satabdi ম্যাডামের old scanned choti নতুন গল্প - মাঝে মাঝে ঝড় ওঠে (সমাপ্ত ২৪/০৩/২০২৫) - অধ্যায় ২

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-60373-post-5492106.html#pid5492106

🕰️ Posted on January 25, 2024 by ✍️ মাগিখোর (Profile)

🏷️ Tags:
📖 762 words / 3 min read

Parent
<><><><><><><><> <><><><><><><><> <><><><><><><><> আমার লেখা পরবর্তী অংশ <><><><><><><><> <><><><><><><><> <><><><><><><><> সেদিন পরপর দুবার, নিজেকে নিঃশেষ করে; উজাড় করে দিয়েছিল কদম। চারটে বাজার আগেই, মোটরসাইকেল বার করে; বেলেঘাটা থেকে শিয়ালদায় পৌঁছে দিয়েছিলাম। আমার ফোন নাম্বার নিয়ে, সাড়ে চারটের ট্রেন ধরে; কদম হারিয়ে গেল আমার চোখের সামনে থেকে।  পনেরো-ষোলো দিন পরে, ফোন করে, খুশির খবরটা দিয়েছিল আমাকে। ওর মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে। ওর নিজের ফোন ছিল না; রাস্তায় কোন দোকান থেকে মাঝেমধ্যে ফোন করতো আমাকে। ৪-৫ মাস পরে ফোন করাও বন্ধ হয়ে গেল। সম্ভবত, প্রসবের সময় এগিয়ে আসছিল বলে।  শেষ যেদিন ফোন করেছিল, তার প্রায় বছরখানেক বাদে; ফোন করল কদম। হাসতে হাসতে বলল,  - তোমার ছেলে হয়েছে। ছেলেকে দেখবে না?  - কি করে দেখব? লক্ষীকান্তপুর যাব নাকি?  খিলখিলিয়ে হেসে উঠে বলল,  - অত কষ্ট করতে হবে না। কাল সকালে শিয়ালদা এলেই দেখতে পাবে। আমি বাপের বাড়ি যাবো। দশটা নাগাদ, শিয়ালদা থেকে ট্রেন ধরবো। কেমন বাপ গো তুমি? ছেলের বয়স ছ'মাস পেরিয়ে গেল, তবু মুখ দেখলে না। কদমের কথা শুনে প্রথমই আমার মনে পড়ল কদমের নিটোল স্তন যুগলের কথা। তারপরই মনে পড়ল কদমের সেই পরিপূর্ণ সমর্পণের কথা। আমি তোমার কাছেই দাসি হয়ে থেকে যেতে চাই। তারপরই মনে পড়ল ছেলেটার কথা। আমার দেহরসের সাহায্য নিয়ে কদম তার শরীরের মধ্যে একটা মানুষ তৈরি করে ফেলেছে। সে আমার সন্তান, আমি তার বাবা। কালকে আমি আমার ছেলেকে নিশ্চয়ই দেখতে যাব।  এ জগতে আমি ভীষণ একা। মা চলে গেছে প্রায় ছ মাস হয়ে গেল। অবশ্য, মা চলে যাওয়ায়, যতটা না দুঃখ পেয়েছি; তার চেয়ে বেশি আনন্দই হয়েছে। সারা শরীরে ঘা হয়ে গিয়েছিল। শেষের দুমাস, আমি ছুটি নিয়ে, নিজে মায়ের সেবা করেছি। কোন আয়া মায়ের সেবা করতে চাইতো না; এতটাই দুর্গন্ধ।  মা বুঝতে পেরেছিল। নিজেও মুক্তি পেয়েছে, আমাকেও মুক্তি দিয়ে গেছে। কিন্তু, এ জগতে আমি এখন একদম একা। কেউ নেই আমার। কদমের কথা শুনে, তবু; মনের মধ্যে একটা আশা জেগে উঠলো।  হ্যাঁ আমারও আছে। কেউ আছে! অন্য কেউ নয়; আমার নিজের ঔরসের সন্তান।  কদম, কখন যেন আসবে বলল? যাই বলুক, আমি; কাল সকাল থেকে শিয়ালদা স্টেশনে অপেক্ষা করে থাকব কদমের জন্য। আমার সন্তান, জানিনা কি রকম দেখতে হয়েছে? কি নাম রেখেছে কদম, সেটাও বলেনি আমাকে! আচ্ছা ঠিক আছে, কালকে তো দেখতেই পাবো।  আমার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে, "এ পৃথিবীতে একা নই আমি, আমারও কেউ আছে।" উত্তেজনায় রাতে ঘুমাতে পারলাম না।  সকাল হতে না হতেই, পৌঁছে গেলাম শিয়ালদা স্টেশনে। যদিও জানি, কোলে বাচ্ছা নিয়ে, সকাল সাতটার আগে ট্রেনে উঠতে পারবে না কদম। তারমানে, সকাল দশটার আগে, শিয়ালদা পৌঁছবে না। কিন্তু, বাড়িতে মন টিকবে না।  শিয়ালদা স্টেশনের কাফেটেরিয়ায় ঢুকে চা নিয়ে বসলাম। চা খেতে খেতে ফোন বেজে উঠলো। কদম ফোন করেছে।  - ট্রেনে উঠে পড়েছি। তুমি কোথায়?  - আমি তো শিয়ালদা স্টেশনে এসে বসে আছি।  - এত তাড়াতাড়ি! তুমি পাগল নাকি?  - কি করবো বাড়িতে মন টিকছিলো না। এখানে এসে বসে আছি। এখন চা খাচ্ছি। কিন্তু, একটা কথা বলতো; এই ফোনটা তুমি কি করে পেলে? এই ফোন থেকে তো কালকে ফোন করেছিলে!  - এই ফোনটা, তোমার ছেলের নকল বাপ কিনে দিয়েছে ছেলে হবার আনন্দে। তাই বলে তুমি আবার হুটহাট ফোন করো না। আমার যখন সময় হবে, তখন আমি নিজেই ফোন করবো। এখন ছেলের জন্য হাপিত্যেশ করে শিয়ালদা স্টেশনে বসে থাকো।  উদ্দেশ্যহীন ভাবে স্টেশনের এখানে ওখানে ঘুরে সময় কাটাতে লাগলাম কখন যে দশটা বাজবে। দশটা বাজার কিছুক্ষণ আগে কাফেটেরিয়ায় এসে টেবিলে বসলাম। ওয়েটার আসতে বললাম, "আমার একজন গেস্ট আসবে। তখন দুটো ব্রেকফাস্ট দেবেন, ব্রেড অমলেট; সঙ্গে এক গ্লাস গরম দুধ আর আলাদা করে চিনি।" একটা খবরের কাগজ হাতে করে এসে বসেছি চোখ বোলাতে বোলাতে; পরিচিত গলার স্বরে আওয়াজ পেলাম,  - ইন্দ্র। … ধড়মড় করে উঠে দাঁড়ালাম। দরজায় হাসি মুখে ছেলেকে কোলে করে দাঁড়িয়ে কদম। কাঁধে একটা বড়সড়ো ব্যাগ। ছেলেকে কোলে নিয়ে, কদমের হাত ধরে নিয়ে এসে টেবিলে বসালাম। নির্নিমেষ চোখে তাকিয়ে আছি ছেলের দিকে। আমার রকম সকম দেখে কদম মুখ টিপে টিপে হাসছে।  - বাবুর যদি ছেলেকে দেখা শেষ হয়; তাহলে, ছেলের মায়ের দিকেও একবার তাকিয়ে দেখো। … হাসতে হাসতে বলে উঠলো কদম।  - কি নাম রেখেছো?  - নাম রাখা হয়নি, এমনিতে সবাই খোকা, খোকন বলে ডাকে। নাম তো ছেলের বাবা রাখবে। … চটুলভাবে বলে উঠলো কদম। তারপরেই,  - ছেলেকে তার বাবার বাড়ি দেখাবে না?  - তুমি ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে যাবে? … অবাক হয়ে বললাম,  - না যাবার কি আছে তুমি নিয়ে গেলেই যাব। … ব্রেকফাস্ট করতে করতে, উচ্ছলভাবে বলল কদম,  - হ্যাঁগো! মা কেমন আছেন এখন?  এক মুহূর্ত কদমের চোখে চোখ রেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে গলা নিচু করে ধীর ভাবে বললাম  - মা নেই। স্বর্গে গেছেন। শেষের দিকে খুব কষ্ট পাচ্ছিলেন। সারা শরীরেই ঘা হয়ে পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল।  - সে কি? কবে? … আঁতকে উঠে বলল কদম।  - তা ছ'মাস হয়ে গেল।  - বাড়িতে?  - বাড়িতে আর কি? আমি একা। অফিস থেকে যখন ফিরি; রাতের খাবার নিয়ে আসি। বসে বসে একা একাই খাই। সকালবেলা ব্রেকফাস্টটা তৈরি করে নিই। তারপর সারাদিন বাইরে বাইরে।   1441
Parent