মিষ্টি মূহুর্ত ( উপন্যাস) সমাপ্ত :--- - অধ্যায় ৩১

কাউকে পছন্দ না হয়েও তাকে না পাওয়া একটা কারন। বা বলা যায় সবথেকে বড়ো কারন। কিন্তু কারন ছাড়াও আরও কয়েকটা কারন আছে। সেগুলো হলো ----- 1) প্রত্যেক ভ্যালেন্টাইন ডে আর সরস্বতী পুজার দিন মনে করি বাড়ি থেকে বাইরে বার হবো না। কিন্তু আমার বন্ধুদের মধ্যে যারা আমার মতোই সিঙ্গেল তারা নিজের দুঃখে বলে ওঠে ‘ চল ভাই আড্ডা দি ( আসলে সিগারেট খাওয়ার কথা বলছে।) , তো আমাকেও বাড়ির বাইরে যেতে হয়। যেই না রাস্তায় পা দিলাম অমনি দেখলাম শাড়ি পরিহিত বঙ্গ ললনা, বঙ্গ তনয়া with a handsome dashing machoo man. তখন সত্যি খুব খারাপ লাগে। মানে ওই বুক ফাটে। 2) বছরের বিশেষ করে এই তিনটে মাস, মানে নভেম্বর ডিসেম্বর জানুয়ারি হলো বাঙালির বিয়ের মরসুম। সে বিয়ে করুক কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু সেই বিয়ের ফটো ফেসবুক কিংবা ইনস্টাগ্রামে ছেড়ে ক্যাপশনে লেখে --- পাঁচ বছর প্রেম করে চার হাত এক হলো। এই ভাবেই সকল প্রেম সফলতা পাক। এই লাইনটা পড়ার পরেই মনে হয় ওদের বাসর রাতে গিয়ে গুলি করে মেরে ওদের প্রেমটাকে অমর করে দিই 3) ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে দেখবেন লেখা থাকে --- একদিন তোমাকেও কেউ ভালোবাসবে। সে তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না। পাগলের মত ভালোবাসবে। অপেক্ষা কর । একদিন সে আসবে। যদি ভগবান তোমাকে এখনও কাউকে দেয়নি তাহলে সে তোমার জন্য বিশেষ কাউকে পাঠাবে। ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে তো ঠিক আছে। কিন্তু যখন নিজের তিন চারটে প্রেম করা বন্ধু বান্ধবীরাও এই কথা বলে তখন খুব খিস্তি খায়। বিশ্বাস করুন এই কথা গুলো এখানেও শুনতে হয়েছে। আবার এদের যখন ঝগড়া হয় তখন স্ট্যাটাসে লেখে --- সিঙ্গেল লাইফ ইজ বেস্ট। এক্ষুণি আমাকে সত্য এই কথাটাই বললো। কারণ কাল রাতে ওর ঝগড়া হয়েছে। এমনি এমনি তো আমি ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট ডিলিট করিনি। 4) আমারই বন্ধু বান্ধবীদের প্রেমিক/প্রেমিকাদের জন্মদিন আসার এক মাস আগে থেকে countdown চলে। 30 days to go, 29 days to go, 28 days to go..... এবার এইগুলো যখন দেখবো না বলে আমি ওদের হাইড করে দিই তখন আমাকেই শুনতে হয় --- বন্ধুত্ব রাখবি না বলে ঠিক করলি নাকি 5) কেউ কেউ বলে থাকেন যে --- চুপচাপ থাকার থেকে যাকে ভালোবাসো তাকে নিজের ফিলিংস বলে রিজেক্ট হয়ে থাকা অনেক ভালো। তো আমি করেছিলাম প্রোপজ ( এটা আগেও বলেছি)। ফলাফল কি দাঁড়ালো? --- আমি আমার দুর্বল রোগা শরীরটাকে ঘৃণা করতে শিখলাম। তো এত গুলো কারন যখন একসাথে হয় তখন আরও একটা কারণ নিজে থেকে তৈরি হয়ে যায়। সেটা হলো confidence low হয়ে যাওয়া। এটা সবথেকে বড়ো কারন বা সর্বনাশের কারন হয়ে দাঁড়ায় আরও বেশ কয়েকটি কারন আছে। শুনতে চাইলে বলবেন একটু বেশি ইমোশনাল হয়ে গেলাম মনে হচ্ছে ❤❤❤