মুনমুন সেন - খোলা মনের মহিলা.. - অধ্যায় ৫৩

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-5467-post-5977207.html#pid5977207

🕰️ Posted on July 3, 2025 by ✍️ rajusen25 (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 700 words / 3 min read

Parent
ভোর ছয়টায় মিসেস সেনের ঘুম ভাঙলো ঘরের জানালা দিয়ে ভোরের হলুদ আভা ঢুকছে, মেঝেতে পড়েছে আলোর রেখা। মিসেস সেনের চোখ খুলতেই বুকে ধক করে ওঠে—গত রাতজুড়ে উত্তেজনায় তার ঘুম আসেনি। বিছানার চাদর গুটানো, শরীরে ঘামের গন্ধ মিশে আছে। সে উঠে বসে, হাত দিয়ে কপালের ঘাম মুছে ফেলে। তার গায়ে লাল পাড় দেওয়া সাদা সুতির শাড়ি, ব্লাউসের ফুলের নকশায় জমে আছে গরমে ভেজা ঘামের গন্ধ। পায়ে চটির শব্দ—টপ-টপ—মেঝেতে পড়ে। মাথায় টাটকা সিঁদুর, গায়ে দামি পারফিউমের সুবাস, কিন্তু তবুও তার গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে—"মালতীদি যেসব কথা বলেছে... উফ!" মালতীদির বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে মিসেস সেনের গলা শুকিয়ে আসে। সে ধীরে দরজায় টোকা দেয়—টুক-টুক। সঙ্গে সাথেই দরজা খুলে মালতীদি তাকে টেনে ভেতরে নিয়ে যায়, হাতের মুঠোয় শক্ত চাপ। মালতীদি: (চোখ রাঙিয়ে, গলায় রাগের ঝাঁজ) "এত দেরি করলি কেন রে?" মালতীদির পরনে সাদা সুতির শাড়ি, গায়ে ম্যাচিং ব্লাউস—হাতার কারুকাজে জড়ানো ফুলের নকশা। তার ঘন কালো চুল আধখোঁপায় বাঁধা, কপালে সিঁদুরের টাটকা ফোঁটা, ঠোঁটে গাঢ় লাল লিপস্টিকের আভা। মিসেস সেন ঘরে ঢুকতেই নাকে এলো গন্ধের মিশ্রণ—নারকেল তেলের সুবাস, পুরনো কাপড়ের গন্ধ, আর কোণে রাখা ডিটারজেন্টের তীব্র গন্ধ। রান্নাঘর থেকে ভেসে আসছে হলুদের ঝাঁজ, মসলার গন্ধে বাতাস ভারী। মিসেস সেন যেন মাধুরী দীক্ষিতের (চন্দ্রমুখী) মতো—উজ্জ্বল সাদা শাড়িতে লাল পাড়, জরির কাজে ভরা, বাঙালি বধূর আদর্শ রূপ। তার মাথায় টাটকা সিঁদুর, হাতে শাঁখা-পলা, শুধু চুল খোলা—যেন পূর্ণিমার চাঁদ আলোয় ভাসছে। আর মালতীদি? সে ঐশ্বর্যা রাইয়ের (পারো) মতো—সাদা শাড়িতে ধূসর পাড়, খোলা চুল, বিধবা বলে কোনো সিঁদুর-শাঁখা নেই। তারা পাতলা নায়িকাদের মতো নয়—দুজনেই পূর্ণাঙ্গ, নারীত্বের জীবন্ত প্রতীক। মোটা, বলিষ্ঠ হাত—যেন স্নেহের আঁচল। গভীর নাভি-গহ্বর—রহস্যে মোড়া। ঊর্ধ্বমুখী বক্ষ, দৃঢ় উরু, স্ফীত নিতম্ব—শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে যেন প্রাণের স্পন্দন। মিসেস সেনের শাড়ির নিচ থেকে মাঝেমাঝে দেখা যায় তার মোটা উরুর আভাস, আর মালতীদির ব্লাউসের ভেতর থেকে উঁকি দেয় ভারী স্তনের রেখা। মালতীদি গলা নামিয়ে ফিসফিস করে বলে— "শোন মুনমুন, আমাদের কমপক্ষে পাঁচজন ভিখারি লাগবে। শর্ত একটাই—তাদের গায়ে যেন ঘা-পাঁচড়া, শ্বেতি, পঙ্গুত্ব কিছু থাকে!" মিসেস সেন ঠোঁট কামড়ে ধরে, তারপর বলে— "চলো দেখা যাক বাজারে গিয়ে কতজন পাই। ওই মাছ বাজারের পাশে তো রোজ কত ভিখারি বসে থাকে!" দুই নারী বেরিয়ে পড়ে, তাদের পায়ের চপ্পালের শব্দ (টাপ-টাপ) গলির নিস্তব্ধতায় মিশে যায়। মিসেস সেনের শাড়ির পাড়ে লাগা ধুলো। মালতীদির ঠোঁটে জমে থাকা লিপস্টিকের আভা। রাস্তার পাশে একটি কুকুর তাদের দিকে তাকিয়ে থাকে, যেন সব জানছে... বাজারে ভিখারি খোঁজ.. গলির মুখে দাঁড়াতেই মিসেস সেনের নাকে আঘাত করল এক তীব্র গন্ধের মুষলঝাপ। পঁচা মাছ, রক্ত আর নাড়িভুঁড়ির মিশেলে তৈরি হওয়া সেই দুর্গন্ধ যেন অদৃশ্য হাত দিয়ে তার নাক চেপে ধরল। বাঁ পাশে পড়ে থাকা মাছের ফেলে দেওয়া অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোতে উড়ছে মাছির ঝাঁক, ডান দিকে রক্তমাখা পাথরে বসে এক বিড়াল লেপটে আছে। মালতীদি শাড়ির আঁচল গুটিয়ে নাকে চেপে ধরে সামনে এগোচ্ছে, তার পায়ের চটি পিচ্ছিল মেঝেতে চ্যাপ-চ্যাপ শব্দ করছে। মিসেস সেনের হাতের রুমাল এখন সম্পূর্ণ ভিজে গেছে ঘামে, তবুও গন্ধের তীব্রতা কমছে না। হঠাৎ একটা ময়লার স্তূপের পাশে চোখ আটকে গেল তিনজনের উপর: ১. তৌফিক: লম্বা শরীরটা যেন শুকনো গাছের ডাল। তার শ্বেতি-আক্রান্ত বুকে সূর্যের আলো পড়ে ঝিলিক দিচ্ছে সাদা চামড়ার টুকরোগুলো। ভাঙা পায়ের লাঠি ঠুকতে ঠুকতে টক-টক শব্দ হচ্ছে। মুখের কোণ থেকে লালা ঝরছে রক্তিম রেখার মতো। ২. আতিক: কুঁজো হয়ে বসে আছে যেন ভূতের মূর্তি। তার ছানিযুক্ত চোখ দুটো অস্পষ্টভাবে ঝলসে উঠছে আলোতে। পুরনো ঘায়ের পুঁজ শুকিয়ে হলুদ খোলসে পরিণত হয়েছে। ৩. নাসিম: স্মলপক্সের দাগে ভরা মুখটা দেখলে মনে হবে কেউ মোমবাতি গলিয়ে ঢেলে দিয়েছে। কাটা আঙুল দিয়ে সে অবিরাম চুলকাচ্ছে তার পোড়া গাল। মালতীদি এগিয়ে গিয়ে পাঁচশ টাকার নোট উঁচিয়ে ধরল। নোটটা বাতাসে ফরফর করে নড়ছে: "শোনো বাবারা, নতুন গামছা, ভাত-মাংস আর হাতে পয়সা।" তৌফিকের পঁচা দাঁত বেরিয়ে এল হাসিতে: "হ্যাঁ গো মেমসাহেব! গত মাসে এক শাড়িওয়ালি..." - কথা বলতে বলতে তার গলা থেকে গ্লট-গ্লট শব্দ আসছে, "...আমাদের দিয়ে তার শৌচাগার পরিষ্কার করিয়েছিল!" মিসেস সেন তৌফিকের শ্বেতি-যুক্ত হাত স্পর্শ করতেই তার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল: "আজ আমাদের... উফ... বিশেষ পূজো।" তার কণ্ঠস্বরে এক অদ্ভুত টান, "তোমাদের মতো... অপবিত্র শরীরই তো চাই।" নাসিম তার পোড়া মুখ নাড়িয়ে বলল: "আরে বাপ রে! আমরা তো মহমেডান!" তার কাটা আঙুল থেকে টপ করে রক্তের ফোঁটা পড়ল মাটিতে। শেষমেশ রাজি হয় তিনজন। পিছনে চলেছে তারা: আতিকে কুঁজ থেকে টপটপ করে পুঁজ পড়ছে তৌফিকের শ্বেতি-যুক্ত হাত চুলকাচ্ছে খচ-খচ শব্দে নাসিমের মুখ থেকে আসছে পঁচা মাংসের গন্ধ মিসেস সেনের শাড়ির নিচ থেকে মোটা উরুর আভাস, মালতীদির ব্লাউসের ভাঁজে লুকিয়ে থাকা ঘামের ফোঁটা, পিছনে মাছ বাজারের আলো-আঁধারিতে হারিয়ে যাওয়া তিন ভিখারির ছায়া দৃশ্য ক্রমশ ম্লান হয়... শেষ হয় একটি রহস্যময় হাসি দিয়ে... ?
Parent