সুলতানার ডায়েরি - অধ্যায় ১

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-55209-post-5235235.html#pid5235235

🕰️ Posted on May 10, 2023 by ✍️ চিত্রক (Profile)

🏷️ Tags:
📖 426 words / 2 min read

Parent
৭ই সেপ্টেম্বর :- আজ আকাশ পরিস্কার, আব্বুর সাথে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা, বিশেষ করে যদি শরতের আবহাওয়া এরকম হন। ভাইয়া আসবে না, ওর বক্সিং প্রাকটিস আছে, আম্মু বলছে তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে, আর বাইরে না খেতে, আব্বু মাথা হেলিয়ে দিয়েছে, আব্বু এটায় করে এর মানে অবশ্য অন্য অর্থাৎ ঠিক আছে তুমি যখন মানা করছ তখন খাবো না কিন্তু রাস্তায় আমার পরীর যদি হঠাৎ ইচ্ছে হয় খাওয়া যেতেই পারে।  কেন বের হচ্ছি সেটা লিখে রাখা দরকার,আব্বুর যে বিশাল বিজনেস আছে তার একটা অংশ আমি দেখি, কাজ সবই করার লোক থাকে তবুও আমার ভালো লাগে,আব্বুর হেল্প করতে পারা আমার আছে একটা গর্বের ব্যাপার। তো সেই বিশাল বিজনেসেরই একটা মিটিং আছে এক ভদ্র লোকের সাথে উনি ইনভেস্টার খুঁজছেন। আব্বু বলছিলেন খুব প্রতিভাবান যুবক। তাই উনি রাজি হয়েছেন। ছেলেটিকে দেখার ইচ্ছে আমারও হচ্ছে, এতো অল্প বয়েসে এতো সাহস এবং বুদ্ধি সত্যি তারিফযোগ্য। সাহসের কথা বললাম কারণ আমার আব্দর  সাথে কাজ করা চারটিখানি কথা না, যেখানে ভুলচুকের শাস্তি দিতে আমার আব্বু পিছ পা হন না সেখানে এই ছেলে নিজে যেচে আমার আব্বুকে আপ্রোচ করছে। এতো কিছুর মাঝে গাড়ি কখন থেমেছে বুঝতে পারিনি,আব্বুর ডাকে গাড়ি থেকে নেমে সোজা মিটিং রুমে ঢুকলাম মিনিট দুয়েক পরে আব্বুর পিএ বললেন ওরা এসেছে, আব্বু ওদের ডাকতে বললেন,  মিনিট দুয়েক বাদে একজন বেশ লম্বা হাট্টাগাট্টা চেহারা ভদ্রলোক উপস্থিত হলেন বয়স ওই আন্দাজ পঁয়ত্রিশ কি ছত্রিশ,উনি বেশ লম্বা তা বোঝা গেল যখন ভেতরে এসেই সরে দাঁড়ালেন। ওনার পেছনে যাকে দেখা গেল সেই ছেলেটি ভারি অদ্ভুত। ছেলে বললাম কারণ বয়স আমার মতোই ছাব্বিশ সাতাস, ওই পাঁচ ফুট আট মতো উচ্চতা ছিপছিপে গঠন, চোখ দুটো খুবই শান্ত। ছেলেটা এই ফরম্যাল মিটিং-এ একটা শর্ট কুর্তা আর প্যান্ট পড়ে এসেছে। হাট্টাগাট্টা লোকটায় এগিয়ে এসে করমর্দন করে বলল " নমস্কার মি.আহমেদ আমি বি.নন্দী, ইনি আমার স্যার আদিনাথ, আদিনাথ দেব" এই ছেলেটা ওই লোকটার স্যার!! অবাক লাগলেও কিছু বললাম না, আব্বু পরিচয় সারলেন। ভদ্রলোক(ছেলে বলায় ভালো) শান্ত চেহারা নিয়ে রইলেন। যা কথা বলার নন্দীবাবুই বললেন। ছেলেটা কথা না বললেও ওর একটা উপস্থিতি যে আছে এবং খুবই জোড়ালো তা বুঝতে অসুবিধা হলো না, ছেলেটা এখনও একটাও কথা বলে নি, তবু ওর দিকেই আমাদের দুজনেরই দৃষ্টি, বলা ভালো তিনজনের আড়চোখে নন্দী কে দেখলেই বোঝা যায় উনি প্রায়ই এই আদিনাথের দিকেই তাকিয়ে প্রেজেন্টেশন দিচ্ছেন। আব্বুও দেখলাম ওনাকেই দেখছেন।  প্রেজেনটেশন শেষে আদিনাথ কথা বলল, শান্ত অথচ গম্ভীর গলা শুনলে ভরসা পাওয়া যায়,লোকটার গলায় একটা সরল অথচ দৃহ সত্যের স্রোত আছে। আব্বুর প্রশ্নের উত্তর শুনেই তা বোঝা গেল। এ ডিল ফাইনাল হতে দিনদুয়েকও লাগত না জানি, এরকম প্রজেক্ট এমনিতেই লাভযোগ্য তারপর আদিনাথের দৃপ্ত বাচনভঙ্গি, সব মিলিয়ে আজই ডিল ফাইনাল হয়ে গেল। ডকুমেন্ট যা ছিল আদিনাথ আব্বুকে দিয়ে দিল। ঠিক হল কাল ওদের এখান থেকে লোক এসে সাইন্ড ফাইল নিয়ে যাবে।
Parent