কোন কূলে যে ভীড়লো তরী/কামদেব - অধ্যায় ৩৭

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-22369-post-1679651.html#pid1679651

🕰️ Posted on March 3, 2020 by ✍️ kumdev (Profile)

🏷️ Tags:
📖 916 words / 4 min read

Parent
[৩৬]      পান্থ নিবাস এপার্টমেণ্টের ইলেক্ট্রিকের কাজ শেষ নীচে মেন সুইচ লাগাচ্ছে,রকিব এসেছে যদি কিছু পেমেণ্ট পাওয়া যায়।অফিসে অশোক বাবু বসে কারো জন্য অপেক্ষা করছেন।রকিব ঢুকে জিজ্ঞেস করে,আপনি কোথাও বেরোচ্ছেন স্যার? --হ্যা কেন,কিছু বলবি? --আজ যদি মানে--। --কোনো পার্ট পেমেণ্ট নয়,কাজ হয়ে গেছে বিল করে দে ফুল পেমেণ্ট পেয়ে যাবি। রকিব দাঁড়িয়ে ইতস্তত কর।অশোকবাবু জিজ্ঞেস করে, আর কিছু বলবি? --ঠিক আছে তিন-চারদিনের মধ্যে বিল করে দেবো।আচ্ছা স্যার সেদিন যে ম্যাডাম এসেছিলেন উনার পুরা নাম কি? --খাদিজা আক্তার সোম কেন তুই চিনিস? --না না চিনবো কেমন করে,দেখে ঠিক * মনে হয় নি তাই।আজকাল এইসব কেউ মানে না। রকিব জানে যদি সব কথা খুলে বলে তাহলে সবাই তাকে পাগল বলবে।কাফেরকে নিকা করেছে?ডাক্তারকে মনে হল বেশি বয়স না।তাকে বোধ হয় চিনতে পারেনি।শেখ সুকুর আলিকে ঢুকতে দেখে দ্রুত সরে গেল রকিব।খুনে মস্তান সুকুরকে সে ভাল করে চেনে।অফিসে ঢুকে অশোককে জিজ্ঞেস করে,বস লরি কখন আসবে? --আয় সুকুর,এখুনি এসে যাবে।তুই বোস। --তুমি চাবি নিয়েছো?সুকুর জিজ্ঞেস করে। --এই নে চাবি।তিন তলায় ফ্লাট।কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে নে। সুকুর আলি হেসে বলল,তুমি চিন্তা কোরনা বস,তুমি চুপচাপ লরিতে বসে থাকবে। --না আমি খুনোখুনি চাইনা। রিক্সা হতে কলেজের নীচে নামলো খাদিজা বেগম। অফিস পেরোতে গিয়ে কমলাদির সঙ্গে চোখাচুখি হতে জিজ্ঞেস করে,কমলাদি খবর ভাল তো? কমলা চেয়ার থেকে উঠে বেরিয়ে এসে ম্যাডামের কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিস ফিস করে বলল, অনেক খবর আছে পরে বলবো। মানুষের সমস্যার শেষ নেই।একটাকে বিদায় করো অমনি আরেকটা কোথা থেকে এসে হাজির। এতদিন পরে আবার ঐ লোকটার সঙ্গে দেখা হবে কি ভেবেছিল? দেবকে বলতে কেমন নির্বিকার মনে মনে হাসে খাদিজা বেগম,ভাল স্বামী পেয়েছে। --একি তোমার ঠোটে কি হল? সামনে দাঁড়িয়ে শ্রীময়ী। খাদিজা হকচকিয়ে যায়,খেয়াল ছিল না ঠোটের কথা নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,কি জানি অন্ধকারে বুঝতে পারিনি কি পোকা। এমন জ্বালা করছিল। --তোমার ভুমিশয্যা কবে শেষ হবে? মাটিতে শোয়ার এই এক বিপদ। শ্রীময়ী বিশ্বাস করেছে বলল,অশোকবাবু তো বলল কাল-পরশুর মধ্যে হয়ে যাবে। আজ নাকি ফার্নিচার আনাবে। --তোমার ফ্লাটটা দারুণ হয়েছে,ড.সোম দেখেছে? --দেখেছে,ওর এসব বিষয়ে কোন ইণ্টারেষ্ট নেই। --খালি ফ্লাটের মালকিনের ব্যাপারে ইণ্টারেষ্ট?হি-হি-হি। খাদিজা যেতে যেতে শ্রীময়ীর ঠাট্টাটা উপভোগ করে।ক্লাসে যাবার আগে বাথরুমে গিয়ে আয়নায় দেখল নিজেকে।ইস কি দশা করেছে ঠোটের রাক্ষসটা।একটা চিন্তা মাথায় আসতে অবাক হয় খাদিজা।রেজিস্ট্রি করার কথা কেন মনে হল? সেকি ভয় পাচ্ছে?আবার ভাবে করে রাখলে দোষ কি? দত্তপুকুর থেকে দিদি এসেছে সঙ্গে এসেছে চাঁপারানী।ভাইকে বার বার খবর দিয়েও কাজ হয় নি তাই চাপাকে সঙ্গে নিয়েই হাজির আরতি।মার বয়স হয়েছে আর কতদিন হেঁসেল ঠেলবে।ওস্তাদ দেশে গেছে চাষবাস দেখতে,মদনের হাতে কাজ নেই।আরতি ভাইকে বলল,মদনা চাঁপারে একটু ঘুরায়ে দেখা আশ পাশ। উদ্দেশ্য দেখার ছলে উভয়ে মন জানাজানি করে নিক। কোথায় নিয়ে যাবে চাপাকে,বেশি দূরে রিক্সা করে ঘুরতে গেলে পয়সা খরচ। বৌদির কথা মনে পড়ল,ওস্তাদ বাড়ী নাই এই সুযোগে বৌদির মতটাও জানা যাবে।মদন চলতে চলতে চাপার হাত ধরে,চাপা বুঝলেও কিছু বলে না। সবিতা কাজ সেরে সবে ফিরেছে এমন সময় মদন উপস্থিত।সবিতা ফিসফিসিয়ে বলে, উস্তাদ দ্যাশে গেছে তুমি জানতা না,অখন আসছো?পিছনে চাপাকে দেখে জিজ্ঞেস করে, এইডা কেডা? --চাপা,দত্তপুকুর থাকে দিদির সঙ্গে এসেছে। এইটা আমার উস্তাদের বউ,আমার বৌদি। চাঁপার মেয়েলি মন দুজনের সম্পর্কটা বুঝতে চেষ্টা করে। সবিতা বুঝতে পারে চাঁপার সাথে সম্পর্ক করাইতে চায় মদনের দিদি। --ভিতরে আসো।আমার ঠাউর-পোরে পছন্দ হইছে? --পছন্দ হইলেই তো হবে না,কার কুথায় নাও বান্ধা আছে সেইটা আসল কথা। সবিতা অবাক হয় চাঁপার কথা শুনে।জিজ্ঞেস করে,তুমার কুথাও বান্ধা নাই তো? --তাইলে আসতাম নিকি?দিদি ঐটার পর তার ভাইয়ের কথা বলতেছিল অনেকদিন, আপনের দেওরের তো সুময় হয় না। --কিসের পর বুঝলাম না।সবিতা জিজ্ঞেস করে। --এক জায়গায় প্রায় ঠিক হইয়া গেছিল। --হইল না ক্যান? --বাইক চায়।গরীব মানুষ আমার পরে একটা বুইন আছে অত ট্যাকা কই পাইবো বাবায়। তারপর জ্ঞাতি গুষ্টি খাওনের ব্যাপার আছে। --বৌয়ের পরে চড়ার দরকার নাই বাইক চড় হারামী।সবিতা রাগ প্রকাশ করে। চাপা খিলখিল করে হেসে ফেলে।মদন বলে,আমার কোনো দাবী নাই। --হ্যায় একটা পাস ছিল আপনে তো কুনো পাস না। --ঠাউর-পোরে তূমার পছন্দ কি না? --সেইটা দিদিরে বলবো। --কেন লজ্জা কি? ঠাউর-পোরে তুমার কেমুন লাগে? --ভাল না লাগলে উনারে করতে দিতাম নিকি? --কি করতে দিছো?সবিতা সন্দিগ্ধ চোখে মদনকে দেখে। চাপা মাথা নীচু করে বলে,আমার হাত মুঠায় নিয়া চাপ দিতেছিলেন --তাই বলো আমি ভাবলাম অন্য কুথাও চাপ দিছে। --আমি সেই রকম মাইয়া না,বিয়ার আগে ঐসব করতে দিলে অনেক আগেই করাইতে পারতাম। সবিতা একপাশে মদনকে ডেকে নয়ে গিয়ে চুপি চুপি বলে,উস্তাদ না আসলে কাল দুপুরে একবার আসবা কথা আছে। ফেরার পথে চাপা বলল,দেখেন উস্তাদের বউ হইলেও উনার সাথে অত গুসুর ঘুসুর করা ঠিক না।কার মনে কি আছে কে কইতে পারে। সন্ধ্যে হবার মুখে গোলমাল শুনে পল্টূ এগিয়ে দেখতে গেল কি ব্যাপার।কাল দিল্লী যাবার কথা মনোরমা বাধা দিলেও বলল,দুর থেকে দেখে চলে আসবো। প্রান্তিকের নীচে ভীড়।একটা আসবাব পত্র বোঝাই ট্রাক,দুজন কুলি বাধাছাদা করছে। জগো উকিল দেবমামা রমেনবাবু ছেলে ছোকরারাও আছে।দিলীপ ঠিকই বলেছিল। জগো উকিল বলছেন,যার জিনিস তাকে আসতে হবে। --তার কথাতেই আমরা এসেছি,তিনি আমাদের চাবি দিয়েছেন। পল্টু দুরত্ব বাচিয়ে দূর থেকে দেখে চিনতে পারে ভদ্রলোক অশোক আগরয়াল। --সেইটা আমরা কি করে বুঝবো?চাবি ডূপ্লিকেট হতে পারে। ইতি মধ্যে তিনতলা থেকে একটী স্বাস্থ্যবান লোক নেমে আসতে অশোকবাবু জিজ্ঞেস করেন,সুকুর সব নেমেছে? --খাট আলমারি ড্রেসিং টেবিল--মাল তো বেশি না।বইগুলোর জন্য শালা বেশি সময় লাগলো।আর দেরী কোরো না উঠে পড়ো বস।এরা কারা? --ম্যাডাম না এলে মাল নিয়ে যেতে দেবে না।অশোকবাবু বলল। --যার জিনিস তাকে আসতে হবে।জগা উকিল বলল। --তুই কে বে?সুকুর তেড়ে গেল। --এই সুকু?অশোকবাবু পিছিন থেকে ডাকে। --আমি হাইকোরটের এ্যাডভোকেট।জগা উকিল বলল। --গাঁড় মেরেছে, শালা হাইকোর্ট মারানো হচ্ছে?বলেই এক ধাক্কা দিতেই জগা উকিল চিত হয়ে পড়ল।দেবব্রত অবস্থা দেখে ভীড়ের মধ্যে মিশে গেল। ধোয়া ছেড়ে লরি চলে গেল।জগো উকিল ধুলো ঝেড়ে উঠে দাড়াল।দেবব্রত বেরিয়ে এসে বলল,দেখি কি করে ফ্লাট বিক্রি করে? জলে থেকে কুমীরের সঙ্গে বিবাদ।লক্ষণটা দেখলেন একবার এল না। --লক্ষণ আসবে না আমি জানতাম।ভীড়ের উদ্দেশ্যে জগা উকিল বলল,তামাশা দেখো নাকি কাজকাম নাই? ভীড় পাতলা হতে থাকে। পল্টুর মনে হল  আর দাঁড়ানো ঠিক হবেনা।দু-পা এগোতেই ভুতের মত দিলীপ সামনে এসে দাড়ালো। --কিরে তুই? দিলীপ খিলখিল করে হেসে বলল,আমি অন্ধকারে সাণ্টিং মেরে ছিলাম,তোকে দেখেছি।
Parent