নিষিদ্ধ সেতু/কামদেব - অধ্যায় ২

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-26407-post-1950405.html#pid1950405

🕰️ Posted on May 13, 2020 by ✍️ kumdev (Profile)

🏷️ Tags:
📖 664 words / 3 min read

Parent
।।২।। যতক্ষন দীপাকে দেখা যাচ্ছিল নীল তাকিয়ে থাকে অপলক।অনেকটা যাবার পর দীপা একবার  পিছন ফিরে তাকাল নীল মাটির দিকে তাকিয়ে কি যেন দেখতে থাকে।দীপা ঠোট বেকিয়ে আবার হাটতে শুরু করে। বেলা হল আবার কলেজ যেতে হবে।দীপা স্কুলে ঢুকে গেলে বাড়ির দিকে পা বাড়ায় নীল।শিবেন এসে জিজ্ঞেস করে,কিছু হল? ম্লান হাসে নীল।কি আবার হবে? রোজ যা হয়,এক পলক দেখা,চোখে চোখে মিলন।পৃথিবীতে অনেক কিছুই আছে কিন্তু সব সবার জন্য নয়।দেশের বাড়িতে একটা সেতু ছিল পার হলে জঙ্গল। জঙ্গল নিয়ে ছড়িয়ে ছিল নানা কাহিনী। পাড়ার লোকজন সেতু পেরোতে ভয় পেত।সবাই তাকে বলত নিষিদ্ধ সেতু।মনে মনে হাসল নীলু। --তোর যত হেয়ালী।শিবেন বিরক্ত হয়ে বলল। নীলু ভাবে শিবেন তার অবস্থা বুঝবে না। এখন তার সমস্যা কি করে পড়াশুনা চালিয়ে যাবে?উদয়াস্ত খাটছে মা,ছেলেকে যে করেই হোক দাড় করিয়ে যেতে হবে।এই চিন্তাটাই নীলকে অহরহ তাড়িয়ে নিয়ে ফেরে,মায়ের পরিশ্রম যেন বৃথা না হয়।প্রাণপণে আকড়ে ধরে বই।রাত জেগে যখন পড়ে মা বলে,এখন বই রেখে ঘুমো বাবা,আবার কাল পড়িস। নুপুর জিজ্ঞেস করে,তুই কি বলবি বলছিলি? দীপার কাছে সবটা শুনে নুপুর বলে,চল বাথরুমে যাই। ক্লাসে বইয়ের ব্যাগ রেখে বাথরুমে গেল দুই বন্ধু।দীপার প্যাণ্ট নামিয়ে যোণীর উপর হাত রাখে নুপুর।সত্যি খুব মোলায়েম।রুদ্ধশ্বাসে দীপা মাথা নীচু করে দেখছে নুপুরের কাণ্ড।আচমকা চেরার মধ্যে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিল নুপুর। দীপা শিউরে উঠে বলে,এ্যাই কি করছিস? --ভাল লাগছে না?নুপুর জিজ্ঞেস করে। --তুই না ভীষণ অসভ্য।তোর কোন ঘেন্না-পিত্তি নেই।মনে মনে খুশি হলেও দীপা প্রকাশ করে না।কি সুন্দর লাগল। --তুই এত ফর্সা তাই কচিবাল এত সুন্দর লাগছে।পরে দেখবি বিরক্তিকর লাগবে। --কেন? নুপুরের যতটা জ্ঞান আছে সেই মত বোঝাবার চেষ্টাকরে। 'মাসিক হলে রক্তে ভিজে জট পাকিয়ে যাবে।যখন কেউ চুষতে যাবে মুখে বাল ঢুকে--।'দীপা চোখ বড় করে শুনছে নুপুরের কথা।ওখানে কেউ চুষবে কেন বলল? --কে চুষবে?লাজুক গলায় জিজ্ঞেস করে দীপা। --ছেলেরা ওখানে চুষতে ভালবাসে।বিজ্ঞের মত বলে নুপুর। --ছেলেরা ওইখানে মুখ দেয় কি করে জানলি? সুদিপ কি--? --পাগল? এখন ঐসব না,আমি সুদিপকে বলে দিয়েছি বিয়ের আগে পর্যন্ত কষ্ট করতে হবে।তোকে কামদেবের একটা বই দেবো। গোপনে পড়বি,অনেক কিছু জানতে পারবি। দীপার কৌতুহল তীব্র হয়, নুপুর বই পড়ে এইসব জেনেছে।দীপা বলল, এখন না,পরীক্ষার পরে দিস। একটা মোটে ক্লাস হল।ফালতু সময় নষ্ট কাল থেকে আর স্কুলে আসবে না।স্কুলে আসার একটা আকর্ষণ ম্যাড়াকান্ত।রোজ দাঁড়িয়ে থাকে দেখতে দেখতে মায়া পড়ে গেছে।এখন রাগ হয়,কিছু বলার থাকলে বল। সন্ধ্যেবেলা কোচিং হতে বেরিয়ে রিক্সাস্ট্যাণ্ডে আসতে রিক্সাওয়ালা ভাড়া বেশি চায়।সঙ্গে নুপুরও ছিল। --আমরা কি নতুন নাকি? রোজ আসছি--।নুপুর ঝাজিয়ে ওঠে। --এ্যাই মেমসাবকে নিয়ে যা।উঠিয়ে মেমসাব। রিক্সাওয়ালা ভয়ে সিটিয়ে যায়।নুপুর মিচকি হাসে।দীপা তাকিয়ে দেখে একটি সুদর্শন ছেলে পাশে এসে দাড়িয়েছে।আড়চোখে দীপাকে দেখে।জিন্সের প্যাণ্ট টি-শার্ট গায়ে, চুলের মাঝখানে সিথি কাটা,হিন্দি সিনেমার হিরোর মত দেখতে। --চলিয়ে মেমেসাব।রিক্সাওয়ালা বলে। --কত ভাড়া? দীপা জিজ্ঞেস করে।পরে ভাড়া নিয়ে গোলমাল তার পছন্দ নয়। --যা আপনের মর্জি। যা আমার মর্জি? এই চমৎকারি ফলে অবাক হয় দীপা।দুজনে রিক্সায় ওঠে। --কিরে কি ভাবছিস?জিজ্ঞেস করে নুপুর। --ছেলেটা কে বলতো? --ওর নাম বলু।সকলে ওকে খুব ভয় পায়।দেখলি না রিক্সাওয়ালা কেমন জোকের মুখে নুন পড়ার মত কুকড়ে গেল।হি-হি-হি। --যাই হোক ছেলেটা বেশ ভদ্র।দীপা বলে।এদের জন্য রাস্তা-ঘাটে বাদরামি অনেক কম হয়। --তোর পছন্দ হয়েছে বল?নুপুর মজা করে বলে। --ধ্যাৎ খালি বাজে কথা।দীপা বলে, যা সত্যি তাই বললাম। ন্যাকা মার্কা ছেলে আমি দু-চক্ষে দেখতে পারি না।কথাটা সম্ভবত নীলের কথা ভেবে বলল।বটতলার কাছে আসতে নুপুর নেমে যায়।নামার আগে জিজ্ঞেস করে,কাল স্কুলে আসবি? --না আর স্কুলে যাব না।দীপা বলে। --আমাকে সুদিপের জন্য আসতেই হবে।নুপুর হেসে হাটা শুরু করে।রাস্তা বাক নিতেই ভুতের মত সামনে আবির্ভুত হয় বলু। --দিদি বাড়ি চললেন? নুপুর ভাবে আমি ওর দিদি?উপকার করে তার প্রতিদান চায় নাকি?এদিক-ওদিক তাকিয়ে দেখে বলল,হ্যা বাড়ী যাচ্ছি। --আপনের বন্ধুর নাম কি আছে? --ড.দেবাঞ্জন সেনের মেয়ে,দীপালি সেন। --আমার উপর গুসসা হয়নি তো? --কেন আপনি কি করেছেন? --রিক্সাআলাটাকে ধমকাইলাম--। নুপুর মনে মনে হাসে,বোকাচোদা ফেসেছে।বলুর সঙ্গে কথা বলতে দেখলে সুদীপ রেগে যেতে পারে।মৃদু হেসে বলল,সে কথা আপনি ওকেই জিজ্ঞেস করবেন। নুপুর ওকে অতিক্রম করে বাড়ীর দিকে পা বাড়ায়। নূপুর স্কুলে যাবে সুদীপের জন্য। দীপা মনে মনে ভাবে ঢং,যেন প্রেম ও একাই করছে। দীপা কার জন্য যাবে,ঐ ম্যাড়াকান্তটার জন্য?হা-করে দাঁড়িয়ে ফ্যাল-ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে দেখলে গা জ্বলে যায়।কথা বলতে পারেনা বোবা নাকি? আজকের ছেলেটা বেশ স্মার্ট।রিক্সাওলা ভয়ে চুপষে গেছিল।এসব এখন না পরীক্ষার আর বাকী নেই।দীপালি বাড়ি ঢুকে গেল।কালও হয়তো বকুলতলায় তীর্থের কাকের মত দাঁড়িয়ে থাকবে।যখন তাকে দেখতে পাবে না দীর্ঘশ্বাস ফেলে চলে যাবে।দৃশ্যটা কল্পনা করে দীপা বেশ মজা পায়।
Parent