মা আমাদের তিন পুরুষের - অধ্যায় ৩২
মা- হ্যা বাবা রেগে গিয়ে কোন সিন্ধান্ত নিস না তোর মায়ের কি হবে তুই যে আমার শেষ সম্বল। উনি তো শেষ হয়ে এমনিতেই গেছেন এখন আর কিছু পারেনা তোকেই সব দেখতে হবে।তুই যা বলবি আমরা তাই শুনবো বাবা রাগ করেনা সোনা বাবা আমার। তোর মা তো খারাপ সে আমি অস্বীকার করব না, সত্যি আমি খারাপ অনেক খারাপ কাজ করেছি, না হলে স্বামী ছেরে শশুরের কাছে চলে আসি আমি।
বাবা- না তোমার মা খারাপ না আমি ওকে খারাপ করেছি যা সাজা আমাকে দিও ওকে কষ্ট দিওনা তুমি, আমি সব বাধ্য করেছি।
আমি- সব বুঝলাম তোমাদের সব হবে কিন্তু আমি কি পাবো, আমার সম্পত্তি লাগবেনা দরকার নেই আমি একা থাকতে পারবো, আমার তো সংসার করতে হবে বয়স তো হল। এখানে থাকলে সে তো হবেনা, আমি কাজ করব আর তোমরা সুখ করবে সে আমি মানতে পারবো না। কেন আমি তোমাদের পাপের বোঝা বইব। আমি ওই মেয়ে দুজনেই তো তোমাদের পাপের ফসল তাইনা। না হলে বউমা শশুর এই কাজ করে। ইচ্ছে করে তোমাদের দুজনের গলা টিপে মেরে ফেলি আমি।
মা- কোন মতে কি মানা যায়না বাবা একবার ভেবে দ্যাখ উনি তো তোমার সব কথা মানতে রাজি একবার ভেবে দ্যাখ, কি বলেন আপনি, আপনার ছেলেকে বোঝান। কি হবে আমাদের।
বাবা- আমি বললাম তো ও যা বলবে আমি তাই শুনবো তবু আমাদের সাথে থাক। দ্যাখ তুমি যেভাবে থাকতে চাও আমার আপত্তিনেই কারন তুমি সব জানো এখন। কি চাও তুমি বল।
মা- বলল থাকবে ছেলে আমার মায়ের কাছে থাকবে আপনি দেখবেন এখন রাগ করেছে মায়ের ভালোবাসা পেলে অবশ্যই থাকবে। বল বাবা কি হলে তুই থাকবি বলনা আমাকে। তোকে সব লিখে দেবে বলেছে তো। এই বয়সে আর কষ্ট দিস না ওনাকে, এই বংশটা রক্ষা হল ওনার জন্য না হলে সব ছিন্নভিন্ন হয়ে যেত এতদিনে।
বাবা- তুমি যেভাবে থাকতে চাও থাকো আমি আপত্তি করব না।
আমি- তোমরা দুজনে যদি রাজি হও তো আমি থাকবো, তবে আমার একটা পরিচয় থাকতে হবে। যদি তোমরা দাও তো আমি থাকবো, আমি তো ওনার সন্তান, ওনার মতই থাকবো।
মা- বলনা বাবা কি চাস তুই, কি আপনি বলেন আপনার ছেলেকে।
বাবা- হ্যা বল বাবা তুমি কি চাও।
আমি- মায়ের স্বামী তো মারা গেছে উনি কি এখন বিধবা না সধবা সেটা আমার জানা দরকার। ওখানে গিয়ে তো বিধবা হয়েছিল কিন্তু এখন তো লাল শাড়ি ব্লাউজ পরে বসে আছে, ওনার পরিচয় কি এখানে।
বাবা- না এখানে এখনো কাউকে কিছু বলা হয়নি, কারন কেউ এ বাড়িতে আসেনা, কোন পরিচয় নেই এখানে।
আমি- সে তো হতে পারেনা, নিজের ছেলের বউকে শয্যা সঙ্গিনী করেছেন তার মরজাদা দেবেন না তাই হয়।
বাবা- কি করব বলো তুমি।
আমি- কি আবার বিয়ে করবেন, আমার মাকে আমি থেকে বিয়ে দেব আপনাদের।
বাবা- বলল কি বলছ তুমি এই বয়সে আর বিয়ে না না তার কোন দরকার নেই। যেমন আছে তেমন থাক। কি বলে, তুমি তো কিছু বলছ না তোমার ছেলে কি সব বলে যাচ্ছে।
মা- বলল হ্যা তাইতো এই বয়সে বিয়ে সে কি হয়, আমার না হয় বয়স আছে কিন্তু ওনার কি আর সে বয়স আছে তুমি কি বলছ বাবা এই বয়সে লোকে কি বলবে জানাজানি হয়ে যাবেনা। এসবের দরকার নেই।
আমি- না তবে আমার পরিচয় কি হবে এখানে। উনি তোমাকে বিয়ে করুক আমি বাবা মায়ের সাথে থাকবো, না হলে কি পরিচয়ে থাকবো। এরপরে তোমরা যা কর আমি দেখেও দেখবো না, তোমরা যা কর সব অবৈধ কাজ। সে তো আমি মেনে নিতে পারিনা।
বাবা- না সোনা অমন কথা বলেনা এসব এখন সম্ভব না। যেমন আছে তেমন থাক, আমি তোমার বাবা, উনি তোমার মা আর কি চাই।
আমি- বললাম সে ঠিক আছে আমার কাগজে তো উনি মা আর আপনার বড় ছেলে বাবা তাইনা। আপনি তো বাবা না আপনি আমার দাদু। বাবা হতে গেলে তো বিয়ে করতে হবে না হলে আমি আপনার সম্পত্তি পাবো কি করে।
বাবা- আমি মরে গেলে তো সব তোমাদের হবে তাইনা।
আমি- তখন আমি পাবোনা কারন ওই মেয়ে সব পাবে ওর বাবার নাম আপনার কিন্তু আমার বাবার নাম তো আপনার বড় ছেলে তাইনা। এঁর একটা বিহিত হওয়া দরকার।
বাবা- ও ছোট মেয়ে কি বোঝে তুমি বল, ও তো তোমার মেয়ের মতনই তাইনা। ওকে তুমি লালন পালন করে বড় করে তুলবে এটা আমি চাই।
আমি- এতদিন ধরে আমার মাকে ভোগ করেও তাকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দেবেন না আপনি তবে আমি আপনার সাথে কি করে থাকবো।
বাবা- কেউ তো জানতে আসছেনা আমাদের কি সম্পর্ক তাতে তোমার এত সমস্যা কেন। না কি আরো কিছু তোমার চাওয়ার আছে আমাকে বলো। তোমার মা তো এব্যাপারে কিছু বলেনি আমাকে।
মা-বাবা ও সব বাদ দিয়ে এখন তুই এখানে এভাবেই থাকনা পরে দেখা যাবে।
আমি- না না সব পাকাপাকি হওয়া দরকার। গোপনে আমি এতকিছু পারবোনা। যা হবে সামনে। মা তোমার উপরে আমার অনেক রাগ ভেবনা আমি সব ভুলে গেছি তাইত আমি সব ঠিক করে নিতে চাই পাকাপাকি ভাবে। পরে জাতে সমস্যা না হয়। তুমি তো আমাদের দুই পুরুষের রক্ষিতা তাইনা, ওনার বড় ছেলের বউ আর ওনার শয্যা সঙ্গিনী, কি আর বলব তোমাকে তাই চুপ থাকবে বলে দিলাম।
বাবা- রাগ করেনা সোনা বাবা আমার এতকিছু করতে গেলে এখানে থাকা সম্ভব হবেনা আমাদের, আমাদের বয়সের পার্থক্য দ্যাখ আর যদি বলি এখন বিয়ে করব তবে সবাই প্রশ্ন করবে এতদিন কি সম্পর্ক ছিল আমাদের। তাই এসব সম্ভব নয়, তোমার রাগ আছে আমি বুঝি তবুও তুমি সব মেনে নাও তাতে আমাদের সবার ভালো হবে।
মা- হ্যা বাবা আর কথা বাড়িয়ে লাভ নেই, এসব বাদ দিয়ে অন্য কিছু বল।