ্ফ!!" 
Parent