কোন কূলে যে ভীড়লো তরী/কামদেব - অধ্যায় ৮৮

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-22369-post-1797419.html#pid1797419

🕰️ Posted on April 4, 2020 by ✍️ kumdev (Profile)

🏷️ Tags:
📖 1326 words / 6 min read

Parent
[৮৬]               দিলীপ এসেছিল,গাড়ী এসে গেছে ফুল দিয়ে সাজাচ্ছে।ফোন বাজতে উঠে ফোন ধরল,কেন আপনার আসতে অসুবিধে কোথায়?...ও আচ্ছা ইকবালের সঙ্গে দেখা হয়েছে...ও আসবে?...ঠিক আছে। মোহন লাল আসবে না ইকবাল নিজেই বলেছে আসবে।দিলীপকে বলেছে অঙ্গন তাকে কিছুই বলেনি।অঙ্গনকে কখনো এরকম সুপার্স্টিশাস মনে হয়নি।দেখা হলে বাবাজীর গাড়ে ঝড় ঢুকিয়ে দিত।অঙ্গন বেরিয়েছে যশ কিছু বলে না,চুপচাপ লক্ষ্য করে।বারান্দায় গিয়ে দাড়ালো।কথা বলছে না,দিলীপ এল কয়েকবার ওর সঙ্গেও কোনো কথা বলেনি। --বৌদি রান্না হয়ে গেছে।মিতা এসে বলল। যশ ইঙ্গিতে বলল,তুমি জিজ্ঞেস করো খাবে কিনা। মিতামাসী বারান্দায় গিয়ে পল্টুর সঙ্গে কথা বলে ফিরে এসে বলল,ছোড়দা খাবে না। --আচ্ছা তুমি যাও।কাল সকাল সকাল এসো। --আমি এখন বাসায় যাবনা নারসিন হোমে যাব।একবার শেষ দেখা--। --এখানে আসবে,নারসিং হোমে যাবার কি দরকার? --তাহলে বাড়ী থেকে ঘুরে আমি আসছি। মৌসী নীচে গিয়ে আবার ফিরে এসে খবর দিল,কয়েকজন লোক এসেছে। যশ নীচে নেমে দেখল পাড়ার কয়েকজন।একটা ঘর খুলে দিয়ে ওদের বসতে বলল।ইকবালকে দেখে চিনতে পারে।জিজ্ঞেস করে,গাড়ী এনেছেন? --হ্যা ডাক্তার সাব কোথায়? --আপনি বসুন পাঠিয়ে দিচ্ছি। যশ উপরে উঠে ভাবে পরিচিত লোকজনের সঙ্গে কথা বললে হয়তো ওর ভালো লাগবে।অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে উদাস দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে অঙ্গনকে বলল,ইকবাল এসেছে। --ইকবাল? --আমাদের আগের ড্রাইভার। --ডাকো। --অনেকে আছে তুমি নীচে যাও। --আমি একা যাব? --ও হ্যা ক্রিমেটরিতে তুমি যাবে নাকি আমি যাব? --চলো দুজনেই যাই। --তোমার ছেলেকে কে দেখবে? --না না তাহলে আমিই যাই। নীচে শোরগোল শুনে বারান্দায় গিয়ে দেখল শব বাহন গাড়ী নীচে দাড়িয়ে।মিতাকেও দেখল ভীড়ে।যশ ছেলেকে কোলে নিয়ে নীচে নেমে দিলীপকে ডেকে এক গোছা টাকা দিয়ে বলল,যারা যাবে তাদের গাড়ী ভাড়া দিয়ে দিও। --পল্টু যাবে না? --তুমি আর অঙ্গন বাড়ীর গাড়ীতে যাবে।অঙ্গনকে দেখছো কি অবস্থা, তোমার ভরসায় ওকে পাঠাচ্ছি। শবযাত্রা করিয়ে যশ বিন্দার উপরে উঠে এল।সারা বাড়ীতে কেমন এক শূণ্যতা খা-খা করছে।আকাশের দিকে তাকিয়ে জেন বলছিল মামী পাখিদের কত সুবিধে কতদূর চলে যেতে পারে।চোখের পাতা ভিজে যায়।ড  মজুমদার বলছিলেন মজ্জাতে পৌছে গেছিল বাধ্য হয়ে হাই ডোজ পুশ করতে হয়েছে।কিন্তু বেচারী দুর্বল হার্ট নিতে পারেনি।খুব দেরী হয়ে গেছে।এই শালে বাবাজীর জন্য অঙ্গন আমাকে নিয়ে এত ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল মেয়ের দিকে নজর দিতে পারেনি।জেসমিন সংকেত দিয়েছিল আমরা বুঝতে পারিনি।  রাস্তাঘাট সুনসান বাতি স্তম্ভে আলোগুলো ধুকছে ক্লান্তিতে।পরণে প্যাণ্টি তার উপর হাউস কোট বাচ্চাকে কোলে নিয়ে বারান্দায় পায়চারি করছেন যশবিন্দার।দুষ্টুটা ঘুমে কাতর।কোমরে গামছা কয়েকটা লোককে আসতে দেখে অনুমান করে ওরা ফিরছে।এদিকেই আসছে এরা কি গেছিল?বারান্দার নীচে এসে উপর দিকে তাকাতে  যশ সজাগ হয়। --ম্যাডাম ডাক্তারবাবু আছেন? --উনি শ্মশানে গেছেন। ওরা নীচু গলায় পরস্পর কথা বলতে থাকে।এরা কারা? যশ জিজ্ঞেস করল,আপনারা শ্মশানে থেকে আসছেন? --চিন্তা করবেন না।দিলীপবাবুরা ঠিক নিয়ে আসবে। --এই যে শুনুন--। যশের ডাকে সাড়া না দিয়ে ওরা প্রায় দৌড়ে চলে গেল।যশ ঘড়ি দেখল রাত দুটো বাজতে চলেছে।কি করবে কাকে খবর দেবে? একটা বড় কাপড়ে বাচ্চাকে কোমরের সঙ্গে বেধে গাড়ীর চাবি নিয়ে নীচে নেমে এল।গ্যারেজ থেকে গাড়ী বের করে স্টার্ট করল।রাস্তায় কোনো লোকজন নেই।কোথায় সমসান কাকে জিজ্ঞেস করবে? মুন লাইটের কাছে এসে নেমে একজনকে জিজ্ঞেস করল,সমসানটা কোন দিকে? একজন বয় নানা ভাবে দিক নির্দেশ করে দিল। বেশ কিছুটা যাবার পর একদল শব যাত্রী দেখে আশ্বস্থ হয় ঠিক পথে চলেছে।কিছুটা গিয়ে রাস্তায় লোক দেখে জিজ্ঞেস করে,সমসানটা এদিকেই তো? --না ম্যাডাম,আপনি ছেড়ে এসেছেন।ব্যাক করে সোজা যান ঐযে লাইট পোস্ট দেখছেন ওখানে গিয়ে বা-দিকে। --কতদূর? --বেশি না মিনিট দশেকের মধ্যে পৌছে যাবেন। --থ্যাঙ্ক ইউ বলে গাড়ী ঘোরায়।বেটা জেগে গেছে একটা স্তন মুখে ভরে দিল।ঐতো গঙ্গা বাক নিয়ে গঙ্গার ধারের রাস্তা দিয়ে সতর্ক দৃষ্টি মেলে দু-পাশ দেখতে দেখতে আস্তে আস্তে গাড়ী চালায়।সারি সারি দোকান মনে হয় সারা রাত খোলা থাকে।পনেরো মিনিট হয়ে গেল দশ মিনিট বলেছিল।গাড়ী থামিয়ে নেমে পড়ল যশ।কয়েকজন দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিল যশের অদ্ভুত পোশাক দেখে কৌতুহলী চোখে তাকায়।গঙ্গার ফুরফুরে হাওয়া এসে গায়ে লাগছে। --ভাইসাব সমসানটা কোথায় বলতে পারবেন? --ম্যাডাম আপনি ছেড়ে এসেছেন।পিছনে গিয়ে বা দিকে দেখবেন একটা রাস্তা সেদিকে যাবেন না সেটা পেরিয়ে একটু খানি--। যশ গঙ্গার দিকে তাকিয়ে কি যেন দেখছে।লোকটি জিজ্ঞেস করল, শ্মশানেই যাবেন নাকি কারো বাড়ী? কথার উত্তর না দিয়ে ঝোপ ডিঙ্গিয়ে বাচ্চাকে বুকে চেপে যশ গঙ্গার দিকে ছুটল।  লোকটা দেখল গঙ্গার ধারে দাঁড়িয়ে এক ভদ্রলোক,মহিলা সেদিকে ছুটলেন।চায়ের কাপ রেখে পায়জামা গুটিয়ে লোকটিও সেদিকে ছুটল।দেখতে দেখতে গাড়ী ঘিরে ছোট একটা জটলা তৈরী হয়।সবার চোখ গঙ্গার দিকে। দিলীপ বলল,ইকবাল্ভাই গাড়ী ঘোরান,এতদূর আসা সম্ভব নয়।চলুন ঐ রাস্তাটা দেখি,এক্টু আস্তে চালাবেন। --ম্যাডামকে খবর দিলে হতোনা? আসার সময় বৌদি বলেছিল একটু দেখো দিলীপ বলল, দেবো আরেকটু দেখি।আছে আশে পাশে দৌড়ে যায়নি নিশ্চয়ই। --আপনি বা দিক দেখুন আমি ডান দিক দেখছি। ড সোম গঙ্গার ওপারের দিকে তাকিয়ে কি যেন দেখছে।যশ কোনো কথা না বলে পাশে গিয়ে দাড়ালো।যশকে দেখে চমকে উঠে বলল,তুমি এখানে? --তুমি ছেলে মানুষ নও,তোমার একটা দায়িত্ববোধ থাকবে না? --কেন আমি মুখে আগুণ দিয়েছি ওরা সব ছিল ধোয়ায় দম আটকে আসছিল তাই একটু খোলা হাওয়ায়--। --তোমার মনে হয়নি ওরা তোমাকে খুজবে? --হোয়াই এ্যাম আই নট বেবি বয়?বিইং এ ডকটর তুমি জানোনা কদিনের শিশুকে--। --একদম চুপ।মনে মনে বলে, এ্যাম আই নট বেবি বয়?বাড়ি চলো তোমার বুড়োমী দেখাচ্ছি।নিজেকে সংযত করে বলল,  চলো গাড়ীতে চলো।লোকটিকে দেখে বলল,আমার হাজব্যাণ্ড সমসানে এসেছিল। এতক্ষন খেয়াল করেনি যশের কোমরে বাধা বাচ্চাটাকে দেখে লোকটির চোখ যেন ঠিকরে বেরিয়ে আসার যোগাড়। দিলীপ বলল,এতো সেই শ্মশানের রাস্তায় এসে পড়লাম।দূরে একটা জটলা দেখছি ইকবাল্ভাই চলুন তো কি ব্যাপার। থামান থামান এতো বৌদির গাড়ী।গাড়ী থামতেই দিলীপ নেমে ছুটে যায়।জটলার নজর অনুসরণ করে দেখল পল্টূকে নিয়ে বৌদি আসছে। যশ কাছাকাছি এসে দিলীপকে দেখে হেসে বলল,হি ইজ নট এ্যাট অল চাইল্ড কেন তোমরা খুজচো? গাড়ীর দরজা খুলে অঙ্গনকে ঠেলে ঢুকিয়ে দিয়ে কোলে বাচ্চাকে দিয়ে অন্য দিক দিয়ে যশ উঠল।জানলা দিয়ে মুখ বের করে বলল,দিলীপ আসি।  গাড়ী চালাতে চালাতে যশ আড় চোখে দেখল গভীর মনোযোগ দিয়ে বাচ্চার দিকে তাকিয়ে আছে।যশ বলল,একটু বড় হোক ওকে নিয়ে দিল্লী চলে যাব। --তুমি গেলে আমি বাচব না। --শাট আপ ঝুটি কাহিকা আমাকে দেখলেই খালি মনে পড়ে? --বিশ্বাস করো ওকে ছুয়ে বলছি গঙ্গার ধারে দাঁড়িয়ে তোমার কথাই ভাবছিলাম। --তোমাকে বিশ্বাস কেয়া হামে বুদ্ধু লাগতা। বাচ্চার মাথা ঝুলে গেছে অঙ্গন পা ধরে আছে।যশ দেখে বলল ঠিক করে ধরো।ঘাড়ের নীচে হাত দাও। অঙ্গন বাচ্চা সামলাতে সামলাতে বলল,আমিও দিল্লী যাব। --তোমার মাম্মী রাজী হবে? --হু ইজ শী?আই উইল বি দা ওয়ান টু ডিসাইড এ্যাবাউট মি। যশের ভালো লাগে অঙ্গনের এই দৃঢ়তা।কেমন ভেঙ্গে পড়েছিল।  দুটো গাড়ী প্রায় একসঙ্গে এসে থামলো।আকাশে হালকা আলোর আভাষ। যশ বলল,দিলীপ থ্যাঙ্ক ইউ গুড নাইট।ইকবালজী কাল আর সকাল তো হয়ে এল মোহনলালজীকে বলবেন আজ গাড়ী আনার দরকার নেই।      পল্টূকে শ্মশানে দেখতে না পেয়ে দিলীপ ভাবছিল কি করে মুখ দেখাবে।বৌদির ব্যবহারে অবাক হয়,কথায় ভাবে কোনো ক্ষোভের কোনো আঁচ নেই।এই পাঞ্জাবী মহিলাকে খুব ভাল লাগে। অঙ্গনকে বসে থাকতে দেখে যশ বলল,বসে আছো কেন,বেরোবে না? --ওকে না ধরলে কি করে বের হবো? যশ নীচু হয়ে কোল থেকে বাচ্চাকে নিতে গেলে অঙ্গন দেখল স্তন বেরিয়ে পড়েছে।অঙ্গন গাড়ী থেকে নেমে বলল,এই পোশাকে তুমি বাইরে বেরিয়েছিলে?  যশ হাউস কোট টেনে বুক ঢেকে বলল,আমার তখন মাথার ঠিক ছিল? যশের মনে পড়ল "আয় এ্যাম নট বেবি বয়।" বেবি বয়ের নজর সব দিকে। সকাল হয়ে এসেছে প্রায়।বাচ্চাটা ঘুমিয়ে পড়েছে।খালি খাওয়া আর ঘুম,ডায়াপার বদলে শুইয়ে দিল।মৌসীর আসতে দেরী আছে।রান্না ঘরে চা করতে গেল যশ।অঙ্গনের একটু বদল হয়েছে।একদম চুপচাপ ছিল এখন দু-একটা কথা বলছে।  দু গেলাস চা নিয়ে অঙ্গনের কাছে দাড়ালো।হেসে চায়ের গেলাসটা নিতে নিতে বলল,কদিন যেন ঝড় বয়ে গেল। যশের মনে পড়ল বাবাজীর কথা।জিজ্ঞেস করে কিসের ঝড়? চায়ে চুমুক দিয়ে বলল,বাবাজীর কথা শুনে ভয় পেয়েছিলাম অঞ্জনার মত তোমাকে না হারাতে হয়,গুড গড ঝড় দিক পরিবর্তন করেছে। --তুমি একজন রেপুটেড ডকটর।এইসব বুজ্রুকিতে বিশ্বাস করো? অঙ্গন থতমত খেয়ে যায় বলে,বিশ্বাসের কথা নয় কথাটা মিলে তো গেল। --মিলে যায়নি তুমি মিলিয়ে দিয়েছো। চায়ের গেলাস নামিয়ে রেখে অঙ্গন বলল,তুমি বলতে চাইছো জেনের মৃত্যুর জন্য আমি দায়ী? --ওহ গড আমি সেকথা বলিনি।বাবাজী বলেছিল ঝড় হয়েছিল নির্দিষ্ট করে কিছু বলেনি তুমিই ধরে নিয়েছো অঞ্জনা ম্যামের কথা। --তাহলে কার কথা ধরব? --আমি মৌসীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তোমার জীবনে ঝড় হয়েছিল?মৌসী বলল,জরুর।ডাক্তারবাবু না থাকলে তার জামাই বাঁচতো না। --হ্যা বাপি ওর জামাইয়ের চিকিৎসা করেছিল। --তুমি যাকে জিজ্ঞেস করবে সেই বলবে তার জীবনে ঝড় উঠেছিল।এটাই বাবাজীদের ট্যাকটিশ। অঙ্গন চুপ করে কি যেন ভাবে।যশ বলল,বাবাজীর এতই যদি ক্ষমতা তাহলে তোমাকে কেন ডেকে নিয়ে গেছিল?    --তুমি তো এসব কথা আগে আমাকে বলোনি? --আমার কি বাবাজীর মত ক্ষমতা তোমার মুখ দেখে বুঝে যাব?তুমি তোমার মাম্মীকে বলেছো দিলীপকে বলেছো আমাকে বলেছো কখনো?  অঙ্গন লজ্জিত গলায় বলল,আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিলনা--। --জানি।মাম্মিকে দিলীপের জন্য চিন্তা ছিলনা তুমি আমাকে নিয়েই চিন্তিত ছিলে ভেবেছো যদি ভয় পেয়ে যাই? অঙ্গন বলল,এসো আমার কাছে। --আমার ওজন রাখতে পারবে? --তোমার ওজন বেশী বলিনি।বলেছি অর্ধেক মাংস তোমার--পাছা দেখিয়ে বলল,এখানে। যশ কোলে বসে গলা জড়িয়ে বলল,তুমি বহুত নটখটি--।আরো কিছু করার আগে কলিং বেল বেজে ওঠে।যশ উঠে দাঁড়িয়ে বলল,মৌসী এসেছে। 
Parent