রাক্ষস - অধ্যায় ১৫

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-56019-post-5293940.html#pid5293940

🕰️ Posted on July 11, 2023 by ✍️ KingisGreat (Profile)

🏷️ Tags:
📖 1677 words / 8 min read

Parent
মায়া:- কি কি বলছিস কি বাবা? তুই আমায় এমন করছিস ? ভৈরব:- মা? কেনো? তুমি তো আমায় মা বলতে বারণ করলে, তোমার পুলিশ বন্ধু কে বাঁচাতে গিয়ে বাবার অ্যাকসিডেন্ট হলো, আর তুমি সেই পুলিশ টা কেই বিয়ে করলে? আমায় আর বাবাকে বাড়ি থেকে বার করে দিলে আর তুমি আমার মা?!  মায়া:- কি বলছিস এসব? আমি তোকে আর তোর বাবাকে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছি??! আমি? আর তুই আর তোর বাবাই তো ওই নরপশুর সাথে আমায় বিয়ে করতে বললি!! আর দুষ্মন্ত কে বাঁচাতে তোর বাবার অ্যাকসিডেন্ট হয়েছে???! ভৈরব:- হ্যাঁ তুমি... তুমি আমায় জেলে পাঠিয়েছ!!  মায়া:- বাবু , তুই আমায় ভুল বুঝছিস বাবা। আমি তোকে তোর বাবাকে বাড়ি ছাড়া করিনি। আমায় বলা হয়েছিল ছিনতাই বাজের সাথে লড়াই এ তোর বাবার চোট লেগেছিল। ভৈরব:- তাহলে কোর্ট এ কিছু বলনি কেন? কেন চুপ ছিলে যখন বাবাকে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছিলো?? মায়া:- বাবা আমি নিজেই তখন শক এ ছিলাম। আমি নিজের মধ্যেই ছিলাম না।  ভৈরব:- তুমি আমাদের খোঁজ ও নাওনি। নিজের সংসার নিয়ে ওই পুলিশের সংসার বাচ্চা সামলাতে ব্যস্ত ছিলে।  মায়া:- বাবা তুই আমায় ভুল বুঝছিস। ওটা ওটা তোর নিজের বোন। দুষ্মন্ত infertile ।  ভৈরব:- ও টা আমার বোন? না না না এ টা কি করে সম্ভব?  মায়া:- তখন তুই অনেক ছোটো ছিলিস বাবা। তোকে কীকরে বলতাম? তুই ওটা ফেলে দে ... আমার বাবা ভালো... আয় বাবা মা এর কাছে আয়। এই বলে আমি যেই আস্তে আস্তে ওর কাছে এগোলাম, অমনি পুলিশ এ জায়গা টা ঘিরে নিলো। আমি বুঝলাম বাবু এবার একটা ভালোমন্দ কিছু করে বসবে!! আর সেটা হলে এই পুলিশ গুলো আমার ছেলেকে মেরে দেবে। আমি ওর দিকে বন্দুক তাক করলাম, ওটা ওকে বাঁচানোর জন্যই ছিল আরু পরী তোরা বিশ্বাস কর আমার ছেলেকে আমি কোনোদিন বকি পর্যন্ত নি, তাকে বন্দুক তাক করবো?? আমি তবুও নিজেকে শক্ত করে বললাম, বন্দুক টা ফেলে দিয়ে নিজেকে আইনের হতে তুলে দাও ভৈরব।  আমি পুলিশ দের বললাম আমি নিজে ওকে কাফ পড়াবো। আমি ওর থেকে বন্দুক নিতেই, একজন বলল ম্যাম এটা তো খালি!! ভৈরব সঙ্গে সঙ্গে ওর হুইলচেয়ার এর হাতলের ভেতর লুকানো একটা যন্ত্র থেকে নিমেষে ওই জায়গায় দাড়ানো সব পুলিশ কে পারালাইস করে দিলো। আর আমায় বলল, ভালো মিথ্যে বলতে পারো । তারপর আমি এই জায়গায় এলাম । এখানে দেব ও ছিল। আর তাথৈ ও ছিল। তাথৈ ওর বাবা দাদা কে চিনত। ওর বুদ্ধি দেব এর ই মত। প্রহ্লাদ এর মত জিনিয়াস না হলেও 7 বছরের মেয়েদের চেয়ে ও স্মার্ট।  এই বিল্ডিংএ আমদের 3জন কে ও নজরবন্দি রাখতো। ভৈরব:- বাবার বিশ্বাস এই বাচ্চাটা নাকি তার মেয়ে। লোকটা এখনও ভ্রম এ আছে, এই নেকড়ের মত লোভী মহিলা নাকি তার বাচ্চার মা। আমার তো করুণা হয়। আমার বাবা যেহেতু সুস্থ্য হয়ে উঠেছে তাই আমি বাবাকে একটা গিফট দেবো। একটা রেডিমেট পরিবার। বাবা , তার বউ মায়া, আর তার মেয়ে তাথৈ। ভালো না?? মায়া:- সো সত্যি বলছিস বাবু?! ভৈরব:- বাবু?? কে তোমার বাবু? ওউ হ্যাঁ!! যার দিকে বন্দুক তুলে তাকে অ্যারেস্ট করতে চেয়েছিলে?  দেব:- পিকু, ও তোকে বাঁচাতে করেছে এমন বাবা। না হলে ওই পুলিশরা তোকে মেরে দিত। ভৈরব:- মিথ্যে মিথ্যে মিথ্যে!!! এই মহিলা দুষ্মন্ত সিংহের সাথে সংসার করছিল!! গয়না, শাড়ি, গাড়ি ,জমি কিনে জমাচ্ছিল। আমার কথা বাদ দিলাম। তোমার ও খোঁজ নেয়নি। মায়া:- আমি কি করবো বল বাবা?? আমায় একটা সুযোগ দে, আমি সব ঠিক করে দেবো। তুই জা শাস্তি দিবি আমি রাজি। তাথৈ:- দাদা, তুমি মা বাবা কে কষ্ট দিও না। মা কাদঁছে বাবা ও কাদঁছে। প্লিজ মায়ের শাস্তি আমায় দাও  ভৈরব:- হ্যাঁ তোকেও দেবো। তোর বাবা কে মানে এই দেব চৌধুরী কে ও দেবো। আর ips মায়ার তো নরক যাত্রা শুরু হবে । বেশ। মায়া ম্যাডাম আমি জা শাস্তি দেবো আপনি রাজি তাই তো?  মায়া :- হ্যাঁ হ্যাঁ রাজি । তুই যা বলবি আমি করবো।  ভৈরব :- ভেবে বলো। কথার খেলাপ করবে না তো? যেমন আগে করেছো?  মায়া:- আর কত বার বলবি  বাবা?  বেশ। আমি যদি কথার খেলাপ করি আমায় মেরে দিস। ভৈরব:- না । মেরে দেব না । তাহলে কষ্ট কম পাবে তুমি। আমায় খালি 3টে প্রশ্নের উত্তর দাও সত্যি করে আরেকটা প্রমিজ করো। আমি তোমাদের 3 জনকে ছেড়ে দেবো। আর না হলে 3 জনকেই 3 জনের হাতে মেরে দেবো। তুমি মারবে তোমার মেয়ে কে, তোমার কর্তা মারবে তোমায় আর তারপর নিজে মরে যাবে। বলো রাজি?? মায়া:- এ কেমন খেলা? এ কেমন শর্ত?? আমি তোর অপরাধী আমায় জা করার কর। তোর বোন বাবার কি দোষ? ভৈরব:- বোন এর দোষ আমার প্রাপ্য তে ভাগ বসানো। আর বাবার দোষ বোন কে পৃথিবী তে আনা আর তোমায় বিশ্বাস করা । বলো তুমি রাজি কি না? মায়া :- রাজি।  ভৈরব:- আমার প্রথম প্রশ্ন। তুমি যখন দুষ্মন্ত এর সাথে sex করতে সেটা কি ফীল করতে? মায়া:- আমার ঘেন্না লাগতো। আর ওর কোনো ক্ষমতা ছিল না। ড্রাগ নেয়ার ফলে ও শুধু আমায় কষ্ট দিত কিন্তু কিছু করতে পারতো না। ওর সাথে বিয়ের পর আমি জানতে পারি আমি 3 মাসের প্রেগন্যান্ট । আর বুঝতে পারি তাথৈ আমার আর তর বাবার মেয়ে। ভৈরব:- বাহ। খুব সুন্দর উত্তর। দুষ্মন্ত কে দেখে বিশ্বাস হয় ওর ক্ষমতা নেই। আর হিসেবে তাথৈ ও আমার বাবার মেয়ে। Hmm ভালো। বেশ 2ন্ড প্রশ্ন। কোর্ট এ আমাদের অপরাধী বলার পর তুমি আমাদের খোঁজ নাওনি কেন? এত সম্পত্তি কার জন্যে? আর তুমি এত খারাপ কেন? মায়া:- তুই আমায় জা চাস যতভাবে চাস অপমান করে নে। কিন্তু সত্যিই বলছি আমি ইচ্ছে করে তোর খোঁজ নেয়নি এটা নয়, আমায় মা আর দিদি তোদের খোঁজ নিতে দেয়নি। আমায় নানান মিশনে সারা দেশে পাঠিয়েছে। আর আমি প্রেগন্যান্ট হওয়ার পর আমার যখন তাথৈ হলো তখন সত্যি বলতে ওর ভবিষ্যৎ নিয়ে আমার চিন্তা হয়। দুষ্মন্ত ওকে নিজের পিতৃ পরিচয় দেয়নি। আমি তোর বাবার নামেই ওকে বড়ো করেছি । কিন্তু দুষ্মন্ত আর ওর পরিবার আমার থেকে জা। জা কেরে নিয়েছিল সেগুলো আমি দুষ্মন্ত কে দিয়ে বাড়ি গাড়ি শাড়ি গয়না এসব রূপে জমিয়ে রেখেছিলাম। তুই যদি বলিস আমি তোকে সব ডকুমেন্ট ও দিতে পারি। ওগুলো সব তোর বউ এর আর তোর জন্যে বাবা।  ভৈরব:- আমার বউ এর জন্যে!! মানে পরীর জন্যে? মায়া:- হ হ্যাঁ। ভৈরব:- আচ্ছা এবার বুঝলাম তোমার প্ল্যান। পরীকে আবার আমার সাথে জুড়ে আমার সব ক্রেডিট তুমি নেবে আর বোন জে কিনা তোমার আর বাবার নিজের মেয়ে তাকে সব দেবে। আর পরী তো আমার ক্ষতি ই চায় ! মায়া :- না না না!! উফফ কি করে বোঝাব তোকে?  ভৈরব:- বেশ একটা শেষ প্রশ্নের উত্তর দাও । মায়া:- hmm। ভৈরব:- কাকে সবচেয়ে ভালো বাসো। মায়া :- তোকে। ভৈরব :- আমার জন্যে কি করতে পারো? মায়া:- সব। ভৈরব:- নিজের মেয়ে বর কে নিজের হাতে মারতে পারবে?  মায়া চুপ।  ভৈরব :- এই হল দুটো বন্দুক। দুটোতেই 2 তো করে মোট 4 তে গুলি আছে। এবার তুমি তাথৈ আর বাবাকে মেরে আমার মা হিসেবে আমার কাছে আসো অথবা আমায় মেরে সেটাকে এনকাউন্টার বলে চালিয়ে দাও আর নিজের বর মেয়ে কে নিয়ে সুখে সংসার করো। আর যদি তুমি 1 মিনিট এ না করো, আমি , বাবা তাথৈ সবাই মারা যাবো। আমি সবার কব্জিতে একটা হয় শক ব্রেসলেট পড়িয়েছি জা 1 মিনিট এর মধ্যে আমার ব্রেন আর তার সব নার্ভ পুড়িয়ে দেবে।  তোমার সময় শুরু এখন। আমি ভাবলাম আমার কাছে উপায় কি?  ভৈরব এর মানসিক অবস্থার ঠিক নেই! কোনো গ্যারান্টি নেই ওকে বাচালে আমায় ছেড়ে দেবে বা আর কারো ক্ষতি করবে না। আর আমার মেয়ে আর বর তো নির্দোষ। আমি ভাবতে পারলাম না ভৈরব এর দিকেই দুইবার শুট করলাম। কিন্তু কিছুই বেরোলো না!! অন্য বন্দুকটা ও খালি। ভৈরব আমায় ওদের ব্রেসলেট দেখালো । ওগুলো কাগজের টুকরো ছাড়া কিছুই না। তারপর ও দেব আর তাথৈ কে বলল। এটাই তোমাদের দেখানোর ছিল। এই মহিলা মিথ্যাবাদী। চাপে পরলে ওর বন্দুকের নল আমার দিকেই ঘুরবে । কেনো জানো? আমি ওর নিজের সন্তান না তাই। একজন জেল খাটা আসামি, একটা মানসিক রোগী, একটা হুইলচেয়ার বাউন্ড । আমি পড়ে যাই। আমার মাথা কাজ করে না। সব তালগোল পাকাচ্ছে।  তারপর ভৈরব বলল জে দেব এর সাথে আমার বিয়ের সার্টিফিেট রেডি। সই করলেই হবে।  তারপর আমায় একটা বাক্স দিল। বলল উপহার। খুলে দেখলাম একটা বন্দুক আর 14 রাউন্ড এর ম্যাগাজিন।  মায়া:- এ এটা কি? ভৈরব:- কেনো? পছন্দ হয়নি? চিন্তা নেই রেজিস্টার্ড এটা। জার্মান মেড।  মায়া :- কিন্তু কেনো? ভৈরব:- আমায় মারবে বলে। সব দিক থেকে মেরেই দিয়েছো। প্রানেও মেরেই দাও। না কি আমায় প্রতিবন্ধী ভেবে দয়া করছ?  দাড়াও।  এই বলে ভৈরব উঠে দাড়ায়। আর হেঁটে দেখায়।  ভৈরব:- অবাক হয়ো না। তোমাদের মত দৌড়াতে পারি না। ওই একটু হাঁটতে পারি। আর আমার iq 300 এর একটু বেশি।  মায়া :- বাবু!? ভৈরব:- তোমার ছেলে মারা গেছে যখন 2 বার তুমি তার দিকে পিস্তল ধরেছো। এমন করবে না সেটা আমি বিশ্বাস করি না। আমার সামনে থেকে চলে যাও। তোমায় কলকাতা তে বদলি করার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বর মেয়ে কে নিয়ে সংসার করো। আর এই জে আরত্রিকা ও তোমার বৌমা। পরীর মত বিশ্বাসঘাতক নয়। যতদিন না পরীর সাথে আমার বিয়ে হবে আরু তোমাদের দেখাশোনা করবে। সাথে আমার কোম্পানি ও ও দেখে। বাবা চেয়ারম্যান। যাও যাও। আমার সামনে থেকে দুর হয়ে জাও। আমার গা গুলোচ্ছে তোমাদের দেখে। এরপর আমি কলকাতা চলে এলাম। তাথৈ আর দেব এর সাথেই নতুন বাড়িতে থাকতে আরম্ভ করলাম। আরু আমাদের দেখাশোনা করে ।  এর মধ্যে দুষ্মন্ত ,ডক্টর সুকান্ত, মিসিং হয়। মিসিং হয় শহরের একাধিক মহিলা। হঠাৎ করে অনেক পুলিশকর্মী ইস্তফা দেয়। আরু আমায় বলল জে এই বিষয়ে না ভাবতে আর চোখ কান বুজে থাকতে। এটাও বলল এসব ওর বরের কাজ। কিন্তু ওকে আটকাতে গেলে আমায় আরু আর বাবু কে খুন করতে হবে।  তারপর আজ আমার তলব হলো তোর বধূবরণ আর বিয়ের কাজ করার জন্ন। এতটা বলে মায়া থামে। পরি:- আমার ওপর ও ওর ঘৃনা?  আরু:- hmm। আর এই জন্যেই তোকে বিয়ে করছে। মায়া:- বিয়ে হলে তোর নামে জা কিনেছিলাম তোকে দিয়ে দেবো। তাতে যদি আমায় ও এই রোজকার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়।  পরী:- রোজকার যন্ত্রণা না? আমায় রোজ হসপিটালে দুষ্মন্ত আর আমার sex এর ক্লিপিং দেখায়। ফোন, টিভি, ল্যাপটপ, ট্যাব, পিসি সব হ্যাক করা। রোজ বলে ওকে মেরে দিতে। রোজ আমায় দুষ্মন্ত আর আমার বিয়ের ছবি, ভিডিও দেখায়। ওখানে কিভাবে ওকে বার করে দেওয়া হয়েছিল সব দেখায়। পরে দেব আমায় বলে যে মা আর দিদি সব বানিয়ে বানিয়ে বলেছে। আমি রোজ মরি রে পরী। তবে বাবু বলেছে আমার মত করো নাকি নরকেও জায়গা নেই। তাই আমি বেচে মরে আছি। পরী:- কোনো কি উপায় নেই? ওকে তো এভাবে সব শেষ করতে দেওয়া যায় না। মাহি:- দেবতা বা অসুর হলে একটা কথা ছিল। কিন্তু আমরা সবাই ওকে রাক্ষস বানিয়েছি। আর সবথেকে বড়ো পাপী তো আমিই!! মায়ের কথা শুনে দেব কে ছাড়লাম। পিকু কে কি কি না বলেছি। ওকে মাম এর থেকে দুর করেছি। আর যে ডেভিড আর মায়ের জন্ন এসব করলাম সেই ডেভিড ই কোম্পানি পাওয়ার পর আমায় আর তিতলি কে বার করে দিল?
Parent