একটা গল্প - অধ্যায় ১৭

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-15137-post-955035.html#pid955035

🕰️ Posted on October 9, 2019 by ✍️ Bhaiya Ji95 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 1001 words / 5 min read

Parent
পল্টুও আজকাল বেড়েছে. তবে, সরাসরি কিছু করার মতো এখনও সাহস করেনি ছেলেটা. মায়ের গায়ে হাত বুলানো, ইচ্ছে করে ধাক্কা খাওয়া, ইত্যাদি বাদে তেমন কিছু করত না সে. তা, হটাত করে একদিন পল্টু বলল, ‘মালকিন, বলছি যে বহুদিন বাড়ি যাই না... মা প্রায় প্রত্যেক দিন ফোন দিচ্ছে, যেতে বলছে... একটু ঘুরে আসি?’ ‘বলিস কি? আমি একা একা বাড়িতে বসে থাকব নাকি?’ ‘তাহলে, আমার সাথে চলুন... ঘুরে আসি আমার গ্রাম ও বাড়ি থেকে...’ ‘তোর বাড়ি থেকে ঘুরে আসব?? দেখ, এখন ছুটি দিতে পারবো না বাপু... তুই বাড়িতেই থাক বাবাই বা ওর বাবা চলে এলে তারপর না হয় তুই যাস..’ ‘প্লিজ মালকিন, আমায় ছুটি দিন, অনেক দিন হলো বাড়ি যায়নি.. ৫ মাস হয় গেল.. নাহলে আমার সাথে চলুন... বাড়িতে একা একা কি করবেন? ওখানে গেলে একটু হাওয়া বদল হবে.. ভালো লাগবে.’ ‘কিন্তু...’ ‘আহা... মালকিন, কোনো কিন্তু নয়, চলুন ঘুরে আশি.. আপনার ঘোরাও হবে অনেক দিন পর আর আমারও একটু মায়ের সাথে দেখা হবে...’ মা আর রাজি না হয় পারল না... তা, যেই কথা সেই কাজ. পল্টু দের বাড়ি বর্ধমান জেলায়... একটু ভেতরের দিকে... অযো পারাগা... যেতে হয় ট্রেনে  করে.. তাই হলো. মা আর পল্টু ট্রেনে করে ওদের এলাকায় নামল. ট্রেনে বিশেষ কিছু হয়নি.. কিন্তু যতবারই মা তাকিয়েছে পল্টুর দিকে, দেখে যে পল্টু মুচকি মুচকি হাসছে. ভাবলো, অনেক দিন পর মাকে দেখতে যাচ্ছে বলে এত খুশি. স্টেশনে নেমে ওদের বাড়ি যেতে হলে কোন এক গাড়ি ধরতে হয়.. ভ্যান ধরে অনেক দূর... পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় রাত গড়িয়ে এসেছে... মা গিয়ে দেখে যে বাড়ি ঘর পুরো অন্ধকার... এই এলাকায় এখনও বিদ্যুত পৌঁছাতে. মায়ের গা একটু ছমছম করতে লাগলো. পল্টু বলল, ‘ওহহ.. সমস্যা হয় গেল যে... মালকিন..’ ‘কি সমস্যা...?’ ‘মা তো বলেছিল যে বাড়িতেই থাকবে... এখন দেখি কেও নেই... শুনলাম, মামা বাড়ি গেছে দু দিনের জন্য.’ ‘বলিস কি...!’ মা এবার সত্তি ভয় পেল. অজানা অচেনা জায়গা.. তাও শুধু পল্টু সাথে.. মা তো আরোই অবাক হলো এটা দেখে যে একটা চনের ঘর ছারা আর কিছুই নেই পল্টুদের... ‘একি রে... তদের বাড়িতে না আছে বিদ্যুত... না আছে কোনো বাথরুম... এখানে কি করতে নিয়ে এসেছিস আমায়?!!’ ‘আহা.. মালকিন,... থেকে দেখুন না দুটো দিন.. ভালো লাগবে... আর তা ছাড়া, মা না আসা পর্যন্ত তো কলকাতায় ফেরত গিয়ে লাভ নেই...’ ‘দরকার নেই... তুই আমায় আজই কলকাতায় নিয়ে চল... আমি বাড়ি ফেরত যাব...’ ‘ওটার তো উপায় নেই ..মালকিন,... আর তা ছাড়া একবার ফিরে গেলে; আবার আসতে দেবেন না আমায়.’ ‘ওহহ.. তোকে সত্তি ফেরত ফেটে দেব.. বিশ্বাস কর.. তুই আমায় বাড়ি নিয়ে চল বাবা...’ মা গলা টা কেমন যেন কান্না মতো মনে হচ্ছিল. ‘ধত্ত মালকিন... আপনি শুধু শুধু ভয় পাচ্ছেন. শুনুন, এক কাজ করি, ঘর খুলে দিচ্ছি.. রান্না ঘর টা খুলে দুটো ভাত-ডাল বসিয়ে দি. আপনি ততক্ষণে হাত-মুখ ধুয়ে নিন.’ বলে পল্টু চলে গেল. গিয়ে একটা কুপি ধরিয়ে নিয়ে এসে, এবার মায়ের পাসে রেখে গেল. বাতাস নেই.. আর এদিকে মা দর দর করে ঘামছে.. একটু পরেই পল্টু এক বাল্টি ভর্তি জল নিয়ে ফিরল. বলল, ‘নিন মালকিন, হাত মুখ ধুয়ে নিন... আমি ভাত বসিয়ে আসছি.’ প্রায় ঘন্টা খানিক পর, পল্টু দুটো প্লেটে ভাত ডাল এনে দিল. জার্নি করার ফলে মায়ের খুব খিদে পেয়েছিল. তাই, চুপচাপ ভাত-দাল, একটা লঙ্কা, আলু শেদ্দ আর একটু কালো নুন দিয়ে খাবার সেরে ফেলল. খেতেই যেন শরীর টা ছেড়ে দিল মায়ের. বলল, ‘হা রে পল্টু, রাত কটা বাজে রে?’ পল্টু নিজের ফোন টা বের করে বলল, ‘এইতো মালকিন, রাত ৯:৩০ টা বাজে. কেন?’ ‘না, আসলে খুব ক্লান্ত লাগছে তো... তাই, বলছিলাম যে ঘুমাতে পারলে হত...’ ‘ঠিক আছে, ঘর ঠিক করে দিচ্ছি..’ বলে, মাকে নিয়ে ঘরে গেল. মা গিয়ে দেখে অবাক.. খালি একটা মাত্র ছোট খাট ছাড়া আর কিছুই নেই.’ ‘মালকিন, এই যে.. খাট টা আমি রেডি করে দিলাম; ঘুমিয়ে পড়ুন.’ ‘বলিস কি? এখানে ঘুমাবো কি করে? যা গরম পরেছে....’ ‘আরে, এখানেই ঘুমোতে হবে তো.. আমাদের গরিবখানায়ে একটা খাট বাদে আর কিছুই নেই.. আর যদি খুব বেশী গরম লাগছে, তাহলে....’ ‘তাহলে??’ ‘না, আপনার খুব গরম লাগছে কারণ আপনি ব্লাউজ শাড়ি পরে আছেন যে...’ ‘তা, আর কি পরে থাকব??’ ‘ব্লাউজটা খুলে ফেলুন.. আমাদের এখানে সবাই ব্লাউজ ছাড়াই শারী পরে.. তাতে শরীর ঠান্ডা থাকে.’ ‘লাগবে না ওসব.. তুই বল যে তুই কোথায় ঘুমোবি?’ ‘আমি তো মায়ের সাথেই ওই খাটে ঘুমাতাম. মা ছেলে এক সাথে. এখন আপনি এসেছেন, দেখি কোনো বেবস্থা করা যায় কিনা...’ মা সেই ঘর টা আরেকবার ভালো করে দেখলো. যা অবস্থা.. দুটো জানলা.. আর এক সাইডে একটা টেবিল. অন্য দিকে ওই সেমি ডাবল খাট. মা বুঝলো, কি বড় ভুল করে ফেলেছে. আজ রাত কাটবে কি করে তা শুধু ভগবানই জানেন.. তাও, মা ওই অবস্থায়ই শুয়ে পরলো খাটে. ব্লাউজ খোলার সাহস পেল না এখনও. খাটে শুতেই কখন যে মা ঘুমিয়ে পরল....   সকালে ঘুম ভাঙ্গলো মায়ের যখন, তখন দেখে যে ওনার ব্লাউজের সব বোতাম খোলা. খুব অবাক ও ঘাবড়ে গেল. ‘ও মা!! একি?! ব্লাউজের বোতাম গুলো খুললো কে?রাতে ঘুমোবার সময় তো ব্লাউজের হুক তো লাগিয়েই ঘুমিয়েছিলাম.’ মা মনে মনে ভাবলো. তারাতারি ব্লাউজের হুক লাগাতে লাগাতে আসে পাসে দেখলো, পল্টু কোথাও নেই.. হুক গুলো লাগিয়ে, গায়ে আঁচল টা ভালো করে জড়িয়ে মা রুম থেকে বেরোলো. দেখে, ওঠুনের এক কনে নীম গাছের ডাল দিয়ে পল্টু দাঁত মাজছে.. মা কে দেখতে পেয়ে এক গাল হেসে বলল, ‘মালকিন, ঘুম ভাঙ্গলো আপনার?? রাতে কেমন ঘুমোলেন..’ ‘হা..’ মা একটু কাঁপা গলায় বলল. তারপর একটু সাহস করে বলল,   ‘তুই.. রাতে কিছু করেছিলিস নাকি?’ ‘কি করেছি?’ ‘না, এমনি... এমনি বললাম...’ কথা এগোতে আর সাহস পেল না মা. পল্টু আবার হেসে বলল, ‘মালকিন, আপনি মুখ ধুয়ে নিন... আমি গিয়ে বাজার করে নিয়ে আসি... আজ সকালে হাট বসে... মিস করলে, পরে দুপুরে খাবার জন্য কিছুই থাকবে না.’ কিন্তু তখন মায়ের খুব হিসি পেয়েছে... কিন্তু করবে কোথায়.. বুঝতে পারছে না.. পল্টু কে বাথরুমের কথা জিজ্ঞাসা করাতে সে হেসে বলল, ‘বাথরুম?!! সেটা তো বড়লোকেদের জিনিস.. আমরা গরিব মানুষ... ঝোপে ঝাড়েই কাজ সারি.’ ‘বলিস কি... ??!!!’ মা আসলে বড় হয়েছে শহরে.. তাই, এসবের গল্প শুনেছে শুধু.. কিন্তু সত্তিই খেতে গিয়ে বাথরুম সারতে হবে একদিন, সেটা কোনো কালেও চিন্তা করেনি. ‘আসে পাসে কোনো বাথরুম নেই??’ ‘বাথরুমেই করতে হলে আপনাকে স্টেশনে যেতে হবে... সে কিন্তু ৪৫ মিনিট দূর এখান থেকে. আমি যদি সাথে যাই, তাহলে একে তো দেরী হবেই... হাট টাও মিস করব.’ এদিকে মায়ের অবস্থা খারাপ.. কোনো উপায় নে দেখে শেষে রাজি হলো. পল্টু মা কে নিয়ে একটা জঙ্গলের পাশে পাত খেতে নিয়ে গেল. সাথে ছিল এক বাল্টি জল আর এক মগ. খেতে এক কনের জায়গা দেখিয়ে বলল, continues...
Parent