Risita An Oblivious Star - The Unseen Stage - অধ্যায় ৬

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-70251-post-6046810.html#pid6046810

🕰️ Posted on September 30, 2025 by ✍️ Suchh (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 613 words / 3 min read

Parent
Part 5: কম্পনের খেলা: সঙ্গীতের অশ্লীলতা!   পরের সপ্তাহ। ক্যালেন্ডারের পাতায় লাল কালির দাগ দেওয়া সেই দিনটা অবশেষে এসে পৌঁছাল। রিসিতা আর দেবু’র গাড়ির চাকা যখন হাওড়ার মফস্বল গ্রামটির ধুলোমাখা রাস্তায় গড়াতে শুরু করল, তখন শহরের পরিচিত কংক্রিটের জঙ্গল ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছিল, আর তার জায়গায় ভেসে উঠছিল সবুজ ধানখেত আর মাটির সোঁদা গন্ধ। মনটা তখন এক অন্যরকম ভালো লাগায় ভরে উঠছিল। গন্তব্যে পৌঁছে তারা দেখল, তাদের অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত হলঘরটি আকারে ছোটই বটে, আর তার দেয়ালগুলোও দীর্ঘদিনের পুরোনো গল্প বলতে বলতে বুঝি ক্লান্তি এসে গেছে। কিন্তু গ্রামের মানুষের চোখেমুখে যে উৎসবের আমেজ আর অদম্য উৎসাহ, তা যেন সেই জীর্ণ দেয়ালগুলোকেও মুহূর্তে চাঙ্গা করে তুলছিল, এক অন্যরকম জীবনীশক্তির ঢেউয়ে হলঘরটা গমগম করছিল। গাড়িটা থামা মাত্রই একদল উৎসাহী স্বেচ্ছাসেবক এগিয়ে এল, যেন তারা বহুক্ষণ ধরে এই মুহূর্তটার জন্যই অপেক্ষায় ছিল। তাদের আন্তরিকতা আর ক্ষিপ্রতা দেখে রিসিতা ও দেবু দুজনেই মুগ্ধ। রিসিতার মুখটায় তার সেই চিরপরিচিত হাসিটা ফুটে উঠল, যে হাসির পরশমাত্রেই কঠিনতম পরিবেশও যেন উষ্ণতায় ভরে ওঠে। স্বেচ্ছাসেবকেরা নিমেষে তাদের ব্যক্তিগত সামগ্রী গ্রিনরুমে পৌঁছে দিতে সাহায্য করল। গ্রিনরুমটা অবশ্য নামের ভারিক্কিটা বহন করছিল না একদমই। বেশ ছোট একটি ঘর, তবে পরিচ্ছন্নতায় কোনো খুঁত নেই। ঘরোয়া এক আমেজ। এক কোণায় মেকআপ টেবিল বলতে একটি পুরোনো কাঠের টুল, তার ওপর বসানো আয়নাটা যেন নিজের মধ্যেই গ্রামের বহু পুরোনো স্মৃতির আবেশ ধরে রেখেছে। আর তার পাশেই দু'খানা নড়বড়ে চেয়ার, যেন যেকোনো মুহূর্তে হাঁই তুলে লম্বা ঘুম দিতে প্রস্তুত। রিসিতা তার শাড়ি, গয়না আর মেকআপ কিটগুলো সাবধানে গুছিয়ে রাখছিল, যেন প্রতিটি জিনিস তার গানের মতোই নিখুঁতভাবে সাজানো। দেবু তার পাশে বসেছিল, হাতে ফোন, কিন্তু তার চোখ ছিল রিসিতার দিকে। মাঝে মাঝে সে ঠোঁটের কোণে হাসি নিয়ে তাকাত, যেন রিসিতার প্রতিটি নড়াচড়া তার কাছে কোনো মনোমুগ্ধকর পারফরম্যান্স। নিজের মেকআপ বক্সটা খুলতে খুলতে রিসিতা এক দীর্ঘশ্বাস ফেলল, তবে সেটা ক্লান্তির নয়, বরং এক অজানা শান্তি আর ভালো লাগার। "আহ, শোনা! আজ যেন কেমন একটা দারুন লাগছে," সে বলল, তার কণ্ঠস্বরে এক স্নিগ্ধতা। "এই গ্রামটা অদ্ভুত শান্ত। আর এখানকার মানুষগুলোও! যেন তাদের সরলতা ছোঁয়াচে।" দেবু ফোন থেকে চোখ তুলে হাসল, সেই হাসিতে রিসিতার প্রতি তার অগাধ মুগ্ধতা আর এক ঝলক দুষ্টুমি খেলা করছিল। "ভালো তো লাগবেই, রিসিতা। তোমার গান শুনতে পেলে তো পাথরেরও মন গলে যায়, আর এ তো মানুষ! তারা ভালো না হয়ে যায় কোথায়?" দেবুর চোখে তখন শুধু রিসিতার জন্য গর্বের আলো ঝলমল করছিল, যেন সে নিজেই তার প্রিয় শিল্পীর সবচেয়ে বড় ভক্ত।   একদম ঠিক তখনই দরজায় একটা আলতো টোকা পড়ল। ওমনি দরজার ফাঁক দিয়ে বীরেন কাকুর হাসি হাসি মুখটা উঁকি দিল। “আরে রিসিতা! দেবু! এসে গেছো? বাহ, দারুন একদম ঠিক সময় মতো!     “শোনো রিসিতা, একবার স্টেজ যেতে হবে তোমাকে আর দেবুকে”, কিছু শেষ মুহূর্তের মাইকের সাউন্ড চেক আর লাইটিং অ্যাডজাস্টমেন্ট করার জন্যে। তোমার আর দেবুর একবার দেখে নিলে ভালো হয়। তাহলে রিসিতা পরে আর তোমার গান গাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো পোহাতে হবে না,” বীরেন কাকু বলতে বলতে প্রায় ঘরের ভেতরে চলে এলেন।   রিসিতা আর দেবুর চোখ এড়িয়ে বীরেন কাকুর চোখ এক বারের জন্যে রিসিতার স্টেজ পড়ার জন্যে গুছিয়ে রাখা পার্পল রঙের চীফন সারি আর তার সাথে পার্পল রঙের ব্লাউজ, পার্পল রঙের ব্রা আর তার সাথে রাখা পার্পল রঙের লো-ওয়েস্ট প্যান্টির দিকে পড়লো, (এর পাশে রাখা ওই সাদা রঙের ঘামে ভেজা প্যান্টি-এর দিকেও গেলো।) এক নজরে এই সব দেখে বীরেন কাকুর চোখে একটা চাপা চাতুর্য খেলা করছিল, যেন তিনি জানেন কিছু একটা ঘটতে চলেছে।   রিসিতা একটু দ্বিধা করল। তার মুখটা কেমন যেন একটু ফ্যাকাসে হয়ে গেল। “কিন্তু কাকু, আমি তো এখনও শাড়ী বদলাইনি! আমার স্টেজে যাওয়ার জন্য মেক-আপ করতে হবে। আর এই যে আমার নতুন পার্পল শিফন শাড়িটা,” সে আলতো করে মিহি শাড়িটার দিকে ইশারা করল, “এটা পরতে বেশ কিছুক্ষণ সময় নেবে, কাকু। তার ওপর… আরও অনেক কিছু বাকি।” (শেষের ‘আরও অনেক কিছু বাকি’, শাড়ির নিচে তো আবার প্যান্টি-ও পড়তে হবে সেই অংশটা রিসিতা কিছুটা অস্বস্তিতেই এড়িয়ে গেল, যেন মুখে বলতে চাইছিল না যে পোশাক পরিবর্তনের আরও কিছু ব্যক্তিগত অনুষঙ্গ বাকি আছে)।
Parent