রক্তমুখী নীলা (সমাপ্ত) - অধ্যায় ৯

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-7391-post-3316950.html#pid3316950

🕰️ Posted on May 20, 2021 by ✍️ HASIR RAJA 19 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 476 words / 2 min read

Parent
ওপাশের দরজা দিয়ে আরো কয়েকজন মানুষ প্রবেশ করলো। দেখলাম তার মধ্যে রবীন বলে লোকটিও আছে। ছেলেটি দ্রুত আমার হাত ধরে নীচে নামিয়ে আনলো সিঁড়ির মুখেই আমায় ইশারায় ওপরে তাকাতে বললো দেখলাম ছাদের কাছে একটা গোল ফোকর। চটপট ছেলেটি হাঁটু গেড়ে বসে পড়লো আমি ওর কাঁধে পা রেখে ফোকরে কাছে এসে হাতের চাপে ফোকরের দরজা খুলে ওর মধ্য সেধিয়ে গেলাম। নীচের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলাম কিন্তু অবাক হলাম ছেলেটি হাত দিয়ে আমায় চলে যেতে বলছে। মানলাম না হাত দেখিয়ে জোর করলাম আমার সাথে আসার জন্য কিন্তু তাতে অনেক দেরী হয়ে গেছে সিড়ির মাথায় কয়েকজন এসে দাঁড়িয়েছে দ্রুত পিছনের দিকে সরে গেলাম। নীচ থেকে ওদের কথা ভেসে আসলো। -- কিরে ও খেয়েছে। রবীন বলে উঠলো। -- না সাহেব ও খাচ্ছে না গোঁজ হয়ে বসে আছে। আমি থালা দিয়ে চলে এসেছি। -- ঠিক আছে তুই যা আমি দেখছি। আমি দ্রুত পিছনের দিকে তাকালাম এখান থেকে সোজা একটা সিঁড়ি উপরের দিকে উঠে গেছে। উপরে উঠে লক্ষ করলাম আবার সেই গোলাকার দরজা সন্তর্পনে দরজাটা খুলে বাইরে উঁকি মারলাম লম্বা একটা করিডরের শেষ প্রান্তে দুটি লোক দাঁড়িয়ে আছে। বেরোব কি করে। এখান থেকে নামতে গেলে যদি কোনরকম শব্দ করি তাহলে এখানেই শেষ। কিন্তু এভাবে থাকাও সম্ভব নয় যত দ্রুত আমি এখান থেকে বেরোতে পারলে বাঁচি। আস্তে করে দুটো পা ঝুলিয়ে ঝপ করে লাফিয়ে পড়লাম। শব্দ হলোনা ঠিকই কিন্তু লাফাবার আগেই একজন এদিকে তাকাতেই আমায় দেখতে পেয়ে গেলো। দৌড়ে আমার কাছে এসে কোমর থেকে পিস্তল বের করে মাথায় ঠেকালো। আবার কি তবে ধরা পড়ে গেলাম।  চল ওঠ। আমাদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যাওয়া এত সোজা নয় চাঁদু।ঠিক তখনই লোকগুলোর পিছনদিক থেকে ঝুপ করে একটা শব্দ হলো একটি লোক সোজা মাটিতে কুপোকাত অন্যজন হতভম্ভ হয়ে গেছে, দ্রুত লোকটার হাত ধরে একটা হেঁচকা টান মারলাম। টান সামলাতে না পেরে পরে গেলো লোকটা। হাতে ধরা বন্দুক থেকে প্রচন্ড শব্দ করে একটা গুলি বেরিয়ে বন্দুকটা লোকটার হাত থেকে ছিটকে চলে গেলো। ছেলেটি দ্রুত গিয়ে বন্দুকটা তুলে নিলো আমার হাত ধরে তুলে বললো আর দেরী করলে চলবে না এক্ষুনি সবাই জেনে যাবে পালাতে হবে চলো দৌড়াও। এক ছুটে লম্বা করিডোর পার করতেই শুনতে পেলাম জলের শব্দ। আর তার সাথেই পিছন থেকে অনেক লোকের চিৎকার। চিৎকারটা আমাদের দিকেই এগিয়ে আসছে। ছেলেটি আমার হাত ধরে চলো বলেই ছুট লাগালো সামনে একটা দরজা সেটা খুলতেই গোধুলী আলো আমায় স্নান করিয়ে দিলো, প্রকৃতির শীতল ঠান্ডা হাওয়া আমার শরীরে এসে পড়েছে প্রাণ জুরিয়ে গেলো কিন্তু এখন এসবের সময় নয় দ্রুত এখান থেকে সরে পরতে হবে না হলে সব শেষ। দরজা দিয়ে বেরোতেই ছেলেটি জিজ্ঞেস করলো সাঁতার কাটতে পারো ত? প্রথমটায় কথাটার মানে বুঝতে পারিনি হঠাৎ খেয়াল করলাম আমাদের পাশেই নদী। আর এতক্ষনে বুঝলাম যে আমি একটা জাহাজে রয়েছি। চারপাশটা একবার দ্রুত চোখ বুলিয়ে নিলাম। চারদিকেই জল, দূরে নদীর পারে জনবসতি দেখা যাচ্ছে তার মানে....আরে ওটা কি? এত আমাদের দ্বিতীয় হুগলী সেতু তবে কি... আর ওই যে দূরে হাওড়া ব্রিজ আমি ত তাহলে কলকাতাতেই আছি অবাক বিস্ময়ে একবার ছেলেটির দিকে তাকালাম। পিছনের চিৎকার অনেকটাই এগিয়ে এসেছে আর কিছু না ভেবে সোজা জলে ঝাঁপ দিলাম।
Parent