ফেরারী ভালবাসা সমাপ্ত ! - অধ্যায় ১০

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-23725-post-2776048.html#pid2776048

🕰️ Posted on December 28, 2020 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 1069 words / 5 min read

Parent
এমডির সাথে কথা বলার পর আমি বাজারের দিকে বেড়িয়ে গেলাম ! লক্ষির জন্য তিনটে শারি কিনলাম ! রাতেই ওর সাইজ নিজের হাতে মেপে নিয়েছিলাম ! ব্রা ব্লাউজ সায়া সাথে কিছু সাবান আর শ্যাম্পু কিনে নিজের বাসায় ফিরে এলাম ! কিচ্ছুক্ষণের মধ্যেই বাবুলাল ফিরে এসে বলল " স্যার ! জল সরানর সমস্ত ব্যবস্থা হয়ে গেছে ! নালি কেটে সোজা নদিতে জল ফেলা হবে ! পাম্প লাগিয়ে এসেছি দুটো ! আশা করি সন্ধ্যের মধ্যেই সমস্ত জল পরিস্কার হয়ে যাবে !   আমি শুধু হুম্মম বোলে বাবুলাল কে দেখতে থাকলাম ! কি করে ওকে বলবো যে লক্ষি কে আমার চাই সেটাই বলতে খুব সঙ্কোচ হচ্ছে !  - কটা বাজে সে খেয়াল আছে বাবুলাল? দুপুরের খাবারের কোন ব্যবস্থা এখনও হয়নি ! খালি পেটে রাখবে নাকি আজ ? - না স্যার ! হারু এসে খাবার দিয়ে যাবে ! আজ থেকে লক্ষিকে লাগিয়ে দিয়েছি আপনার রান্না করার কাজে ! তবে এখন ও বাড়িতেই রান্না করবে আর সকাল সন্ধ্যে দু বেলাই হারু এসে খাবার দিয়ে যাবে ! কিছুটা মনপুত হলেও আমি চাইছিলাম যে লক্ষি আমার এখানে এসেই রান্না করুক ! তবুও বাবুলাল্ কে কিছুই বলতে পারলাম না ! টিভি খুলে বসে পড়লাম ! দূরদর্শনে বাংলা সংবাদ চলছে ! দেখতে থাকলাম ! বাবুলাল বিছানার পাশের চেয়ারে বসে টি ভি দেখতে থাক্লু আমার সাথে !  কিছুক্ষনের মধ্যেই হারু খাবার নিয়ে আমাদের সামনে এসে দাঁড়ালো কাঁচুমাচু মুখে !  - কি হোল হারু ! এত দেরি হোল কেন ? - আজ্ঞে দকান বাজার করতে একটু দেরি হয়ে গেছিলো !  বাবুলাল থালায় গরম গরম ভাত একটু শাক ভাজা আর সামুদ্রিক কুচো মাছের ঝোল সাজিয়ে আমার সামনের টেবিলে রাখল ! আমি বাবুলাল কে বললাম তুমিও খেয়ে নাও ! হারু কে জিজ্ঞাসা করলাম তোমাদের জন্য রেখে দিয়েছ তো নাকি সবটাই আমাদের জন্য নিয়ে চলে এসেছ ? - না বাবু লক্ষি সবার জন্যই রান্না করেছে ! আপনাদের খাইয়ে আমি বাড়িতে গিয়ে খাবো !  আমি বাবুলাল কে বললাম "একেবারে পুরো মাসের জিনিসপত্র সব হারুকে কিনে দাও ! শুধু মাছ মাংসের পয়সা রোজকার রোজ দিয়ে দেবে !" বাবুলাল ঘার নারিয়ে সম্মতি দিলো ! আমি বললাম লক্ষি কে সঙ্গে নিয়ে বাজারে চলে যেও বিকালে ! পুরো মাসকাবারি সমস্ত জিনিস কিনে ফেল ! দরকার হলে হারুকেও নিয়ে যেতে পারো !  আমাদের খাইয়ে হারু টিফিন নিয়ে চলে গেলো ! বিছানায় গরিয়ে একটা সিগারেট ধরিয়ে আয়েস করে মুখ থেকে ধোয়া ছেড়ে বাবুলাল কে বলেই ফেললাম " বাবুলাল ! লক্ষি কে এখানে এনে রাখা যায় না ? মানে কমলির জায়গায় ?" বাবুলাল আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল " আপনার রাতের ব্যবস্থা তো করে দিয়েছি সেটা কালকেই পেয়ে গেছেন ! এখন কি দিনেও চাই ?" - হলে ভালো হয় !  - দু চারদিন অপেখ্যা করুন ! সমস্ত ব্যবস্থা করে দেবো ! আজ রাতেও লক্ষি কে পাঠিয়ে দেবো ! একটু খরছ করতে হবে ! হারুকে ধেনো খাইয়ে টুন  করতে হবে !  - সে তুমি কি করবে সেটা তুমিই জানো ! তবে রোজ রোজ তুমি যেন ধেনো টানতে যেওনা !  - না না স্যার ! আসলে কাল লক্ষি মুরগির নারিভুরি ভেজেছিল ! উফফ ! কি সুন্দর তার টেস্ট ! ওই টেস্টে টেস্টেই কাল একটু বেশি খেয়ে ফেলেছিলাম !  মুরগির নারিভুরি ভাজা যায় এবং সেটা খাওয়াও যায় এই প্রথম আমি শুনলাম ! উঠে বাবুলাল কে বললাম চলো একবার সাইট থেকে ঘুরে আসি ! দেখি অখান কি হচ্ছে !  বাবুলালকে বাইকের পিছনে বসিয়ে  সাইটে পৌঁছলাম ! জোর কদমে জল ছেঁচার কাজ চলছে ! কিছু লেবার পাশের ঝোপঝার সাফ করতে শুরু করে দিয়েছে ! ওখানেই লেবারদের থাকার জায়গা হবে ! আমাদের দেখে একজন লেবার এগিয়ে এসে বাবুলাল কে বলল " দাদা দড়মার ঘর হবে নাকি পলিথিনের ?" বাবুলাল বলল লেবার রা এসে নিজেরাই নিজেদের থাকার জায়গা বানিয়ে নেবে ! তোমরা শুধু পরিস্কার করে দাও !  - আমাদের জন্য কোন কাজ নেই এখানে ? আমরাও তাহলে দু মুঠো খাবার খেতে পারবো কিছুদিন !  বাবুলাল আমার দিকে তাকাল !   - আছহা দেখি আগে কতজন লেবার আসে ! তারপর না হয় তোমাদের জানাবো !বললাম আমি !  - একটু দেখবেন বাবু !আমরা মাত্র বারজন আছি ! যদি আমাদের একটু কাজের ব্যবস্থা হয় তো !  - ঠিক আছে ! দেখব ! আর কতক্ষন লাগবে সমস্ত জল বেরুতে ?  - এক ঘণ্টার মধ্যেই বেড়িয়ে যাবে ! -শুধু বেরুলেই হবে না ! যদি আবার বৃষ্টি হয় তখন যেন জল না জমে !  - একটু জমবে বাবু ! নিচু জমি তো ! তবে যাতে বেশি না জমে তাই চারিদিকে নালি কেটে দিয়েছি !  চলো বাবুলাল ! এবার যাওয়া যাক ! বাইক নিয়ে সোজা হারুর বাড়ি পৌঁছলাম ! হারু হাত জোর করে বেড়িয়ে এলো ! ওকে দেখে মনে হছহে যেন আমার গরু চুরি করেছে তাই হাত জোর করে আমার কাছে ক্ষমা চাইছে ! হেসে ফেললাম ! বাবুলালের হাতে টাকা দিয়ে বললাম " যাও ওদের নিয়ে বাজার চলে যাও ! সমস্ত কিনে দাও ! আর হ্যাঁ ! কমলির জন্য দুতিনটে  জামা কাপর কিনে নিও ! হারুর চোখ চকচক করে উঠল যখন আমি কমলির জন্য জামা কাপর কিনতে বললাম ! ওর চোখে কৃতজ্ঞতা ! মামা হয়ে মেয়েটাকে কিছুই দিতে পারে না ! ঠিক হোল কাল থেকেই কম্লি সকালে আমার বাসায় এসে ঝারু পোঁছা বাসন মাজা জামা কাপর ধুয়ে দিয়ে যাবে ! আর ওরা হারু বা লক্ষি আমার খাবার দিয়ে আসবে !  চলে এলাম বাজারে ! একটু চানাচুর কিনে নিলাম ! বাড়িতে এসে অফিসে ফোন করে সব জানালাম ! এমডি খুশি ! আমি ওনাকে জিজ্ঞাসা করলাম ঠিক কতজন লেবার আর মিস্ত্রি আসছে ! র মেটেরিয়াল কথা থেকে কেনা হবে বা কি ভাবে আসবে সমস্ত ! - এমডি বললেন সিমেন্ট আর রড কলকাতা থেকে লঞ্চে পাথান হবে ! ইট বালি পাথর সব লোকাল জোগাড় করতে হবে ! এই মুহূর্তে মাত্র পনেরজন আসবে ! তার মধ্যে মিস্ত্রি থাকবে ৮ জন বাকি লেবার !  - সাতজন লেবার দিয়ে কি করে কাজ হবে? - বাকি তুমি লোকাল থেকে জোগাড় করে নাও ! অফিসের পিওন রামবাবু আসছে ওর হাত দিয়ে আমি লাখ দুয়েক ক্যাশ পাঠাচ্ছি ! হিসেব করে খরচ করবে আর প্রতিদিনের হিসাব ইমেইল করে দেবে !  - ঠিক আছে স্যার ! একটা কথা বলবো যদি কিছু মনে না করেন ... - বলো !  কিন্তু কিন্তু করে বলেই দিলাম রাম বাবুর হাত দিয়ে যদি একপেটি মাল পাঠানো যায় তো খুব ভালো হয় ! এখানে সেরকম ভালো মদ পাওয়া যায় না ! এমডি হেসে ফেললেন ! " ঠিক আছে পাঠিয়ে দেবো ! " ফোন রেখে গ্যাসে চা চাপিয়ে দিলাম ! চা খেতে খেতেই আজ পর্যন্ত যা খরচ হয়েছে তার হিসাব লাগাতে শুরু করে দিলাম ! আজই এতদিনের সমস্ত খরচের হিসাব পাঠিয়ে দেবো !  সমস্ত হিসাব মেলাতে মেলাতে সন্ধ্যে হয়ে গেলো !হিসাব ইমেইল করে  টিভি চালিয়ে বিছানায় হেলান দিয়ে টিভি দেখতে থাকলাম ! এখনও মদের বোতল খোলার সময় হয়নি ! যেটুকু আছে তাতে আজ ভালই হয়ে যাবে ! হয়ত এক দু পেগ বেঁচে গেলেও যেতে পারে !   
Parent