মালতী "দ্য মাল অতি", সমাপ্ত - অধ্যায় ৭
নতুন ঠিকানা
✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪
ঠিক সাড়ে এগারোটায় ফ্ল্যাটের দরজার বেল বাজাল মালতী। দরজা খুলে মালতীকে ঘরে ঢুকিয়ে নিলেন অহনা। 2বি.এইচ.কে ফ্ল্যাটের ড্রয়িং রুমে বসে কথা বলতে লাগলেন। প্রায় তিন ঘন্টা কথা হলো দু'জনের। এর মধ্যে সিঙ্কে পড়ে থাকে বাসনপত্র মেজে ফেলেছে। অহনা বারণ করা সত্বেও পুরো ফ্ল্যাট ঝাঁট দিয়ে মুছে ফেলেছে। রাতের জন্য একটা তরকারিও রেঁধে দিয়ে, তিনটে নাগাদ দু' কাপ চা করে ড্রয়িং রুমে এসে অহনার পাশে বসল মালতী। চা-য়ে চুমুক দিয়ে "বাঃ" বলে উঠলেন অহনা। মালতীকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
- তাহলে ঐ কথাই রইল মালতী। এক বছর আগে ছ' হাজার টাকায় ঢুকেছিলিস; আমি তোকে সাড়ে সাত হাজার করে দেব। আর …, এই যাঃ তোমাকে তুই বলে ফেললাম।
- ভালই হয়েছে বৌদি, আমিও আপনি আজ্ঞে করতে পারব না। তুমি আমাকে তুই বললেই ভাল।
- হ্যাঁ, তুই তোর বাবুকে জানিয়ে দিস। আর এই রবিবার আমরা দু'জনে যাব তোর বাবুর কাছে। একবার কথা বলে আসব। এর মধ্যে তোর বাবুকে জানিয়ে দিস।
- হ্যাঁ, তুমি চাইলে, আমি যেখানে থাকি সেখানেও যেতে পার। আমার বাড়িওয়ালার সঙ্গে কথা বলে আসতে পার। নাহলে, আমিও আমার বাড়িওয়ালাকে বলতে পারি তোমাদের সঙ্গে দেখা করে যাবে।
মোটামুটি সব ঠিকঠাক। অহনা আর অরিন্দম একদিন পরিমলের বাড়িতেও ঘুরে এসেছে। পরিমল বলেছে যে ওর কোন আপত্তি নেই। এই ভাঙা মাসের মধ্যে ও একটা ব্যবস্থা করে নেবে। রামবিরিজও একদিন দেখে গেছে মালতী কোথায় কাজ নিয়েছে। এর মধ্যে রোজ দুপুরে মালতী এই বাড়িতে এসে সব কাজ করে যায়। মালতীর রান্না খেয়ে অরিন্দমও খুব খুশী। মাস পয়লাতেই মালতী রাণীর অধিষ্ঠান হল অহনার বাড়িতে।
✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪