পরশপাথর (সমাপ্ত) - অধ্যায় ৩২

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-28665-post-2262591.html#pid2262591

🕰️ Posted on August 4, 2020 by ✍️ Kolir kesto (Profile)

🏷️ Tags:
📖 781 words / 4 min read

Parent
"" বএিশ"" সারা রাত শর্তের কথা ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে গেছি খেয়াল নেই।পরদিন কলেজ থেকে ফেরার পথে ঋতুকে ফোন দিলাম,কোথায় এখন জানতে চাইলে বললো,এই তো এখন কলেজ থেকে বের হবো।আমি বললাম‌ আচ্ছা আমি বৈকালি মোড়ে ওয়েট করছি তাহলে। বলে ফোন রাখলাম,পনেরো মিনিট পর ঋতু আসলো,ও‌ আসলেই আমি আগে জিজ্ঞেস করলাম,কালকের শর্ত গুলা কেন ছিল?ও আবার খিলখিল করে হেঁসে বললো বাবা মনে হচ্ছে সারা রাত ঘুম হয়নি। আমি বললাম হেয়ালি রাখো আগে বলো কি হয়েছে।ও কিছুতেই বলতে চায়না।অনেক জোরাজুরির পর বললো,শর্ত গুলো দেওয়ার পিছনে দুটি কারণ ছিলো! প্রথম কারণ হলো তোমার মনো সংযোগ অন্য দিকে ঘোরানো। কারণ তুমি তখন মিঠুর ঘরে কি হচ্ছে সেটা ভেবে ঘুম নষ্ট করছো তাই শর্ত গুলা দিয়ে তোমার মনো সংযোগ অন্য দিকে ঘোরালাম। আর দ্বিতীয় কারণ হলো,তোমরা ছেলেরা তো অন্যের ঘরে কি হচ্ছে ভেবে অল্পতেই বাজে কাজ করো। তাছাড়া অতো রাতে আমাকে ফোন করেছিলে যে জন্য সেটা তো আমার মত মেয়ের থেকে পাবেনা। তাই আমি ফোন রাখার পর নিজে থেকে অন্য পথ অবলম্বণ করতে আর সেটার জন্য মোবাইল,বাথরুম আর জলের ব্যবহার করতে। কারণ মোবাইলে নোংরা জিনিস রাখো, সেটা দেখতে। তাই মোবাইল ধরতে মানা করেছি। আর ওই কাজ ঘরে করো বা বাথরুমে জলের দরকার হতো,তাই খাওয়া বাদে জল স্পর্শ করতে মানা করেছি। এর বেশি খোলামেলা বলতে পারবো না। ঋতুর কথা শুনে খুব রাগ হলো। আমি বললাম এতো যখন বোঝ তাহলে আমার কষ্টটাও‌ বোঝা উচিত ছিলো! ঋতু বললো তো আমি কি করবো, তুমিও মিঠুর মত বিয়ে করে নেও। আমি বললাম বিয়ে করে নেও মানে ,তুমি না করলে আমি কাকে বিয়ে করবো !? এবার ঋতু রেগে গিয়ে বললো আমি কি বলবো ? যে আবির দয়া করে আমাকে বিয়ে করো! আমি তোমার সব ভালো মন্দ দেখি বলে কি তোমার বিয়ের ছাদনাতলাটাও আমি বানিয়ে দিবো,তারপর নিজে বউ হয়ে বসে পরবো ? নিজে কখনও বলেছো বিয়ের কথা? তুমি আছো তোমার কষ্ট নিয়ে, আমি তো মানুষ না আমার তো ভালো লাগা খারাপ লাগা নেই! তোমাকে মায়ের কাছে নিয়ে গেছি কি জন্য ?? বলো কি জন্য নিয়ে গেছি?? কারণ তোমার তো অভিভাবক নেই আর আমার শুধু মা,তাই তোমায় মাকে দেখিয়ে সব কথা বলে তার অনুমতি নিয়ে নিছি। এরপরও একটা মেয়ে হয়ে তুমি আমাকে কি করতে বলছো ?? বলো আর কি করতে হবে ? সব করবো আমি তোমার জন্য!! এতো কথা একটানে বলে ঋতু থামলো আর ভিজে ওঠা চোখটা আড়াল করে কাপড়ে মুছলো। সত্যি আমি কি!!ছিঃ...শুধু নিজের দিকটাই ভেবে যাচ্ছি। ও তো আমার জন্য সব করছে। আমি কি করলাম ওর জন্য । এখন বিয়ের কথাটাও ওকে বলতে বলছি। আমি ঋতুর হাত দুটো ধরে বললাম সরি ময়নাপাখি, সত্যি আমি কিছুই পারিনা। প্লিজ রাগ করো না। এবার আর তোমার কিছুই করতে হবেনা ।আমি সব ব্যবস্থা করছি।তারপর দুজনে রিক্সা করে বাসায় ফিরলাম। তা বাসায় এসেও ভালো লাগছে ,সত্যি আমি এতো কেয়ারলেস। মিঠুকে ফোন দিলাম,আর সব বললাম,দেখ বেশি কোন আয়োজন না শুধু তোর পরিবারটা থাকবে ,আর বিয়েটা আমার বাড়িতেই হবে, ঋতুর মাকেও এখানে ডেকে নিবো । এই ভাই তুই যা করার কর ,মিঠু বললো আরে ভাই কোন চিন্তা নাই তুই শুধু মাসিমার সাথে কথা বলে দিনক্ষণ ঠিক কর। তারপর ঋতুকে ফোন দিয়ে মাসিমার নম্বর নিয়ে মাসিমাকে সব বললাম,আর বললাম বিয়েটা ঘরোয়া আকারে হবে আর আপনার কিছুই করতে হবেনা। বিয়ের কিছুদিন আগে ঋতু অথবা আমি যেয়ে আপনাকে নিয়ে আসবো। তারপর আরো অনেক কথা হলো, মাসিমার সাথে কথা বলে পঞ্জিকা দেখে বিয়ের দিন ঠিক হলো ১২ ফাল্গুন বুধবার গোধুলি লগ্নে।  সেটা ফোন করে ঋতুকে জানালাম ও বললো তাহলে তো আর ২৫ দিনের মতো আছে। এর মাঝে একদিন মিঠুদের বাড়িতে গেলাম,মাসি মেসোকে সব জানালাম। উনারা খুব খুশি ঋতুকে উনারা দেখেছে, বললো খুব ভালো মেয়ে যেমন শিক্ষিত তেমন ভদ্র আর মিষ্টো‌ ব্যবহার। আর দেখতে তো একদম মা দূর্গার মত। তোমাদের দুজনকে একদম হর-পার্বতীর মতো দেখতে লাগবে মাসির কথায় একটু লজ্জা পেলাম।  তারপর বাড়ি ঘর একটু রং করা, নতুন কিছু ফার্নিচার কেনা। মিঠুকে সাথে নিয়ে ব্রাক্ষ্মণ ঠিক করা কিনে রাখার মত জিনিস গুলা কিনে রাখলাম।দুজনে এক হবো সে আশাতেই দিনগুলো গুনছি সময় যেন আর যেতেই চায় না।কলেজে নতুন সেমিষ্টার শুরু হবে তাই কলেজ ও আপাতত বন্ধই বলা যায়, রেজিষ্টার আর একাউন্ট সেকশন ছাড়া মোটামুটি সব বন্ধ,ঋতুরও তাই। রাতে ঋতুর সাথে ফোনে কথা বলছি নানা রকম কথা হচ্ছে বিয়েতে কে কি পরবো।কি কি করবো। এর মাঝে আমি মজা করে বললাম তো ম্যাডাম বিয়েতে আমাকে কি দিবে।ও বললো কি দিবো মানে ? তুমি কি যৌতুক চাচ্ছো। আমিও মজা করে বললাম হুম সেটা তো দিতেই হয়। বুঝলাম না হঠাৎ ঋতু রেগে গেল আর কিছুক্ষণ বকাবকি করে ফোন রেখে দিলো।তারপর আমি কল দিতে গেলে ফোন বন্ধ পেলাম। অগ্রত ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠলাম দেরি করে কলেজে যাবার তাড়া নেই তাই। তারপর ফোন হাতে নিয়ে দেখি।ঋতুর মেসেজ,,,,!মেসেজে যা লেখা তা পড়ে আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেলো। বিছানায় ধপাস করে বসে পড়লাম,,,,,!!! মেসেজে লেখা,,,আবির আমাকে ক্ষমা করো, এতো দিন তোমাকে ভালো করার চেষ্টা করলাম,কিন্তু তোমার ভিতর থেকে মেয়েদের পণ্য ভাবার ব্যাপারটা ঠিক করতে পারলাম না। তাই তোমাকে বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব না। ক্ষমা করো আমায়। ভালো থেকো!!!!!!
Parent