রতনের ক্যারিশমা (বউদি সিরিজ) - অধ্যায় ১৭

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-59008-post-5422920.html#pid5422920

🕰️ Posted on November 24, 2023 by ✍️ মাগিখোর (Profile)

🏷️ Tags:
📖 457 words / 2 min read

Parent
<×><×><×><×><×><×><×><×><×><×><×><×> ম্যানেজারের আবির্ভাব <×><×><×><×><×><×><×><×><×><×><×><×> আমরা পাঁচ বন্ধু। বিশ্বরূপ-রূপসা, আমি, সোমনাথ-মঞ্জুষা, তারপর গণেশ-মিতা, আর রাজেশ-মিলি। মজার কথা হচ্ছে, গনেশ আর রাজেশের একই দিনে, একই বাড়িতে বিয়ে হয়েছে। মিতা আর মিলি যমজ। মিতা কয়েক মিনিটের বড়।  গণেশ আর রাজেশ দুজনেই কলম পেশে। সরকারি কেরানি। ওদের introduction টা পরপর দু'সপ্তাহে হয়ে গেল। মিতা যেহেতু বড় মিতার আগে হল। পরের সপ্তাহে মিলি। আমাদের পঞ্চম বন্ধু রতন, বাউন্ডুলের মত ঘুরে বেড়িয়েছে এতদিন। এখন কাকু ওকে ম্যানেজারের চাকরি দিয়ে বসিয়ে রেখেছে নিজের অফিসে। বিয়েটা করবে কিনা জানি না। ও স্পেশালিস্ট বৌদি বাজিতে। দুনিয়ার যত বৌদির সঙ্গে ওর খাতির; আর তাদের সমস্যার সমাধান করতে  এক পায়ে খাড়া(?) আমরা চারজনেই ব্যাপারটা জেনে গেছি। এখন নিজেদের মধ্যে একটু আধটু আলোচনা শুরু হয়েছে। মেয়ে মহলে মনে হয় একটু বেশিই হচ্ছে। কিন্তু, মনটা খুঁতখুঁত করছে; রতনকে আমরা এ ব্যাপারে পাবো না। তার জন্য আমাদের মন খারাপ। তাড়াতাড়ি রতনের একটা বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে, কাকু ঠিক রতনকে ভিড়িয়ে দেবে আমাদের সঙ্গে।  কাকু বলেছে জন্য একটা ভালো বাগান বাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে। যেখানে আমরা ছাড়া, আর কোন লোকজন থাকবে না। রান্নাবান্না, আমরা নিজেরাই করব। সব আগে থেকে কিনে, ঢুকিয়ে রাখা থাকবে। জনমানবশূন্য একটা বড় বাগান বাড়ি চাই। পুরো ৭২ ঘন্টা আমরা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকবো। বিশ্বরূপের ছেলের ব্যাপারে কথা হয়েছে এই তিন দিন রুপসার মা, নাতিকে নিজের কাছে রাখবে। কারণ, আমরা যেখানে বেড়াতে যাব, সেখানে বাচ্চা নিয়ে যাবার অসুবিধে আছে। অসুখ-বিসুখ করলে মুশকিল হবে। আমার পুচকিটাকে অবশ্য নিয়ে যেতে হবে। মা ছাড়া ও থাকতে পারবে না।  মোটামুটি সব ঠিকঠাক। এখন কাকু জায়গার ব্যবস্থাটা করলেই, আমাদের প্রোগ্রাম হবে। রতনের জন্য আমাদের সবাইয়ের মনটা খারাপ।  অবশেষে শনিবারের রাতের আড্ডায় দেখা মিললো রতনের। প্রায় মাস দেড়েক পরে। আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ার আগেই, কাকুর ঘোষণা আমাদের সবাইকে চুপ করিয়ে দিলো, সামনের সপ্তাহে ছুটির অ্যাপ্লাই করে দে। আমরা রবিবার বেরোবো।  আরো বললো, পুরো এক সপ্তাহের প্রোগ্রাম। আমরা রবিবার সকালে বেরোবো। রবি-সোম, মঙ্গল-বুধ, বৃহস্পতি-শুক্র; এই ছ'রাত কাটিয়ে, শনিবার দুপুরের লাঞ্চ করে, ফিরে আসবো। সবার চোখে মুখে, খুশি উপচে পড়ছে। কিছু একটা হয়ে যেত, কিন্তু রতন থাকার জন্য, কিছু হচ্ছে না। আড়ালে আবডালে; মাই কচলানো, চুমু খাওয়া, এই সবই হচ্ছে। খোলাখুলি কিছু হচ্ছে না।  পরের দিন রবিবার; লোকজন একটু বেশিই থাকে। কোন কিছু করবার সুযোগ কম।  সামনের রবিবারে প্রোগ্রামের জন্য আমরা সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রইলাম।  আমরা চারজন স্বামী-স্ত্রী আর রক্তিম কাকুরা দুজন; এই দশজন মিলে দুটো গাড়িতে উঠে পড়লাম। destination বাগানবাড়ি। তখন সকাল ছটা। ঘন্টা দুয়েকের ড্রাইভিং, অবশ্য জায়গাটার নাম বলতে পারছি না, নিরাপত্তার খাতিরে। এটা কাকু আমাদের বারণ করে দিয়েছে।  পাঁচিল দিয়ে বাউন্ডারি ঘেরা একটা বড় বাগান বাড়ি। দুটো গাড়ি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে হর্ন দিতে; দরজার পাল্লা দুটো ধীরে ধীরে খুলে যেতে লাগলো। দরজার সামনে, অভ্যর্থনা জানানোর ভঙ্গিতে, হাসিমুখে দাঁড়িয়ে,  ওকে ? কে ? রতন ? ? ! ! আমরা সবাই লাফিয়ে গাড়ি থেকে নেবে পড়লাম! অবশেষে সত্যিই রতন এক লাফে, আমাদের আনন্দ যেন দ্বিগুণ হয়ে গেল। রতনকে ছাড়া আমাদের টিমটা সত্যিই বেকার।
Parent