সুলতানার ডায়েরি - অধ্যায় ৩

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-55209-post-5235317.html#pid5235317

🕰️ Posted on May 10, 2023 by ✍️ চিত্রক (Profile)

🏷️ Tags:
📖 477 words / 2 min read

Parent
৮ই সেপ্টেম্বর:- ঘুম আসছে না,অন্যদিন আট টা বেজে যায় বুঝতেই পারা যায় না,  আজ ঘুমটা নেই, ক্লান্ত লাগছে তাও না। আব্বু সকালে উঠে নামাজ আদা করেন। অপরদিকে ভাইয়াও উঠে পড়ে ওর কম্পানির প্রতি ডেডিকেশন আছে তবে ও বক্সিংটাকে বেশি ভালোবাসে এটা বুঝি। ওর  ম্যাচ থাকলে আমি আর আব্বু যায়, আম্মির এসব ভালো লাগে না। উনি খুব সরল, আম্মি একদম এসব ভালোবাসে না, আম্মির হাতের পরোটা খেতে ইচ্ছে করছে।  এখন বেলা একটা ডায়েরি লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে খুব, আসলে একটা জিনিস খুব অবাক লাগছে ....আর সেটা মনে করলেই সবকিছু তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে।  সকালে ব্রেকফাস্টের আগে আব্বু বললেন ওনার কি দরকার আছে তাই উনি বের হচ্ছেন। দরকারী ফাইল যা আছে সব সাইন করা আছে। বাকি যা দরকার তা নিয়ে আলোচনা করে নিতে এবং সেরকম হলে আব্বুকে আবার ইনফর্ম করতে।  বেলা দশটার সময় হঠাৎ বাড়ির বেল বাজল, আমাদের বাড়ির বেয়ারা খবর দিল একজন বাবু এসেছন, সঙ্গে দুটি ছেলে, তাদের বসার ঘরে বসতে দিয়ে ভাইয়া কথা বলতে গেল। মিনিট দুয়েক পরে আমিও এলাম ওনার পেছনে, আদিনাথ আজও একটা হলুদ শর্ট কুর্তা পড়ে আছেন। সঙ্গে দুটি ছেলে নন্দীবাবুকে দেখা গেল না। আদিনাথ আসন করে বসে আছেন। ওনার মুখ দেখে পরিস্থিতি বোঝার কোনো উপায় নেই, বাকি দুটির একজন, ভাইয়াকে কনভিন্স করার চেষ্টা করছে। ভাইয়া বলছে " আপনারা এই কাজে আমাদের প্রফিট হবে তার কি গ্যারেন্টি?"  ওদের একজন আবার কিছু একটা বলতে যেতেই হঠাৎ ভাইয়া বললেন " আপনি বলছেন কেন? " উনাকে বলতে দিন! আদিনাথ মুখ খুললেন বেশ মখ্যোম যুক্তি। ভাইয়া তবু বললেন "আপনাদের সাথে কাজ করার ইচ্ছে আমার একদমই নেই, নেহাত আব্বা বললেন তাই"  আদিনাথের মুখে কোনো বিকার দেখা গেল না। উনি বললেন "ফাইলটা?" ভাইয়া বললেন "এখন হবে না, দুটোর পর আসুন" আদিনাথ চুপ করে রইলেন  একজন বলল " আহমেদ বাবু তো বলেছিলেন সকালে পেয়ে যাবো" "আপনি না বোঝেন না?" ভাইয়া বেশ গম্ভীরভাবে বলল।  ওরা আদিনাথের মুখের দিকে চাইলে, আদিনাথ নির্বিকার। ভাইয়া আদিনাথের দিকে তাকিয়ে বললেন "দুটোয় আপনি একা অফিসে আসবেন দিয়ে দেব। আর এসব জোকারদের যেন আপনার সাথে না দেখি।" আমি ভাইয়ার পেছনে ছিলাম তা বোধ হয় দুজনেই দেখেনি, তাই "ওরকম কেন বলছ ভাইয়া, ওরা না মেহেমান" বলার সাথে সাথেই ভাইয়া ও আদিনাথ আমার দিকে তাকালেন।ভাইয়া শান্ত স্বরে বললেন পরী ঘরে যাও।  আদিনাথের শান্ত চোখদুটো দেখে ভারী মায়া হল, স্থিরভাবে আমাকেই দেখছেন। এক অদ্ভুত লজ্জায় আর তাকাতে পারলাম না ঘরে চলে আসছিলাম, আদিনাথের গলা পাওয়া গেল, "আপনি থাকবেন তো?" ঘুরে ভাইয়ার দিকে তাকাতেই ভাইয়ার রাগে লাল হওয়া চেহারাটা দেখলাম। তবু কি মনে হতে ঘাড়টা কাত করে দিলাম। ভাইয়া কিছু বলতে যাওয়ার আগেই আদিনাথ ওনাকে নমস্কার করে বলল " আসি, ধন্যবাদ। " এরপর আর কথা হয়না। আদিনাথ চলে যেতেই ভাইয়াও নিজের রুমে চলে গেলেন।  অদ্ভুত ব্যাপার হলো আমার কথা বলার  আগেও ঘরে বেশ গরম লাগছিল আমার, কিন্তু আমার কথা বলার সাথে সাথেই উষ্ণতা যেন  কমে গেল। খুব সূক্ষ্ম তবু যেন হঠাৎ এই পার্থক্যটা করা যায়। এটা কি আমার মনের ভুল নাকি সত্যিই উষ্ণতার পরিবর্তন হলো। ঘড়িতে দেখলাম ১:২০  অফিসে যাওয়ার পোষাক পড়ে নিলাম, আদিনাথের চোখ দটো  খুবই শান্ত। কথাটা মনে পড়তেই খুব লজ্জা লাগছে।
Parent