খোঁজ by dimpuch - অধ্যায় ১

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-39579-post-3543811.html#pid3543811

🕰️ Posted on July 29, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 487 words / 2 min read

Parent
খোঁজ আজ ১২ বছর পর আদি জেলের বাইরে বেরবে অর্থাৎ মুক্তি পাবে। কিন্তু এই ১২ বছর কেন যে আদি কে জেলের ভিতরে থাকতে হয়েছিল, এখনো আদি সেটা বুঝতে পারেনা। আদি মানে আদিত্য ঘোষ।৫ ফুট ১০ ইঞ্চি হাইট, বুক ৪৪ ইঞ্ছি,১১০ মিমি গেঞ্জি মোটামুটি ঠিক হয়।ডিপ্লোমা ইঙ্গিনিয়ার। ২৬ বছর বয়েস এ জেল এ এসেছিল নিজের বউ কে খুন করার অভিযোগে।‘খুন? তিস্তা কে আমি খুন করব? তিস্তাই তো আমার জীবন, আমি তাকে খুন করব।“ ১২ বছর ধরে আদি শুধু এই একই প্রস্ন মাথায় নিয়ে বেড়িয়েছে। ‘বাড়ির অমতের বিয়ে করে তিস্তা বেরিয়ে এসেছিল। ২ বছরের মেয়ে মিষ্টি, আর মা, এই নিয়েই জীবন। এর থেকে বেশি জীবন আর কি দেবে? সেই তিস্তা কে আমি খুন করব? তবুও ঘোষাল দারোগা কেন যে আমাকে খুনি সাবস্ত করলো? মা, কেউ কি নিজের মা কে খুন করতে পারে” এই সব নানা প্রস্ন আদির মনে কয়েক লক্ষ বার ঘুরে ফিরে এসেছে, উত্তর এখনো অধরা। ‘মিষ্টি এখন কোথায়?সেই ভয়ঙ্কর রাত থেকেই তো ওকে পাওয়া যায়নি, আমার তো কেউ নেই যে ওকে কোলে তুলে নেবে, এখন ১৪ বছর বয়েস হয়েছে, কি রকম দেখতে হয়েছে, নিশ্চয়ই তিস্তার মতো।“ এই ১২ বছরে আদির সাথে কেউ দ্যাখা করতে আসেনি। কেউ নেই তো আসবে কে? জেলার এর ঘরে বসে আদি এই সব নানা কথাই ভাবছিল। এই ১২ বছরে জেলে আদি রেকর্ড করেছে কম কথা বলার। কচ্চিত কখনো সখন কথা বলত আর হাঁসপাতাল বা অন্য কোন কাজ মুখ বুজে করে যেত। এক মাত্র মুনমুন এর সাথে কথা বলত। মুন মুন কে আদি মুন বলে ডাকত। নিজের লম্পট স্বামী কে খুন করে জেলে এসেছে। অত্যাচার এর শেষ সীমায় পৌঁছে মুন এই কাজ করেছে। “ বেশ করেছি। ওই জানোয়ার এর পৃথিবীতে থাকার কোন অধিকার নেই। আমাকে বেশ্যা বানাতে চেয়েছিল”। মুন আজ ২ বছর আগে বেরিয়ে গেছে। জজ সাহেব ঘটনার জন্য মুন কে সরবাংসে দোষী করেননি। তাই ৬ বছরের মাথায় ছাড়া পায় আজ ২ বছর আগে। ছাড়া পাবার পর আর আসেনি। কিন্তু আদি জানে মুন আদির কথা বিশ্বাস করে যে তিস্তা কে আদি খুন করেনি। .........আদিত্য, বাইরে বেরিয়ে কি করবে? তোমার জীবনের ১২ বছর বিনা দোষে নষ্ট হল ......জেলার সাহেবের কথায় আদির চমক ভাঙল ............জানিনা। কোথায় যাব তাও জানিনা। .........আদি , ইনই শ্রীসুরেশ করণ। পুলিসের চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। নাম করা দুদে অফিসার ছিলেন, তোমায় কিছু বলবেন ঘাড় ঘুড়িয়ে আদি তাকাল। ৬০-৬২ বছরের এক স্বাস্থ্যবান কালো গায়ের রঙ ভদ্রলোক বসে। চোখ দুটো উজ্জল। মনে হয় ভিতরের সব খবর শুধু চোখ দিয়েই বুঝে নেবেন। .........শোন আদি। তোমার সব কোথা আমি শুনেছি । চরম অন্যায় হয়েছে তোমার সাথে। আমাদের বিচার ব্যাবস্থা বড়ই সময় সাপেখ্য, তাই তোমার এতো দেরি হল। যাই হোক আমার কার্ড রইল, যদি মনে করো, দ্যাখা করো। আমি একটি সিকুরিটি এজেন্সি চালাই কিছু সাহায্য করতে পারি। কার্ড নিয়ে আদি পকেট এ রেখে নিজের জামা কাপড় ইত্যাদি আর ১২ বছরের কিছু পাওনা পয়সা নিয়ে জেলের বাইরে এলো। প্রথমেই একটা বড় করে শ্বাস নিল আলিপুরের সুন্দর গাছ লাগনা জায়গার। “ কোথায় যাব, একটু হাটি, মুক্তির স্বাদ উপভোগ করি” । হাঁটতে হাঁটতে আদি রেস কোর্স এর সামনে এল।দুপুরের ফাঁকা রাস্তা, এদিক ওদিক দেখছে হঠাৎ সামনে একটা গাড়ি এসে দাঁড়াল..
Parent