সুযোগ - অধ্যায় ২

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-14417-post-778036.html#pid778036

🕰️ Posted on August 19, 2019 by ✍️ Aragon (Profile)

🏷️ Tags:
📖 357 words / 2 min read

Parent
পর্ব ২: বাড়ি ফিরতেই শুভ দেখলো দরজায় তালা দেওয়া নেই, তার মানে ওর মা চলে এসছে । শুভর মা অর্থাৎ শতরূপা সাহা, বয়স 40, ফিগার 36-32-36, বাংলার প্রফেসর। একটু গম্ভীর ধরনের, পাড়ার লোকজন থেকে কলেজ স্টুডেন্টস সবাই শতরূপাকে সমীহ করে। শুভ যখন ক্লাস 4 এ পড়তো তখন ওর বাবা মারা যায়। শতরূপাদের লাভ ম্যারেজ ওর বাপের বাড়ি থেকে মেনে নেয়নি। শতরূপাও বরের মৃত্যুর পর কারো বোঝা হতে চায়নি। ছেলেকে নিয়ে এখানে চলে এসছে। বাড়ি থেকে কলেজ টা দুর হওয়ায় বাসে করে যেতে হয়, আধঘন্টার মত সময় লাগে। ঘরে ঢুকতেই শতরূপা শুভকে জিজ্ঞেস করে "কি রে ফিরতে দেরি হলো?"। 'আসলে শমীকের সাইকেলটা খারাপ হয়ে গেছিলো, তাই'। "আমি দেরি দেখে ভাবছিলাম শমীকের বাড়িতে ফোন করবো; তুই ড্রেস চেঞ্জ করে নে আমি খাবার দিচ্ছি। বাধ্য হয়েই মাকে মিথ্যে বলতে হয় শুভর। শতরূপা দিব্যকে পছন্দ করে না। দিব্যর কিছু বদনামও রয়েছে আর সেগুলি নারীঘটিতো। তবে শুভ বিস্তারিত কিছু জানে না ; শুভ দিব্যর বাইকে অনেক মেয়েকে দেখেছে, একদিন পাড়ার মোড়ে, তবে কার সাথে কি সম্পর্ক ছিলো সেটা ও জানে না। একবার দিব্যদার সাথে দেখেছিলো মল্লিকা-দিকে । মল্লিকাদি হলো মাধবী মাসির মেয়ে, মাধবী মাসি ওর মায়ের কলিগ। মাধবী মাসি ওদের বাড়িতে তিন চারবার এসছে, মল্লিকাদি ও এসছে একবার। মল্লিকা শুভর চেয়ে বছর চারেকের বড়; এই মাধবী মাসিই শতরূপাকে দিব্যর ব্যাপারে বলেছে । এরপর থেকে শতরূপা শুভকে দিব্যর সাথে মিশতে বারণ করেছে। একদিন পাড়ার মোড়ে শুভ আর শমীককে দিব্যর সাথে গল্প করতে দেখেছিলো শতরূপা। সেদিন ই শুভ বাড়ি ফেরার পর শতরূপা বলেছিলো "আজকের পর থেকে যেন এমন ছেলের সাথে তোমায় আর না দেখি, যারা সারাদিন টো টো করে ঘুরে বেহাল্লাপানা করে বেড়ায়- এসব অসৎ সঙ্গ তোমায় ছাড়তে হবে।" তবে এই কিছুদিন যাবৎ শুভর মা একটু নরম হয়েছে দিব্যদের সাথে শুভর মেলামেশার ব্যাপারে। শতরূপা পাড়ার মহিলা সমিতির সাথে যুক্ত। প্রতি বছর এই সমিতি দুর্গা পুজো করে। আগে ওদের সমিতির মিটিং কারো না কারো বাড়িতে হতো, এবার ওরা ঠিক করে সমিতির একটা নিজস্ব ঘর বানাবে। সেই মতো পাড়ার লাইব্রেরীর পাশের জমিতে ঘর বানানো শুরু হয়। কিন্তু কাজ শুরুর কিছু পরেই প্রোমোটারের সাথে ঝামেলা শুরু হয়। তখন দিব্যদা এসেই ঝামেলা মেটায় ওর পলিটিকাল কানেকশন কাজে লাগিয়ে। পাড়ার লোকেরা দিব্যর যথেষ্ট প্রশংসা করে। তারপর থেকে শতরূপা শাসন কিছুটা আলগা হলেও শুভ এখনো ভয় পায় ওর মাকে বলতে।
Parent