একটি একান্নবর্তী পরিবারের গল্প /মেজ বউ/【সংসার-খন্ড ৫】/ only Friday - অধ্যায় ৩

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-59050-post-5418741.html#pid5418741

🕰️ Posted on November 20, 2023 by ✍️ FreeGuy@5757 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 1015 words / 5 min read

Parent
দেবশ্রী :প্রথম পর্ব ============ নন্দিনী:-কী ব‍্যাপার সুরেন্দ্র তুমি এখানে কী করছো? সুরেন্দ্র:-দা..দাদার কাছে এসেছিলাম একটু দরকার ছিল বৌদি। নন্দিনী:-কী দরকার!? সুরেন্দ্র:-ইয়ে.কী কিছু টাকার দরকার!(নন্দিনী সুরেন্দ্র খুব কাছে চলে এসেছে) নন্দিনী:-তা তোমার দাদা কি আলমারি থেকে টাকাটা নিজ হাতে নিতে বলেছে সুরেন্দ্র:-না মানেই!ব.বৌদি...আআমি নন্দিনী:-সুরেন্দ্র!তোমার হাতে কি দেখা (নন্দিনী সুরেন্দ্রর শড়ীলের দুপাশে দুইহাত দিয়ে দাঁড়িয়েছে।সূরেন্দ্র নন্দিনী বুকে দিকে তাকিয়ে।নন্দিনী সুরেন্দ্র চিবুকে হাতদিয়ে তার মুখটা ওপরে দিকে ঠেলে তোলে) নন্দিনী:-ঠিক আছে!দেখাতে হবে না,তোমার হবু মেজ বৌদির ছবিটা আমার কাছে সেটাও কি লাগবে। বড় বৌদির প‍্যান্টির সাথে মেজ বৌদির ছবি রাতটা জমে যাবে কি বলো ( কথাগুলো বলে নন্দিনী হাসতে হাসতে বিছানায় গিয়ে বসে।খাটের সাথে থাকা ছোট্ট টেবিলের ড্রয়ার থেকে ছবিটা বের করে টেবিলের ওপরে রাখে) সুরেন্দ্র:-বৌদি আমি ... নন্দিনী:-উহু্ আর কোন কথা নয় যদি লাগে তো নাও (সুরেন্দ্র এগিয়ে এসে ছবিটা হাতে নেয়) নন্দিনী:-তুমি এখন যাও।আমি একটু শুয়ে থাকবো, মাথাটা ঝিমঝিম করছে পা দুটিয় সেই কখন থেকে বথ‍্যা করছে। সুরেন্দ্র:-আআমি কী তোমার পা টিপে দেব বৌদি? (নন্দিনী কোনো কথা না বলে তার নাইট ড্রেসটা হাটুর কাছাকাছি টেনে তুলে দেয়।সূরেন্দ্র এগিয়ে এসে হাত রাখে নন্দিনীর লোমহীন মসৃণ পায়ে) ******* সিড়ির মুখে) অঞ্জলী:-দাদা ছোট কাকুমণি কোথায়? সুবাস:-উদয়কাকু কিছুক্ষণ আগে বেরিয়ে গেলো, অঞ্জলী:-যা,এতো রাতে কোথায় গেলো! সুবাস:-ব‍্যাগ হাতে বেরিয়েছে বললো রাতে ফিরবে না।কেনো রে কারো কিছু হয়েছে! অঞ্জলী:-কারো কিছু হয় নি অঞ্জলী সুবাসের পাশকাটিয়ে ঘুঙুরের ঝুমুর ঝুমুর শব্দ তুলে ছুটে গেলো ********* বড়কাকুর রুমে) অঞ্জলী:-কাকুমণি আসবো অভিক সেন:-আয় উদয় কোথায় অঞ্জলী:-উদয়কাকু বেরিয়ে গেছে ,রাতে ফিরবে না অভিক সেন:-বেরিয়ে গেছে কোথায় গেছে।এদের কারোরই দেখছি কোনো কান্ডজ্ঞান নেই ।বাড়ি এতো বড় একটা অনুষ্ঠান হতে চলেছে তা নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নেই যে যার মতো ঘুরে বেরাচ্ছে।এই তুই হাসছিস কেনো! অঞ্জলী:-কাকুমণি তুমি তুমি শুধু শুধু চিন্তা করছো অভিক সেন:-আমি শুধু শুধু চিন্তা করছি! অঞ্জলী:-হ‍্যাঁ এতো চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নেই বড় বৌদি সব ঠিক গুছিয়ে নেবে।তুমি এতদিন দেশের বাইরে ছিলে তাই যানো না অভিক সেন:-বড় সব সামলে নেবে ঐটুকু মেয়ে!! ****** দুইদিন পরে) অঞ্জলী:-বৌদি জায়গাটা কতো সুন্দর তাই না। নন্দিনী:-হুম অঞ্জলী:-তুমি দেখছো না বৌদি নন্দিনী:-অঞ্জলী তুমি সুরেন্দ্রকে সাথে নিয়ে ঘুরে এসো ,লতা আমার সাথে আয় নন্দিনী লতাকে সাথে নিয়ে ওপরে দোতলায় উঠে গেলো।বাড়িটা মোটামুটি ভালোই অনেকটা জমিদার বাড়ির মতো বাড়ির উঠনের পাশে বিশাল দুটি অচেনা গাছ,তার পরে খোলা প্রান্তরে ধান ও সয়ষে খেত।এই বাড়িটা থেকে মেজ বৌদির বাড়ি দুই গ্রাম পরে নদীর ওপারে। বাড়িটা অভিনাথ আংকেলের বাবা। বাবা চাই ছিলেন বিয়ের কেয়েকটা দিন সবাই নিয়ে গ্রামে কাটাতে সুবাসদা আর অভিককাকু এলো না.... মালতী:-এই মেয়ে! এই রোদে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো যা ভেতরে যা অঞ্জলী:কাকীমণি মেজ বৌদিদের ওখানে কখন যাবে? মালতী:-বিকেল হবে,বৌমা কোথায়? অঞ্জলী:-দোতলায় মালতী:-এই তুই কোথায় যাচ্ছিস? অঞ্জলী:-ছাদে!! ********* ছাদটা বিশাল,বিভিন্ন গাছ সাজানো টবে,তার মাঝের বেশ কিছুটা জায়গা নিয়ে একটা টিনের চালের ছাউনি। তার কিছুটা দূরে একটা বড় দোলনা।দোলনাটার পাশে দাঁড়িয়ে তিন দাদা সিগারেট ফুকছে আঞ্জলী তাদের দিকে এগিয়ে গেলো। সুরেন্দ্র:-বাবা এমন একটা জায়গায় মেজদার বিয়ে ঠিক করবে ভাবিনি অনিমেষ:-আরে জায়গাটার সাথে তো মেজদার বিয়ে হচ্ছে না। অনিকেত:-তা ঠিক তুই সত্যিই ভাগ‍্যবানরে সুরেন্দ্র সুরেন্দ্র:বিয়ে করছে মেজদা ভাগ্য ভালো আমার ,ইয়ার্কি মারা হচ্ছে আমার সাথে। অনিমেষ:-হট দুইটা বৌদি পেয়েছিস তোর ভাগ্য ভালো না বলছিস সুরেন্দ্র:-এমন ভাবে বলছিস যেনো তোরা বাড়িতেই থাকিস না অনিকেত:-আরে এক বাড়িতে থাকলে কি হবে তুই বৌদির পিছু ছাড়লে না আমরা ধরবো। অনিমেষ:-শশস..অঞ্জলী অঞ্জলী:-ছোট্টদা!! সুরেন্দ্র:-হুম কি চাই অঞ্জলী:-গ্রামটা কতো সুন্দর না ছোট্টদা!চল সবাই মিলে ঘুরে আসি অনিকেত:-অজপাড়াগাঁয়ে সুন্দরের কী দেখলি,ধান খেত ছাড়া আর কিছুই দেখার নেই অঞ্জলী:-তাই দেখবো সুরেন্দ্র:- পাগল নাকি!এই রোদের মধ্যে ঘোরাঘুরি বন্ধ,বিকেলে যখন বের হবো তখন সব দেখতে পাবি এখন যা। অঞ্জলী দাদাদের থেকে কিছুটা দূরে টবে রাখা ফুল গাছ গুলো পর্যবেক্ষণ করতে লাগলো অনিমেষ:-কী হলো এখানে যাচ্ছি না কেনো সুরেন্দ্র:-ও থাক আমরা বরং ওদিকেটায় গিয়ে বসি অঞ্জলী:-বুঝি গো রাত পোহালো বুঝি ওই রবির আলো আভাসে দেখা দিল গগন পারে! বুঝি গো রাত পোহালো বুঝি ওই রবির আলো আভাসে দেখা দিল গগন পারে! সমুখে ওই হেরি পথ তোমার কি রথ পৌঁছবে না মোর-দুয়ারে! ভেঙে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে! অনিকেত:-কী নিয়ে কথা চলছিলো যেনও অনিমেষ:-শশস চুপ কর ********* নন্দিনী:-সুধীর! সুধীর:-বৌদি কিছু কাজ... নন্দিনী সুধীরের কাছে এসে হাত থেকে ল‍্যাপটপটা নিয়ে নেয় নন্দিনী:-এটা আমার কাছে থাকবে,বিয়ে সম্পুর্ণ হবার পরে ফেরত পাবে ততদিন কোন কাজ নয়।তোমার দাদা আছে ওখানে তোমাকে ভাবতে হবে না। লতা খাবারটা টেবিলে রেখে চলে যা। সুধীর:-বৌদি আমি এখন খাবোনা আর ল‍্যাপটপটা দাও ওসব দাদা বুঝবে না দাদার এমনিতেই অনেক... নন্দিনী:-শশশশস, লক্ষী ছেলের মতো বসো এখানে এসো নন্দিনী সুধীরের হাত ধরে বিছানায় নিয়ে বসালো।খাবারের তালাটা হাতে নিয়ে সুধীরের পাশে বসেলো খাবার খাইয়ে দিতে সুধীর:-আহ বৌদি কি করছো আমিকি বাচ্চা ছেলে নাকি,দাও আমাকে দাও আমি নিজে হাতেই খেতে.... নন্দিনী:-শশস্ কোনো কথা নয় হা করো দেখি সুধীর আর মানা করে না,বড় বৌদি যেমন সুন্দরী তার ব‍্যবহারও তেমনি সুন্দর।মা মারা যাবার পরথেকে বড় বৌদি ধিরে ধিরে বাড়ির সবাইকে সামলে নিয়েছে বাবাকে ছাড়া।বাবা কঠিন মনের মানুষ, কিন্তু মাকে খুব ভালোবাসতেন।মায়ের কোনো কথায় না বলতে পারতেন না... নন্দিনী:-কী ভাবছো সুধীর:-কিছু না বৌদি নন্দিনী:-দেখি হয়েছে শোন বিকেলে তৈরী থেকো দেবশ্রীকে দেখতে যাবো সবাই সুধীর তাকিয়ে থাকে বৌদির দিকে ।নন্দিনী পড়নে নীল রঙের একটা শাড়ি সাথে স্লিভলেস ব্লাউজ ,শাড়িটা পাতলা শাড়ি ওপর দিয়ে ব্লাউজটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে,ব্লাউজে গলাটা বেশটি কিছুটা নিচ থেকে শুরু হয়েছে নন্দিনী:-কেমন লাগছে আমায়!? সুধীর:-বৌদি আমি দুঃখিত জানি না.... নন্দিনী একটা আঙ্গুল দিয়ে সুধীরেল দুই ঠোঁট স্পর্শ করে নন্দিনী:-শশশশস আমি কিছু মনে করি নি,তোমাদের সব ভাইয়ের মধ্যে তূমি হলে আমার সব চেয়ে প্রিয়(সুধীরের গালে হাত বুলিয়ে দেয় নন্দিনী)তুমি কিন্তু বললে না আমাকে কেমন দেখাছে সুধীর সুধীর:-খুব সুন্দর লাগছে তোমাকে বৌদি কিন্তু এই গ্রামে এমন পোশাক পড়টা কি ঠিক হবে, নন্দিনী:-পোশাকের আবার গ্রাম শহর কী,বাদ দাও তো ওসব,তোমার কথা বলো বিয়ে কথা শোনার পর থেকে তোমাকে চিন্তিত লাগছে সমস্যা কী বলো তো! মেয়ে পছন্দ হয়নি বুঝি? নাকী কোনো গার্লফ্রেন্ড আছে হু্ সুধীর:- কী বলনা তুমি পছন্দ হবে না কেনো নন্দিনী:- তো সমস্যা কি সুধীর:-কিছু না এমনি নন্দিনী:-(হাসতে হাসতে) বুঝেছি দেবশ্রী তোমার মায়েয় মত দেখতে তাই তো সুধীর:........ নন্দিনী:-(নন্দিনী সুধীরের মুখের খুব সামনে তার মুখ নিয়ে) তোমার মতো অনেক ছেলে আছে যারা তাদের মাকে নিজের সঙ্গীনি হিসাবে পেতে চায়।সে হিসেবে তুমি ভাগ‍্যবান সুধীর,মায়ের মত দেখতে বউ পাচ্ছো,একবার ফুলশয্যাটা হয়ে গেলে দেখবে সব ঠিক (নন্দিনী মুখ টিপে হাসতে থাকে) সুধীর:-ছি বৌদি কঢ সব ....তুমি যাও তো এখন নন্দিনী:-ঠিক আছে যাচ্ছি তবে তুমি চাইলে দেবশ্রীকে আমি রোল প্লেয়িং কিভাবে করে তা শিখিয়ে দিতে পারি। সুধীর:-বৌদি তুমি দয়া করে যাও তো নন্দিনী:-ঠিক আছে বাবা যাচ্ছি,আজকালকার ছেলেদের এতো লজ্জা থাকে বলে জানা ছিল না,দেবশ্রীর সামনে এমন লজ্জা পেলে বাসর রাতে আর বিড়াল মারা হবে না তোমার। Continue........
Parent