মায়ের সাথে মাছ ধরা - অধ্যায় ১১
আমি- কি যে বল মা আমি বাড়ি আসার পর থেকে তো তোমার সাথেই আছি, বাবার সাথে থেকেছি নাকি তুমি বল।
মা- আমার হাত ধরে চল এই আমারা গেলাম তুমি আবার বাইরে যেওনা যেন।
বাবা- না এখন ঘরেই থাকবো।
মা- তুমিও যেতে পারতে সবাইকে বলেছে
বাবা- না থাক তোমরা যাও আমি ঘরে আছি। সাবধানে যেও আর তাড়াতাড়ি বাড়ি এস যেন রাত একটা দুইটা বাজিও না।
মা- সমস্যা কি ছেলে সাথে আছেনা, আমার কিসের ভয়।
বাবা- সে ঠিক, জোয়ান ছেলে সাথে থাকলে মায়েদের কিসের ভয়।
মা- তবে আমার ছেলে সেরকম পুরুষ হয়েছে মাকে আগলে রাখতে পারবে কি বল তুমি।
বাবা- হুম বললেই তো আবার তেলে বেগুনে জলে উঠবে, ছেলেটা কার দেখতে হবে তো।
মা- রেগে গিয়ে না আমি ওপারা থেকে নিয়ে এসেছি, তোমার না আমার পেটে ধরেছি বুঝলে।
আমি- রেগে গিয়ে আমি তোমাদের দুজনের ছেলে এবার চলত মা, বাবা আসি হেটে যাবো অন্ধকার রাস্তা আবার পুকুর পার দিয়ে যেতে হবে।
বাবা- সেইজন্য তাড়াতাড়ি আসতে বলেছি ফাঁকা মাঠ সাবধানে আসিস কিন্তু মায়ের হাত ছারবিনা।
মা- হাত ধরবে কেন কোলে করে নিয়ে আসবে। আমি কচি খুকি তো।
বাবা- আকাশের যা অবস্থা যদি বৃষ্টি নামে তখন দেখবে কোলেই আসতে হবে তোমার।
আমি- দুর কি যে শুরু কর তোমরা সে দেখাজবে আমি মাকে নিয়ে আসবো ভেবনা তোমরা মা এবার চল।
বাবা- যা সেজেছে সাবধানে রাখিস তোর মাকে না হলে আবার কোন জুলফিওয়ালা রাবন তুলে নিয়ে না যায়।
মা- দেখলি তো নিজের তো মুরদ নেই, না লাগে হোমে না লাগে যজ্ঞে ছাইপাশ খেয়ে শুরের মত ঘোঁত ঘোঁত করে ঘুমায়, পাশ থেকে তুলে নিয়ে গেলে টের পাবেনা তুই সাথে আছিস তবুও এমন কথা বলে।
আমি- মা আমারা না গেলে এমন কথা আর অনেক হবে তুমি চল।
মা- চল কটা বাজে এখন
আমি- সারে ৭ টা বাজে এখন হাটা শুরু করলে ৮ টায় পৌছে যাবো। তবে আমারা ১১ টার মধ্যে বাড়ি আসতে পারবো।
বাবা- হ্যা যাও সোনা তাড়াতাড়ি এস, আর রাগ করনা।
মা- তুমি কিন্তু আর বাইরে যাবেনা বলে যাচ্ছি যদি বুঝতে পারি বের হয়েছে তো তোমার খবর আছে।
বাবা- না না যাবো না।
মা- রান্না করা আছে খেয়ে নিও। আচ্ছা চল বাইরে চল এইঘর তালা দিয়ে যাই তুমি খেয়ে ওঘরে শুয়ে পড়বে।
বাবা- আমার এ ঘরে জায়গা হবেনা তাহলে।
মা- না আজ আমি আর ছেলে ঘুমাব এঘরে, তুমি বাইরে, না হলে এসে ডাকলে সারা দেবেনা নেশার ঘুম তখন আমরা কি করব ওঃ ঘর ছোট দুজনে ঘুমানো যায় না। আমারা চাবি নিয়ে যাবো।
বাবা- ঠিক আছে এখন তোমার সাথে বাবা আছে তাই আমার কিছু করার নেই যাও তোমরা।
মা- তালা দিয়ে চল বাবা চল দেরী হয়ে যাচ্ছে।
বাবা- যাও হাত ধরে যেও মায়ে পুতে।
মা- হা আমি ছেলের হাত ধরব না তো কার হাত ধরব শুনি।
বাবা- বলা যায় না যা সেজেছ কে আবার তোমার হাত ধরে নিয়ে যায় তাই ভাবছি। কত রাবন আছে আজকাল।
মা- মুরদ নেই যদি কেউ নিয়ে যায় চলে যাবো তোমার সাথে থেকে কি লাভ আমার শুধু কষ্ট একটু সুখ দিতে পার। আমি শুধু তোমার কাজের লোক তাই না।
বাবা- আমাকে যা বাবা যা আজ তোর মায়ের মুখে খই ফুটছে কথা না। কোন কথা বলা যায়না।
আমি- কেন অবান্তর কথা বল, কে মাকে নিয়ে যাবে আমি থাকতে, আমার মা আমার কাছে থাকবে, আমি থাকতে কোথায় যাবে।
মা- বল বল আমার হয়ে আর বল।
বাবা- মা ছেলে এক হয়ে গেছ আমার আর কি করার আছে তবে সাবধানে থেক তুমি, আবার বলছি, আমার ভালো ঠেকছে না।
মা- দেখলি আবার ফোড়ন কাটে।
আমি- আঃ বাবা বললাম না মাকে আমি কাছে রাখবো কেউ নেবে না তোমার ভয় নেই, আর শোন এবার থেকে ভেবে কথা বলবে, আমি মায়ের জন্য আছি, তুমি মাকে যে যে কষ্ট দিয়েছ আমি তা সব পুরন করব, কি ভেবছ তুমি মায়ের কেউ নেই তাই যা খুশী বলে যাচ্ছ। এখন থেকে আমি মায়ের খেয়াল রাখব তোমাকে আর ভাবতে হবেনা মায়ের জন্য আমি আছি, তোমার আর মাকে কিছু দিতে হবেনা, মায়ের যা লাগে আমি দেব, তুমি মাকে অনেক অনেক কষ্ট দিয়েছ তাই মায়ের এখন সুখ করার পালা।
মা- এইত একদম আমার ছেলের মতন কথা বলছিস, বুঝিয়ে দে তুই এখন বড় হয়েছিস, তুই সব সামাল দিতে পারবি।
বাবা- সে হলে তো আমার আর চিন্তা নেই, ছেলে দ্বায়িত্ব নিলে আমার আর কিসের চিন্তা। কিন্তু গোয়ালের ঘাস কি গরুতে খায়।
আমি- বাবা কি বলছ, আমি মায়ের কোন অভাব রাখব না।
মা- শোন তোমার ছেলের কথা, ও আর ছোট নেই তাই বলি ভেবে কথা বল। আমার ছেলে সব পারবে আমার সে ভরসা আছে ওর উপর।
বাবা- দেখা যাবে কে কেমন পারে।
মা- পারবে সে নিয়ে তোমার ভাবতে হবেনা, কিরে বাবা পারবিনা, আমার খেয়াল রাখতে।
আমি- পারব মা চাকরি না পেলেও ভালই রোজগার করতে পারি এখন, তোমার কিসের চিন্তা, তোমার সব খেয়াল রাখার ক্ষমতা আমার আছে।
মা- আমার আর চিন্তা নেই বুঝলে ছেলে সাথে থাকলে কিসের চিন্তা, সে আমি এই দুই দিনে বুঝে গেছি, আমার ছেলে কেমন, ও পারবে আমাকে সামাল দিতে, আমাকে কেউ নিয়ে যাবেনা আমি ওর কাছেই থাকব, অন্য জায়গায় যেতে হবেনা। কেন যাবো আমার এমন ছেলে থাকতে।
বাবা- আচ্ছা এবার দেরী হচ্ছেনা তোমাদের।
মা- না তুমি বললে বলেই তো বলছি কি বল বাবা। তবে হ্যা আবার বলছি ওইসব খাওয়া ছেরে দাও এখন। না হলে সত্যি সত্যি ছেলের সাথে চলে যাবো তোমার সাথে থাকব না।
বাবা- পরে না গেলেও এখন ছেলের সাথে যাও আর ছেলের সাথে থেকো। আবার বলছি এত সাজুগুজু করেছ কার জন্য শুনি।
মা- দ্যাখ আবার কেমন কথা বলে।
আমি- বাবা তোমার সমস্যা কোথায় মাকে আমি সাজিয়েছি, মার মেজাজ আর গরম করনা তো।সে থেকে এক নাগারে মাকে চটাচ্ছ।
বাবা- হেঁসে না না তোরা যা এবার। তোর মা রাগ্লে কত সুন্দর লাগে দেখেছিস।
আমি- আমার মা অনেক সুন্দরী তাতে রাগা লাগেনা এমনিতেই।
মা- তুই বুঝলে ওই লোকটা বুঝল না, আমাকে ঝিয়ের মতন দেখতেই চায় সব সময়। তার জন্য চটে আছে বুঝলি নিজে তো পারেনাই কিছু দিতে তুই দিয়েছিস বলে জ্বলছে।
আমি- আমার মাকে আমি সাজিয়ে রাখব তোমার সমস্য কোথায়।
বাবা- বেশি সাজলে রাবণদের নজর লেগে যাবে।
আমি- আমি থাকতে কেউ নজর দিতে পারবেনা, আমি আছি কি জন্যে।
মা- বল বল আমার থেকে তুই ভালো উত্তর দিতে পারিস।
বাবা- সে হবেনা তোমার ছেলে তো।
আমি- বাবা এখন থেকে আর তোমাকে মাকে নিয়ে ভাবতে হবেনা মায়ের আমি খেয়াল রাখব বলেছি, তোমার কাছে আর কিছু চাইবেনা, যা লাগে আমি দেব মাকে।
বাবা- সব দিতে পারবি তো।
মা- পারবে কেন পারবেনা ও এখন বড় হয়েছে পারবে তোমাকে ভাবতে হবেনা। কি বাবা পারবি তো আমার যা লাগবে তাই দিতে।
আমি- হ্যা মা পারব তুমি শুধু মুখ ফুটে একবার বলবে, আমি তোমাকে সব দেব যা লাগে, শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
মা- শোন এবার ছেলের কথা, শুনলে তো।
বাবা- হ্যা শুনলাম আর কি করা যাবে ছেলে বড় হয়েছে আমার আর কিসের চিন্তা আজ আছি কাল নেই তোমরা মা ছেলে থাকবে।
মা- হ্যা থাকব আমি ছেলের সাথেই থাকবো, আমার ছেলেই সব ওকে মানুষ করেছি এমনি এমনি ও আমাকে দেখবে। আমার কত আশা ওকে নিয়ে। কি বাবা রাখবি তো আমাকে তোর কাছে।