যেমন করে চাই তুমি তাই/কামদেব - অধ্যায় ২৭

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-27911-post-2112162.html#pid2112162

🕰️ Posted on June 29, 2020 by ✍️ kumdev (Profile)

🏷️ Tags:
📖 627 words / 3 min read

Parent
 ।।২৭।।         রফিকমিঞা সকাল সকাল তৈরী,তাকে বাড়ী ফিরতে হবে।অনিচ্ছা সত্বেও তৈরী হতে হয় ফরজানাকে।রহিমা বেগমের দুশ্চিন্তা ছিল শ্বশুরবাড়িতে মেয়ে কোন গোলমাল করে এসেছে কিনা?এখন নিশ্চিন্ত।গোল বাধিয়েছে মনু,বায়না ধরেছে ফুফুর সঙ্গে সেও যাবে।সবাই ওকে বোঝাচ্ছে পরে একদিন নিয়ে যাবে কিন্তু মনু নাছোড়।ফরজানার নিয়ে যেতে আপত্তি নেই মুস্কিল হচ্ছে মনু গেলে কে আবার ওকে নিয়ে আসবে? অবশেষে সায়েদ বলল,ঠিক আছে যাক।সপ্তাহ খানেক পর সে নিয়ে আসবে।মুমতাজ খুশি, রাতে নিশ্চিন্তে দুলুমিঞার সাথে কুস্তি করা যাবে। ছেলের জন্য কাপড় উঠায়ে কাজ সারতে হয় উদোম হয়ে মিলতে পারেনা।মইদুল নীরব তার কোন মতামত নেই। ওরা চলে গেলে একে একে আর সবাই বেরিয়ে যায়।  অফিসে মিনু উসমানির সাথে দেখা হতে বলে,ইদ মুবারক।কাল কেমন কাটলো? বলদেব একগাল হেসে বলে,খুব খাইছি। --তৈয়ব আসছে,দেখা হয়েছে?  --জ্বি না।দেখি ক্যাণ্টিনে থাকতে পারে।  মিনু ম্যাডামের ব্যবহার খুব ভাল,ঘোষ ম্যাডামের মত মুখ গোমড়া না।মোজাম্মেল হক সাহেব গালে হাত দিয়ে ভাবছেন।বুঝতে পারছেন না কি করবেন।আনিসরে সরায়ে অন্য একজনরে বাংলোর ডিউটিতে পাঠাতে বলেছেন স্যর।আনিস খুব দুর্বল নড়তে চড়তে সময়  নেয় খুব।এই রকম লোক স্যরের পছন্দ না।বাংলোয় কাজ বেশি নাই চুপচাপ বসে থাকো,দুর্বল বলেই বাংলোয় আনিসকে ডিউটি দিয়েছিলেন।বদলে এখন কাকে পাঠাবেন?বলদেবের দিকে নজর পড়তে ভাবেন লোকটা নতুন,অফিসে বেশ মানিয়ে নিয়েছে।সবাই ওরে পছন্দ করে।বাঘের মুখে নিরীহ মানুষটাকে ঠেলে দিতে মায়া হয়।তৈয়ব হাতে পায়ে ধরাধরি করছিল তারে যেন না পাঠায় স্যর।  ক্যাণ্টিনে তৈয়বের সাথে দেখা হতেই একগাল হেসে বলে,তুমি গেছিলে খবর পাইছি।যার সঙ্গে কথা বলছো সে আমার শাশুড়ি।তোমার খুব প্রশংসা করতেছিল। বেশিকিছু কয়নাই শুনে আশ্বস্থ হয়।বলদেব বলল,কাল ইদ কেমন কাটাইলা? --কালকের দিনটা খুব ভাল গেছে।খুব সমস্যার মধ্যে ছিলাম।তিনটা পেট তার উপর শাশুড়ি--।কথাটা শেষ না করে জিজ্ঞেস করে,তুমি কি করলা? --খুব খাইছি।আম্মুর হাতের রান্নার স্বোয়াদ,খাইলে ভুলতে পারবা না।বলদেবের গলায় গদ্গদ ভাব। --বসো দুইকাপ চা নিয়া আসি।  অফিস থেকে ফিরলে আজ আর পড়াতে হবে না।টুনিঅপা তারে নিয়া গেল।দুলাভাই আসছিল,একরাত থেকে আজ চলে গেল।মনে মনে হাসে বলদেব,কাল টুনিঅপার পিঠের থেকে পড়ে গিয়ে মাজায় ব্যথা পেয়েছে।কিছু বলেনি তাহলে অপা লজ্জা পাইত।  --নাও চা খাও।তৈয়ব চা এগিয়ে দিল। বলদেব চায়ে চুমুক দেয়।'তুমি তো বিড়ি খাও না' বলে বিড়ি ধরালো। --বিড়ি খাইলে কাশি হয়।  --আনিসের খুব বিড়ির নেশা। ও তুমি তো আনিসরে দেখো নাই।ডিএমের বাংলোয় এখন তার ডিউটি।আজকাল মাইয়ারাও বিড়ি খায়। বিড়িতে টান দিতে দিতে উদাসভাবে দূরে তাকিয়ে থাকে।তারপর বলদেবের দিকে তাকিয়ে বলে,তোমারে একটা কথা বলবো? বলদেব চোখ তুলে তৈয়বকে দেখে। --আনিস মিঞা বুড়া হয়েছে।তুমি তারে দেখো নাই,বাংলোয় পোষ্টিং।এখন আর পারে না।তুমি যদি বাংলোয় পোষ্টিং নিতে রাজি থাকো তাইলে বুড়াটার খুব সুবিধা হয়।  --আমারে যেইখানে দিবে সেইখানে ডিউটি করবো। --বড়সাহেবরে বলে ব্যবস্থা করতেছি। তৈয়ব স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।  তৈয়বের মত মানুষরা নিজেদের খুব চালাক মনে করে আর সরল মানুষকে মনে করে বোকা। সৎ মহার্ঘ সঙ্গ থেকে তারাই বঞ্চিত হয়। তৈয়বের কারসাজিতে কিছুক্ষন পর হকসাহেব তলব করেন।  --জ্বি স্যর। হকসাহেব চোখ তুলে বলদেবকে দেখেন,দৃষ্টিতে দ্বিধার ভাব,তবু বলেন,তুমি বাংলোয় ডিউটি করতে যেতে চাও? --আপনের মেহেরবানি। --পারবা? --জ্বি শিখায়ে দিলি পারবো।  --ঠিক আছে।কাল থেকে তোমারে ঐখানে পোষ্টিং দেবো। --জ্বি। --শোনো ডিএম সাহেবরে বলবা, স্যর। --ম্যাডামরে বলবো স্যর? --ম্যাডামকে না,তুমি চেয়ারকে সম্বোধন করবা।ম্যাডাম বলা উনি পছন্দ করেন না। --জ্বি।পছন্দ মানষের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তৈয়ব মিঞা দূর থেকে সব লক্ষ্য করতেছিল।চোখে মুখে উল্লাস লোকটার সঙ্গে কাজ করে সুখ হয়না।নামে বলদা কামেও বলদ।হক সাহেবের ঘর থেকে বেরোতে বলদেবকে ডাকেন মিনু উসমানি। --জ্বি বলেন ম্যাম। --চলো ক্যান্টিনে যাই। --চা খাইবেন?আপনে বসেন আমি নিয়ে আসি। --চলো ক্যান্টিনে গিয়ে খাই। ক্যন্টিনে গিয়ে একটা টেবিলে মিনু উসমানি বসে।বলদেব দাঁড়িয়ে থাকে। --দাঁড়িয়ে কেন?বসো। ইতস্তত করে বলদেব বসে।টিফিন ক্যারীয়ার খুলে একটা প্লেটে বিরিয়ানি ঢেলে বলদেবের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে,খাও। বলদেবের মুখে খুশির আলো ছড়িয়ে পড়ে,লাজুক গলায় বলে,আপনে খাইবেন না? --আমি অনেক খেয়েছি।তুমি গেলে না,তোমার জন্য এনেছি।  বলদেব খুব তৃপ্তি করে খায়।মিনু উসমানি মুগ্ধ হয়ে দেখে। --ম্যম আপনে খুব ভাল।মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। --কেন? --আমার অন্যত্র পোষ্টিং কাল থেকে।আপনের সাথে দেখা হবে না। মিনু বুঝতে পারে এটা তৈয়বের কাজ।বলা থাকলে ওর অসুবিধে হয়।খারাপ লাগে মিনু জিজ্ঞেস করে, ডিএমের অফিসে? --জ্বি। --ঐখানে পাঁচ-ছয়জন আছে।একজন দারোগা বাড়ি থাকে,তুমি চিনবে--সুলতান সাহেব। --পরিচয় হয় নাই। --স্যর একটু মেজাজী--সৎ।সিদ্ধান্ত নিতে দেরী করে না। একটু মানিয়ে চলবে,মুখে মুখে তর্ক করবা না।সময় পেলে আসবা।
Parent