মালতী "দ্য মাল অতি", সমাপ্ত - অধ্যায় ১৫
প্ল্যান রেডি, এবার অ্যাকশন
✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪
আরও দুটো দিন এভাবেই কেটে। একদিন অরিন্দমের টিফিন দিয়ে এসে অহনা বলল,
- হ্যাঁ রে, অফিসের জানা বাবু তোর কথা বলছিল। জিজ্ঞেস করছিল, তুই আমার কি রকম বোন?
- ধূরর! ও কিছু না। এক, দু'দিন হেসে কথা বলেছি; তাতেই গলে গেছে। ছাড় না ও সব কথা। জামাই দাদাকে কি করে লাইন করা যায়, কিছু ঠিক করলে?
- না রে! বুঝতে পারছি না কি করে লাইনে আনবো। সরাসরি তো বলতে পারবো না "এস আমরা ন্যাংটো নেংটী খেলি!"
- আমার মাথায় একটা প্ল্যান আছে।
- কী প্ল্যান রে? — উদগ্রীব হয়ে বলে অহনা।
- শোনো না; তোমাদের এখন রোজ হয়?
- পাগল নাকি? এই বয়েসে, রোজ লাগাতে গেলে হাড় খুলে যাবে। এই সপ্তাহে তিন দিন কি চার দিন। তবে ছুটির আগের রাতে, মানে শনিবার কি শুক্রবার চুটিয়ে হয়। দু' তিনবারও হয়ে যায় কোন কোন দিন।
- এবারে তো সেকেন্ড স্যাটারডে, মানে শনিবার ছুটি, জামাই দাদা নিশ্চয়ই শুক্রবার করবে।
- হুঁ, হতে পারে।
- হুঁ নয়; হওয়াতে হবে। তার আগে কোন একটা বাহানা করে আমাকে আঁটকে রাখবে। জামাই দাদা যেন সন্দেহ না করে। আমি বাড়িতে বলেই আসবো, একেবারে শনিবার রাতে ফিরবো।
- সে নয় হলো। কিন্তু, তারপর,
- বলছি; তার আগে বলো তো, তোমরা যখন করো, তখন কি কাপড়জামা পরে থাক; নাকি ন্যাংটোপুটু।
- আগে তো কাপড় উঠিয়ে করতাম। তোর জামাই দাদা অবশ্য খুলেই ফেলতো। এখন তোর পাল্লায় পড়ে আমিও উদোম।
- ঠিক হয়েছে। ঘরে ঢুকে তুমি খুব অ্যাগ্রেসিভ ব্যবহার করবে। এমন ভাব করবে; যেন, তোমার সুখ হচ্ছে না। রাগ করে জামাই দাদাকে বলবে যে, সুখ দিতে না পারলে, তুমি আমাকে ডেকে নেবে। বাইরে এসে আমাকে নিয়ে ঢুকবে। তারপর, আমি বুঝে নেব। আর দরজা বন্ধ করবে না। তুমি যদি না পার, আমি সময় করে ঢুকে পড়ব।
✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪
8,290