কয়লা নগরীর মেয়েরা - অধ্যায় ৩০

তারপর রোজকার মত অফিস শুরু হয় আর একসময় সন্ধ্যে হয়ে যায়। সবার দিনের প্রোগ্রেস চেক করতে গিয়ে দেখি পরদিন যে কনসাইনমেন্ট চায়না পাঠানোর কথা তার প্রায় 500 প্যাকেট রেডি নয়। প্যাকিং এর ফিনিসিং কভার লাগানো বাকি। আমি মেয়ে তিনটার ওপর চেচাতে শুরু করি ওদের প্যাকেজিং টার্গেট কমপ্লিট হয়নি বলে। আর বলি প্যাকেজিং কমপ্লিট করেই সবাই বাড়ি যেতে পারবে। তারক আর পবন দুজনের বাড়িই দূরে। ওরা আপত্তি করে। মেয়ে তিনটে বলে ওদের আরও 2 বা আড়াই ঘণ্টা সময় লাগবে। আমি পবন আর তারককে বাড়ি চলে যেতে বলি। ওরা চলে গেলে মায়া গিয়ে মেইন গেট বন্ধ করে দিয়ে আসে। ফিরে আসার সময় মায়া শাড়ি আর শায়া খুলে ফেলে শুধু ব্লাউজ আর প্যান্টি পড়ে অফিসে ঢোকে। ওদিকে তাকিয়ে দেখি পিঙ্কি আর পারু সব খুলে ল্যাংটো হয়ে দাঁড়িয়ে। মায়াও ল্যাংটো হয়ে যায় আর বলে, স্যার আপনার নিয়মে সন্ধ্যা ছয়টার পরে আমরা ল্যাংটো হয়েই কাজ করবো। আমি হেঁসে উত্তর দেই, যেভাবে খুশী থাক, আমার কাজ পুরো করা চাই। ওরা তিন জনেই প্যাকিং করতে চলে যায়। পিঙ্কি বলো স্যার আপনিও নাঙ্গা হয়ে বসতে পারেন। আমি ডেইলী রিপোর্ট বানাতে লাগি। পাঁচ মিনিট পরেই পিঙ্কি আমাকে ওদের ঘরে যেতে বলে। গিয়ে দেখি টেবিলে 500 টা প্রোডাক্ট পুরো প্যাকিং করে রেডী হয়ে আছে। আমি অবাক হয়ে বলি, এই পাঁচ মিনিটের সব রেডী কি করে হল! পিঙ্কি বলে, স্যার এগুলো আগেই করে রেখেছি। পারু বলে, রেডী করে লুকিয়ে রেখেছিলাম। মায়া বলে, যাতে এমনি বাহানায় ছেলে দুটো চলে যায় আর শুধু আমরা তিনজন এখানে থেকে যেতে পারি। এখন আমরা তিনজন আপনার সাথে নুঙ্কু নুঙ্কু খেলবো।