(সিরিজ সাজু ভাই নম্বর -০৪)গল্প- সরি আম্মাজান (সমাপ্ত) - অধ্যায় ১

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-67057-post-5856762.html#pid5856762

🕰️ Posted on January 17, 2025 by ✍️ Bangla Golpo (Profile)

🏷️ Tags:
📖 1653 words / 8 min read

Parent
মায়ের সঙ্গে ট্রেনে চড়ে নানাবাড়ি যাচ্ছি। সামনের সিটে এক মেয়ে ও তার মা বসে আছে। মেয়েটার দিকে বারবার তাকাচ্ছিলাম। হঠাৎ মা ফিসফিসিয়ে বললো ,  “ মেয়েটার দিকে এভাবে তাকাচ্ছিস কেন? পছন্দ হয়েছে? দাঁতগুলো একটু এলোমেলো , নাহলে বাকিসব ঠিক আছে। বিয়ে হয়েছে নাকি জিজ্ঞেস করবো খোকা? ” আমার অস্বস্তির সীমা রইল না। আমার মায়ের সঙ্গে সবসময়ই বন্ধুর মতো সম্পর্ক। সামনের সিটের মেয়েটাও চোখ নামিয়ে নিয়েছে। মেয়েটা মায়াবী চেহারার। আহামরি সুন্দরী নয় কিন্তু চেহারায় আকর্ষণ আছে। তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে, চাইলে অবশ্য কথাবার্তা বলা যায়। কারণ কিছুক্ষণ আগে স্টেশনে তাদের সঙ্গে সামান্য কথা হয়েছে।  আমি মাকে বললাম ,  “ এভাবে কথা বলছো কেন? ওরা শুনতে পেলে কি ভাববে বলো তো? ” বা বললো ,  “ কিছু ভাববে না। তোর দিকে কীভাবে বারবার তাকাচ্ছে দেখেছিস? আমার তো মনে হয় তোর জন্য আর পাত্রী খুঁজতে হবে না। ” “ চুপ করো না। এখন ফাজলামো করার সময়? তুমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকো৷ প্রকৃতি কতো সুন্দর দেখেছো? ” “ মেয়েটা তারচেয়ে বেশী সুন্দর তাই না? ” “ কে বলছে তোমাকে? ” “ সুন্দর নাহলে তুই প্রকৃতি না দেখে মেয়েটার দিকে তাকাচ্ছিস কেন? ” আমি হেসে দিলাম। আমার আটান্ন বছর বয়সী মা-ও হাসতে লাগলো। বেশিরভাগ সময় আমরা এভাবেই কথা বলি৷ বাবা মারা গেছে চার বছরের একটু বেশি। তারপর থেকে আমি আর মা দু'জন মিলে দেশের কতো যায়গায় ঘুরলাম। সাজেক, কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন, সিলেট, বান্দরবান মোটামুটি সবখানেই আমি আর আমার মা দুজন মিলে ভ্রমণ করেছি৷  আমাদের চার ভাইবোনের মধ্যে আমার সঙ্গেই মায়ের সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক। সবার বড় আপু কিন্তু তার বিয়ে হয়ে গেছে সে স্বামীর সাথে বাস করে অস্ট্রেলিয়া। আপুর পরে দুই ভাই, দু'জনই বিয়ে করেছেন। শুধু আমার বিয়েটাই এখনো বাকি আছে।  মেয়েটা আবার তাকাচ্ছে। আমি আড়চোখে মা'র দিকে তাকিয়ে দেখি তিনি বাহিরে তাকিয়ে আছে। মেয়েটার মা চোখ বন্ধ করেছেন। ঘুমিয়ে নাকি জেগে ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। মেয়েটার দিকে তাকিয়ে সামান্য হাসলাম।  কিছুক্ষণ আগে স্টেশনে তাদের সঙ্গে পরিচয়। ট্রেনে ওঠার আগে আমি মায়ের ছবি তুলছি। বিভিন্ন এঙ্গেলে দাঁড় করিয়ে ছবি তোলা শেষ করতেই হঠাৎ এই মেয়েটা এসে বললো ,  “ যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আমার মায়ের সঙ্গে আমার একটা ছবি তুলে দিবেন? ” দেখলাম পাশেই এক ভদ্রমহিলা দাঁড়িয়ে আছেন। সময় লাল রঙের স্যুটকেস। আমি কিছু বলার আগেই মা বললো , “ অবশ্যই দেবে। খোকা তাড়াতাড়ি তাদের ছবি তুলে দে। ট্রেন ছাড়ার সময় হয়ে যাচ্ছে। ” আমি কতগুলো ছবি তুলে দিলাম। মেয়েটার মা সম্ভবত একটু লাজুক ধরনের মানুষ। তিনি মনে হয় অস্বস্তি ফিল করছিলেন। তবুও প্রতিটি ফ্রেমে খুব ভালো ভালো ছবি উঠলো৷  মেয়েটা ছবিগুলো চেক করে আমার দিকে তাকিয়ে ধন্যবাদ দিয়ে সামান্য হাসলো৷ আমি আর মা আমাদের ব্যাগপত্র নিয়ে আমাদের বগির দিকে এগিয়ে গেলাম।  নানাবাড়ি যাচ্ছি বলে মায়ের আজকের দিনটা সবচেয়ে আনন্দের দিন। এর আগে অনেকবার আমরা ভ্রমণ করেছি৷ কিন্তু আজকের মতো এত হাসিখুশি কোনদিন মা'কে দেখিনি।  চল্লিশ বছর পরে মা তার বাবার বাড়িতে যাচ্ছে।  আনন্দ তো হবেই তাই না?  বাবা মারা গেছে বছর চারেক আগে। তারপর থেকে মা মাঝে মাঝে নানাবাড়ির গল্প করতেন।  গত সপ্তাহে হঠাৎ মা বললো ,  “ চল্লিশ বছর ধরে বাবার বাড়ি যাই না। একবার নিয়ে যাবি খোকা? মৃত্যুর আগে একবার বাড়িতে যেতে ইচ্ছে করছে। জীবনের সতেরোটা বছর আমি ওই গ্রামে ছিলাম। আজ চল্লিশ বছরে না জানি কতো পরিবর্তন হয়ে গেছে। ” বলতে বলতে মা কেঁদে উঠলেন। মা'কে সচারাচর কাঁদতে দেখিনি। আমার দেখা হাসিখুশি মানুষের মধ্যে মা সবার উপরে। কষ্ট সবার থাকে। কিন্তু মা একটু আলাদা, প্রচুর কষ্টের মধ্যে মা চুপচাপ শুয়ে থাকেন। কারো সঙ্গে কথা বলেন না। কান্না করে কষ্ট প্রকাশ করেন না৷  আমাদের সঙ্গে সর্বদা হাসিখুশি থাকতে মা খুব পছন্দ করেন। ভাবিরা সবসময় বলেন, এরকম শাশুড়ী সবার ঘরে ঘরে দরকার।  মায়ের কথা শুনে আমি বললাম ,  “ তুমি তো জানো সেখানে গেলে কেউ তোমাকে আশ্রয় দিবে না। মামারা কেউ তোমাকে পছন্দ করে না। গিয়ে কী করবে মা? ”  মা বলেন ,  “ আশ্রয়ের দরকার নেই। তুই আর আমি দুজন মিলে যাবো। সারাদিন ঘোরাঘুরি করে আমার মা-বাবা দাদা-দাদীর কবরস্থান আর আমাদের পুরনো বাড়িঘর দেখে চলে আসবো৷ ” আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে বাড়ির টিউশন মাস্টারের হাত ধরে রাতের আঁধারে ঢাকা শহরে পালিয়ে এসেছিল মা৷ বাবা ছিল সেই টিউশন মাস্টার। সেই চল্লিশ বছর আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসা তরুণী মেয়েটা আজ আটান্ন বছরে জীবন পার করছে কিন্তু আর নিজের বাড়িতে যেতে পারেনি।  মায়ের আগ্রহ দেখে আমি বললাম ,  “ ঠিক আছে, অফিস থেকে ছুটি নিয়ে তোমাকে নানাবাড়ি ঘুরিয়ে আনবো৷ কিন্তু শর্ত হচ্ছে তুমি ভাইয়া বা আপু কাউকে বলতে পারবে না। ” মা আমার দুই গালে কপালে চুমু দিয়ে বললো ,  “ লক্ষি বাপ আমার, আমি কাউকে বলবো না। তুই ছুটি ম্যানেজ কর। ”  তারপর আর কি, ছুটি নিয়ে আমরা রওনা দিলাম কুষ্টিয়ায়। মা বলতেন কুষ্টিয়ায় রবীন্দ্রনাথের যে কুঠিবাড়ি সেটা নাকি তাদের বাড়ি থেকে খুব কাছেই। ভাবলাম একই সময়ে লালনের আস্তানা আর রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়িও দেখা হয়ে যাবে।  ছবি তুলে ট্রেনে উঠে যখন সিটে বসলাম তখন দেখি সেই মা মেয়ে দুজনেই আমাদের সামনে মুখোমুখি বসেছেন। ট্রেনের মাঝখানে যে চারটা সিট মুখোমুখি থাকে সেখানেই সিট পড়েছে।  সামান্য কিছু ছবি তুলে দিলেই তাদের সঙ্গে গায়ে পড়ে বারবার কথা বলা যায় না। সিটে বসার পরে সামান্য পরিচয় হয়েছে। সেটাও কেবলমাত্র আমি আর মা নানাবাড়ি যাচ্ছি এটুকু বলার মাধ্যমে আর মেয়েটা বললো ,  “ আমি আর মা-ও মামাবাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসলাম। এখন যাচ্ছি নিজেদের বাড়িতে। ” মেয়েদের সঙ্গে কথা বলে সুন্দর সম্পর্ক করার জ্ঞান আমার ছিল না। এজন্যই জীবনে তেমন গুরুত্বপূর্ণ প্রেমের সূচনা হয়নি। তবে আমাদের ভার্সিটির এক মেয়ের সঙ্গে মাস ছয়েক কথা বলেছিলাম প্রেম করবো বলে। কিন্তু সেখানে বিরাট ছেঁকা খেয়েছিলাম পরে, কারণ সেই মেয়ে একসঙ্গে তিন চারটা বয়ফ্রেন্ড সামলাত। তারপর থেকেই আমার যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে৷  ____________________ কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে নামলাম। মেয়েটা ও তার মা এখানেই নেমেছে। আমি ঢাকা থেকেই আসার আগে কীভাবে কোথায় যাতায়াত করতে হবে সেই বিষয় হালকা ধারণা নিয়ে এসেছি৷ তবুও কথা বলার বাহানায় মেয়েটার কাছে বললাম ,  “ আমরা আসলে অনেক বছর পরে কুষ্টিয়ায় এসেছি। এখান থেকে শিলাইদহ কীভাবে যাবো বলতে পারবেন? ” মেয়েটা উত্তর দেবার আগেই তার মা বললো ,  “ আমরাও শিলাইদহে যাবো৷ শিলাইদহের কোন গ্রামে যাবেন? ” মা কাছেই ছিলেন। তিনি বললেন ,  “ দড়ীগ্রাম, আমার বাবার নাম ছিল মাহবুবুর রহমান মুন্সি। আমার বড়ভাইয়ের নাম আব্দুল মালেক মুন্সি। আর ছোটভাই আব্দুস সালেক মুন্সি। আমাদের কুটিবাড়ি যাবার উপায় বললে হবে। তারপর যেতে পারবো৷ ” মহিলা ও মেয়েটা একে অপরের দিকে তাকিয়ে রইল। মহিলা বললেন ,  “ আপা আপনার নাম কী? ” “ আমার নাম মরিয়ম। ” জবাব দিল মা।  মহিলা এবার বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে রইল। আমি বুঝতে পারলাম নিশ্চয়ই কোনো একটা গন্ডগোল আছে। কিন্তু সেটা কি তা জিজ্ঞেস করার আগেই মহিলা বললেন ,  “ আপা আমি আপনার ছোটভাই আব্দুস সালেক মুন্সির স্ত্রী। ” মা এবং আমি স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকি। মহিলা, মানে ছোট মামি তখন মাকে হাতটা জড়িয়ে ধরে ফুপিয়ে কেঁদে ওঠে। এভাবে এতটা পথ আমরা একসাথে এসেছি কিন্তু পরিচয় জানা ছিল না। আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বললাম,  “ তোমার নাম কি? ” মা আর মামি আলাদা কিসব বাড়ির কথা বলতে লাগলো। আমার প্রশ্ন শুনে মেয়েটা বললো ,  “ কল্পনা। আপনি? ” “ মোহসীন, মোহাম্মদ মোহসীন। ” পরিচয় পেয়ে ভালো লাগলো। স্টেশনের কাছেই রেন্ট এ কারের প্রাইভেট কার ভাড়া পাইলাম। যেহেতু আমরা চারজন তাই একটা কার ভাড়া করে নিলাম। সিএনজি নিয়েও যাবার নাকি ব্যবস্থা আছে। খরচ তুলনায় কম হবে। কিন্তু তবুও কারে জার্নিটাই বেছে নিলাম।  মা মামি আর কল্পনা পিছনের তিন সিটে৷ আমার স্থান হলো ড্রাইভারের পাশে৷ সামনের গ্লাসে আমি বারবার কল্পনার দিকে তাকিয়ে রইলাম। মাঝে মাঝে দুজনের চোখাচোখি হলো গ্লাসেই৷ আমি মুচকি হাসতাম, কিন্তু সে হাসতো কিনা বোঝা যেত না।  একসময় মা বললো , “ আপনার ছেলেমেয়ে ক'জন ভাবি? ” মামি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন , “ আমার একটাই ছেলে ছিল আপা৷ কিন্তু আল্লাহ তাকে একবছর আগে পৃথিবী থেকে নিয়ে গেছে।” একটাই ছেলে মানে? তাহলে কল্পনা কে?  মনে মনে এটাই ভাবছি। আমার ভাবনার প্রশ্নটা মা করে দিল। মা বললো ,  “ তাহলে ও কে? ” এবার মামি যেটা বললো তা শোনার মোটেই ইচ্ছে আমার নাই। কিন্তু সত্যি তো সবসময় সত্যিই থাকে। মামি বললো ,  “ ছেলের মৃত্যুর ছ'মাস আগে তাকে বিয়ে দিছিলাম। কল্পনা আমার ছেলের বউ৷ আপনার ভাইপোর বউ আপা। ” আমি এটা আশা করি নাই৷ স্টেশন ও ট্রেনের মধ্যে সারাক্ষণ তাদের কথোপকথনে এটা মনে হয় নাই যে এরা শাশুড়ী বউমা।  মামির পরিচয় পেয়ে ভেবেছিলাম মামাতো বোন পাইছি। কিন্তু এখন মামাতো ভাইয়ের বউ শুনে মনটাই ভেঙ্গে গেল।  এরপর তারা সারাক্ষণ বকবক করতে করতে এলো ঠিকই কিন্তু আমার মন খারাপের মুহূর্তে আর কিছুই মাথায় ধরেনি। গাড়ি মামা বাড়ির সামনে যখন পৌছালো তখন বেলা তিনটা।  _______________ ছোটমামা ছোট মামি দুজনেই খুব খুশি হলেও বড় মামা আর বড় মামি খুব বাজে ব্যবহার শুরু করলেন। তাদের বকাবকি শুনে আমি নিজেও বাধ্য হয়ে বলেছিলাম ,  “ আপনাদের বাড়িতে খেতে আসিনি। কিছুক্ষণ থাকবো তারপর সন্ধ্যা হলেই আবার শহরে চলে যাবো। রাতের রিটার্ন টিকেট করা আছে, ট্রেনে আবার ঢাকায় ফিরবো। ” ছোট মামা বললেন , কোনোভাবে আজকে যাওয়া হবে না। বড় মামা না মানলে কিছু না। তিনি আমাদের রাখবেন। মামিও মায়ের হাত ধরে বললেন , আসছেন যখন দুটো দিন থেকে যান আপা৷ আমি বিয়ের পর থেকে আপনার কথা শুনছি। কিন্তু কোনদিন দেখিনি। আপনি যাবেন না। আমাদের সঙ্গে থাকবেন।  বড় মামা থাকে নিচতলায় আর ছোটমামা দোতলায় থাকে। অনেক পুরনো বাড়ি। আমরা দুপুরের খাওয়া করলাম। ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণ বসতে না বসতেই কল্পনা মেয়েটা কল্পনার মতো খাবার হাজির করলো।  খাওয়া দাওয়া শেষ করে মা'কে নিয়ে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম। তারপর মামার সঙ্গে চলে গেলাম বাজারের দিকে। বাজারের মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়লাম। নামাজের পড়ে একটা হোটেলে আমি আর মামা গেলাম হালকা নাস্তা করতে। নাস্তাটা মজার ছিল। মায়ের জন্য পার্সেল নিতে ইচ্ছে করছিল। অর্ডার দিলাম। পার্সেল রেডি হচ্ছিল ঠিক সেই মুহূর্তে মামার নাম্বারে কল আসে৷  মামা কথা বলতে বলতে কেমন উন্মাদ হয়ে গেলেন। তারপর পাগলের মতো আমার দিকে তাকিয়ে বললেন ,  “ তাড়াতাড়ি বাড়িতে চলো খোকা। ” আমার বুকটা ধুকধুক করে উঠলো। মায়ের জন্য পার্সেলটা হাতে নিয়ে দ্রুত দৌড়াতে লাগলাম। একটা ভ্যান নিয়ে মামার বাড়িতে গেলাম। এবং সেখানে গিয়ে আমি আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো বন্ধুর সমাপ্তি পেলাম।  মামাবাড়ির চিলেকোঠার ঘরে মায়ের মৃতদেহটা পরে আছে। জানা গেল সন্ধ্যা বেলা সে ছাদে উঠেছিল। নামাজের পরে মামি মা'কে খুজে না পেয়ে ছাদে গিয়ে খোঁজাখুজি করেন। আর কিছুক্ষণের মধ্যে চিলেকোঠার ঘরে মায়ের মৃতদেহ তারা দেখতে পায়।  আমি চোখের সামনে মায়ের চিরনিদ্রায় শায়িত দেহটার দিকে তাকিয়ে রইলাম। মায়ের গলায় তার শাড়ির আঁচল পেঁচানো। যে বা যারা মা'কে খুন করেছে তারা আমার মায়ের শাড়ির আঁচল দিয়েই তাকে ফাঁস দিয়েছে।  ↓  ↓  চলবে…    গল্প- সরি আম্মাজান।  পর্ব- এক (০১)  লেখা- মোঃ সাইফুল ইসলাম (সজীব)
Parent