রাক্ষস - অধ্যায় ১১

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-56019-post-5286487.html#pid5286487

🕰️ Posted on July 3, 2023 by ✍️ KingisGreat (Profile)

🏷️ Tags:
📖 928 words / 4 min read

Parent
তিতির:- শাস্তি? কিসের শাস্তি?  -- কিছু লোক আছে যারা আমার ভাই আর স্যার কে ফাঁসিয়েছে। ওদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে না?  নীলা:- উফফ রিয়া, রিনি... তোরা দৌরস না ঘরে...।  কি গো মেয়েদের কিছু বলো? আমি সারাদিন পর অফিস থেকে ফিরে এদের নিয়ে ছোটাছুটি করে পারি?  -- কেনো? তোমারই তো প্ল্যান ছিল মেয়েদের নিয়ে বেরোনোর। এতেই হাপিয়ে গেলে?  অনুপমা:- তো কষ্ট হবে না? রিনি আর রিয়া তো তিতিরের পুরো উল্ট। তিতির কে বলে বলে সাজানো যায় না আর এদের দুজন কে আটকানো যায় না। তিতির:- তবুও তো তোরা বেঁচে গেলি । ছেলে দুটো পড়তে গেছে।  -- কই আমার মা দুটো কি নিল ? এত রাগছে কেনো রে তোদের মা দুটো?  রিনি :- কিছুই না গো বাবি। আমি একটু মেক আপ এর জিনিষ কিনলাম  রিয়া:- আর বলো না বাবি , আমি একটু জিন্স আর টপ কিনবো তাই সোনা মা আর মনা মা এমন করছে।  -- তোদের মাম কে বলে দে তবে। ও তো বড় পুলিশ । তিতির:- hmm ওই বাকি। বর এর বৌ দের আর ছেলেদের মা দের জেল এ পাঠাই আরকি। দেবী:- হ্যালো, ও গো, আমি এসে গেছি । বলছি, তন্ময় কে বড়ো গাড়ি টা দিয়ে পাঠাও না গো। -- hmm পাঠাচ্ছি। বলছি লোক লাগবে তোমার ?  দেবী:- না না লোক লাগবে না । তবে তোমাদের জন্ন সারপ্রাইজ আছে। দেবী বাড়ি আসে। এসে অগ্নি আগে ওকে চুমু খায়। -- কি ম্যাডাম, সুপ্রিম কোর্টের জজ!?  দেবী -- hmm খুশি হয়েছ সোনা?! -- কি মনে হয়? দেবী:- জানি না যাও। -- হাহাহা -- বাবি!! -- আরে এ করা ! হাহাহা আয় আয় আমার বাবা গুলো। দেবীর পেছন থেকে দুই ছেলে আসে বাবা কে জড়িয়ে ধরে।  -- সব আদর কি দাদান দের ই করবে?  আরে আমার সাগ্নিক বাবু তো রেগে গেছে দেখছি।  তোমায় না ভালো বেসে পারি?  এবার দুই ছেলে নীলা আর অনুপমা কে জড়িয়ে ধরে।  একজন অনল ও আর্মি তে আছে দিল্লি হেড কোয়ার্টারে কাজ করে। আরেকজন কৃষানু। এ পুলিশ এ। এ ও আইপিএস আর দিল্লি তে posted। Ognir বিয়ের মানে ওর 4 বার বিয়ের মোট 20 বছর হয়েছে। তিতিরের দুই যমজ মেয়ে । কলেজ ছাত্রী। মৌরিনী আর মৌপ্রিয়া। তিতির এই বাড়িতে সব ছেলে মেয়ের মাম। নীলার ছেলে সব চেয়ে বড়। ওর নাম অনল। নীলা বাড়ির সোনা মা। অনল মা বলেই ডাকে। অনুপমার ছেলে টা মেজ। অনলের চেয়ে 2 বছরের ছোট। এর নাম কৃশানু। অনুপমা বাড়ির মনা মা। আর কৃষানুর মা। দেবীর ছেলেটা সবচেয়ে ছোট। ও যদিও কলেজে পড়ে। তবে বয়সে ছোট। এর নাম সাগ্নিক। আর দেবী বাড়ির মাম্মা।  এই হলো অগ্নির সংসার। নীলা আর তিতির কে ই সবচেয়ে কাছে পায় ও। ওর বাকি দুই বউ মানে দেবী তো দিল্লি তেই থাকে। আর অনুপমা তো মডেল তাই দেশে বিদেশে ই ওর বেশি করে সময় কাটে। রাতের বেলা ছেলে মেয়েরা খাওয়া শেষ করে জে যার ঘরে চলে গেলে দেব তার 4বউ কে নিয়ে ওর বেড রুম এ যায়। এরপর 4 জনকে চরম সুখ দেয়।  তারপর  তিতির:- এই কাল আমার আস্তে লেট হবে।  সবাই:- কেন? তিতির :- আসলে শুধু তাই ই না। আমি টুবলু (কৃসানু) কে আর রিনি রিয়া কে নিয়ে যাবো অফিসে। অনু:- কালকেই নিতে হবে? ছেলেটা আজ তো সবে এলো... না মানে একদিন একটু রেস্ট নিলে তারপর নীতিশ না হয়... দেবী:- হ্যাঁ রে , রাজকন্যা, কালকেই নিতে হবে? আজকে ছেলে গুলোকে আমি একপ্রকার টেনে টুনে নিয়ে এসেছি।  তিতির :- মনা, রাজরানী, তোরা বুঝছিস না। ছেলেটা তো আমারও নাকি। আমি তো মা হয়ে ওকে কষ্ট দেব না। তাই না? আসলে টুব্লু টা কেবল চাকরি পেয়েছে ও যদি ওর অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তবে রিয়া রিনি সহ অনেকের উপকার হবে।  নীলা:- ও গো, তোমার কি মত? -- আমার রাজকন্যা যখন বলছে তখন ভেবেই বলছে। কি গো রাজরানী? তোমার আপত্তি আছে? দেবী:- তোমার কথায় আমার আপত্তি? তুমি বলেছ ব্যাস। -- কি গো মনা, তোমার আপত্তি নেই তো tublu কাল ওর মাম এরসাথে বেরোলে?  অনু:- মায় পোয়ে বেরোবে আমার আপত্তি কোথায়? কিন্তু বোঝোই তো...  -- সোনা তাহলে সেটাই পাকা রইলো। নীলা:- hmm একদম পাক্কা।  বাকিরা:- কিসের কথা বলছো তোমরা? -- কালকে আমার ভাই আসছে। সবাই:- রক্তিম!? -- ভৈরব। সবাই:- ভৈরব!! :- হ্যাঁ কাল ওর রিলিজ ডেট। দেবী:- এ তো সেই বিস্ময় ছেলে জে জেলে বসে পুরনো কলকুলেটর, পুরনো স্মার্ট ফোন আর একটা সিম দিয়ে ই হয় পারফরমেন্স কম্পিউটার বানিয়ে দেয়।  অনুপমা:- আমিও পড়েছি ওকে নিয়ে! নীলা:- ওর ওপরে তো সিনেমা ও হবে বলে শুনেছি। তিতির :- আমার ভয় লাগছে খুব! -- hmm । তাই বলছি তোমরা আমার  মা আর বাবা দের নিয়ে 1  2 মাস এদিক ওদিক ঘুরে এসো।  সোনা ও তোমাদের পড়ে জয়েন করবে । মনা? অনু:- বলো .. -- 1 মাস প্যারিস এ থাকো তোমরা। ছেলে মেয়েদের বলো ওদের পুজোর ট্রিপ।  কাল থেকে আমরা 1 মাস দেখা বা কথা বলবো না।  সবাই:- কিন্তু... -- প্রশ্ন নয়।  বেশ। সবাই মনঃক্ষুন্ন হয়।  তারপর অগ্নি বলে দেব এর প্রতিশোধ তো দেব কেই নিতে হবে। এটাই শিবের আশীর্বাদ পাওয়ার পর আমার দায়িত্ত্ব।  তোমরা রাগ কোরো না। আসো। তারপর দেব তার রাজকন্যা, রাজরানী , সোনা আর মনা কে আদর করে। পরের দিন সবাই কাজে বেরিয়ে যায়। Tublu আর মেয়েদের নিয়ে তিতির অফিসে যায়। ওদিকে বড় ছেলে ছোট ছেলে আর দেবীর সাথে অনুপমা পারিস এর উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়।  নীলা আর অগ্নি জেল এ আসে। জেল থেকে পেশীবহুল একটা ছেলে হুইলচেয়ারে করে বেরোয়। বেরিয়ে আসলে অগ্নি ওকে বলে ওয়েলকাম ব্যাক ভৈরব। ভৈরব ও নমস্কার করে। তবে খুব একটা পাত্তা দেয় না। নীলা:- গাড়িতে যেতে যেতে। ছেলেটা কে গো? বাব্বা তোমায় তো পাত্তা ও দিলো না। -- না দেবার ই কথা। ভগবান রা সাধারণ মানুষদের অত পাত্তা দিলে হয়?   বুঝবে সোনা । তবে সেটা পরে বলব। তুমি এখন দিয়ে সোজা চলে যাও। এই তোমার টিকিট আর পাসপোর্ট। বলে অগ্নি নীলাকে কিস করে। ওকে airport এ দিয়ে অগ্নি ভৈরব কে বলে । -- অগ্নি দেব এর প্রণাম নেবেন দেব।  -- hmm। সব রেডি আছে অগ্নিদেব?  -- হ্যাঁ ভৈরবদেব। আপনি যেমন বলেছিলেন সব রেডি।
Parent