কিছু সম্পর্ক - অধ্যায় ১৩

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-69727-post-6009617.html#pid6009617

🕰️ Posted on August 14, 2025 by ✍️ gungchill (Profile)

🏷️ Tags:
📖 678 words / 3 min read

Parent
কিছু সম্পর্কঃ ৪ (খ)   পরদিন রানী আর জান্নাত দুজনে অটো করে ভার্সিটি যাচ্ছে । যদিও জয়নাল চৌধুরীর নিজস্ব গাড়ি আছে । এবং জয়নাল মেয়ে বার বার বলেছে সেই গাড়ি নিয়ে ভার্সিটি যেতে । কিন্তু জান্নাত কিছুতেই রাজি হয়নি । জান্নাতের মতে , বাবার গাড়িতে করে রোজ ভার্সিটি আসা যাওয়া করলে আর যাই হোক সাংবাদিক হওয়া যাবে না । সাংবাদিক হতে হলে সাধারন জনগনের সাথে মিশতে হবে, আর কাঁচ ঘেরা গাড়ি মানুষ কে সাধারন জনগন থেকে আলাদা করে দেয় । তাই জান্নাত কিছুতেই রাজি হবে না । জান্নাতের দাবি যদি এতই চিন্তা হয় তাহলে যেন ওকে একটা বাইক কিনে দেয়া হয় ।   কিন্তু এতে আবার জয়নাল চৌধুরীর অরুচি । মেয়েকে সে কিছুতেই বাইক কিনে দেবে না । আর এই নিয়ে দুই বাপ বেটির মাঝে বেশ হুলুস্থুল লেগে যায় । জান্নাতের দাবি জয়নাল চৌধুরী ওর বাপ হলেও পুরুষ তন্ত্রের দব্জা ধারি ।   কিন্তু জয়নাল চৌধুরীও নিজের পজিশনে অনড় , ওনার ভাষ্য হচ্ছে যতই যত কিছু বলো , আমি আমার মেয়েকে বাইক কিনে দেবো না , শেষে এক্সিডেন্ট করে চেহারায় দাগ না হয়ে যায় । তখন বিয়ে হবে কি করে । জান্নাত বাপের এমন ধ্যান ধারনায় খুব ক্ষুব্ধ হলেও এই নিয়ে আর কথা বাড়ায় না ।  এর পর জয়নাল চৌধুরী রানীকে ধরে , কিন্তু রানীও বান্ধবির পক্ষেই নিজের রায় দেয়।   তবে বাইরে এসে যখন অটোর জন্য অনেকক্ষণ দাড়িয়ে থাকতে হয় তখন রানী ইনিয়ে বিনিয়ে জান্নাত কে বোঝাতে চেষ্টা করে গাড়ি হলে মন্দ হয় না ।    ক্ষেপে যায় জান্নাত , বলে “ তুই ও শুরু করলি, তুই বুঝতে পারিস না , ওই কাঁচ ঘেরা এসি গাড়ি হচ্ছে আরাম দায়ক কয়েদ খানা, এখন সময় হচ্ছে স্বাধীনতার , সাধিন ভাবে উড়তে হবে , জীবন কে দেখতে হবে জানতে হবে”   “ আমার কাছে তো আরাম করে ঠাণ্ডা হাওয়া খেতে খেতে ভার্সিটি যেতে পারাই আসল স্বাধীনতা” রানী কপালের ঘাম মুছতে মুছতে বলে ।   “ তুই থাক তোর স্বাধীনতা নিয়ে” জান্নাত ক্ষেপে গিয়ে বলে ।   এর কিছুক্ষন পর ই ওরা একটি অটো পেয়ে যায় । দরদাম করে উঠে পরে দুজনে ।   কিছুদুর যাওয়ার পর হঠাত জান্নাত বলে ,   “ শুনেছি ভার্সিটি হলো দুনিয়ার সবচেয়ে মজার যায়গা ,  এখানে  টিচার রা খুব একটা শাসন করে না , পড়লে পড় , না পড়লে না পড় এমন ভাব” জান্নাত এক্সাইট্মেন্টের সাথে রানী কে জিজ্ঞাস করে ।   “ উম আমিও তাই  শুনেছি , দেখা যাক” রানীকে তেমন একটা এক্সাইটেড দেখা যায় না ,   “ হলে তো ভালই হয় ,  আমি  ঠিক করেছি প্রথম দুই বছর সুধু মাস্তি হবে…… তুই কি বলিস ” জান্নাত অতি উৎসাহে কোলের উপর রাখা সাইড ব্যাগে থাপ্পড় মেরে বলে   “ আমি ভাই অত কিছু চিন্তা করিনি , দেখা যাক  কি হয় , কারন জীবনে সুধু মাস্তি ই সব না , পড়াশুনা ও করতে হবে”   “ আরে তুই তো এখনি  টিচারদের মত আচরন শুরু করলি” জান্নাত হাসতে  হাসতে  বলল   “ ধুর , কিসের টিচার , জাস্ট বললাম যে জীবনে মৌজ মাস্তির সাথে সাথে পড়াশুনা  সমান  তালে করতে হবে” রানী নিজের ডিফেন্সে বলল   “ সুধু মৌজ ফুর্তি ই না ভার্সিটি লাইফে একটা প্রেম অবশ্যই করতে হবে “ এই কথাটা জান্নাত  নিজেকেই নিজে বলল বলে মনে হলো , কারন বলার পর আর রানীর দিকে তাকালো না , নিজের মাঝেই চিন্তায় হারিয়ে গেলো ।   “ ওই আমার প্রেমিকা , কই হারিয়ে গেলি , কাউকে খুজে পেলি নাকি ফুটপাতে” রানী  জান্নাতের চোখের সামনে তুড়ি মেরে জিজ্ঞাস করলো ।   রানীর তুড়িতে চমকে ওঠে জান্নাত , তারপর বলে “ আরে না না , এখানে ফুটপাতে প্রেমিক পাবো কই” তারপর হঠাত কি যেন একটা মনে পরে গেলো , এমন ভাবে বলল “ আচ্ছা প্রেমিক থেকে মনে পরলো, আমার ভাই কাল সন্ধায় তোদের ছাদে  কি করছিলো রে?”   এবার রানীর চমকে ওঠার পালা , তবে নিজেকে বেশ ভালো ভাবে সামলে নিয়ে কাঁধ ঝাঁকিয়ে , নিচের ঠোঁট উল্টে  বলল “ কি জানি , তোর ভাই তো একটা বান্দর , কখন কি করে তার কি কোন ঠিক আছে”   জান্নাত মাথা ঝাঁকিয়ে রানীর কথায় শ্বায় দিলো , বলল “ সেটা তুই ঠিক বলেছিস , একটা বান্দর , কিন্তু নিজেকে ভাবে হিরো”   রানী একটা বড় করে নিঃশ্বাস নিলো জান্নাত কে লুকিয়ে , তারপর মনে মনে বলল ‘ ভালো বাচা বেঁচে গেছি’ । তারপর  রানীর ঠোঁটে একটা ছোট্ট হাসির রেখা দেখা দিলো । মনে মনে বলল ‘ বান্দর হলেও সোনার বান্দর’ *******
Parent