মা- এক সত্য ভালোবাসা - অধ্যায় ৫

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-58136-post-5375465.html#pid5375465

🕰️ Posted on November 20, 2023 by ✍️ Xojuram (Profile)

🏷️ Tags:
📖 3869 words / 18 min read

Parent
পর্বঃ ০৪  দিন কেটে মাস, মাস কেটে বছর চলে গেলো। ধীরে ধীরে, সূর্য 20 বছর এবং নয়না 19 বছর বয়সী হয়ে গেলো। ওদিকে এত বছর ধরে  শরীরের আগুনে জ্বলতে থাকার পরেও শালিনী কখনও ভুল পদক্ষেপ। এমনকি ছেলে মেয়ে বড় হয়ে যাওয়ার পর থেকে আর সে হস্তমৈথুনও করে না।  সঞ্জয় তাকে বলেছিল সে নিজেই তার কাছে যাবে কিন্তু এসবের কিছুই হয়নি। * সকাল 6 টায়, অ্যালার্ম বেল বাজতেই সূর্য জেগে ওঠে। সে একবার নয়নার দিকে তাকায়, যে পৃথিবীর চিন্তা ছাড়ায় ঘুমিয়ে ছিল। সূর্য নয়নার কপালে চুমু খেয়ে বেরিয়ে যায়। সূর্য চলে যাওয়ার প্রায় 2 ঘন্টা পরে নয়না জেগে ওঠে। নয়না তার বাড়তে থাকা বয়সের সাথে আরও সুন্দর হয়ে উঠেছিল। তার সৌন্দর্য দেখে যেকোনো ভাল মানুষের হৃদয়ও শিহরিত হয়। (নায়না আর সূর্য উপরের ঘরে থাকে। উপরে 4টি ঘর, নীচে 3টি ঘর। নিচের ঘরের একটি ঘরে শালিনী থাকে, একটি ঘরে ভোলি এবং অন্য ঘরে সঞ্জয়।) শালিনী এখন ভোলিকে রান্নাঘরে হালকা কাজ করতে সাহায্য করে।   শালিনী রান্নাঘরে ছিল তখনই নয়না পেছন থেকে তাকে জড়িয়ে ধরে বললে, নয়না- শুভ সকাল মা। শালিনী হেসে উত্তর  দিলো, শালিনী-  শুভ সকাল সোনা, তোর জন্য এখন সকাল হয়েছে? নয়না- মা, আমি তাড়াতাড়ি উঠি। যদি পারতাম আমি ১০ টার আগে বিছানা ছেড়ে উঠতাম না। শালিনী- বাব্বাহ, তুই সকাল ১০টায় ঘুম থেকে উঠতে চাস! নয়না- হ্যাঁ মা। শালিনী-  আমি তোর পা ভেঙ্গে দেব যদি তুই  সকাল ১০টায় ঘুম থেকে উঠিস। আর কিছু না হলে তোর দাদার কাছ থেকে কিছু শেখ। দেখ কেমন করে সে সকাল ৬টায় উঠে জিমে যায়।  আর তুই আছিস যে তার দাদার সাথে সব সময় লেগে থাকিস, কিন্তু  দাদার মতো কাজ করিস না। নয়না- মা আমি দাদার অসমাপ্ত কাজ শেষ করে দিচ্ছি তো! শালিনী- সূর্যের  কোন অসমাপ্ত কাজটা তুই করছিস শুনি? নয়না-  মা, দাদা তাড়াতাড়ি জেগে ওঠে, তাই দাদার বাকি ঘুমটা আমি শেষ করি। এই কথা বলার সাথে সাথে নয়না জোরে হাসতে থাকে। শালিনী- খুব হাসি হচ্ছে না! নয়না- মা, দাদা এখনো জিম থেকে ফিরে আসেনি।  দেখ,৮ঃ২০ বাজে। শালিনী- আমিও সূর্যকে এই বিষয়ে অনেকবার জিজ্ঞাসা করেছি কিন্তু ও আমাকে কিছুই জানায়নি। আগে  যেত ৬টায় আর ৭টায় ফিরত, জানি না এতক্ষণ কোথায় থাকে ইদানীং! গত ৮মাস ধরে এমন দেরী করছে সূর্য। নয়না-  ৮ মাস হয়ে গেল আর তুমি কিছুই বলোনি? শালিনী- আমি যখনই সূর্যকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করি, ও আমাকে কোনো না কোনো অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যায়। নায়না- আচ্ছা, দাদাকে আসতে দাও, আজ জিজ্ঞেস করব এত মাস দেরি করে ফিরছে কেন? ঠিক তখনই নয়না সূর্যের আওয়াজ শুনতে পায়। সূর্য- কি জিজ্ঞাসা করার কথা বলিস, নয়না? নয়না সূর্যের দিকে তাকায়। সূর্যের টি-শার্টটা তখনও ওর ঘামে ভিজে শরীরে চিপকে আছে।  টি-শার্টের ওপর থেকে সূর্যের পেশিগুলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। নয়না তার দাদার সুদর্শন মুখ এবং অপূর্ব শরীরের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে। নয়না- দাদা, আমি তোমাকে কি জিজ্ঞেস করব। মা-ই তো আমাকে তোমার বিরুদ্ধে উস্কানি দিচ্ছিল, হাই হাই। সূর্য এগিয়ে গিয়ে শালিনীর গালে আদর করে চুমু খায়। সুরজ- মা, ওর জিভটা খুব পাতলা হয়ে গেছে। আমি বলছি কি, ওকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে  বাড়ি থেকে বের করে দাও। কেমন মিথ্যা বলছে দেখো! এই বলে সূর্য শালিনীর দিকে তাকায় আর শালিনী হাসে। শালিনী- সোনা, তুই একদম ঠিক বলেছিস। আমিও একই কথা ভাবছি, ওর এই বকবক শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে গেছি। দেখ বান্দরনী তোর দাদা তোর মিথ্যা কেমন ধরে ফেলেছে। নয়না- তোমাদের দুজনের নাটক আমি খুব ভালো করেই বুঝতে পারছি। আর যতদূর বিয়ের কথা, যেখানে আমি বিয়ে করব সেখানে আমার দাদাও  আমার সাথে যাবে। শালিনী- তোর সাথে ও যাবে কেন! আমার ছেলে আমার কাছে থাকবে। নয়না- দাদা আমার সাথে যাবে কারণ আমি দাদার হৃদয়ে থাকি আর আমার মনও দাদার হৃদয়ে থাকে। শালিনী-  তোর হৃদয়  নেই কোনো যে দাদার কাছে সব ধার দিয়ে রেখেছিস? নয়না- আমিও একই কথা বলছি যে আমার হৃদয় নেই। কারণ আমার হৃদয় আমার দাদার কাছে আছে। যাই হোক দুদিন পর কলেজে আমার প্রথম দিন হবে, তাই আমি এখন বিয়ে করছি না।আমি আগে পড়াশুনা করব, তাই এখন কিছুতেই বিয়ে করব না। শালিনী- আমি ভালো করেই জানি তুই কতটা পড়ালেখা করিস।  তুই একবার ফেল করেছিলি,। না হলে তুই এক বছর আগেই কলেজে পৌঁছে যেতিস। তাই তোকে সূর্যের কলেজে ভর্তি করিয়েছি। ভাল করে পড়বি। আর সুর্য, নিজের বোনের খেয়াল রাখিস। ঠিকমতো পড়াশুনা না করলে ওকে মার দিবি আচ্ছা মত। নয়না তার মুখ কালো করে বলে, নয়না- দাদা, তুমি আমাকে মারবে? আমাকে মারলে কিন্তু আমি খুব কাঁদব। সূর্য মজা করে বলে, সূর্য- আমি যদি তোর কথা মেনে নিই তাহলে তোর পড়াশুনার ক্ষতি হয়ে যাবে। যায়হোক, সময় আসলে সব জানা আর বোঝা যাবে।  আমি এখন স্নান করতে যাচ্ছি। সন্ধ্যায় আমাকে টিউশনি পড়তে মায়ের বান্ধবীর বাসায় যেতে হবে। এই বলে সূর্য স্নান করতে যায়, আর নয়না, নয়না- মা তোমার বান্ধবী কে? শালিনী- ভূমি, ও আমাকে ইংরেজি পড়াতো। এখন ও শিক্ষিকা হয়েছে। আর সূর্যের ক্লাস টিচারও বটে। আমার অনেক অনুরোধের পর ও সূর্যের টিউশনি পড়াতে রাজি হয়েছে। নয়না হাসছে... নয়না- ওহ! আমি ভেবেছিলাম সে আমার মায়ের  কোন ছেলে বন্ধু। আর আমার মায়ের সাথে প্রেম করতো হয়তো ছাত্রজীবনে, হি হি হি হি। শালিনী কোন উত্তর দেওয়ার আগেই নয়না পালিয়ে যায়। নয়না পালিয়ে যেতেই শালিনী হাসতে শুরু করে, কিন্তু পরের মুহুর্তে তার হাসি হারিয়ে যায়। শালিনী তার সমস্ত জীবনের কথা ভাবতে থাকে। তার যৌবনের ২০ বছর কেটে গেছে অর্থাৎ ২০ বার বর্ষাকাল হয়েছে আবার চলেও গেছে কিন্তু শালিনীর জীবনে কোন সবুজ আর স্নিগ্ধ সকাল আসেনি। আজ শালিনীর বয়স আজ প্রায় 39 বছর। আজও সে তার শ্বশুরের দেখানো পথে চলে। কিন্তু আজ সে আর নিজের গরম আর কাম নেশায় ডুবে থাকা যোনীতে আঙ্গুল ঢোকায় না। নয়না আর সূর্য কিছুই ঠিকঠাক জানেনা শালিনীর কথা। শালিনী কত কষ্ট আর কঠিন জীবন পার করছে সেটাও তাঁর সন্তানরা জানেনা। কিন্তু আজও শালিনী পাথরের মত শক্ত দাড়িয়ে আছে। শীত তাকে বরফে মুড়িয়ে দিতে পারেনি আর গ্রীষ্ম তাকে পুড়িয়ে দিতে পারেনি। সে শক্ত হাতে সব সামলে গেছে আর যাচ্ছে। , পরবর্তী দিন শালিনী এত বছরে সবই শিখেছে, অর্থাৎ গাড়ি চালানো, কম্পিউটার ব্যবহার করা, এমনকি সপ্তাহে একবার কোম্পানিতে যাওয়াও সে অভ্যস্ত করে নিয়েছে। আজও, শালিনী কোম্পানির অফিসে বসে কোম্পানির খুঁটিনাটি দেখছিল।  কারণ সূর্য আর নয়না বড় হওয়ার পর থেকে সে কোম্পানির বিবরণ বাড়িতে নিয়ে আসেনি, ছেলে মেয়ে যেন এসব ঝামেলা বুঝতে না পারে তাই সব হিসাব সে নিজেই কোম্পানিতে গিয়ে দেখে। শালিনী ফাইলের দিকে তাকিয়ে ছিল। হঠাৎ কেবিনের দরজা খুলে যায় আর শীতল নির্ভয়ে ভিতরে আসে। সে ভেবেছিল সঞ্জয় আছে কিন্তু শালিনীকে দেখে তার আত্মা কেঁপে ওঠে আর সে চলে যেতে চায়। শালিনী তাকে থামিয়ে তার কাছে যায়... ঠাসসসসসসস শালিনী- বেয়াদব মহিলা, কেবিনের গেট নক না করে ভিতরে এলে কি করে তুমি? শীতল তার গালে হাত বুলাতে বুলাতে বলে, শীতল- আমি দুঃখিত ম্যাডাম, আমি ভেবেছিলাম আপনার হাজবেন্ড আছে এখানে তাই...... শালিনী- চুপ, এখানে কাওকে আমার স্বামী বলবেনা তুমি। আমি এই কোম্পানির বস আর সে খালি একজন  চাকর যে আমার টাকায় খায়,চলে। শীতল- ইয়ে মানে...... শালিনী- মানে আমাকে বোঝাতে হবেনা। একজন পুরুষে রুমে তুমি নক না করেই ঢোকো এরমানেটা যে কেও বোঝে। তুমি তার রক্ষিতা এটা আমি ভালোই জানি।বাবার কথা রাখার জন্য আমি এখনো চুপ আছি এই কুকুরের বিষয়ে কিন্তু এই কোম্পানিতে কোনো রক্ষিতার কোনো ভূমিকা নেই। শালিনী এই কথা বলার সাথে সাথেই শীতল মাথা নিচু করে চলে যায় । তারপর শালিনী সঞ্জয়ের দিকে তাকায়। শালিনী- তাহলে তুমি এমন লোকদেরও নিয়োগ করো, যাদের কোনো আদব নেই।  আর এই মহিলাকে আজকের পর অফিসে যেন না দেখি, ও থাকলে তুমি আর ও ,দুজনকেই বের করে দেবো। সঞ্জয়- তুমি আমাকে ভুল বুঝছ,শালিনী। ঠাসসসসসস শালিনী- আমার নাম নেওয়ার সাহস কি করে হয় তোমার। মালিককে নাম ধরে ডাকে না।  ম্যাডাম ডাকে, শুধুই ম্যাডাম। সঞ্জয়- কিন্তু তুমি আমার স্ত্রী এবং স্বামী হয়ে আমি তোমার নাম নিতে পারি না। শালিনী- তুমি আর আমার স্বামী না। তুমি... তুমি আমার শ্বশুর-শাশুড়ির খুনি। সঞ্জয়- আমি কোথায় মেরেছি? তারাসে নিজেরাই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে। শালিনী-  তোমার কথার আঘাতের কারণে আমার বাবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল, আর বাবা মারা যাওয়ার সাথে সাথে আমার মাও সেই শোক সইতে না পেরে আমাকে ছেড়ে চলে গেলো আমাকে একা করে। সঞ্জয়- কিন্তু শালিনী... ঠাসসসসসস (আবার সঞ্জয়ের গালে চড়) শালিনী রাগে হিস করে উঠল। শালিনী- আমি তোমাকে এখনই কি বলেছিলাম যে আমাকে নাম ধরে ডাকবে না। এরপর তুমি আবার আমার নাম ধরে ডাকলে আমি তোমাকে কোম্পানি থেকে বের করে দেব। সঞ্জয় তার গালে হাত বুলাতে বুলাতে বলে, সঞ্জয়- ভুলে যেও না তুমি যে কন্যার জন্ম দিয়েছো আমি তার বাবা। শালিনী- ও শুধু আমার মেয়ে,তোমার না। তোমার কি মনে আছে তুমি কি বলেছিলে যখন আমি তোমাকে আমার গর্ভাবস্থার খবর বলেছিলাম! তুমি আমার উপর নোংরা অপবাদ দিয়েছিলে। মনে আছে? (চিল্লিয়ে) শালিনীর কথা শুনে সঞ্জয় খুব রেগে যায়, কিন্তু এই মুহূর্তে কিছু করতে পারে না। শালিনী গজগজ করে বলে, শালিনী- কোথায় তুমি কন্যার বাবা? তুমিতো আমাকে ;., করেছো। ধর্ষক কখনো আমার স্বামী হতে পারে না, তুমি সারাজীবন আমার চাকর হয়েই থাকবে।  কথাটা বলার সাথে সাথে শালিনী আবার কোম্পানির খুঁটিনাটি দেখতে শুরু করে আর এই মাসের হিসাব দেখা মাত্রই শালিনীর মেজাজ গরম হয়ে যায়। শালিনী- তোমার এখনো উন্নতি হয়নি! সঞ্জয়- এখন আবার কি করলাম? শালিনী- কোম্পানির বিবরণ অনুযায়ী ৫ লাখ টাকার ঘাটতি। সেই টাকা কোথায় গেল? সঞ্জয়- দেখো শা… মানে ম্যাডাম, এটা একটা ছোট ব্যাপার, এতে এতো রাগ করার কী দরকার? শালিনী- এটা হয়তো তোমার কাছে একটা ছোট জিনিস কিন্তু আমার কাছে এটা অনেক বড় ব্যাপার। বলো কোথায় খরচ করেছো এই ৫ লাখ টাকা। সঞ্জয়ের কপালে ঘাম জমেছে। সে ভালো করেই জানত সত্যি কথা বললে কী পরিণতি হবে। এবার অবশ্যই তাকে জেলে পাঠাবে। সঞ্জয়- এবার কোম্পানির ডিটেইল ম্যানেজার বানিয়েছে, তাই ৫ লাখ টাকা কোথায় গেল তা আমি জানি না। শালিনী- পুলিশ ডাকো। সঞ্জয়- কিন্তু ম্যাডাম। শালিনী রেগে সঞ্জয়ের দিকে তাকিয়ে বলে, শালিনী- তোমাকে কি বলেছি! পুলিশকে ডাকো নইলে আমি পুরো দোষ তোমার ওপর চাপিয়ে দেবো আর তোমাকে জেলের ভেতরে ঢুকিয়ে দিব। সঞ্জয় পুলিশকে ডাকতে চায়নি কারণ ম্যানেজার ছিলো শীতলের স্বামী।  শীতলের পর সেই সবচেয়ে বিশ্বস্ত ব্যক্তি ছিলো তাঁর। কিন্তু সঞ্জয় পুলিশকে ফোন করতে বাধ্য হয়, পুলিশ এসে ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করে। ওদিকে শালিনী সব গুছিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। * সূর্য তার টিউশনিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলো। নায়না ডাইনিং হলে বসে টিভি দেখছিলো। শালিনীও বসে ছিল নয়নার সাথে। সূর্য উপর থেকে নেমে আসে। মা আর বোনের থেকে বিদায় নিয়ে পড়তে চলে যায়। সূর্য চলে যাওয়ার সাথে সাথে শালিনী নয়নাকে বলে, শালিনী- দেখ তোর দাদা কত পরিশ্রম করে, তুইও তো পারিস নিজের দাদার মত পরিশ্রম করতে! নায়না-  আমাকে পরিশ্রমের দরকার নেই মা। আমার দাদা আমার ভাগের পরিশ্রম করে দেবে। শালিনী- নয়না, তুই আর বাচ্চা নস। এখন বড় হয়ে গেছিস। শুধু ভাব কাল তোর বিয়ে হবে, তখন কি হবে। তুই কি বুঝতে পারছিস আমি কি বলতে চাই? নয়না- আমার বিয়ে করার কি দরকার। আমার সাথে আমার দাদা আছে। আমি দাদার সাথেই থাকবো। শালিনী এবার হেসে ফেলে আর বলে, শালিনী- সে তোর দাদা, স্বামী নয়। একটা মেয়েকে তার স্বামীর সাথেই সারাজীবন থাকতে হয়। নয়না তার মায়ের সাথে মজা করে বলে, নয়না- তাহলে আর কি, আমি আমার দাদাকেই আমার স্বামী বানাবো। একবার ভাবো মা। আমার মতো পুত্রবধূ তুমি কোথাও পাবে না, হাহাহাহা। এটা ছিল শালিনী আর নয়নার নিত্যদিনের রুটিন। আর নয়নার সাথে কথা বলার সময় শালিনীও একটু দুঃখ ভুলে যায়, নইলে ওর জীবনে সুখ কোথায়! আর নয়নার তাঁর দাদার সাথে বিয়ের কথাটা শালিনী খুব ক্যাজুয়ালি নেয়। এটা নিয়ে সে বাড়াবাড়ি করতে চায়না যাতে ছেলে আর মেয়ের মধ্যে দূরত্ব তৈরী না হয়ে যায়। তাই মজা হিসেবেই নেয় সে এটা। সে যদি এটার কারণে নয়না বকাঝকা করতো তাহলে তাঁর মধ্যে এটা নিয়ে ভাবনা বেড়ে যেতো তাই শালিনী খুব চালাকির সাথে বিষয়টা মানিয়ে নিচ্ছে প্রতিনিয়ত। এবার শালিনীও নয়নাকে মজার ছলে বলে, শালিনী- আমার বউমা আর তুই, ছি! তোর মত মেয়েকে আমি কখনই আমার বউমা বানাতে পারবো না। নয়না- কেন আমার মধ্যে কি রয়েছে যে আমাকে তোমার বউমা বানাতে পারবে না? আরে, হারিকেন নিয়ে খুঁজলেও আমার মতো মেয়ে পাবে না তুমি হিহিহিহিহি। শালিনী- খুব মজা হয়েছে নয়না। ভোলিকে এক কাপ কফির জন্য বল। নয়না- মা ভোলি মাসির সাথে কথা বলার কি দরকার, আমি তোমার জন্য কফি বানাবো। শালিনী- হুমমম যা। নয়না কফি বানাতে যায়। কিছুক্ষণ পর সে যখন কফি নিয়ে আসে তখন শালিনী চোখ বন্ধ করে কিছু ভাবছিলো। নয়না- চোখ খোলো শাশুড়ি মা, তোমার পুত্রবধূ তোমার জন্য গরম কফি এনেছে, হিহিহিহি। নয়নার কথা শুনে শালিনী হাসতে থাকে আর নয়নার গালে চুমু দিয়ে দেয়। শালিনী- তুমি খুব দুষ্টু হয়ে গেছিস সোনা। অতি দুষ্টুমি করাটাও ভালো কাজ নয়। নয়না- মা, এটাই আমার টাইম পাস। জীবনে না হাসলে জীবনটা একঘেয়ে হয়ে যাবে যে। তারপর নয়না একটু সিরিয়াস হয়ে যায়। নায়না- আমি বাবার কথা জানতে চাই মা। কেন তুমি আর তার সাথে মেশো না, এতো বছরে কোনোদিন কেন তোমাদের স্বামী-স্ত্রীর মত দেখিনি মা? এমনকি যে বাড়িতে দুজনে একে অপরের সাথে কথাও বল না। নয়নার কথা শুনে শালিনীর মুখের হাসি মিলিয়ে যায়। শালিনী- তোর সাথে আগেও এই কথা বলেছি, আজও কথা বলছি। সময় আসুকসব বলবো। সূর্য বুঝতে পেরেছে কেন আমি তোদের বাবার সাথে কথা বলিনা তাই ও আর আমাকে জিজ্ঞেসও করে না। কিন্তু তুই এখনো বুঝতে পারছিস না তাই প্রতিদিন আমাকে একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে থাকিস। নয়না- মা, আমি জানতে চাই সেই কারনটা কী যার জন্য দুজনে একে অপরের সাথে কথা বলো না।  এমন কি একঘরে থাকোও না। নয়নার কথা শুনে শালিনীর রাগ উঠে যায়। তবে স্বাভাবিকভাবে বলে, শালিনী- চুপ কর নয়না, আর কোনো প্রশ্ন না। আমি আগেই বলেছি সময় এলে সব বলবো,তাই তুইও সঠিক সময়ের  অপেক্ষা কর। তুই কি তোর মাকে এতটাও বিশ্বাস করিস না? নয়না- মা তোমার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে, কিন্তু..... শালিনী- কিন্তু..... যখন সময় আসবে আমি এই কিন্তুর উত্তর দেবো। আমি তোকে নিরাশ করব না। এখন আর তোর দিক থেকে আমাকে এই বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করিস না যেন সোনা, ঠিক আছে? নয়না- হুম ঠিক আছে মা। শালিনী সেখান  থেকে উঠে তার ঘরে যায় আর রাকেশ কুমারের চিঠিটা বের করে যা পড়ে সে সাহস পেয়েছিল আর সে সঞ্জয়ের মতো এক জানোয়ারের মুখোমুখি হয়েছিল। সময়ের সাথে সাথে চিঠিটিকেও মলিন হয়ে গেছে কিন্তু সেখানকার লেখাগুলো শালিনীকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছিলো। শালিনী চিঠিটা আবার পড়ে য়ার পড়ার সাথে সাথেই তার চোখ দিয়ে জল পড়তে শুরু করে। শালিনী নিজেকে নিয়ে ভাবে যে গ্রামের সেই হাসিখুশি থাকা মেয়েটা আজকে কতই না কঠোর হয় গেছে। দশ্যি মেয়েটা যে কিনা নিজের পোষাক ঠিকভাবে সামলাতে পারতোনা, আজ সে নিজের দুই সন্তান, বাড়ি আর অফিস সামলে চলেছে। ৩৯ বছর বয়সি মেয়েটা শুধু একবার কোনো পুরুষের সাথে মিলন করেছে, তাও সেটা স্বামীর দ্বারা ধর্ষিত হয়ে। তবুও ছেলে-মেয়ের কথা ভেবে নিজেকে পাথরের মত শক্ত করে রেখেছে। * ওদিকে পড়ার জন্য ভূমির বাড়িতে পৌঁছায় সূর্য। (যাদের মনে নেই তাদের জন্য, এ সেই ভূমি যে শালিনীকে ইংরেজি পড়াতো । এখন সেই কলেজের টিচার যেখানে সূর্য পড়ে। এখন ভূমির বয়স ও  শালিনীর বয়স সমান, মানে ৩৯ বছর।) সূর্য বাড়ির গেটের বেল বাজায় আর কিছুক্ষণের মধ্যে ভূমি বাড়ির গেট খুলে সূর্যের সামনে দাঁড়ায়। ভূমিকে দেখে সূর্যের মুখ কিছুক্ষণের জন্য হা হয়ে থাকে। ভূমি সবসময় সাদামাটা পোশাক পড়ে কলেজে আসত। সূর্য কখনো ভূমিকে কখনো জিন্স-শার্ট ব্যবহার করতে দেখেনি। কিন্তু আজই প্রথম ভূমিকে এই রূপে দেখলো সে। এমন পোশাকে ভূমির শরীরের প্রতিটি ভাজ সূর্য স্পষ্ট দেখছিলো।যা সূর্যকে অস্থির করে তুলতে যথেষ্ট ছিল। ভূমির ফিগারও অসাধারন ছিল।  ৩৬ এর বুক, ৩৩ এর কোমর এবং সবচেয়ে সুন্দর ছিল তার ৩৮ সাইজের এর নিতম্ব, যা দেখে যে কারো লিঙ্গ মুহূর্তের মধ্যে খাড়া হয়ে যেতে পারে। কেউ কলেজে দেখলে বলতেই পারবেনা যে ভূমির ফিগার এতটা ঘাতক হতে পারে, কলেজে ভূমিকে সর্বদা শাড়িতেই দেখেছে সূর্য। যায়হোক। সূর্যকে এভাবে নিজের তাকিয়ে থাকতে দেখে ভূমি হেসে বলে, ভূমি- সূর্য, তুমি এভাবে কি দেখছো। সূর্যের হাসি দিয়ে বলে। রোদ- কিছু না। ভূমি- এখনও বাইরে দাঁড়াবে নাকি ভিতরেও আসবে? সূর্য ভূমির কথা শুনে ভিতরে গিয়ে সোফায় বসে। ভূমি- সূর্য, তুমি চা না কফি খাবে? সূর্য- কিছু খাবো না। জমি- সূর্য, আমি তোমার মায়ের বন্ধু, তাই আমার সাথে লজ্জা পাওয়ার কোন দরকার নেই। কলেজে তো তুমি একটুও লাজুক নও আর আমার বাড়িতে তোমার লজ্জা লাগছে? এই বলে ভূমি রান্নাঘরে গিয়ে দুই কাপ কফি বানায়। আর সেটা ড্রয়িংরুমে নিয়ে আসে। সূর্যকে একটা কফি দেয়। ভূমি- কফি কেমন হয়েছে? সূর্য কফিতে একটা চুমুক দেয়। সূর্য- খুব ভালো। একটা কথা জিজ্ঞেস করতে পারি ম্যাম? ভূমি-হ্যা। সূর্য- আপনাকে কলেজে এমন পোশাকে দেখিনি, সবসময় সাদামাটা পোশাক পড়ে কলেজে যান আপনি! ভূমি- কলেজের ব্যাপারটা আলাদা। আমি যদি এমন পোশাক পরি তাহলে আমার সিনিয়র টিচাররা হয়তো আমাকে ভুল বুঝবে। কিন্তু কলেজ থেকে আসার পর আমি এমন পোশাকই পরি।  সূর্য ঘরের চারপাশে তাকিয়ে বলে, সূর্য- আপনি এখানে একা থাকেন? মানে, আমি এখন পর্যন্ত আপনাকে ছাড়া কাউকে দেখিনি? ভূমি হাসি দিয়ে বলে, ভূমি- তুমি কি আমার কাছে লেখাপড়া করতে এসেছ নাকি আমার বিষয়ে গুপ্তচারী করতে?  তোমার অবগতির জন্য বলছি যে আমি বাড়িতে একা থাকি না। আমার স্বামীও এখানে থাকে। সূর্য- কিন্তু আমি এখনো দেখিনি কেন? ভূমি- সে অন্য জেলার একজন শিক্ষক, আমার মতোই। তাই সে শনিবার আসেন আর সোমবার সকালে চলে যায়। সূর্য- আর কেউ নেই,মানে আপনার সন্তান? ভূমি- হ্যা আছে, আমার একটা ছেলে আছে। সে হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। তখন সূর্য আর কিছু জিজ্ঞেস করে না কিন্তু ভূমি বলে, ভূমি- সূর্য, আমি তোমাকে কলেজে পড়াই কিন্তু তুমি হয়তো জানো না যে আমি তোমার মাকেও পড়িয়েছি। সূর্য- আমি জানি আপনি আমার মাকে ইংরেজি পড়াতেন। মা আমাকে এই কথা বলেছিলো। ভূমি- কিন্তু তোমার মা হয়তো তোমাকে একটা কথা বলেনি। সূর্য- কি কথা? ভূমি একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে বলে, ভূমি- যখন আমি তোমার মাকে পড়াতাম তখন তুমি খুব ছোট ছিলে। মাঝে মাঝে তোমার মা তোমাকে আমার কোলেও দিতো। আমি তোমাকে আমার কোলে নিয়ে বেশ সময় পার করতাম। কিন্তু তোমার ভিতর একটা বড় বদভ্যাস ছিলো। সূর্য- সেটা কি? ভূমি- তুমি প্রায় প্রায়  আমার জামাকাপড় ভিজিয়ে দিতে, হিহিহিহিহ। (ভূমি আসতে থাকে।) ভূমির এই কথা বলার সাথে সাথে সূর্য লাজুক দৃষ্টিতে তাকায়। ভূমি- আরে, লজ্জা পেয়ো না, তুমি তখন ছোটো ছিলে। এখন তুমি বড় হয়েছো, আর তুমি অনেক সুদর্শনও হয়েছো। তোমার শরীরও খুব সুন্দর হয়েছে। সূর্য হাসিমুখে একটা কথা বলে, কিন্তু ভুল কিছু বলে ফেলে। সূর্য- আপনার শরীরটাও খুব সুন্দর। সূর্যের এই কথাগুলো শুনে ভূমি সূর্যের দিকে তাকায়। আর সূর্যও ভাবছে তার মুখ থেকে কী বের হলো। সূর্য লাজুকভাবে দূরে তাকাতে থাকে। র্যকে এমন করতে দেখে ভূমি হাসতে শুরু করে। ভূমি- সূর্য  তুমি আমার সাথে ফ্লার্ট করছো? আমি তোমার মায়ের কাছে তোমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করবো কিন্তু? সূর্য- সরি ম্যাম, কিন্তু আপনি এতটাই ফিট যে আমার মুখ থেকে আপনাআপনি এই কথা বেরিয়ে এলো। ভূমি- ঠিক আছে সূর্য, তবে ছেলেরা যখন বড় হয় তখন তাদের মুখ খুব খোলামেলা হয়ে যায়। সূর্যের সাহস ক্রমশ বাড়তে থাকে, কিন্তু আজ ভূমির বাড়িতে তার প্রথম দিন। তাই সে খুব বেশি মুখ খুলতে চায়নি। তবুও সূর্য ভূমির সাথে একটু ফ্রি হতে চাইছিলো। সূর্য- ম্যাম জানেন, আপনাকে এই পোশাকে দেখে কেউ বলতে পারবে না আপনি এক সন্তানের মা? ভূমি- এখন তো তুমি পাক্কা আমার সাথে ফ্লার্ট করছো। তুমি ভুলে যাও না যে আমি তোমার শিক্ষক। আর সবচেয়ে বড় কথা হল আমি বিবাহিত।  এখন বই খুলে পড়া শুরু করো। ভূমির কথা শুনে সূর্য চুপ হয়ে যায়। বই খুলে পড়তে শুরু করে। ভূমি একটু কাত হয় সূর্যকে পড়ানোর জন্য। ভূমি কাত হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে ভুমির টপ কিছুটা ঝুকে যায় যার ফলে আর যৌবন সূর্যের দৃষ্টিগোচর হয়। ভূমি তার নিজের সুরে সূর্যকে পড়তে থাকে, কিন্তু সূর্য হারিয়ে গেছে অন্য কোথাও, যেখানে সে শুধু ভূমির বের হয়ে যাওয়া স্তন দেখতে থাকে। ভূমি যখন সূর্যকে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে, তখন সূর্য আমতা আমতা করে আর সে ভূমির কথার উত্তর দিতে পারে না। ভূমি- সূর্য, তোমার মনোযোগ কোথায়। কখন আমি তোমাকে পড়াচ্ছি, আর তুমি আমার একটি প্রশ্নেরও সঠিক উত্তর দিতে পারছ না। এমন কি উত্তরই দিচ্ছো না। সূর্য- সরি ম্যাম, আমি ঠিকমতো মনোযোগ দিইনি, কিন্তু এখন থেকে আমি মনোযোগ দেবো। ভূমি- ঠিক আছে আজ প্রথম দিন তাই আমি তোমাকে ছেড়ে দিচ্ছি কিন্তু কাল থেকে তোমাকে ছেড়ে দেবো না বলে দিলাম। যাও আজকে ছুটি তোমার, কালকে ঠিক মন আর মুড নিয়ে পড়তে আসবে। ভূমি এই কথা বলার সাথে সাথে সূর্য তার বইগুলো তুলে নিয়ে ভূমির বাড়ির থেকে বের হয়ে যায়। সূর্য চলে যাওয়ার সাথে সাথে ভূমি মনে মনে ভাবতে থাকে- কলেজে সূর্য মোটেও এমন না। সে একবারেই সব বুঝে ফেলে তাহলে আজ কি হল যে সূর্য কিছুই বুঝল না? ভূমিকিছুই বুঝতে পারল না। কিছুক্ষণ পর চুল ঠিক করা জন্য সে আয়নার সামনে গিয়ে টুলে বসে তাঁর চুল আঁচড়াতে শুরু করলো।  ভূমি আয়নায় তার স্তনের সামান্য বের হয়ে থাকা লক্ষ্য করলো।  সূর্য কোথায় মনোযোগ দিচ্ছিলো তা বুঝতে তার দেরি হলো না। প্রথমে ভূমি একটু রেগে যায়, কিন্তু তারপর হাসিমুখে নিজে নিজেই বলে, ভুমি- বদমায়েশ, আমি ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। তাই আমি ভাবছিলাম তার মনোযোগ কোথায়, কিন্তু নির্লজ্জটা  যে তার শিক্ষকের দিকে এভাবে তাকিয়ে ছিল আমি বুঝতেই পারিনি। কিন্তু ভুমি জানেই না সূর্য কি জিনিস। নিজে থেকে কোনো ভূল করে না সে, তবে কাউকে ছাড়েও না। --------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------- আজ কলেজে নয়নার প্রথম দিন, সে গুনগুন করতে করতে রেডি হচ্ছিলো। আর যখন নয়না রেডি হয়ে আসে, শালিনী নয়নার দিকে তাকিয়ে থাকে। সে একজোড়া টাইট জিন্স এবং একটা টপ পরে ছিল। যার জন্য তার শরীরের প্রতিটি অংশ কাপড়ের মধ্যে দিয়ে বোঝা যাচ্ছিলো। শালিনী নয়নার দিকে তাকিয়ে বলে, শালিনী- নয়না, এই জামা পরে কলেজে যাবি কি করে, এমন পোশাক পরে কেউ কলেজে যায়? নায়না- এটাই এখনকার ফ্যাশন, মা। আজকাল সব মেয়েই এইরকম পোশাক পরে কলেজে যায়।  শালিনী-  হ্যা খুব ভালো ফ্যাশন এটা। আয়নায় নিজেকে দেখ, কেমন লাগছে তোকে! নয়না হাসি দিয়ে বলে, নয়না- আমি নিজেকে আয়নায় দেখেছি মা। আর তুমি তো জানোই আমি দেখতে কেমন! শালিনী- না, জানিনা। নয়না- জানো, আমি দেখতে আমার মায়ের মতই সুন্দরী। হিহিহি। শালিনী- সকাল সকাল আমাকে জ্বালাতন করছিস আবার। নয়না- আমি কেন তোমাকে জ্বালাবো মা! আমার মা সত্যিই অনেক সুন্দরী, আমার সৌন্দর্য যেন তোমার কাছে ফিকে পড়ে যায়। শালিনী- ঠিক আছে এসব বাদ দে। তোর দাদাও কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে, তুই ওর সাথে কলেজে যাবিতো? নয়না- আজ নয় মা। আজ আমি একা যাবো, তবে কাল থেকে দাদার সাথে কলেজে যাবো, ঠিক আছে? শালিনী- আজ কি সমস্যা? নয়না- মা, আজ কলেজে আমার প্রথম দিন, তাই আজ আমি একা যেতে চাই। শালিনী- না, তুই শুধু তোর দাদয়ের সাথে যাবি। নয়না- মা, আজ আমাকে একা যেতে দাও। আমি কাল থেকে প্রতিদিন দাদার সাথে যাবো,কথা দিচ্ছি। শালিনী- হুম ঠিক আছে, কিন্তু আমি কাল থেকে কোন নাটক করতে চাই না এটা নিয়ে। শালিনী এই কথা বলার সাথে সাথে নয়না তার গালে চুমু দেয়। নয়না- ওকে মা বাই এন্ড লাভ ইউ। শালিনী- আমিও তোকে ভালোবাসি সোনা। নয়না তার স্কুটার চালু করে কলেজে চলে যায়। শালিনীর অনেক গাড়ি আছে, কিন্তু নয়না শুধু একটা স্কুটি চালায়। সূর্য মাঝে মাঝে গাড়িতে করে কলেজে যায়, কিন্তু বেশিরভাগ সময় সে তার বাইকে করে কলেজে যায়। ভাই-বোন তারা কেওই নিজেদের ধনীর পরিচয়ে চলতে পছন্দ করেনা, সাদামাটা জীবন আর পরিচয় তারা পছন্দ করে।  ----------------------------------------------------------------------------------------------------- কলেজের প্রথম দিন এবং নিউ কামারদের কলেজে  রাগিং দেওয়া হচ্ছিলো। আজ নায়নারও প্রথম দিন ছিল, সে কার বোন কেও জানতোই না। নয়না কলেজে প্রবেশ করার সাথে সাথে একটি ছেলে তাকে থামায়। ছেলে- নিউ এডমিশন? নয়না- হ্যা। ছেলে- আমার সাথে , আমাদের বস ওখানে বসে আছে। সে তোমাকে কিছু প্রশ্ন করবে। নয়না কিছুই বুঝল না, সে ছেলেটার সাথে হেঁটে গেল। সামনে আরো একটা ছেলে বসে ছিল, তার পাশে তিন চারটা ছেলে দাঁড়িয়ে ছিল। ছেলেটি নয়নাকে ওই বসে থাকা ছেলেটার কাছে নিয়ে যায়। ছেলে- ভিকি, এই মেয়ে নতুন ভর্তি হয়েছে। ভিকি ঘুরে নয়নার দিকে তাকায়, আর নয়নার সৌন্দর্যে হারিয়ে যায়। সে তার চোখের পাতার পলক ফেলতে ভুলে যায়। ( ভিকি ও তার পরিবারের পরিচয়, বিজয় সিং ভাল্লা- ভিকির বাবা বয়স ৪৮ একজন সাংসদ। সে একজন বড় লুচ্চাও বটে, তার স্ত্রী মারা গেছে। জনসাধারণের চোখে খুবই সম্মানজনক কিন্তু ভিতর থেকে একটা পশু। বিক্রম সিং ভাল্লা ওরফে ভিকি- বয়স ২৩। সে এই বছর তার ফাইনাল পরীক্ষায় ফেল করেছে। বিক্রম সিং ভাল্লা নামটা সে পছন্দ করে না, তাই সে তার নাম ছোট করে "ভিকি" রেখেছে। তার ভিতরে তার বাবার সব গুণ আছে, কোনো মেয়েকে ফাঁদে ফেলে নিজের বশে আনা তার খুব সহজ অভ্যাস। রিতা সিং ভাল্লা- ভিকির বোন, বয়স 24। তার পড়াশোনা এই বছরেই শেষ হয়েছে, ভবিষ্যতে তাকে নিয়ে বিষদ আলোচনা করা হবে।) এবার আসি গল্পে, ভিকি একটানা নয়নার দিকে তাকিয়ে ছিল। তখন একটা ছেলে নায়ইনার হাত ধরে বলে, ছেলে- তোমার একটা নতুন ভর্তি হয়েছে, চলো একটা মোরগ হও। ওহ দুঃখিত দুঃখিত তুমি কিভাবে মোরগ হতে পারো,  মুরগী হও তুমি। নায়না রাগ বলে, নয়না- কি? ছেলে-  তুমি নতুন ভর্তি তাই আমরা তোমাকে র‍্যাগিং করছি। নয়না- র‍্যাগিং মাই ফুট। এই বলে নয়না চলে যেতে চায় কিন্তু ছেলেটি জোর করে তার হাত ধরে তাকে টান দেয় যার ফলে নয়না মাটিতে পড়ে যায়।  ভিকির সাথে থাকা সমস্ত ছেলেরা হাসতে থাকে, কিন্তু পরের মুহুর্তে যে ছেলেটি নয়নাকে হাত ধরে টেনেছিল সে নিজেই মাটিতে পড়ে যায়। নয়না ছেলেটিকে মারা মানুষটার দিকে তাকায় আর সাথে সাথে তার মুখে হাসি ফুটে ওঠে আর  ভিকির মুখ রাগে লাল হয়ে যায়।
Parent