কামানল - অধ্যায় ৫

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-28981-post-2221974.html#pid2221974

🕰️ Posted on July 26, 2020 by ✍️ Atonu Barmon (Profile)

🏷️ Tags:
📖 898 words / 4 min read

Parent
রাজ শহরের কলেজে অশ্লীলতা দেখে সনি আর পায়েলকে বুঝানোর চেষ্টা করছিলো, কিন্তু তার বলে, - ভাইয়া, আমরা দুই বোন ঠিকই ম্যানেজ করে নিতে পারব। কিন্তু তুমি কথা দাও যে বাবাকে এখানকার সম্পর্কে কিছু বলবে না, প্লিজ। তারপর.........  Update 5 দরজায় শব্দ শুনে অজয় আর সরলা ঘাবড়ে গিয়ে জলদি কাপড় পড়ে নেয়। তারপর অজয় দরজা খুলে ডানে বামে দেখে ভালভাবে। কিন্তু অনেক দূর পর্যন্তও সে কাউকে দেখতে পায় না। দেখতে পাবে কি করে, আরাধনা ওদের কাপড় পড়া দেখেই তো পিছনের বেড়ার আড়ালে চলে গেছে। অজয় আর ঝুকি নিল না, সরলাকে বের হয়ে যেতে বলে ওখান থেকে। সরলা চলে যেতেই আরাধনা আড়াল থেকে বের হয়ে খাবারের পোটলা নিয়ে বাবার কাছে আসে, যেন সে কিছুই দেখেনি।  - নাও বাবা, গরম গরম খাবার। এখনি খেয়ে নাও। - আরে মা, তুই কেন কষ্ট করে খাবার আনতে গেলি? আমি তো বাড়িতেই খেতে যাওয়ার কথা ভাবছিলাম।  - কোন ব্যাপার না বাবা। রাজ বাড়িতে না থাকায় ভাবলাম খাবারটা আমিই নিয়ে আসি আজকে। অজয় মনে মনে ভগবানের কাছে শুকরিয়া জানায় এই ভেবে যে আরধনা সরলা যাওয়ার পর এখানে এসেছে। আরেকটু আগে আসলেই তার মান সম্মান মাটিতে মিশে যেত একদম।  কিন্তু অজয়ের কোন ধারনাই ছিল না যে আরাধনা তার রাসলীলা দেখে ফেলেছে।  অজয়ের খাওয়া শেষ হওয়ার পর, - আমি তাহলে বাড়ি যাই বাবা। আরাধনা বলে - হ্যাঁ মা যা, তবে এভাবে একলা একলা আর আসিস না। পথে কোন হিংস্র জানোয়ারও পড়তে পারে সামনে।  - ঠিক আছে বাবা।  আরাধনা খালি থালাবাটি পোটলায় করে বাড়ি চলে যায়। ওইদিকে শহরে রাজ সনিয়া আর পায়েলকে কলেজে ভর্তি করিয়ে ফেলে আর পাশের কলোনিতে দুজনের থাকার জন্য বাসা খুজতে থাকে।  হঠাৎ তারা দেখে সামনের বিল্ডিংয়ে লাগুন লেগেছে আর লোকজন চিল্লাতে চিল্লাতে এইদিক ওইদিক পালাচ্ছে। রাজের দৃষ্টি যায় বিল্ডিংয়ের দোতলায় একটা ইন্সটিটিউটে যেখানে অনেক ছাত্রীরা বাচাও বাচাও বলে চিল্লাচিল্লি করছিলো, তাদের চারদিকেই আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে।  এটি দেখে রাজ নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে বিল্ডিংয়ের ভিতরে ঢুকে যায়।  বিল্ডিংয়ে ঢুকতেই রাজ একটা রশি খুজে পায়, সেটা দিয়ে একটা ফাঁদের মতো বানিয়ে ওপরের তলায় পৌঁছে যায়। ঠিক যেমনটা টারজান ছবিতে দেখা যায়। তারপর সেই রশি দিয়েই রাজ এক এক করে সব মেয়েদের নিচে নামাতে থাকে। সবাইকে নামিয়ে রাজ যখনই নিচে নামে সবাই রাজের বাহাদুরি দেখে খুশিতে হাততালি দিতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ সেই জায়গার হিরোতে পরিণত হয়। রাজ যাদের জীবন বাচিয়েছে তাদের মধ্যে নিশা নামের এক মেয়ে আছে যে কিনা বিশাল বড়ো ব্যাবসায়ী দেবরাজের একমাত্র মেয়ে। যখনই দেবরাজ ওই বিল্ডিংয়ে আগুন লাগার খবর পায়, তার কোম্পানির সব স্টাফ এসে সেখানে জড়ো হয়। নিজের মেয়েকে ঠিকঠাক দেখতে পেয়ে তার দেহে প্রাণ ফিরে। দেবরাজ জানতে পারলো তার মেয়ের জীবন এক যুবক বাচিয়েছে যাকে এই সময় লোকজন চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে।  দেবরাজ নিজে ভিড় ঠেলে ভিতরে ঢুকে সেই যুবককে ধন্যবাদ দেয়। - বাবা, তুমি নিজের জীবন বাজি রেখে আমার মেয়ের জীবন বাচিয়েছো। তোমার এই ঋণ জীবনেও শোধ করা যাবে না। - আঙ্কেল, এটা আমার কর্তব্য ছিল। রাজের উত্তর শুনে দেবরাজ অনেক খুশি হয়। - বাবা, তোমার নাম কি আর কি করো তুমি? - আমি রাজ, আর আমি বাবার সাথে কৃষিকাজ করি। এখানে আমার বোনদের কলেজে ভর্তি করাতে এসেছি। দেবরাজ রাজের কথা শুনে এতই ইম্প্রেস হয় যে রাজকে তার কোম্পানিতে চাকরির অফার দিয়ে ফেলে। আর রাজ বলে যে আগে তার বাবা-মার কাছে অনুমতি নেওয়া লাগবে। রাজের সরলতা দেখে দেবরাজের মুখে মুচকি হাসির ঝলক দেখা যায়। - ঠিক আছে বাবা, আগে তোমার বাবার কাছ থেকে অনুমতি নাও। দেবরাজ বলে। তারপর নিজের কোম্পানির ঠিকানা রাজকে দিয়ে নিশার সাথে চলে যায়। রাজ এই কাহিনী তার বাবা-মাকে শুনায়। তারা রাজকে চাকরি করার ব্যাপারে অনুমতি দিয়ে দেয়। শহরে চাকরি পাওয়ার পর রাজের জীবন একদম বদলে যেতে থাকে। চাকরির সাথে রাজকে থাকার জন্য দেবরাজ একটা আপার্টমেন্টেও দিয়ে দেয়। আর তাই সনি ও পায়েল কোন হোস্টেল-মেসে না ওঠে রাজের সাথেই থাকা শুরু করে। সনিয়া আর পায়েল আসাতে রাজেরও একাকিত্ব দূর হয়ে যায় আর খাওয়া-দাওয়ার সমস্যাও দূর হয়ে যায়। ওরা দুই বোনই খুব ভালো রান্না করতে পারে। সকালে সনিয়া কিচেনে নাস্তা আর লাঞ্চ তৈরি করে কলেজে যায়, আর সন্ধ্যায় পায়েল ডিনার তৈরি করে। রাজের দিনকাল খুব আরামেই যেতে থাকে। কিন্তু রাজ আরাধনা দিদি আর ছোটবোন কাজলকে খুব করতে থাকে। বাড়িতে শুধু বাবার কাছে মোবাইল থাকায় বোনদের সাথে কথাও বলতে পারে না সে। দিনের পর দিন চলে পার হতে থাকে।  আজ রাজের শহরে আসার পুরো একমাস হয়েছে আর বেতনও সে পেয়েছে। রাজের খুশির সীমা থাকে না। রাজ প্রথমেই মার্কেটে গিয়ে মা-বাবা আর চাচা-চাচির জন্য কাপড় কিনে। তারপর আরাধনা দিদি আর কাজলের জন্য গিফট হিসেবে মোবাইল ফোন কিনে। আর সনি-পায়েলের জন্যও কিছু গিফট কিনে। শপিং শেষে রাজ বাসায় পৌঁছেই সনিয়া আর পায়েলকে তাদের গিফট দিয়ে দেয়। সনিয়া গিফট পেয়েই খুশিতে রাজকে জড়িয়ে ধরে আর বলে, - ওহহহ ভাইয়া, অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে। তুমি কত্তো ভালো!  পায়েলও রাজকে ধন্যবাদ দেয়। - আমি মা-বাবা আর দিদির জন্যেও কিছু গিফট কিনেছি, এইজন্য আমি আজকে গ্রামে যাব। রাজ সনিয়াকে বলে। - ঠিক আছে ভাইয়া, তুমি আমাদের নিয়ে কোনও চিন্তা করো না। আমরা দুজনে সব ঠিকঠাক ম্যানেজ করে নিব। রাজ সনিয়ার কথা শুনে মুচকি হাসি দেয় আর গোছগাছ করে গ্রামের উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়ে। দুই ঘন্টার মধ্যেই রাজ তার গ্রামে পৌঁছে যায়। বাড়িতে ঢুকতেই রাজের দৃষ্টি তার দিদি আরাধনার দিকে যায় যে রাজকে দরজায় দেখেই দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরে।  - ওহহ ভাই, তোকে দেখার জন্য মনটা খুব আনচান আনচান করছিল। রাজের আওয়াজ শুনে মা ও রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে আসে আর তাকে বুকে জড়িয়ে নেয়। ওপরতলা থেকে কাজল তার চাচা চাচীর সাথে নিচে আসে। রাজ ব্যাগ থেকে সবার জন্য আনা গিফট বের করতে থাকে। গিফট হিসেবে মোবাইল পেয়ে আরাধনা আর কাজল অনেক খুশি হয়। - দিদি, এই মোবাইলে ভিডিও কলও করা যায়। রাজ আরাধনাকে বলে। - তাহলে তো তোকে দেখতে ইচ্চা হলেই ভিডিও কল দিতে পারব।
Parent