শান্তি চুক্তি - অধ্যায় ২

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-47099-post-4803955.html#pid4803955

🕰️ Posted on May 16, 2022 by ✍️ cuck son (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 2634 words / 12 min read

Parent
                                                                                           অশনির আগমন   এরি মাঝে একদিন এক বিরাট ঘটনা ঘটে , জলি আর মলির একি সাথে ডাক আসে ছেলেদের কলেজ থেকে । খবর পেয়ে দুই বান্ধবী ছুটে যায় কলেজে , বেশ চিন্তিত । দুজনে মুখোমুখি হয় প্রিন্সিপ্যাল এর কক্ষের বাইরে । মলি মিনিট দশেক পরে এসেছে , এসে দেখে জলি বসে । দ্রুত দুই বান্ধবী একে অপরের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় । কিন্তু দুজনেই ভীষণ চিন্তিত হয়ে পরে দুজন কে দেখে । কি এমন হলো? কেনো সুধু ওদের দুজনকেই ডেকে আনা হয়েছে । অন্য কাউকেই তো দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু কেউ কাউকে কিছু জিজ্ঞাস করে না , অবশ্য জিজ্ঞাস করলেও কেউ কোন উত্তর দিতে পারবে না । কারন কেউ কিছুই জানে না ।   মিনিট দশেক দুই বান্ধবী উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করার পর ডাক এলো । দুজনে এক সাথে ভেতরে যেতে বলা হয়েছে , দুজনেই খুব বিরক্ত হলো । জলি জিজ্ঞাস ই করে ফেলল , দুজঙ্কে এক সাথে কেন ? আমি আগে যাই । পিয়ন বিরক্ত হয়ে উত্তরে বলল , আমি জানি না দুজনেকে ডেকেছে।   দরজা দিয়ে ঢোকার সময় ও দুই বান্ধবীর মাঝে একটু ঠুকাঠুকি হয়ে গেলো , কে আগে ঢুকবে এই নিয়ে । তবে ভেতরে ঢুকে দুই বান্ধবী স্তব্দ হয়ে গেলো । ভেতরে তাদের দুজনের ছেলেই দাড়িয়ে আছে । সাদা ইউনিফর্ম এ লাল লাল দাগ , মাহিনের চোখের উপরে ব্যান্ডেজ করা আর জিসান এর নাকে । দুজনের ই মাথা নিচু , মায়দের দিকে তাকাচ্ছে না।     জলি আর মলি দ্রুত ছেলেদের দিকেই যেতে যাচ্ছিলো । কিন্তু প্রিন্সিপ্যাল সাহেব ওদের থামিয়ে দেয় , প্লিজ আপনারা বসুন , এদের সাথে পরে কথা বলে নেবেন । থমকে যায় জলি মলি, অনেকদিন পর একে অন্যের চোখের দিকে তাকায় । দুজনের চোখেই প্রস্ন , দুজন দুটো চেয়ার টেনে বসে পরে ।   আমি চৌধুরী শরাফত উল্লাহ , এই কলেজ এর প্রিন্সিপ্যাল… বিশাল টেবিল এর অপর প্রান্তে বসা সাদা গোঁফ অয়ালা ছোট খাটো টাক্লূ মাথার লোকটি জলি বেলির উদ্দেশ্যে বলে । এর আগে জলি আর মলিসুধু একবার ই প্রিন্সিপ্যাল সাহেব কে দেখেছিলো । লোকটা যে এমন ছোট খাটো সেটা বুঝতে পারেনি । তবে লোকটার কণ্ঠে দারুন করতিত্ব আছে । গমগমে গলা , নিজের পরিচয় দিচ্ছে তাও হুকুম এর স্বরে ।   জলি মলি কি করবে বুঝতে না পেরে সুধু মাথা ঝাকায় । সেই উচ্চমাধ্যমিক লেভেলে এসে দুজনের পড়াশুনার ইতি ঘটেছিলো এর পর আর টিচার শ্রেণীর এমন কারো সাথে  সাক্ষাত হয়নি । ছেলেদের স্কুলের টিচার রা এমন ছিলো না । কিন্তু এই লোক কে দেখে মনে হচ্ছে এখন ওদের ও বকুনি দেবে ।   আপনাদের কষ্ট দেয়ার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি , কিছু নেবেন চা বা কফি… প্রিন্সিপ্যাল এর কণ্ঠ গমগম করে ওঠে । চমকে উঠে মাথা নাড়ায় জলি মলি, চা কফি অফার করছে না জেনো পড়া মুখস্ত বলতে বলছে ।     ওকে নো প্রবলেম … এই বলে শরাফত প্রিন্সিপ্যাল একটু থামে , তারপর আবার বলা শুরু করে …… আপনাদের খুব লজ্জার সাথে জানাতে বাধ্য হচ্ছি যে আপনাদের ছেলেরা আর এই কলেজে থাকতে পারবে না।     ধড়াস করে ওঠে দুই বান্ধবীর বুক , একে অপর এর দিকে কয়েক মুহূর্তের জন্য তাকায় তারপর ছেলেদের দিকে তাকায় । কয়েক মুহূর্ত ছেলে দের দিকে তাকিয়ে থেকে দুজনেই কিছু একটা বলতে চায়। কিন্তু মুখ দিয়ে কথা বের হয় না। যদিও এরা নিজেদের মাঝে কম্পিটিশন করে এতদিন ছেলেদের নামি কলেজে স্কুলে পড়াশুনা করিয়েছে , কিন্তু সব শেষে এরা নিজেদের সন্তানদের একটা ভালো ভবিষ্যৎ ও চায় । এখন এই শেষ সময়ে যখন রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য । তখন এসে যদি কলেজ থেকে বের করে দেয়া হয় । তাহলে ছেলে দুটো আর এই বছর পরিক্ষাই দিতে পারবে না। আর ভালো কোন কলেজে ভর্তি হওয়ার চান্স ও থাকবে না।   জলি মলির , অবস্থা দেখে প্রিন্সিপ্যাল সাহেব ওদের মনের অবস্থা হয়ত কিছুটা আন্দাজ করতে সক্ষম হন । গলা খাঁকারি দিয়ে বলেন… দেখুন , আমি বুঝতে পারছি আপনাদের অবস্থা , কিন্তু আমাদের কলেজ এর একটা রেপুটেসন আছে । এমন ঘটনা ঘটলে অন্য অভিবাবক রা চিন্তিত হয়ে পরবে । গভর্নিং বডি পর্যন্ত এই ঘটনা পৌঁছে গেছে ।   … স্যার ওরা কার সাথে মারামারি করেছে? প্রশ্ন করে জলি   … একে অপরের সাথে , এবং আমরা এও জানতে পেরেছি এই মারামারি প্রি প্লান্ড ছিলো । এরা দুজন দিনক্ষণ ঠিক করে মারামারি করেছে । এবং এই মারামারি দেখার জন্য প্রচুর দর্শক ও ছিলো… দেখুন আমি আমার কলেজে এরকম আচরণ কখনই বরদাস্ত করবো না। অন্য ছাত্র রাও হয়ত কিছুদিন পর এদের অনুসরন করবে ।   … কিন্তু স্যার ওরা তো ছোট বেলার বন্ধু … এবার কথা বলে ওঠে মলি তারপর ছেলেদের দিকে আড় চোখে একবার তাকায় , এদের বন্ধুত্ব যে আর আগের মত নেই সেটা মলি জানে । কিন্তু এই পর্যায়ে শত্রুতা আছে সেটা জানত না । আপনাতেই একটা দীর্ঘশ্বাস চলে আসে । পাশে বসা জলির দিকে তাকায় , মনে মনে ভাবে যেমন মা তেমন ছেলে ।   … সেটা তো আমি জানি না , এরা কেন এমন করেছে , এটা জানার  কথা আপনাদের , যাই হোক তিনদিন পর এসে টিসি নিয়ে জাবেন । এবার আপনারা আসতে পারেন ।   জলি এবার উঠে দাড়িয়ে পরল , ঝুকে এলো অনেকটা প্রিন্সিপ্যাল এর দিকে , স্যার প্লিজ এমন করবেন না , ওরা এখন অন্য কলেজেও ভর্তি হতে পারবে না । বান্ধবীর চেয়ে পিছিয়ে থাকতে রাজি নয় মলি, নিজেও উঠে দাঁড়ালো , ঝুকে এলো জলির চেয়ে আর একটু বেশি , কণ্ঠ আরও করুন করে বলল, স্যার এটা ওদের প্রথম এমন আচরণ , এবার এর জন্য মাফ করে দিন , তা ছাড়া ওরা স্টুডেন্ট হিসেবে অনেক ভালো …   ঝুকে পরা দুই বান্ধবীর দিকে তাকালেন প্রিন্সিপ্যাল আশরাফ সাহেব , মোটা সাদাকালো ভ্রুরর নিচে পাতা কুঁচকে যাওয়া চোখ দুটো একটু চকচক করে উঠলো , এই দুই মহিলাকে ঘরে ঢুকতে দেখেই ওনার টাইট জাঙ্গিয়ার ভেতর নড়নচড়ন অনুভব করেছিলেন । এমনিতে নিপাট ভদ্রলোক আশরাফ সাহেবের হালকা বায়ুর দোষ আছে । মদ সিগারেট সব কিছু থেকে নিজেকে দূরে রাখা এই দেশ খ্যাত প্রিন্সিপ্যাল সুধু নরম নধর নারী দেহ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারেন না । আর উনার সামনে হালকা ঝুকে থাকা দুই নারী যে বেশ নধর এবং সুস্বাদু তা উনার জহুরী চোখ খুব ভালো করেই বুঝতে পারছেন ।     আশরাফ সাহেব এর মন যদিও চাইছে এই দুই নারী আরও কিছুক্ষন ওনার সামনে ঝুকে থেকে নিজেদের ব্লাউজ উথলে বেড়িয়ে থাকা নরম মাংসের দর্শন দিয়ে যাক । কিন্তু ভদ্রতার খাতিরে বললেন …… প্লিজ আপনারা বসুন , আমি চাইলেই তো আর এই ডিসিশন নিতে পারবো না। আর ভালো স্টুডেন্ট এর কথা বলছেন এদের পারফর্মেন্স কিন্তু তা বলছে না । তাছাড়া আমরা ভালো স্টুডেন্ট দের উপর নির্ভরশীল নই , আমরা ভালো স্টুডেন্ট তৈরি করি …   আশরাফ সাহেব ভেবেছিলেন হয়ত দুই মা বসে পরবে উনার কথা শুনে  কিন্তু ফল হল উল্টো , সামনে থাকা দুই নধর খাদ্য আরও ঝুকে এলো , আনমনে একবার নিজের উপরের ঠোঁটে জিভ বুলিয়ে নিলেন । দুটোই যে বেশ বড়সড় নরম জোড়ার অধিকারি সেটা আশরাফ সাহেব এর সামনে আরও প্রকট ভাবে ধারা পরল , কারন দুই বান্ধবী এখন আরও ঝুকে এসেছে , চোখ ভরা মিনতি নিয়ে আর বুক ভরা নরম সুস্বাদু মাংস নিয়ে । অবশ্য মলি আর জলি দুজনের ই খেয়াল নেই যে ওরা প্রিন্সিপ্যাল সাহেব এর লুচ্চা মনে নানা সম্ভাবনার বীজ বপন করছে । সন্তান দের ভবিষ্যৎ ভেবে দুজনেই দিগ্বিদিক শূন্য । তাই নিজেদের বক্ষ প্রদর্শন এর দিকে খেয়াল নেই কারো        আশরাফ সাহেব এর জাঙ্গিয়ার ভেতর চাপ বারতে লাগলো , চোখের মনি জোড়া একবার ডানে একবার বাঁয়ে পিংপং বলের মত যাওয়া আসা করছে। কিন্তু ঐযে ভদ্রতা , এমন একটি পজিসনে আছেন যে ওটা ধরে রাখতেই হয় । একবার ঢোঁক গিললেন , নিজেকে অনেক কষ্টে সামলে রাখছেন তিনি , যদি সম্ভব হতো এখনি ঝাপিয়ে পরতেন । সামনে দাঁড়ানো দুই নারী এতটাই পাগল করে ফেলেছে ওনাকে । আর হবেই বা না কেনো? যেমনটা তিনি পছন্দ করেন ঠিক তেমনি এই অপ্সরা জুগল । একটু ভারী শরীর , হালকা চর্বি কিন্তু বাহুল্য নেই কনকিছুতেই । এ যেন একদম অর্ডার দিয়ে বানানো ।    স্বামী ছাড়া দুই বিধবা জলি মলি, প্রায় তিন বছর হলো বিধবা জীবন জাপন করছে । কিন্তু শরীর এর প্রতি যত্ন একটুও কমেনি , না কমার কারন ওই প্রতিযোগিতা । স্বামী থাকা কালিন দুজনের মাঝে যে সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা চলত , এটা বিধবা অবস্থায় ও ধরে রেখেছে । তাই ৩৬ এ এসে সৌন্দর্য যেন উপচে পড়ছে । আর এই সৌন্দর্য সাধারন বাঙ্গালী নারীদের মত সুধু চেহারায় সীমাবদ্ধ নেই , একদম চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত।   প্লিজ আপনারা বসুন , এমন করলে তো হবে না। প্রিন্সিপ্যাল নিজের সাথে প্রায় যুদ্ধ করেই বললেন । বলার সময় ওনার দুই চোখ দুই গভির বিভাজিকার মাঝেই ঘোরাঘুরি করছিলো । ছেলেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন জলি মলিএতক্ষন প্রিন্সিপ্যাল সাহেব এর দৃষ্টি নিয়ে অসচেতন থাকলেও হঠাত ওদের নজর গেলো ঐদিকে । দুই বান্ধবীর মাঝে আবার ও চাওয়া চায়ি হলো তারপর দ্রুত আচল ঠিক করে বসে পরল। এতক্ষন দুই বান্ধবী বুঝতে পারেনি ওরা নিজেদের বক্ষ প্রদর্শন এর প্রতিযোগিতায় নেমেছিলো নিজেদের অজান্তে। আকতসিক বিপদ এ মাথা ঠিক ছিলো না ।      দুই বান্ধবীর এমন হঠাত গুটিয়ে যাওয়া দেখে প্রিন্সিপ্যাল এর একটু মন ক্ষুণ্ণ হলো । কিন্তু কি আর করা, যাদের জিনিস তারা যদি না দেখায় তাহলে তো উনার কিছু করার নেই। তবে প্রিন্সিপ্যাল , নিজের কথা বলার ভঙ্গি একটু চেঞ্জ করেন ,…… এতক্ষন কথা বলছি আপনাদের নাম জানা হলো না। জিনিস যেহেতু পছন্দ হয়েছে , একবার বাজিয়ে দেখতে অসুবিধা কি মনে মনে ভাবে প্রিন্সিপ্যাল আশরাফ সাহেব। তাই গলার স্বরে খানিক , সহানুভূতি জাগিয়ে তোলেন ।   মাস্টার শব্দটা সিলমোহর হয়ে গেছে আশরাফ সাহেব এর চেহারায় , তার উপর মেঘ গম গম কণ্ঠ , তাই ওনার একটু নরম স্বরেও ঠিক ইজি হতে পারলো না জলি মলি। আমতা আমতা করে স্কুলে যেভাবে নাম বলত সেভাবে বলল , সাবিনা জলি ,  ববিতা আক্তার মলি।      দেখুন মিস জলি , মিস মলি সরাসরি ছোট নামে চলে গেলেন আশরাফ সাহেব । উনি বুদ্ধিমান মানুষ , এরকম মা উনি অনেক দেখেছেন। ছেলে মেয়ের ভবিষ্যৎ এর কথা ভেবে এরা অনেক কিছুই করতে পারেন । সুধু এদের একটু গাইড করতে হয় এই যা । আশরাফ সাহেব এখন এদের গাইড করবেন । সাড়া জীবন মানুষ কে গাইড করে এসেছেন , এই কাজ খুব ভালো পারেন । এমনিতে ছেলে দুটো কে কলেজে রাখা খুব ঝাক্কির কাজ হবে , কিন্তু অসম্ভব  না ।     আপনাদের সমস্যা আমি বুঝতে পারছি , সাড়া জীবন এই ছেলেদের পেছনে ব্যয় করেছেন । এখন ছেলে দুটোর ভবিষ্যৎ অন্ধকার হলে আপনাদের কেমন লাগবে , সেটা আমি বুঝতে পারছি । কিন্তু কি করবো বলেন , একটা রেপুটেশন ধরে রাখার কাজ আছে , তা ছাড়া সিধান্ত আমার একার নয় । এবার কথা বলার সময় উনি ইচ্ছা করেই নিজের চোখ দুটো দিয়ে দুই জোড়া উচু ডিবি চেটে চেটে খেলেন । এবং এও নিশ্চিত করলেন যেন জলি মলি দেখতে পায় ব্যাপারটা । হ্যাঁ ভাবুক লুচ্চা তাতে উনার কোন সমস্যা নেই । উনি তো আর রেপ করবেন না , ওরা ইচ্ছা করে এলেই তবে নেবেন , তাই নিজের ইন্টারেস্ট এর কথা বুঝিয়ে দিচ্ছেন সুধু এই যা ।  আসলে আসবে , না আসলে নাই ।   জলি মলিও ব্যাপারটা খেয়াল করলো , ভীষণ অস্বস্তি হতে লাগলো ওদের । বাবার বয়সী না হলেও বয়সে প্রায় দ্বিগুণ হবে লোকটা । কেমন করে বুকের দিকে তাকিয়ে আছে । কিন্তু কিবা করতে পারে ওরা , সামনে বসা লোকটাকে কিছুতেই রাগানো যাবে না । এই লোকটার হাতেই ওদের ছেলেদের ভবিষ্যৎ ।   স্যার প্লিজ আমারা দেখবো যেন এমনটা যেন আর না হয় , দুই বান্ধবী একত্রে বলল ।…… আপনি যা যা করতে বলবেন আমরা তেমনটাই করবো , যদি কোন মুচেলেকায় সাইন করতে হয় করবো , প্লিজ স্যার ওদের টিসি দেবেন না…… । অতি পরিচিত এবং বহুল ব্যবহার করা (যা করতে বলবেন তাই করবো) বাক্য খানা দুই বান্ধবীর মুখ থেকে শুনে প্রিন্সিপ্যাল সাহবে এর জাঙ্গিয়ার ভেতর যেন তোলপাড় শুরু হলো । যদিও জলি মলি কেউ খুব ভেবে কথাটি বলেনি । তারপর ও এমন ডাঁশা দুই সুন্দরীর মুখে এমন কথা শুনলে পুরুষ মনে উথাল পাথাল শুরু হবেই , বিশেষ করে ওই পুরুষ মনটি যদি হয় নারী শরীর লোভী আশরাফ প্রিন্সিপ্যাল এর ।   দেখুন আপনাদের দেখে আমার মায়া হচ্ছে , আমি জানতে পেরেছি আপনাদের হাসবেন্ড ও নেই , এই হাজবেন্ড নেই কথাটা বলার সময় দুজন কে ভালো করে দেখিয়ে চোখ বুলিয়ে নিলেন ।   জলি মলি শিউরে উঠলো ,দুজনেই লোকটার কথার ইঙ্গিত বুঝতে পারছে ।  তিন বছর স্বামী ছাড়া , নতুন করে স্বামী নেয়ার কথা মাথায় ও আসেনি । লাভার তো দুরের কথা , এই সমাজে এত বড় ছেলের মা হয়ে বিয়ে করা বা লাভার নেয়া চাট্টিখানি কথা নয় । ছেলেরাই মানতে পারবে না , এসব ভেবে এতদিনে নিজদের শরীরে যে একটা ক্ষুধা আছে সেটা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলো । এমন নয় যে আর কারো নজর নিজেদের শরীরে অনুভব করেনি । রাস্তা ঘাটে অনেকেই তাকায় , কেউ কেউ তো সুযোগ পেলে টাচ ও করে । কিন্তু সেসবে জলি বেলির কারোই শরীর এমন শিউরে ওঠে না বরং বিরক্ত হয় । কিন্তু এই বুড়র মাঝে কি যেন একটা আছে । পুরো বিলাতি স্টাইলে সুটেড বুটেড বুড়োর চোখ জোড়া বড় বেহায়া, সাথে একটা কঠোর ভাব আছে। বেশ কাম উদ্দিপক এই চাহুনি ।     আপনাদের কাছে হয়ত এই ছেলে দুটোই সব , কিন্তু এরা কি সেটা বঝে ? শেষের কথায় গর্জন উঠলেন আশরাফ সাহেব , এতে করে জিসান আর মাহিন সহ জলি মলিও কেঁপে উঠলো ।      যাও তোমরা বাইরে গিয়ে বস , তোমাদের মায়ের সাথে একটু কথা বলবো । জলি মলি ঘরে ঢোকার পর এই প্রথম প্রিন্সিপ্যাল মহোদয় দুই ছাত্রের উদ্দেশ্যে কথা বললেন , মানে হুকুম করলেন । আর এই হুকুমেরর সাথে সাথে জিসান আর মাহিন দ্রুত রুম ছেড়ে বেড়িয়ে গেলো । প্রিন্সিপ্যাল সাহেব আরও একটু ফ্রি হতে চান এই দুই দুশ্চিন্তা গ্রস্থ মায়ের সাথে । তাই পথের কাঁটা দূর করলেন ।   দেখুন , ওরা যা করেছে এর সাঁজা সরাসরি টিসি , তবে আপনাদের ব্যাপারটা আমি দেখবো ? আপানাদের দেখে আমার খুব খারাপ লাগছে । আমিও চাইনা আপনাদের কোন ক্ষতি হোক । তবে এত সহজ হবে না ব্যাপারটা , এই নিয়ে একদিন বিষদ আলোচনা করতে হবে ।  তা ছাড়া আমি এও চাই আপনাদের ছেলে দুটো মানুষ হোক , সেই গাইড লাইন ও আমি আপনাদের দেবো । আপনাদের দুজনেক আমার খুব ভালো লেগেছে তাই এসব বলছি কিছু মনে করবেন না……   আপনাদের পছন্দ হয়েছে বলার সময় লোকটা যেরকম একটা চাহুনি দিলো , সেটা দেখে জলি ও মলি একদম কুঁকড়ে গেলো । পারলে নিজেদের শরীর ওরা দশ পরত কাপর দিয়ে ঢেকে ফেলে । কেমন নির্লজ্জ চাহুনি রে বাবা , দুই বান্ধবী মনে মনে ভাবে । সাথে এও ভাবে , রাস্তায় পথে ঘাটে , আর দশটা হাভাতের মত চাহুনি নয় এ । এই চাহুনিতে গভিরতা আছে , আছে প্রতিশ্রুতি । যেন চোখের ভাষায় বলার চেষ্টা করছে , এস আমার কাছে তোমাদের সন্তুষ্ট করার ক্ষমতা আমার আছে ।     আশরাফ সাহেব উঠে দাঁড়ালেন , উনার পেন্টের সাম্নের দিকে বেশ উচু একটা ডিবি তৈরি হয়ে আছে । উনি দুই বান্ধবিকে দ দুটো কার্ড দিলেন , তারপর বললেন , এই কাজ টা আমি আপনাদের কথা ভেবে করছি , তবে ওদের এখনি কিছু বলবেন না , আমি আপাতত তিনদিনের জন্য ওদের বহিস্কার করছি । এই তিনদিনে আমারা আচলনা করে বের করবো কি করে সমাধান করা যায় ।    বুড়োর কথায় স্পষ্ট ইঙ্গিত পাচ্ছে জলি মলি, এই ইঙ্গিত বোঝার মত যথেষ্ট জীবন ওরা দেখছে । দুজন দুজনের দিকে তাকাল একবার । তারপর হাত বাড়িয়ে কার্ড নিল । মন হতাশায় ডুবে গেছে দুজনেরই , বুড়ো যা চাইছে তা কি করে সম্ভব , ভেবেছে কি বুড়ো নিজেকে । একটা মারামারির জন্য টিসি দিয়ে দেবে এত সোজা । আবার এই জন্য অস্লিল ইঙ্গিত ও করছে ।     এবার আপনারা আসুন , আর ভাবুন সমসসার সমাধান । এটা মনে রাখবেন এই কলেজ থেকে টিসি পাওয়া মানে অনেক কিছু । অন্য কলেজে তো এই বছর ভর্তি হতেই পারবে না । আর একটি বছর এভাবে কাটালে হয়ত ওদের ফ্লো নষ্ট হয়ে যাবে । আগের মত ভালো স্টুডেন্ট আর থাকবে না , হয়ত নেশায় ডুবে যাবে ।   আঁতকে উঠলো জলি মলি, ওরা এতক্ষন সুধু পড়াশুনার ব্যাপারটাই চিন্তা করেছে এই দিকটা ভেবে দেখেনি । লোকটা কথা মিথ্যা বলছে না একদম , এরকম তো আজকাল হর হামেশা হচ্ছে ।   স্যার একটু দেখবেন , ওঠার সময় জলি বলল ।   সম্পূর্ণ ব্যাপারটাই আপনাদের হাতে , আজ ভাবুন কাল আমাকে জানান , ছেলেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করুন ।  প্রিন্সিপ্যাল সাহেব এখন আর এদের বেশি সময় দেবেন না । কারন সময় দিলে এরা এখন ঘেন ঘেন করবে । সেই সুযোগ দেয়া ঠিক হবে না ।   স্পষ্ট ইঙ্গিত , জলি মলির বুকের ভেতর ধক ধক করতে লাগলো , এই বুড়ো যা চাইছে তা কি করে সম্ভব !!! কিন্তু ছেলেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা । কিন্তু তার জন্য তো আর বুড়োর সাথে ছিঃ ছিঃ । কিন্তু কোন কুল কিনারা ও দেখছে না ওরা ।     হতাস হয়ে বেড়িয়ে এলো জলি মলি। জিসান আর মাহিন দুজন দরজার দু পাশে দাড়িয়ে আছে । জলি জিসান কে নিয়ে আর মলি মাহিনকে নিয়ে চুপ চাপ বেড়িয়ে এলো । কারো সাথেই কারো কথা হলো না ।
Parent