কাকিমাদের উপর প্রতিশোধ - অধ্যায় ২৯

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-69880-post-6031048.html#pid6031048

🕰️ Posted on September 9, 2025 by ✍️ Abirkkz (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 440 words / 2 min read

Parent
রাত ফুরিয়ে ভোরের আলো ফুটছে। বাইরে বৃষ্টি থেমে গেছে, ধানখেতের গন্ধ ভেসে আসছে। আমি দরজার কাছে দাঁড়িয়ে, ব্যাগ কাঁধে, রিমা আর কাকিমার কান্না আমার বুকের ভিতরে বাজছে। আমি পালাতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তাদের আকুতি আমাকে থামিয়ে দিয়েছে। আমি মাথা নাড়ি, চোখে ক্লান্তি, গলায় তিক্ততা নিয়ে বলি, “আমি থাকি শহরের কোনায় ছোট একটা ফ্ল্যাটে, ওখানে তোমরা থাকতে পারবে না। ওই ছোট জায়গাতে থাকতে তোমাদের কষ্ট হবে।” আমার মুখ শক্ত, হাত ব্যাগের স্ট্র্যাপ শক্ত করে ধরা। কাকিমা এগিয়ে আসে, তার চোখে অশ্রু, ঠোঁট কাঁপছে, হাতে শাড়ির আঁচল মুচড়াচ্ছে। “না না, আমাদের কোনো কষ্ট হবে না, আমাদেরকে সাথে নিয়ে চল। কালকে উকিল আসবে, আরো পাওনাদার লোক আসবে, তখন আমরা কী হিসেব দিব?” তার গলায় আকুতি, ভুরু কুঁচকে, চোখে ভয়। রিমা আমার দিকে তাকায়, তার চোখ অশ্রুতে ভেজা, মুখ ফ্যাকাশে। “আর ওই লোক তো এসে ঘর-বাড়ি দখল করে আমাদের বের করে দিবে, তখন আমরা কোথায় যাব?” তার গলায় কাঁপন, হাত কাঁপছে, শাড়ির আঁচল ধরে। আমি চোখ সরু করে, মুখে তাচ্ছিল্য নিয়ে বলি, “সেটা আমি কেন দেখব? আমি কেন শুধু শুধু তোমাদের বিষয় নিয়ে ভাবতে যাব?” আমার গলায় রাগ, বুকের ভিতরে তাদের ষড়যন্ত্রের কথা বাজছে। কাকিমা এগিয়ে এসে আমার হাত ধরে, তার হাত নরম, কাঁপছে। “এভাবে বলিস না, আকাশ। আমি তোর মা’র মতো হই, আমাদের তোর সাথে নিয়ে চল, বাবা।” তার চোখে অশ্রু, গলায় আকুতি। রিমা কাঁপা গলায় বলে, “প্লিজ, আকাশ, আমাদের আর কোনো উপায় নেই।” তার চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে, হাত আমার দিকে বাড়ানো। তাদের এত জোরাজুরিতে আমি বসে পড়ি, আমার মাথা ঝিমঝিম করছে। আমার মনে পুকুরপাড়ের সেই নৌকার স্মৃতি, রিমার হাসি, আর তাদের ষড়যন্ত্রের কথা। আমি মাথা নাড়ি, ক্লান্ত গলায় বলি, “ঠিক আছে, ভেবে দেখি কী করা যায়।” আমার চোখে সন্দেহ, মুখে কোনো ভাব নেই। কাকিমা তাড়াতাড়ি বলে, “কোনো ভাবাভাবির দরকার নেই, আমরা এক কোণে পড়ে থাকব, তোর কোনো অসুবিধা হবে না।” তার মুখে হালকা হাসি, চোখে স্বস্তি। আমি চুপ করে তাকাই, আমার বুকের ভিতরে একটা জট। আমি বলি, “ঠিক আছে তাহলে, তারাতারি দুজন রেডি হয়ে নাও, ভোর হয়ে আসছে, সকাল সকাল বেরিয়ে পড়ব।” আমার গলায় জোর-করা শক্তি, হাত ব্যাগের স্ট্র্যাপ শক্ত করে ধরা। রিমা তাড়াতাড়ি বলে, “ঠিক আছে, ঠিক আছে, তুমি বসো, আকাশ দা, আবার চলে যেও না। আমরা জলদি করে তৈরি হয়ে নিচ্ছি।” তার চোখে আলো, মুখে হাসি, হাত নড়ছে। কাকিমা বলে, “অনেক ধন্যবাদ তোকে, আমরা এখনই আসছি রেডি হয়ে।” তার গলায় কৃতজ্ঞতা, চোখে অশ্রু, কিন্তু আমার মনে সন্দেহ। তারা ভিতরে চলে যায়। আমি দরজার কাছে বসে থাকি, বাইরে ভোরের আলো ফুটছে। আমার মনে কাকার শেষ কথা, রিমার কান্না, আর তাদের ষড়যন্ত্রের ফিসফিস। আমি ভাবি, আমি কি আবার তাদের ফাঁদে পড়ছি? আমার শহরের ছোট ফ্ল্যাটে তাদের জায়গা হবে না, তবু আমি কেন রাজি হলাম? আমার বুকের ভিতরে একটা অস্থিরতা, চোখে ক্লান্তি। আমি অপেক্ষা করি, কিন্তু আমার মন বলছে—এই পথ ঠিক নয়।
Parent