কিছু কথা ছিল মনে - বাবান - অধ্যায় ২৯

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-34519-post-3887990.html#pid3887990

🕰️ Posted on October 28, 2021 by ✍️ Baban (Profile)

🏷️ Tags:
📖 570 words / 3 min read

Parent
টান - বাবান স্কুল থেকে ফিরছিলো সন্তু. ভালো নাম শান্তনু. নতুন সাইকেল কিনেছে আজ কয়েকমাস হয়েছে মাত্র. তাই সেটি করে আসা যাওয়া শুরু. রোজকের মতো আজকেও ফিরছিলো সন্তু. বুড়ো আমাগাছ ক্রস করে বাঁ দিকে মোর নিয়ে অজয় কাকুদের বাড়িটা ছাড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলো ও. কিন্তু একটু এগোতেই ফোঁস ফোঁস আওয়াজে আর গরররর গরররর আওয়াজে চমকে উঠলো সন্তু. কোথা থেকে আসছে আওয়াজ টা? ধীর গতিতে আর কিছুটা এগোতেই চোখে পড়লো ব্যাপারটা. একটা ঝোপের সামনে একটা চেনা কুকুর কান উঁচু করে দাঁড়িয়ে ওই ঝপগুলোর ফাঁক দিয়ে কি দেখছে আর গরর গরর করছে. আর ঝোপের ভেতর থেকেই তীক্ষ্ণ কণ্ঠে আউউউউউউউউ আর ফোঁস আওয়াজ আসছে. সন্তুর বুঝতে অসুবিধা হলোনা সেটা একটা বেড়াল. তবে মনে হয় বেশি বয়স না. ছোটই হবে. সন্তু একবার ভাবলো পাস কাটিয়ে চলে যাবে. ঐতো একটু দূরেই বাড়ির গেট. কিন্তু কেন জানি একটা অদ্ভুত দুশ্চিন্তা শুরু হলো ওর. কেন? কার জন্য? ওর বেড়ালটার জন্য? ওটা তো ওর পোষাও নয়... তাহলে? শেষ পর্যন্ত ও ওর বাড়ির রাস্তা ধরলো. পেছন থেকে তখনো ফোঁস আর গরর আওয়াজ. যত দ্রুত সম্ভব ততো জোরে প্যাডেল করে গেট খুলে সাইকেল ঢুকিয়ে বেল বাজালো সন্তু. মা দরজা খুলতেই ঢুকে দৌড় দিলো রান্না ঘরে. আরে!! আরে ওদিকে কোথায় যাচ্ছিস? রান্নাঘরে কি চাই তোর? মায়ের কথার উত্তর দেবার সময় নেই. ফেরার সময় মায়ের হাতে ব্যাগ ধরিয়ে বেরিয়ে গেলো ও. ছেলের আজব কান্ড দেখে আশ্চর্য হলো মা. তিনিও বাইরে গেলেন ছেলের পিছনে. উফফফ সাইকেলটাও স্ট্যান্ড দিয়ে দাঁড় করানো প্রয়োজন মনে করেনি. দেয়ালে হেলান দিয়ে রাখা. বাইরে বেরোতেই তিনি শুনলেন ছেলে বলছে - এই... এই আয় আয়.. চু চু আয়. দূরে দাঁড়িয়ে থাকা কুকুরটা হটাৎ সন্তুর দিকে তাকিয়ে কয়েক পলক দেখে এগিয়ে আসতে লাগলো লেজ নাড়তে নাড়তে. সেটা কাছে আসতেই সন্তু ওদের গেটের সামনে কয়েকটা বিস্কুট ফেলে দিলো আর কুকুরটাও এসে খেতে লাগলো ওগুলো. মা অবাক.... একটা কুকুরকে খেতে দেবার এতো তাড়া ছেলের? কিন্তু ওকি! আবার দৌড়ে সামনে কোথায় যাচ্ছে সন্তুটা? সন্তু দৌড়ে এলো ওই ঝোপের কাছে. নিচু হলো. ওইতো সাদা হলদে পা দুটো. বেচারা ভয় ওকে দেখেও আউউউউ আউউউ করে ওয়ার্নিং দিচ্ছে. চমৎকার সাহস মানতেই হবে. সন্তু আরও নিচু হলো. ঐতো ফুটফুটে বিল্লু বাবুর মিষ্টি মুখ দেখা যাচ্ছে. আরে ঐযে নতুন পুচকে গুলো হয়েছিল তাদেরই একটা না? তাহলে তো পূর্ব পরিচিত ইনি. এই পুচকে... আমাকে ভয় পাচ্ছিস কেন রে? আমাকে তো চিনিস. সন্তুর কথায় কিনা কে জানে বাচ্চাটার চোখ মুখের রাগ ভয় কেটে গেলো. মিউ মিউ করে বাইরে বেরিয়ে এলো সে . কিন্তু সতর্ক সে. সন্তুo একবার দেখে নিলো ডানদিকে. এখনো বিস্কুটে মগ্ন কুকুর. অনেকগুলো বিস্কুট দিয়েছে. আজ নির্ঘাত মায়ের বকুনি খেতে হবে. কিন্তু সে হোক. হাত বাড়ালো সন্তু.. এতক্ষন আতঙ্কে থাকা  বাচ্চাটা ভয় পেয়ে পিছিয়ে গেলো. কিন্তু পালালো না. সন্তু হাত বাড়িয়ে ঘাড়ের নরম অংশটা ধরে তুলে নিলো সেটাকে. লেজ গটিয়ে চুপচাপ শান্ত ভাবে ঝুলে রইলো বিল্লু বাবু . সন্তু ওটাকে ওই ভাবেই ধরে উল্টো দিকের পাঁচিলে তুলে দিলো. এখানে অনেকবার এটাকে নিজের ভাইবোনের আর মায়ের সাথে দেখেছে ঘোরাঘুরি করতে. একটা বিস্কুট ছোট ছোট টুকরো করে ওর সামনে দিলো. ছোট্ট মুখ হা করে খেতে লাগলো সে ওই বিস্কুট . নামিস না কিন্তু তুই. এখানেই থাক..... বুঝলি? হাত বুলিয়ে বললো সন্তু. বিড়াল বাচ্চাটা কি বুঝলো কে জানে. শুধু খেতে খেতে মিষ্টি গলায় উমমমম করে আবার খেতে লাগলো. এবার ফিরে আসতে লাগলো সন্তু. মা বাইরে দাঁড়িয়ে. পুরোটাই দেখেছে সে. মায়ের কাছে এসে মুচকি হেসে মাথা চুলকিয়ে ঘরে ঢুকতে ঢুকতে বললো - মা... ক্ষিদে পেয়েছে.... চলো  খেতে দাও. তারপরে মুখ ফিরিয়ে কুকুরটা কে আদেশের স্বরে বললো - একদম ওদের পেছন লাগবোনা বুঝলি. কুকুরটাও শেষ বিস্কুট খেতে খেতে লেজ নাড়িয়ে দিলো. ছেলের ব্যাগ ধরা মা এবার নিজের মনে হেসে গেট লাগিয়ে ফিরে এলো ঘরে.  সমাপ্ত 
Parent