উত্তেজনা সয় না - অধ্যায় ৩৩

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-58764-post-5433591.html#pid5433591

🕰️ Posted on December 4, 2023 by ✍️ FreeGuy@5757 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 1107 words / 5 min read

Parent
মায়ের আত্মসমর্পণ: চলছে ~~~~~~~~~~~~~~~~~ একটা অন্ধকার ঘরে ইশান কে চেয়ারের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে,তার কপাল কেটে ফিনকি দিয়ে রক্ত পরছে। হাত,পিঠ বেশ মার পরেছে,ইশান সারা শরীরে ব‍্যথা অনূভব করছে।গলা শুকিয়ে কাটঠা হয়ে গেছে।ইশান অস্পষ্ট স্বরে পানি চাইছে। কেউ একজন এক গ্লাস পানি হাতে সামনে এগিয়ে এলো। ইশান চোখে ঝাপসা দেখছে তাই গ্লাস টা খেয়াল করতে পারছে না। হাতটাও বাঁধা অবস্থায় আছে। - পানি টা খেয়ে নাও ইশান। ইশান:-(কন্ঠস্বর টা পরিচিত মনে হচ্ছে) কে তুই? - এতো সহজেই ভুলে গেলে? আমি তো ভেবেছিলাম আর যাই হোক তুমি আমাকে কখনও ভুলতে পারবে না। ইশান:-শক্তি!! তুই আমাকে তুলে এনেছিস! শক্তি:- That's like a good boy. এইতো চিনতে পেরেছো। (তখনই ঘরের লাইট টা জ্বলে উঠলো।) ইশান:- কী চাস তুই, ঈ শক্তি:-কী চাই আমি হাঃ হাঃ হাঃ তোর মুখ থেকে এতো ইনোসেন্ট কথাগুলো আমি আর নিতে পারি না। কিভাবে পারিস নিজেকে এতো ইনোসেন্ট বানিয়ে রাখতে। যেখানে তোর আসল রূপটা আমি খুব ভালো করেই চিনি। ইশান:-তোর মতো কাপুরুষ আমায় নিয়ে কী ভাবে আমার কিছু যায় আসে না,এখনো সময় আছে আমার বাধন খুলে দে! (শক্তি ইশানের নাক বরাবর একটা ঘুসি দিলে ইশানের নাক দিয়ে রক্ত পরতে লাগলো।) শক্তি:-'তোর জন‍্যে আমি এতোদিন জেলে ছিলাম ,এখন তোকে হাতে পেয়ে এত সহজে ছেরে দেবো তা কি করে হয়। ইশান:- তুই তোর নিজের কারণে জেল গেছিস তুই যা করছিল তা....(ঠাস্) শক্তি:- আমি কি করেছি!!শালা শুয়োরের বাচ্চা তুই নিজে কী করিস ইশান:-দেখো শক্তি আমি মানছি আমি খারাপ লোকেদের কাজ করেছি,এখনো করছি। কিন্তু আমি কখনোই তোর মতো ছিলাম না...(শক্তি ইশানের চোয়ালে চেপে ধরে গ্লাসে থাকা পানি টুকু ইশানের গলায় ঢেলে দেয়) ইশান:-(খক্ক্ক্ খক্ক্) তুই বিশ্বাস করিস বা না করিস তাতে আমাদের মাঝে পার্থক্য কখনো দূর হবে না শক্তি:-তুই আমার থেকে আলাদা!!তোর কথা শুনে হাসি পাচ্ছে ইশান। ফুলশয্যার রাতে মূখার্জি বাড়ির কনেকে হাওয়া করে দিয়ে এখন তুই বাংলা মায়ের আদশ ছেলে! ইশান:-সুমনাকে আমি তুলে আনিনি মমম্ (পেছন থেকে কেউ ইশানের মুখে একটা কাপড় বেধে দেয়) শক্তি:-শোন ইশান তুই যে বেশ‍্যাটার জন্যে আমায় জেলে পাঠিছিস সে টাকে তুলে আনবো তার সাথে তোর সুন্দরী আম্মু...(শক্তি কথার মাঝে ইশান শড়ীল ঝাকুনি দিয়ে বাধন খুলে ফেলতে চায়) ইশান:-শ্ম্ম্ম্ম.... শক্তি:-চু" চু" চু"ইশ্ তোকে দেখে খুব ময়া হচ্ছে জানিস ইশান! তোর কাছে মাত্র দশ ঘন্টা সময় আছে। কিন্তু তুই চিন্তা করিস না তোর আম্মু খুব ভালো খাতিরদারি করবে আমার লোকেরা। চলি ইশান জানিস তো অঅনেক কাজ বাকি হাঃ হাঃ হাঃ... ★★★ শহরের কোনো এক রাস্তায়) (brrrrr.... brrrr...) রাজেশ:-হ‍্যালো মা! সোমা:-ইশানের কোনো খবর পেয়েছিস রাজেশ:-এখনো পাইনি সোমা:-বলিস কী ! এদিকে সুদিপাকে যে সামলানো যাচ্ছে না রাজেশ:-কাকিমাকে বলো চিন্তা না করতে আমি ইশানকে নিয়ে বাড়ি ফিরবো,রাখি মা (bep) কোথায় গেলো ইশান কাল সন্ধ্যায় মণি আন্টির ওখান থেকে বেরুতে না দিলে মনে হয় ভালো হতো। কাল রাতের নেশা এখনো কাটেনি।মাথাটা ঝিমঝিম করছে।কাল সুমনাকে ...না এখন এই সব ভাবার সময় না ইশানকে খুজতে হবে। (brrrrr....) রাজেশ:-শালা,,আবার কে "হ‍্যালো"" -রাজেশদা সর্বনাশ হয়ে গেছে,শক্তির লোকেরা রেবেকাকে তুলে নিয়ে গেছে রাজেশ:-আবে শুয়রের বাচ্চার তোরা কোথায় ছিলি -রাজেশদা আ.আ রাজেশ:-রাকিব কে বল সবাইকে খবর দিতে! ফোন রাখ (brrrr.....brrrrr....) ফোন ধরো মা ফোন ধরো (brrrrr.....brrr……) ★★★ ইশানের বাড়িতে) সুদীপা:-ওর কোনো বিপদ হলো না তো সোমাদি সোমা:-আরে কিছু হয়নি,তুই একটু শান্ত হয়ে বোস তো রাজেশ তো গেছে দেখবি ঘন্টা খানেকের মধ্যেই চলে আসবে সুদীপা:-সোমাদি আমার মন কেমন.... সোমা:-সুদীপা এইসব চিন্তা এখন বাদ,ইশান ছোট বাচ্চা না তা ছাড়া রাজেশতো গতকাল বাড়িতে আসে তাতে কি হয়েছে শুনি সুদীপা:-ইশান এমন করে না সোমাদি সেমা:-ছেলের বয়স হয়েছে নিশ্চিত খারাপ মেয়ের পাল্লার পরেছে,তোকে তো বললাম আমার হাতে ভালো মেয়ে আছে পছন্দ হলে বিয়ে দিয়ে দে দেখবি সব ঠিক একথা সুদীপা মুখ নামিয়ে নিলো।বারান্দার মেঝেতে বসে আছে সুদিপা কিছুটা দূরে রেশমা দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।রেশমাকে দেখে দাঁত কিরমির করছে সোমা।কাল থেকে সুদীপার এই অবস্থা কিন্তু সেদিকে তার কোনো নজর নেই এ কেমন বান্ধবী।সুদীপা কেঁদেই যাচ্ছে। তার অবাধ্য এলোমেলো চুল গুলো ছড়িয়ে আছে বারান্দার মেঝেতে। চোখ থেকে ঝরছে অজস্র অশ্রু। এতখন ধরে বোঝানোর পরো কোন লাভ হয়নি।একবারের জন্যও অশ্রু বন্ধ হয় নি তার। গতকাল রাতথেকে কাঁদছে মনে হয় । চোখের নিচ কালো হয়ে গেছে তার। ফর্সা গাল দুটো লাল হয়ে আছে। ঠোঁট জোড়া কাঁপছে। সোমা:-এই ছেলে ভেতরে ডুকছো কেনো! তোমরা কারা! -আপনি চিনবেন না আমাদের,আমার ইশানের খবর নিয়ে এসেছি সুদীপা:-ইশান!ইশান এসেছে -মাসিমা ইশান আসেনি ,আর যা অবস্থা আসতেও পারবে না সুদীপা:-(সুদীপা উদ্বিগ্ন হয়ে)কী হয়েছে ইশানের! সোমা:-সুদীপা এরকম করছিস কেনো ইশানের কিছু,তোমরা আমার সাথে কথা বলো ইশান কোথায়,তোমরা কারা পরিচয় দাও! -ইশানের হাতে সময় খুবকম,এখন ভেবে দেখুন আগে পরিচয় না কি ইশান.... ★★★ সড়কে রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়াচ্ছে ইশান ।তার গায়ের নীল টি-সার্ট টা দুই হাতে পেঁচানো,রক্তে ভিজে তা এখন লাল গাল,।মাথা ফেটে কানের পাশ দিয়ে রক্ত ঝড়ছে। যে হারে ব্লিডিং হচ্ছে সে আর বাচঁবে না!!হয়তো বাচঁবে না!! তবে মরার আগে মাকে রক্ষা করকে হবে!!তাকে পারতেই হবে যেভাবেই হোক!! ★★★ সুদীপা:মমম্....অন্ন্ধ্ন্ন... গাড়িতে ওটার সাথে সাথেই কেউ একজন রুমাল চেপে ধরে সুদীপার মুখে তারপর আর কিছুই মনে নেই সুদীপার।এখন চোখ খুলতে সে দেখলো ,একটা বড় ঘরে একটি লোহার পাইপের সাথে হাত ওপরেদিকে টানা দিয়ে বাধা ।তার শাড়িটা পরে আছে হাত পাঁচেক দূরে মেঝেতে একটা ছেলের পায়ের কাছে।সুদীপা চিৎকার করতে চায় কিন্তু তার মুখে কাপড় নিয়ে বাধা। শক্তি:- কেমন আছো রেবেকা? সুদীপা পাশ ফিরে দেখলো ,তার থেকে কিছুটা দূরে আর একটা মেয়ে বাধা টিক তারোই মতো সেই মেয়েটার শড়ীলে লাল রঙের ব্লাউজ আর পেটিকোট, মেয়েটার কপাল কেটে রক্ত ঝরছে ,গালে থাপ্পড়ের দাগ স্পষ্ট, মুখে লাল কাপড় দিয়ে বাধা শক্তি:-আমাকে মনে আছে তো? রেবেকা:-অঘ্ণ্ঘ্... মমম্.. শক্তি:-কী হলো আমার থেকে ছাড়া পেয়ে! সেইতো বেশ‍্যা খানাতেই যেতে হলো তো ! শক্তি এবার চেয়ার থেকে উঠে সুদীপার দিকছ এগিয়ে আসতে লাগলো,সুদীপার চোখ মুখে আতঙ্ক ,এ কোন বিপদে পড়লো সে,ইশান কোথায় এইছেলেটা কী ইশানের কোনো ক্ষতি করেছে ,হাতে বাধন মোচড়াতে লাগলো সুদীপা ,প্রতিটি মোচড়ের সাথে যেনো হাতে বাধন আরো শক্ত হচ্ছে। ছেলেটা এগিয়ে এসে সুদীপার উন্মুক্ত পেটে হাত রাখলো,অন‍্য হাতে প‍্যান্টের পকেটে থেকে একটা প্লাস্টিকের হাতলের মতো কিছু বের করে এক পাশে চাপ দিতেই চকচকে ধারালো অংশটা বেরিয়ে এলো।(আঃ) চিৎকার বেসে এলো বাইরে থেকে(আআঃ) শক্তি:-....এই শালারা দাড়িয়ে কী দেখছিস! গিয়ে দেখ কি হয়েছে এতোখন লক্ষ্য করেনি সুদীপা, এখন দেখলো নিগ্রোর মতো দেখতে দুটি লোক এগিয়ে যাচ্ছে দরজা দিকে ।নিজেকে বড্ডো অসহায় মনে হচ্ছে সুদীপার,এমন সময় সবাইকে চমকে দিয়ে ঝড়ের মতো ইশান ঢুকলো ঘরে, কেউ ভালো করে কিছু বুঝবার আগেই সে পটাপট কয়েকটা ঘুসি চালিয়ে দিলো সেই নিগ্রো মতো দেখতে দুজনের নাকের ওপর। কী প্রচণ্ড ঘুসি! যেমন বিরাট লম্বা চওড়া মূর্তি, তেমনি তার ঘুসির ওজন। যেনো কোনো দানবীয় শক্তি ভর করেছে ইশানের ওপরে। ঘুসি খেয়ে নাকে হাত দিয়ে বসে পড়লো একজন। অন‍্য লোকটার ওপড় লাফিয়ে পড়ে ফেলে দিলে মাটিতে। তারপর ঘুসি বাগিয়ে প্রচণ্ড বেগে ছুটে গেল নিগ্রো টার মুখের দিকে। নাকে ঘুসি খেয়ে যে বসে পরেছিল সে উঠে দাঁড়িয়ে সজোরে ধাক্কা দিলো ইশানকে। ছিটকে ওপাশের দেয়ালে অত্যন্ত জোরে ধাক্কা খেলো ইশান। সামলে নেয়ার আগেই এক মুষ্ট্যাঘাত এসে পড়ল তার গালে। সামলে নিয়ে দাড়ানোর চেষ্টা করলো ইশান,তারপরি অনূভব করলো মাথার পেছনে প্রচন্ড আঘাত।বোঁ করে ঘুরে উঠলো তার মাথাটা। কেমন যেন ঘোলাটে লাগছে। আধ বোঝা চোখে শেষ বারে মতো দেখলো রাজেশ আর কিছু লোক ঝাপিয়ে পরেছে আক্রমণকারী ওপরে। তারপর সব অন্ধকার।  continue........
Parent